Jump to content
IslamicTeachings.org

ভ্যালেন্টাইন দিবসের প্রতিচ্ছবি


MUSLIM WOMAN

Recommended Posts

Asalamu'alaikum

 

 

ভ্যালেন্টাইন দিবসের প্রতিচ্ছবি

 

Posted: 12 Feb 2012 10:52 PM PST

 

লিখেছেনঃ মরিয়ম আনোয়ার | অনুবাদকঃ মোছতানছের বিল্লাহ্‌।

 

 

 

ভ্যালেন্টাইন দিবসকে সামনে রেখে চারিদিকে যেন উজ্জল লাল ও গোলাপি রং এর মেলা চলছে। কাপড়ের বিপনি বিতান গুলোতে দেখা যায় দামী ও ভারিক্কি লাল কাপড়ের সমারোহ, ফুলের দোকানে লাল গোলাপের দাম তাই চড়া, উপহারের বিভিন্ন দোকানে সুন্দর সুন্দর টেডি বিয়ারগুলির গায়ে গোলাপি কিংবা লাল রংয়ের সুদৃশ্য হার্টের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো। অলংকার ও ঘড়ি গুলোকে উপস্থাপন করা হয়েছে ভালোবাসা নিয়ে কোন লিখনী বা মনরঞ্জক কোন উক্তি দিয়ে। এমনকি মিষ্টির দোকানেও দেখা যাচ্ছে হার্টের আকৃতি সম্বলিত কেক বা চকোলেট এর ব্যাবস্থা করতে, তাতে আবার অনুরোধ বা অর্ডারের ভিত্তিতে চকমকে গোলাপি কাভারে সাজানোর ব্যাবস্থাও আছে।

 

দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এ দিবসটি শুধু পাশ্চাত্যের দেশগুলোতেই নয় বরং প্রায় সবকটি মুসলিম দেশেই পালন করা হচ্ছে!

 

অভিবাবকদের চোখের আড়ালে তরুনদলের অনেকেই তাদের বিপরীত লিঙ্গের কারও সাথে দিনটিকে উদ্‌যাপন করবে বলে নানা রকম পূর্ব পরিকল্পনায় মত্ত থাকে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার দল বেঁধে একাজ করার পরিকল্পনা আঁটে! আবার কেউ কেউ এ দিনটিতে একটু ভিন্নতা এনে নিজ ভাই বা বোন বা বাবা-মাকেও অভিবাদন জানায় বা শুভ কামনা বিনিময় করে থাকে।

 

এই দিনটির পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে তাদের অনেককে বিশেষ পোশাক কিনতে দেখা যায়। টি-শার্ট, জুতা, অলংকার, নানা রকম আকর্ষনীয় পোশাকের বাহার, উঁচো হাই হিলের সাথে ম্যাচ করে লাল নেইল পলিস আরো কত কি! ওহ, লাল রংয়ের চকচকে হার্টের ছোট্ট একটি প্রতিকৃতি সংগ্রহ করতেও তারা ভুলে না।

 

সুবহানআল্লাহ্‌, চারিদিকে এসব ব্যাপার অবলোকন করে; মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সময়ের একটি ঘটনা স্মরণ করা যেতে পারে।

 

একজন যুবক নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলো এবং বল্লো, “ও আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)! আমি আপনাকে আমার নিজের প্রানের, পরিবারের এবং সন্তানদের থেকেও বেশী ভালবাসি। যখন আমি ঘরে থাকি আর মাঝে মাঝে যখন আপনার কথা মনে পড়ে তখন আপনার নিকট এসে আপনাকে না দেখা পর্যন্ত আমার অন্তর শান্তি পায় নাহ। যখন আমি আমার ও আপনার মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে ভাবি তখন আমার এই ধারনা হয় যে, আপনি জান্নাতে থাকবেন নবীদের সাথে আর আমার তাই ভয় হয়, আমি যদি জান্নাতে প্রবেশ করি তাহলে হয়ত আপনাকে দেখতে পাবো নাহ।”

 

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) প্রতিউত্তর করলেন না, নিরব থাকলেন। কিন্তু মহান আল্লাহ্‌ ঐ যুবককে উদ্দেশ্য করে একটি আয়াত নাজিল করেন।

 

“আর যে কেউ আল্লাহ ও রাসূলের অনুগত হয়, তবে তারা ঐ ব্যক্তিদের সংগী হবে যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন; অর্থাৎ নবীগণ, সত্য সাধকগণ, শহীদ্গণ ও সৎকর্মশীলগণ এবং এরাই সর্বোত্তম সঙ্গী”। সূরা আন-নিসা, আয়াতঃ ৬৯।

 

সুবহানাল্লাহ, সেই যুবক কতইনা সৌভাগ্যবান যে স্বয়ং আল্লাহ সাত আসমানের উপর থেকে তার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর মাধ্যমে!! সে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেছিলো, সে তাঁকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ভালবেসেছিলো আল্লাহ এর সন্তুষ্টি ও করুনা প্রাপ্তির আশায় যাতে করে সে পরকালে জান্নাত লাভ করতে পারে আর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সান্নিধ্য পরকালেও যেন লাভ করতে পারে। তার চিন্তা চেতনার অধিকাংশই পরকালের প্রাপ্তির কথা বিরাজ করছিলো!

 

কিন্তু আজ আমাদের কি হয়েছে? আমরা অবিশ্বাসীদের রীতি-নীতি আর সংস্কার রপ্ত করার পিছনে মত্ত হয়ে পড়েছি!! মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে ভালবেসে তাঁর সুন্নাহ এর অনুসরন করার কথা আমাদের চিন্তা চেতনা থেকে কি করে লোপ পেয়ে গেলো! আমরা মুসলমানরা আজ আল্লাহ এর আদেশ এর প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করছি আর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাহকে হাত থেকে ছেড়ে দিয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে শেষ নিঃশ্বাস এর সাথে সাথে সব কিছুই ব্যার্থ পর্যবসিত হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। আল্লাহ এর বিভিন্ন সতর্কতা মূলক আভাস সম্পর্কে ও বিভিন্ন রকম নিদর্শন সম্পর্কে পড়ছি, জানছি ও প্রত্যক্ষ করছি, অথচ তা থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করছি না, অথবা সেসব আলামত গুলিকে সম্পূর্ণ রূপে উপেক্ষা করছি। কয়েক বছর পূর্বে গাজা উপত্তকায় ইহুদী কর্তীক মুসলমান গণ-হত্যার ঘটনা এবং ইসরায়লের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলমানদের উপর অমানবিক অত্যাচার নিপীড়ন, সারা বিশ্বের সকল জীবিত মুসলিমদের জন্য যেন ছিলো একটা চপেটাঘাতের মতন। যেন আল্লাহ আমাদেরকে ধারাবাহিকভাবে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যেন আমরা আমাদের শিকড়ে ফিরে যেতে পারি। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা সকল সতর্কতার বানীই ভুলে যাই।

 

দুঃখজনকভাবে, আর ক’দিন পরেই গোলাপী ও লাল টেডি বিয়ারগুলিই হবে আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু, তাদেরই রীতি-নীতি ও সংস্কৃতির পদাঙ্ক অনুসরন করার মাধ্যমে যারা মানবতা বিরোধী ও বিশ্বের অপর প্রান্তে আমাদের মুসলমান ভাইদের হত্যাকারী। এই দুঃখজনক চিত্র বুঝা বড় দায়, কি করে আমরা এর পরেও তাদেরকে অনুসরনের মাধ্যমে আনন্দ পেতে পারি?

 

আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে অনুকরন করে (অন্য ধর্মালম্বীদের) সে তাদেরই একজন।” (আহমাদ, ২/৫০; আবু দাঊদ, নাম্বারঃ ৪০২১) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন, “তোমরা অবশ্যই তাদেরকে অনুকরন করবে যারা তোমাদের পূর্বেই এসিছিলো (ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে) এমনকি যদি তারা একটা টিকটিকির গর্তেও প্রবেশ করতো, তাহলেও তোমরা তাদেরকে অনুকরন করতে।” তখন সাহাবারা বল্লেন, “ও রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম), আপনি কি ইহুদী ও খৃষ্টানদের কথা বলছেন?” তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বল্লেন, “তবে আর কার কথা বলছি?” (আল বুখারী)

 

 

এটাই কি ঘটছে না আজকের দিনে? আমরা শুধু অন্ধের মত তাদের অনুকরনই করছি না বরং এর জন্য গর্বও করে থাকি। আমাদের ঘুম থেকে উঠে যাওয়ার সময় এখনই। আমাদের অবশ্যই পূর্ণরূপে, হৃদয় দিয়ে আল্লাহ এর ইচ্ছার কাছে আত্নসমর্পন করতে হবে ও তাঁর আদেশ নিষেধ মান্য করতে হবে। আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাহ, সাহাবাদের ও সততার সাধকদের অনুসরন করা আমাদের এখন একান্ত দরকার। কেবল এবং কেবল মাত্র তখনই আমরা সত্যিকার সাফল্য, আনন্দ ও শান্তি লাভ করতে পারবো।

“যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর অবাধ্যতা হতে সাবধান থাকে তারাই সফলকাম।” সূরা নূর, আয়াত ৫২।

 

মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন, “একজন ব্যাক্তি দুনিয়ার পরের জীবনে তাদের সাথেই অবস্থান করবে যাদের সে দুনিয়াতে ভালবাসে।” (আল-বুখারী)

 

আল্লাহ যেন আমাদের হৃদয়ে তাদের জন্য ভালবাসা সৃষ্টি করে দেন যারা পরকালে হবেন জান্নাতী। আমীন।

 

প্রকাশিতঃ সৌদী গ্যাজেট, ফেব্রুয়ারী, ২০১০

Link to comment
Share on other sites

Asalamu'alaikum

 

ভালবাসার দিনকে না বলুন

 

 

 

 

ভালবাসার দিন বা ভ্যালেন্টাইনস ডের কাহিনী

 

প্রশ্ন: আমি মুসলমান জানতে চাই আমি কি ভালবাসা উৎসব পালন করতে পারবো ?

 

 

উত্তর . এই দিবস শুরু হলো কিভাবে ? চলুন আমরা প্রথমে সেটা জেনে নেই

 

আজ থেকে সতেরো শতাব্দী আগে ভালবাসার দিন ছিল রোমের মূর্তি উপাসকদের অন্যতম উৎসব এটা ছিল তাদের ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের প্রকাশ

 

রোমানদের এই উৎসবের সাথে অনেক গল্প - উপকথা মিশে ছিল যা পরে খ্রিস্টানদের মধ্যে চালু হয় এসবের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত গল্পটি হলো - রোমের প্রতিষ্ঠাতা রমিউলাস এক মাদী নেকড়ের দুধ পান করে হয় শক্তিশালী জ্ঞানী রোমানরা প্রতি বছর ফ্রেরুয়ারির মাঝামাঝিতে এই ঘটনাকে স্মরণ করে উৎসব করতো

 

উৎসবে কুকুর ছাগল বলি দেয়া হতো দুজন শক্তিশালী তরুণ নিজেদের সারা গায়ে এই মৃত কুকুর ছাগলের রক্ত মাখাতো , তারপর দুধ ঢেলে সেই রক্ত পরিষ্কার করতো এরপর শুরু হতো বিশাল কুচকাওয়াজ যার সামনে থাকতো সেই দুই তরুণ

 

তারা হাতে চামড়ার টুকরা নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো যে তাদের সামনে আসতো , সেই চামড়া দিয়ে তাদেরকে আঘাত করতো রোমান নারীরা বিশেষ করে যাদের বাচ্চা হতো না তারা খুশীমনে যুবকদের এই আঘাত নিজেদের শরীরে গ্রহণ করতো ; কেননা , প্রচলিত বিশ্বাস ছিল এতে তাদের সন্তান হবে তাছাড়া বাচ্চা হতে ভবিষ্যতে যাতে কোন সমস্যা না হয় , তারও প্রতিষেধক হিসাবে অনেক নারী নিজ দেহে এই আঘাত নিতো এছাড়া মনে করা হতো নেকড়ে থেকে নিজেদের পশুর পাল নিরাপদ থাকবে ।

 

এই সব বিশ্বাস ইসলাম বিরোধী ; কেননা , শক্তি , জ্ঞান , সন্তান , সম্পদ - এসব কিছুর

দান করার ক্ষমতা শুধু আল্লাহর।

 

 

সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন ও এই উৎসবের মধ্যে সম্পর্ক :

 

সন্ত্ত ভ্যালেনটাইন সম্পর্কে বলা হয় যে ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য ২৯৬ খ্রীস্টাব্দে তিনি গথিক নেতা ক্লডিয়াসের অত্যাচারে রোমে শহীদ হন তার স্মৃতিকে চিরস্থায়ী করতে তিনি যেখানে মারা যান সেখানে ৩৫০ খ্রীস্টাব্দে একটি গির্জা বানানো হয়

 

রোমানরা যখন খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করে তখন তারা এই উৎসবকে আধ্যাত্নিক ভালবাসার বদলে শহীদের প্রতি ভালবাসা হিসাবে পালন করা শুরু করে তারা মনে করতো সন্ত্ত ভ্যালেনটাইন শান্তি ভালবাসার জন্য আত্মত্যাগ করেছেন এই দিনকে প্রেমিক - প্রেমিকাদের উৎসব হিসাবেও চিহ্নিত করা হলো এদিন বিবাহযোগ্যা নারীদের নাম কাগজে লিখে টেবিলের উপর রাখা হতো এরপর তরুণদের ডাকা হতো নাম বাছাইয়ের জন্য

 

যে ছেলে যে মেয়ের নাম লেখা কাগজ তুলতো , পরের এক বছর সেই মেয়ের প্রতি সে নিবেদিত থাকতো এভাবে একবছর মেলামেশার পর হয় সেই জুটি বিয়ে করতো , নয়তো পরের বছর আবার নতুন সাথী বাছাই করার জন্য ভালবাসার উৎসবে যোগ দিত

 

অনেক খ্রীস্টান ধর্মযাজক এই ঐতিহ্যের নিন্দা করেছেন , কেননা এটা তরুণ- তরুণীদের নৈতিক চরিত্র নষ্ট করে ফলে রোমে এই প্রথা বন্ধ করা হয় তবে পরে এটি আবারো চালু হয় যখন পশ্চিমা কিছু দেশে ভ্যালেনটাইনের বই নামে ছোট ছোট কবিতার বই বিক্রি শুরু হয়

 

এই সব বইতে থাকতো প্রেমের কবিতা যা থেকে পছন্দমতো বেছে নিয়ে প্রেমিকা - প্রেমিকা একে অন্যকে শুভেচ্ছা হিসাবে পাঠাতো কিভাবে প্রেমের চিঠি লিখতে হবে , এই বইগুলিতে সেসবও শেখানো হতো

 

 

আল - আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৌদ ইবরাহীম সালেহ বলেন : ইসলাম শান্তি , মানবতা ও ভালবাসার ধর্ম আল্লাহ বলেন : মুমিনগণ একে অন্যের ভাই ভাই ; সুতরাং তোমরা ভাইদের মধ্যে শান্তি স্থাপন কর ও আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও ( সুরা হুজুরাত ; ৪৯ :১০ ) ।

 

ধর্মীয়ভাবে যা যা বৈধ , সেভাবে ভালবাসার প্রকাশ ঘটাতে হবে । সবচেয়ে বেশী গূরুত্ব পাবে আল্লাহ তাঁর রাসূল صلى الله عليه وسلم এর প্রতি ভালবাসা

 

 

 

ভালবাসা দিবসকে না বলুন :

 

ভালবাসার দিনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য আজকাল বলা হচ্ছে এটা শুধু প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য নয় , বরং মা বাবা , ভাই বোন , আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের জন্যও । কিন্ত্ত বাস্তবে আমরা কী দেখি ?

 

এই দিবস তরুণ তরুণীরা কিভাবে পালন করে ? যে যার প্রেমিক প্রেমিকাকে শুভেচ্ছা কার্ড দেয় , দামী উপহার দেয় , কখনো দুজনে মিলে নির্জনে , কখনো দল বেঁধে পার্কে , রেস্তোরায় আড্ডা , কেক কেটে একে অন্যকে খাইয়ে দেয় , কোন পার্টিতে গিয়ে নারী- পুরুষের একসাথে নাচ - গান করে , নেশা করে অর্থাৎ পশ্চিমা সংস্কৃতির খারাপ যা যা আছে , তা উদভ্রান্তের মত এদিন নকল করা হয় ।

 

একবারের জন্যও কি এই তরুণ তরুণী ও তাদের অভিভাবকদের মনে ভাবনা আসে যে ইসলামে নারী পুরুষের এই অবাধ মেলামেলা বৈধ নয় ? এই নির্লজ্জতা তাদের কোন করুণ পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে ?

 

আল্লাহ বলেছেন , তোমরা প্রকাশ্যে বা গোপনে হোক , অশালীন কাজের কাছেও যেও না ( সুরা আনআম; ৬ : ১৫১ ) । ভালবাসা দিবসে প্রেমিক প্রেমিকা যখন প্রকাশ্যে বা নির্জনে ঘনিষ্ঠ হবে , তখন এই নির্লজ্জতাকে উৎসাহ দিতে তাদের সাথী হবে শয়তান ।

 

নির্লজ্জতার প্রতিযোগিতা :

 

 

নির্লজ্জতা আজ মুসলমানদের মধ্যে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে । আল্লাহর রাসূল صلى الله عليه وسلم বলেছেন , শালীনতা ঈমানের অংশ । সব ধর্মেরই কোন না কোন বৈশিষ্ট্য আছে , ইসলামের বৈশিষ্ট্য শালীনতাবোধআমরা যেন এটা ভুলে না যাই ও ভালবাসা দিবসে নির্লজ্জতার প্রতিযোগিতায় মেতে না উঠি ।

 

 

 

 

 

২৪/৩৬৫ :

 

 

সত্যি যদি মা বাবা , আত্নীয়স্বজনের জন্য কিছু করতে চান , তা করতে হবে ২৪/৭ বা ২৪/৩৬৫ অর্থাৎ সপ্তাহের সাত বা বছরের প্রতিটি দিন ; নির্দিষ্ট কোন দিন তারিখ হিসাব করে নয় ।

 

 

তাছাড়া , সবচেয়ে যেটা ভয়ের ব্যপার তাহলো এই ভালবাসা বা ভ্যালেন্টাইনস

ডের মুলে রয়েছে শিরক যা ইসলামে সবচেয়ে বড় পাপ । আল্লাহ বলেন : যে কেউ আল্লাহর শরীক করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত নিষিদ্ধ করবেন ও তার আবাস জাহান্নাম ( সুরা মায়িদাহ : ৫ : ৭২ ) ।

 

 

 

রাসূল صلى الله عليه وسلم বলেছেন : কেউ যদি আপন মায়ের সাথে ব্যভিচার করে , তাহলেও সে একদিন বেহেশতে যাবে যদি শিরকের পাপ না করে ।

 

 

 

 

কুফরী বিশ্বাস ও অশালীনতায় ভরা ভালবাসার দিন মুসলমানদের জন্য কোন উৎসব হতে পারে না । আল্লাহর রাসূল صلى الله عليه وسلم বলেছেন , মুসলমানদের উৎসব দুইটি - ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আযহা ।

 

 

 

ভালবাসার দিন পালনের নামে কোন অশালীন কাজে আমরা যেন জড়িয়ে না পড়ি , সেজন্য ইনশাআল্লাহ নিজ নিজ পরকালের স্বার্থেই সবাই সতর্ক থাকবো

 

যাদের ফেইসবুকে একাউন্ট আছে , তারা ভ্যালেন্টাইনস ডে কে না বলুন এই

দলে যোগ দিন ।

 

তথ্যসূত্র :

১ .Valentines Day a No-No for Muslims http://www.facebook.com/#!/event.php?eid=192253310803142&index=1

২ . Valentine's Day From an Islamic Perspective

 

http://www.islamonline.net/servlet/Satellite?pagename=IslamOnline-English-Ask_Scholar/FatwaE/FatwaE&cid=1119503544946#ixzz1DbvJb1Dl

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...