MUSLIM WOMAN Posted August 3, 2012 Report Share Posted August 3, 2012 তওবা দোয়া ও জিকির বিশেষ আমল মুহাম্মদ তৈয়্যেব হোসাইন আজ মাহে রমজানের চৌদ্দ তারিখ। মোবারক এ মাসটির প্রায় অর্ধেক সময় পার হয়ে গেছে। সুতরাং অবহেলা না করে এ মাসের নেয়ামত লাভের চেষ্টা আমাদের করে যাওয়া উচিত। এ মাসের অন্যতম দান হচ্ছে গোনাহ মাফ ও আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্তি। এ জন্য দরকার তওবা ও ইস্তেগফার। এছাড়া দোয়া ও জিকির আমরা বিভিন্ন সময় করতে পারি। এ মাসের প্রতিটি দিনই রোজাদারের বিভিন্ন দোয়া কবুল হতে থাকে। আর চলতে-ফিরতে ছোট ছোট জিকির করতে পারি। দরুদ শরিফ, কালিমা তাইয়েবা, সুবহানাল্লাহ- আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার—এ ধরনের দোয়াগুলো পড়ে বহুগুণ সওয়াব ও কল্যাণের অধিকারী হতে পারি। রমজান মাসে মুসলিম উম্মাহর জন্য সফলতার দ্বার উন্মুক্ত হয়ে থাকে। আল্লাহর নৈকট্য যারা অর্জন করতে চায়, তাদের জন্য বিরাট সুযোগ এ মাসটি। এ মাসে আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রতি রহমতের বারিবর্ষণ করে থাকেন। বান্দাকে মাসজুড়েই আল্লাহর পক্ষ থেকে ডেকে ডেকে বলা হয়; ‘আছে কি কোনো ক্ষমাপ্রার্থী, যাকে আমি ক্ষমা করে দেব?’ সুতরাং এ মাসে বান্দাকে সব সময় আল্লাহর দরবারে দোয়া-মোনাজাত করতে হবে। তওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিজের জীবনকে পাপমুক্ত করার জন্য আল্লাহর দরবারে করতে হবে কান্নাকাটি। রমজান মাসে তওবা, ইস্তিগফার এবং দোয়া-মোনাজাত করেছেন আমাদের পূর্বপুরুষ-বুজুর্গরা। পেছনের সব গোনাহর জন্য অনুশোচনা করে সামনে আর গোনাহ না করার প্রত্যয় নিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়াই তওবার মূল কথা। যেসব গোনাহ ক্ষতিপূরণযোগ্য, সেগুলোর ক্ষতিপূরণ দিতে থাকা। নামাজ-রোজা কাজা হয়ে গিয়ে থাকলে হিসাব করে তা আদায় করতে লেগে যাওয়া। আর অপরের কোনো হক টাকা-সম্পদ নিজের কাছে থাকলে তা আদায় করে দেয়া অথবা আদায় করতে থাকা। আর অন্যায়ভাবে কারও সম্মানহানি করলে, কাউকে কষ্ট দিলে তার কাছ থেকে যথাযথভাবে ক্ষমা গ্রহণ করা। তওবার আলোয় কারও জীবন স্নাত হলে তিনি দিন দিন আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও পূর্ণতার দিকে যেতে থাকেন। তওবা করার পর যদি কোনো কারণে তা ভেঙে যায় তাহলে আবারও তওবা করা যায়। এভাবে কোনো বান্দার জীবনে হাজার বারও তওবার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তওবা করার সময় ভাঙার মনোভাব থাকা যাবে না এবং পূর্ণ সদিচ্ছা ও প্রত্যয় নিয়েই তওবা করতে হবে। রমজান আমাদের জীবনে যে শুদ্ধতা ও শুভ্রতার আবহ নিয়ে এসেছে, তাতে তওবা করে জীবনকে আলোকিত করার সুযোগ আমাদের গ্রহণ করা উচিত। আর ইস্তিগফার হচ্ছে সাধারণভাবে যে কোনো সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। চলতে-ফিরতে সংঘটিত গোনাহ খাতার জন্য আল্লাহর কাছে আমরা দিন শেষে অথবা গোনাহ হয়ে যাওয়া মাত্রই ইস্তিগফার করতে পারি। মুমিনের জীবনে অত্যন্ত সৌভাগ্যপূর্ণ নেয়ামত হচ্ছে আন্তরিক ইস্তিগফারের সুঅভ্যাস। রমজানে এ সুঅভ্যাসটি আমরা শুরু করতে পারি। আগে থেকে অভ্যাসটি থেকে থাকলে তা আরও জোরদার করতে পারি। দোয়া ও মোনাজাত হচ্ছে মুমিনের প্রধান হাতিয়ার। দুনিয়া ও আখেরাতের নানা সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য এ মোবারক মাসে আল্লাহর দরবারে খাস দিলে দোয়া করলে আমাদের জীবনে কামিয়াবির পথ রচিত হবে। নিজেদের নাজাতের দোয়া, কামিয়াবির দোয়া, পেরেশানি থেকে মুক্তির দোয়াসহ সামষ্টিক কল্যাণ, জাতি, দেশ ও উম্মাহর উত্তরণ এবং সমৃদ্ধির দোয়া আমরা এ মাসটিতে করতে পারি। হাদিস শরিফে দোয়াকে বলা হয়েছে ‘ইবাদতের সারবত্তা’। অপর হাদিসে ধনিত হয়েছে আল্লাহ তায়ালা রমজানের প্রতিদিন ও প্রতিরাতে বহুসংখ্যক লোককে মুক্তিদান করেন এবং প্রত্যেক মুসলমানের একটি দোয়া প্রতিদিন কবুল হয়। আসুন, আমরা এই মহা নেয়ামত গ্রহণের চেষ্টা করি। * আরও জানতে দেখুন বিশেষ আয়োজন ‘রমজান প্রতিদিন’ http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/08/03/157514 Link to comment Share on other sites More sharing options...
Recommended Posts
Create an account or sign in to comment
You need to be a member in order to leave a comment
Create an account
Sign up for a new account in our community. It's easy!
Register a new accountSign in
Already have an account? Sign in here.
Sign In Now