MUSLIM WOMAN Posted May 30, 2012 Report Share Posted May 30, 2012 তোমরা একজন অন্যজনের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না পরনিন্দা আমাদের এতই প্রিয় যে আমরা অন্য মানুষ সম্পর্কে বিশেষ করে অপছন্দের জনের দোষ - ত্রুটি সম্পর্কে মানুষের কাছে আরো জানতে চাই । খুব আগ্রহ নিয়ে তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করি যাতে তার আরো দোষ যদি কিছু থাকে , তা জানতে পারি । জানার পরে মহাখুশীতে তা অন্যের কাছে গল্প করি। অথচ আল্লাহ বলেন , “আর তোমরা একজন অন্যজনের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের অসাক্ষাতে নিন্দা করো না। তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? প্রকৃতপক্ষে তোমরা তো এটাকে ঘৃণাই করো । তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তওবা গ্রহণকারী পরম দয়ালু।” (সুরা হুজুরাত- ৪৯ : ১২) কাউকে গীবত করতে মানা করলে জবাব আসে – আমি যা বলছি তাতো সত্যি , তাই এটা তো গীবত না । মিথ্যা বললে তাহলে দোষ হতো অথবা আমি এসব কথা ওর সামনেও বলতে পারবো অথবা আমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে , তাই এটা গীবত না । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “গীবত কী তা কি তোমরা জান?” লোকেরা উত্তরে বলল, “আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভাল জানেন।” রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “গীবত হলো তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কথা বলা যা সে অপছন্দ করে।” জিজ্ঞাসা করা হলো, “আমি যা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তবে এটাও কি গীবত হবে?” রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “তুমি যা বল তা যদি তার মধ্যে থাকে থাকে তাহলেই সেটা হবে গীবত, আর তুমি যা বল তা যদি তার মধ্যে না থাকে তবে সেটা হবে বুহতান বা অপবাদ।” গীবত ও জুলুমের শিকার ব্যক্তির বিচার চাওয়ার মধ্যে পার্থক্য : যার কাছে কিছু বললে প্রতিকার সম্ভব , তাকে ঘটনা জানালে তা গীবত হবে না । এছাড়া কিছুকিছু ক্ষেত্রে কারো দোষের কথা বলা বৈধ যেমন কাউকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে কারো সম্পর্কে তাকে সাবধান করা ইত্যাদি । কিন্ত্ত জুলুমের শিকার ব্যক্তির ঘটনা প্রকাশের অনুমতি আছে , এই অজুহাতে আমরা রোজকার জীবনে যা করি , তা আর কিছুই না বরং পরনিন্দা , চোখলগুরি । হাটে –মাঠে – ঘাটে , বাজারে , বাসায় বসে , বাচ্চার স্কুলের সামনে অপেক্ষায় থাকার সময় , গাড়িতে – বাসে , শুতে - বসতে আমরা অন্যের নিন্দায় মেতে থাকি । অথচ ইমাম মালিক رضي الله عنهم তার ইহুদী বাড়িওয়ালার সাথে কোনদিন ঝগড়া করেন নি , যদিও সে ইহূদী ইচ্ছা করে ময়লা - আবর্জনা এমনভাবে ফেলতো যাতে দূর্গন্ধে ইমাম মালিকের কষ্ট হয় । অথচ এর চেয়ে অনেক তুচ্ছ কারনে আমরা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করি , একে অন্যের মুখ দেখাদেখি বন্ধ থাকে যে কোন একজনের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত । সতর্ক থাকো আত্মীয়তার বন্ধন সম্পর্কে ...( সুরা নিসা ; ৪: ১ ) রক্ত সম্পর্ক ছিন্নকারী বেহেশতে যাবে না - মুসলিম হাদীস অন্যকে ঘৃণা করলে তা নিজের মনের উপর এক বাড়তি চাপ পড়ে । অপছন্দের মানষকে ঘৃণা করাটা অভ্যাস বা মানসিক বিকারে পরিণত হয় । একসময় পুরো পরিবারে এই ঘৃণার বিষ ছড়িয়ে পড়ে । বাড়ির পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে যায় , ঘৃণার বিষবাষ্পে শ্বাস নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে - পরকালের মহাক্ষতি তো আছেই । ‘ দূর্ভোগ প্রত্যেকের , যে পিছনে ও সামনে লোকের নিন্দা করে (সূরা হুমাজাহ-১০৪ : ১) আসুন , আমরা গীবতের মহাপাপ থেকে দূরে থাকি ও নিজের এবং অন্যের দোষের জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চাই , হেদায়েতের প্রার্থনা করি - হে আল্লাহ , ঘৃণার বিষবাষ্প আমাদের মন থেকে দূর করে দিন । সহায়ক সূত্র : ইন্টারনেট Link to comment Share on other sites More sharing options...
Recommended Posts
Create an account or sign in to comment
You need to be a member in order to leave a comment
Create an account
Sign up for a new account in our community. It's easy!
Register a new accountSign in
Already have an account? Sign in here.
Sign In Now