MUSLIM WOMAN Posted April 13, 2012 Report Share Posted April 13, 2012 Asalamu'alaikum তথাকথিত মঙ্গল শোভাযাত্রা হাতি , ঘোড়া , বাঘ , সাপের মুখোশ পড়ে নারী – পুরুষ একসাথে ঢোল বাজিয়ে রাস্তায় রাস্তায় নেচে – গেয়ে বেড়ালে সেটা কেন ও কিভাবে মঙ্গল বা কল্যাণকর হয় , কেউ কি আমাকে বুঝিয়ে বলবেন ? আজ রাত শেষ হলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা এ ধরনের মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করবেন আর তাতে অংশ নেবেন হাজারো নারী - পুরুষ । এই শোভাযাত্রার দেখতে জড়ো হবেন আরো হাজারো মানুষ । বেশ কয়েক বছর ধরেই এমনটি হয়ে আসছে ; এতে ব্যক্তিগতভাবে কার কী মঙ্গল হয়েছে বলতে পারবো না । তবে ব্যবসায়ীদের লাভ নিশ্চয়ই হয় অনেক । তাদের প্রচারের কারণে অবস্থা এখন এমন যে - পয়লা বৈশাখে ইলিশ মাছ খেতে না পারলে , মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে না পারলে জীবন ব্যর্থ বলে মনে করেন অনেকে । আমরা যেন বাঙালী সংস্কৃতি উদযাপনের নামে অশালীন কোন কাজে , শিরকের মত ভয়াবহ কোন পাপে ডুবে না যাই - সাবধান , সাবধান । কোন কাজে আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণ পেতে হলে তাঁর আদেশ মেনে চলতে হবে , তাঁর নবী - রাসূলদের আদর্শ মেনে চলতে হবে । আল্লাহর কোন নবী বিশেষ কোন দিনে পশুদের মুখোশ মুখে লাগিয়ে হাজারো নারীর সাথে রাস্তায় নেচেছেন , এমন কোন কথা আমরা পবিত্র কুরআন ও হাদীসে আজো পাই নি । সপরিবারে মেলা দেখতে যান , বাচ্চাদের মাটির তৈরি ব্যাংক , খেলনা , বাংলা ছড়া – গল্পের বই কিনে দিন , মিস্টি নিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাসায় যান - এসব ঠিক আছে । কিন্ত্ত প্রকাশ্যে বা গোপনে নির্লজ্জভাবে নারী – পুরুষ হাত ধরে নাচানাচি করবেন না বা দয়া করে একে মঙ্গলময় বলে প্রচার করবেন না । ধন্যবাদ । Link to comment Share on other sites More sharing options...
MUSLIM WOMAN Posted April 13, 2012 Author Report Share Posted April 13, 2012 সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সাথে একান্ত সাাৎকারে অধ্যাপক আবু জাফর নববর্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ইসলামী সংস্কৃতির সঙ্গে আদ্যোপান্ত সঙ্গতিহীন ।। মুসলিম জাতীয় চেতনার পরিপন্থী একটি গভীর চক্রান্ত Share5 3 0 এসবের প্রশ্রয় দেবার কোনো সুযোগ নেই নববর্ষ- পালনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জীবজন্তুর মূর্তি বানিয়ে যেভাবে মঙ্গল-শোভাযাত্রা ও কনসার্টের মাধামে বর্ষবরণ করা হচ্ছে, এ-সব বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চেতনা ও সংস্কৃতির সাথে অবশ্যই সাংঘর্ষিক;- শুধু সাংঘর্ষিক নয়, রীতিমত আত্মবিলুপ্তির একটি পথ। জীবজন্তুর ছবি আঁকা যেখানে ইসলাম নিষিদ্ধ, সেখানে জীবজন্তুর মূর্তি বানিয়ে বর্ষবরণ বা যে- কোনো অনুষ্ঠানকে চমকপ্রদ করে তোলা কোনো মুসলমানের পে আদৌ সম্ভব নয়। ঢোল-বাদ্যসহকারে মঙ্গল-শোভাযাত্রা এবং ইসলাম ও মুসলিম সংস্কৃতির সঙ্গে আদ্যোপান্ত সংগতিহীন। এতদসঙ্গে ইউরো- আমেরিকান প্রভাবপুষ্ট কনসার্ট প্রোগ্রাম। এ-সবই আমাদের মুসলিম জাতীয়-চেতনার পুরোপুরি পরিপন্থী। আমাদের সরলমতি যুবক-যুবতীরা জানে না, এ-সবের মধ্যদিয়ে একটি গভীর চক্রান্ত সক্রিয় রয়েছে, যার মূল ল্য হলো এতদ্দেশীয় মুসলমানকে এমনভাবে ভ্রষ্ট ও বিভ্রান্ত করা, যাতে তারা নিজেরাই নিজেদের স্বকীয়তাকে মুছে দিতে পারে। কথাটা আমাদের সবারই বিশেষভাবে অনুধাবন করা জরুরি। অন্যথায় আমরা আমাদের আত্মবিনাশের পথকেই সুগম ও প্রশস্ত করে তুলবো। তাওহিদবাদী মুসলমানের জন্য আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে (সা.) নিঃশর্তভাবে মেনে চলা ফরয বা অপরিহার্য; এেেত্র দ্বিতীয় কোনো ভাবনা-চিন্তার অবকাশই নেই। অতএব নববর্ষ-পহেলা বৈশাখের নামে হোক, রবীন্দ্র-দর্শন হোক, আবহমান লৌকিক ঐতিহ্যের নামে হোক, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে থেকে যদি তাওহিদী আমানত বিনষ্ট বা তিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তাকে প্রশ্রয় দেবার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কর্তব্য। বাংলা নববর্ষ ও নববর্ষ পালন সম্পর্কিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সাথে একান্ত সাাৎকারে অধ্যাপক আবু জাফর এসব কথা বলেন। এ সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সাপ্তাহিক সোনার বাংলার বার্তা সম্পাদক ফেরদৌস আহমদ ভুইয়া ও মুস্তাফিজুর রহমান পলাশ। ছবি তুলেছেন কেএম সুলতান। বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক আবু জাফর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক এবং কুষ্টিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০০ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন এবং বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়ায় তার নিজস্ব বাড়িতে অবস্থান করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণার কাজ করে যাচ্ছেন। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা : বাংলা সন কবে, কখন এবং কীভাবে প্রবর্তন করা হয়েছিল? অধ্যাপক আবু জাফর : সম্রাট আকবর সিংহাসনে আরোহণের ২৯ বছর পর হিজরি-৯৯২ ইং-১৫৮৫ সনে বহু পরীা-নিরীা ও গবেষণা করে হিজরির সঙ্গে মিলিয়ে বাংলা সন সৌর-নিয়মে বিন্যস্ত করা হয়। আকবরের সিংহাসন আরোহণ -বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য হিজরি -৯৬৩ ইং -১৫৫৬ সালের এপ্রিল থেকে বৈশাখকে প্রথম মাস ধরে বাংলা সনের গণনা শুরু হয়। যেহেতু বাংলা সনের সঙ্গে হিজরির একটা নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান, হিন্দুরা এটাকে ঠিক মেনে নিতে পারেনি; তারা কিছুটা পরিবর্তন করে শকাব্দ বা বিকমাব্দ প্রচলন করে। ভারতে এইভাবেই ‘পহেলা বৈশাখ’ উদযাপিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, হিজরি থেকে বাংলা সৌর সনের রূপান্তর সাধনে ভূমিকা রাখেন সম্রাট আকবরের অন্যতম সভাসদ আমীর ফতেহ উল্লাহ সিরাজী। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা : বাদশাহ আকবর হিজরি সালকে কেন বাংলা সনের ভিত্তি হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন? অধ্যাপক আবু জাফর : ইসলামী ঐতিহ্য-রা অর্থাৎ ধর্মীয় তাগিদেই তিনি হিজরি সনকে ভিত্তিরূপে গ্রহণ করেন। এছাড়া অন্য আর কোনো কারণ ছিল বলে মনে হয় না। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা : বাংলা সন কি আদর্শিক নাকি আর্থিক কারণে প্রবর্তিত হয়েছিল? অধ্যাপক আবু জাফর : আদর্শগত কিছু নয়; এটা একান্তই একটি বৈষয়িক পরিবর্তন। রাজকোষে অর্থাগম ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে এটা করা খুবই প্রয়োজন ছিল, যে -কারণে এটাকে ‘ফসলি সন’ও বলা হয়। অবশ্য আদর্শের প্রশ্ন এই অর্থে তোলা যায় যে, বাংলা সনের উৎস যেহেতু হিজরি সাল, বাদশাহ আকবর- এর অন্তরে মুসলিম ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি হয়ত জাগরূক ছিল। এদিক থেকে এই রূপান্তর আকবরের মধ্যে বিরাজমান বংশানুক্রমিক ধর্মপ্রীতির কিছুটা অন্তর স্যা বহন করে। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা : এই অঞ্চলে বাংলা নববর্ষ- পালন শুরু হয় কখন থেকে? অধ্যাপক আবু জাফর : সময় তারিখ মিলিয়ে সঠিক ইতিহাস আমার জানা নেই। তবে অনুমান করতে পারি, এতদঞ্চলের মানুষ যেহেতু সবসময়ই উৎসবপ্রিয়, বৎসরের বিদায় ও নববর্ষের আগমন উপলে তারা-যে একটু সম্মিলিত বিনোদনে মেতে উঠবে, সেটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর ইরানী নওরোজ -এর একটা প্রভাব পড়ে, আর তৎসঙ্গে বাঙ্গালির নিজস্ব আচরণ ও আয়োজন-তো ছিলই। তখন জমিদার ভূস্বামীদের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। কিন্তু একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, মুসলমান হোক হিন্দু হোক কেউই তখন সীমা অতিক্রম করেনি, আনন্দের ধারা নির্মলই ছিল, অশ্লীলতার আবর্তে উৎসব তখন কোনোভাবেই কদর্য হয়ে ওঠে নি। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা : এক সময় গ্রাম বাংলায় বিভিন্ন বারোয়ারি মেলা পালনের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ পালন করা হতো, আর বর্তমানে এই নববর্ষ- পালনকে কেন্দ্র করে বিজাতীয় কৃষ্টি কালচারের যে উত্তাল স্রোত শুরু হয়েছে, তা আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে কতটুকু সংগতিপূর্ণ? অধ্যাপক আবু জাফর : সংগতিপূর্ণ-তো নয়-ই, বরং বলা উচিত উদ্ভট ও সংগতিহীন এক বেপরোয়া উন্মত্ততা। পূর্বেই উল্লেখ করেছি, আগের- দিনের আনন্দোৎসব ছিল নির্মল ও শ্লীল; কিন্তু বর্তমানে নববর্ষ উদযাপনই হোক বা অন্য যে-কোন উৎসবই হোক প্রায় সর্বত্রই বিজাতীয় কৃষ্টির দুর্বার প্লাবনে আমাদের যুবমানস ভয়াবহ সর্বনাশকে সানন্দে আপন করে নিচ্ছে। একে প্রতিহত করা কঠিন, কিন্তু সকলেরই এটুকু অন্তত স্মরণ রাখা উচিত যে, এটা শুধু নৈতিকতার প্রশ্ন নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের ব্যক্তি সমাজ ও জাতীয় জীবনের অস্তিত্বের প্রশ্ন। স্বেচ্ছায় আত্মঘাতী হবার এই ভ্রান্তিবিলাস থেকে আত্মরা করা আমাদের সমূহ কর্তব্য। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা : নববর্ষ-পালনের কি কোনো আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য আছে। অধ্যাপক আবু জাফর : বলবো-না যে একেবারে নেই। আছে, কিন্তু আদর্শ যদি আদর্শহীনতায় পর্যবসিত হয়, সংস্কৃতি যদি অসংস্কৃত জীবনাচারকে বড় করে তোলে, তাহলে- তো তাৎপর্য বলে কিছু থাকে না। জীবনের সৌরভ ও মানবিক সৌন্দর্যবোধ যদি পরিত্যক্ত হয়, সেখানে শুভত্ব ও কল্যাণ আশা করা যায় না। আত্মপরিচয়হীন বিশ্বাস ভ্রষ্ট মানুষের যে-কোনো উৎসব প্রকৃতপে এক ধরনের আরণ্যক বর্বরতারই দৃশ্যরূপ। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা : সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যেখানে নববর্ষ পালিত হচ্ছে তাকে আপনি কীভাবে দেখছেন? অধ্যাপক আবু জাফর : দেখছি, কিন্তু দেখছি যে, এর মধ্যে আদৌ কোনো সুস্থতা নেই। বারবারই মনে হয়, আমোদ- প্রমোদের নামে মানুষ যেন ইচ্ছাকৃতভাবেই আদিম বন্যতাকে জীবনের সারবস্তু বলে মনে করছে। বস্তুতপে এটা মারাত্মক অসুস্থতা। অথচ খুবই দুঃখজনক যে, মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ বাদে, নারীপুরুষ নির্বিশেষে সবাই আজ এই ব্যাধিকেই যেহেতু সুস্থতা হিসেবে বিশ্বাস করছে, এ -থেকে আরোগ্যলাভ করা রীতিমত দুঃসম্ভব। অবশ্য এ নিয়ে কিছু মানুষ খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, তাঁরা যথাসাধ্য প্রতিরোধেরও চেষ্টা করছেন, কিন্তু অবস্থা এমন শোচনীয় রূপ নিয়েছে যে, এই বন্য-উদ্দ্যমতা কিছুতেই রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা : নববর্ষ- পালনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শাঁখা - সিঁদুর পরে বিভিন্ন জীবজন্তুর মূর্তি বানিয়ে যেভাবে মঙ্গল-শোভাযাত্রা ও কনসার্টের মাধ্যমে বর্ষবরণ করা হচ্ছে, এ-সব কি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চিন্তা, চেতনা ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক নয়? অধ্যাপক আবু জাফর : অবশ্যই সাংঘর্ষিক; -শুধু সাংঘর্ষিক নয়, রীতিমত আত্মবিলুপ্তির একটি পথ। শাঁখা- সিঁদুর পরিধান একান্তভাবেই হিন্দু-নারীদের ধর্মীয় সামাজিক রীতি। কোনো মুসলিম নারী কি এটা পরতে পারে! জীবজন্তুর ছবি আঁকা যেখানে নিষিদ্ধ, সেখানে জীবজন্তুর মূর্তি বানিয়ে বর্ষবরণ বা যে -কোনো অনুষ্ঠানকে চমকপ্রদ করে তোলা কোনো মুসলমানের পে আদৌ সম্ভব নয়। ঢোল-বাদ্যসহকারে মঙ্গল-শোভাযাত্রা ও ইসলামও মুসলিম সংস্কৃতির সঙ্গে আদ্যোপান্ত সংগতিহীন। এতদসঙ্গে ইউরো-আমেরিকান প্রভাবপুষ্ট কনসার্ট প্রোগ্রাম। এ-সবই আমাদের মুসলিম জাতীয়-চেতনার পুরোপুরি পরিপন্থী। আমাদের সরলমতি যুবক-যুবতীরা জানে না, এ-সবের মধ্যদিয়ে একটি গভীর চক্রান্ত সক্রিয় রয়েছে, যার মূল ল্য হলো এতদ্দেশীয় মুসলমানকে এমনভাবে ভ্রষ্ট ও বিভ্রান্ত করা, যাতে তারা নিজেরাই নিজেদের স্বকীয়তাকে মুছে দিতে পারে। কথাটা আমাদের সবারই বিশেষভাবে অনুধাবন করা জরুরি। অন্যথায় আমরা আমাদের আত্মবিনাশের পথকেই সুগম ও প্রশস্ত করে তুলবো। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা : নববর্ষ-পালনের ব্যাপারে বাংলাদেশি মুসলমানদের উদ্দেশ্যে আপনার বক্তব্য ও আহ্বান। অধ্যাপক আবু জাফর : বেশি কিছু নয়, বক্তব্য একটাই। তাওহিদবাদী মুসলমানের জন্য আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে (সা.) নিঃশর্তভাবে মেনে চলা ফরয বা অপরিহার্য; এেেত্র দ্বিতীয় কোনো ভাবনা-চিন্তার অবকাশই নেই। অতএব নববর্ষ-পহেলা বৈশাখের নামে হোক, রবীন্দ্র-দর্শন হোক, আবহমান লৌকিক ঐতিহ্যের নামে হোক, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে থেকে যদি তাওহিদী আমানত বিনষ্ট বা তিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তাকে প্রশ্রয় দেবার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অলঙ্ঘনীয়। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা : এ বিশেষ সাক্ষাৎকারের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। অধ্যাপক আবু জাফর : আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। বিশিষ্ট ইসলামী লেখক আবু জাফর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে ২০০০ সালে কুষ্টিয়া সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা- উত্তর সময়ে ঢাকা বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন প্রথম শ্রেণীভূক্ত গীতিকার সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ‘তোমরা ভুলেই গেছ মল্লিকা’দির নাম’ ‘নিন্দার কাঁটা যদি না- বিঁধিলো গায়ে’ ‘আমি হেলেন কিম্বা নূরজাহানকে দেখিনি’ প্রমুখ অনেক সুপরিচিত গানের তিনি লেখক ও সুরকার। ১৯৮০ থেকে ’৯০ -এর মধ্যে তাঁর দুটি গানের বই ‘হৃদয়ের কথা’ ‘বলিতে ব্যাকুল’ ও ‘আমার নিকৃষ্ট গান’ এবং ‘বাংলা গানের সুখ দুুঃখ’ শীর্ষক একটি সঙ্গীতগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এই সময়ে বাংলাদেশ গ্রামোফোন কোম্পানি আবু জাফর ও ফরিদা পারভীনকে নিয়ে একটি লংপ্লেয়িং রেকর্ডও প্রকাশ করে। ভারত কাতার কুয়েত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইত্যাদি দেশ ভ্রমণ করেছেন। প্রথম হজ্জ্বব্রত পালন করেন ১৯৯৫ সালে, তারপর ‘রাবেতা’র আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ২০০৫ সালে। ’৯৫ সালে হজ্ব থেকে ফেরার পর আবু জাফর সঙ্গীত থেকে স¤পূর্ণরূপে বিদায় নিয়েছেন। তিনি বর্তমানে ইসলাম স¤পর্কিত লেখালেখি ও চিন্তাভাবনায় সর্বাত্মকভাবে নিবেদিত। ইতোমধ্যে প্রকাশিত আবু জাফর এর গ্রন্থসমূহের মধ্যে ‘তুমি পথ প্রিয়তম নবী তুমিই পাথেয়’ ‘মহানবীর (সা.) মহাজীবন’ ‘ইসলামের শত্র“মিত্র’ ‘আল্লামা ইকবাল: কবি ও নকীব’ ‘ফাস্ট থিংস ফাস্ট (অনুবাদ)’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তাঁর নতুন একটি বই ‘মোহাম্মদ (সা.) মহাবিপ্লবের মহানায়ক’ শীঘ্রই প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ। Link to comment Share on other sites More sharing options...
Recommended Posts
Create an account or sign in to comment
You need to be a member in order to leave a comment
Create an account
Sign up for a new account in our community. It's easy!
Register a new accountSign in
Already have an account? Sign in here.
Sign In Now