MUSLIM WOMAN Posted November 14, 2011 Report Share Posted November 14, 2011 Asalamu'alaikum বিশ্বে দীর্ঘস্থায়ী এবং রক্তক্ষয়ী দখলদারিত্বের অধীনে থাকা একটি ভূখণ্ড হচ্ছে কাশ্মীর কল্পনা করুন : বাংলাদেশের কোন হিন্দু প্রধান এলাকায় একের পর এক কিশোর ,তরুণ ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে । দিন , মাস পরে হয়ে যায় । না তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয় , না তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এভাবে পার হয়ে যায় বছরের পর বছর । এরপর কখনো গণকবরে সারি সারি কংকালের মধ্যে হয়তো মা –বাবা কাপড় বা জুতা দেখে বুঝতে পারেন এটা তাদের সন্তানের লাশ । একটি দু’টি ঘটনা নয় , যদি এমনটি ঘটে নিয়মিতভাবে , তাহলে বাংলাদেশকে বিশ্ব গণমাধ্যমে মৌলবাদির দেশ হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য কোন হিন্দু লেখক – সাংবাদিককে কলম ধরতে হবে না , এদেশের মুসলিম বুদ্ধিজীবীরাই সেজন্য যথেষ্ট হবেন । অথচ পাশের দেশ ভারতের কাশ্মীরে যখন একই ঘটনা ঘটে , তখন এদেশের বুদ্ধিজীবীরা বোবা হয়ে যান , কলম সাংবাদিকদের সময় হয় না এ নিয়ে কিছু লেখার। আশ্চর্যের ব্যপার , একজন অমুসলিম ভারতীয় লেখিকা এ নিয়ে প্রতিবাদে মুখর । আল্লাহ তাকে উত্তম পুরষ্কার দিন ও আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হেদায়েত করুন , আমীন । কাশ্মীরে ভারতের দখলদারিত্ব : বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতার সমালোচনায় অরুন্ধতি রায় বিবিসি কাশ্মীরে ভারতের অব্যাহত নির্মম দখলদারিত্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক এবং মানবাধিকার কর্মী অরুন্ধতি রায়। তিনি বলেন, কাশ্মীরিদের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দেয়া উচিত। গতকাল এশিয়া সোসাইটির উদ্যোগে ‘কাশ্মীর এ কেস ফর ফ্রিডম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বে দীর্ঘস্থায়ী এবং রক্তক্ষয়ী দখলদারিত্বের অধীনে থাকা একটি ভূখণ্ড হচ্ছে কাশ্মীর। এ ভূখণ্ড সবচেয়ে অবহেলিত। অরুন্ধতি রায় আরও বলেন, ভারতশাসিত কাশ্মীরে বাকস্বাধীনতা নেই। আর মানবাধিকার লঙ্ঘন তো নিয়মিত বিষয়। নির্বাচনে কারচুপি ঘটছে হরহামেশা এবং প্রচার মাধ্যম তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্দুকধারী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কাশ্মীরিদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। তিনি আরও বলেন, নিখোঁজ ও অপহরণের ঘটনা তো নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। এছাড়া গ্রেফতার, ভুয়া এনকাউন্টার এবং নির্যাতন তো রয়েছেই। কাশ্মীরে অনেক গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে; তবে বিশ্ব বিবেক এখনও নিশ্চুপ। স্পষ্টভাষী এই মানবাধিকার কর্মী ও লেখিকা তার বক্তব্যে এ অঞ্চলের শান্তির লক্ষ্যে কাশ্মীরকে সেনামুক্ত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কেন বিশ্ব সম্প্রদায় দুই পরমাণু ক্ষমতাধর দেশের মধ্যে অবস্থিত কাশ্মীরকে নিয়ে ভাবছে না। দু’দেশের মাঝখানে কাশ্মীর শুধুই বাফার স্টেট হিসেবে আছে। এই দেশকে নিয়ে সংঘাত যে কোনো এক সময় পরমাণু যুদ্ধ উসকে দিতে পারে। অরুন্ধতি রায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাশ্মীর ইস্যু থেকে পিছিয়ে যাওয়ার সমালোচনা করেন। বারাক ওবামা প্রথমে এই সমস্যার সমাধান চেয়েছিলেন। ওবামার সমালোচনা করে অরুন্ধতি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কাশ্মীর প্রসঙ্গে কিছু বলার চেয়ে ভারতের কাছে জঙ্গি বিমান এবং বোয়িং বিক্রয়ে আগ্রহী বেশি। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব কাশ্মীরিদের জন্য সহানুভূতির চেয়ে তাদের বাণিজ্যিক লাভের বিষয়ে অগ্রাধিকার পেয়েছে। তাই তারা মানবাধিকারের চেয়ে ভারতে তাদের জন্য বিক্রির বিষয়কে প্রাধান্য দিচ্ছে। ভারত যদি কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয় তাহলে আরেকটি ইসলামী রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটবে—এই প্রচারণায় সফল হয়েছে তারা। কারণ পশ্চিমারা ইসলামী রাষ্ট্রের অভ্যুদয় চায় না। এই সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগাচ্ছে ভারত। তিনি আরও বলেন, ৫ লাখের বেশি ভারতীয় সেনা কী পরিমাণ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যাচ্ছে তার খুব সামান্যই প্রকাশ পাচ্ছে। এরা অব্যাহত নিপীড়ন, অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে কাশ্মীরি নারী-পুরুষ-শিশুর ওপর। ছোট এই উপত্যকায় ৭ লাখ ভারতীয় সৈন্য কাশ্মীরের প্রতিটি শহর ও নগরের কোনায় কোনায় নিজেদের ছড়িয়ে রেখেছে। তিনি আরও বলেন, ইরাকের ১ লাখ ৬০ হাজার সৈন্যের সম্পূর্ণ বিপরীত এই সৈন্য সমাবেশ। অরুন্ধতি রায় আরও অভিযোগ করেন, কাশ্মীরিরা উগ্রবাদী বা জিহাদি নয়; যদিও ভারত এ কথাই প্রচার করছে। তিনি পরিতাপ করে বলেন, ভারত সরকার কাশ্মীরিদের মিথ্যা দোষারোপ করার চেষ্টা করছে। অথচ এরা নিরীহ ও উদার মুসলমান। http://www.amardesho...11/11/14/117123 Link to comment Share on other sites More sharing options...
Recommended Posts
Create an account or sign in to comment
You need to be a member in order to leave a comment
Create an account
Sign up for a new account in our community. It's easy!
Register a new accountSign in
Already have an account? Sign in here.
Sign In Now