MUSLIM WOMAN Posted November 12, 2011 Report Share Posted November 12, 2011 Asalamu'alaikum হায় রে মুসলিম নারী আজকাল কাগজে প্রায়ই ছাপা হচ্ছে এমন খবর : বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে প্রেমিকার অনশন ; প্রেমিকার বাড়ির লোকজনের হাতে মারধর খেয়েও আমৃত্যু সেখানে অবস্থানের ঘোষণা , স্বামী –সংসার – সন্তান ফেলে মাঝবয়সী মহিলার কিশোর প্রেমিকের বাসার সামনে বিয়ের দাবীতে কান্নাকাটি করা ও প্রেমিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া করা ইত্যাদি । এসব পড়ে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারি না । বিশ্বাসী নারীদের বলো , তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থান রক্ষা করে ( সুরা নূর ; ২৪ : ৩১ ) । নারী স্বাধীনতার নামে নির্লজ্জতার কোন পর্যায়ে গেলে এসব ঘটনার জন্ম দেয়া সম্ভব ? আগে শুনতাম অমুসলিম প্রধান পশ্চিমা দেশের স্বাধীন নারীরা বিয়ে না করে পুরুষ বন্ধুর সাথে একসাথে থাকে । আজ দেখছি মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের নারীরাও পশ্চিমা নারীদের সাথে এ নিয়ে সমানে সমান পাল্লা দেয়ার চেষ্টা করছে । কে বলে এ দেশের নারী অবলা ? কে বলে লজ্জাই নারীর ভূষণ ? হ্যাঁ , এ দেশের অনেক পুরুষ খারাপ । তারা পরকীয়া প্রেম করছে । তাই বলে নারীদেরকে কেন পুরুষদের সমানে সমান হওয়ার জন্য এই খারাপ কাজে প্রতিযোগিতা করতে হবে ? নিষ্পাপ শিশুরা আজ মায়েদের প্রেমিকদের হাতে খুন হচ্ছে । আর এতে খুনীদেরকে সাহায্য করছে আর কেউ না , জন্মদাত্রী মায়েরা । অবৈধ প্রেমে উন্মত্ত মায়েরা এখন প্রেমের পথের কাঁটা হিসাবে সন্তানকে মেরে ফেলতে প্রেমিককে সাহায্য করছে - আসতাগফিরুল্লাহ । অভিভাবকরা আর কতদিন মরা লাশের ভূমিকা পালন করবেন ? যে মেয়ে পড়াশোনা না করে দিনের পর দিন প্রেমিকের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখছে , যে মেয়ে স্বামী – সন্তান ফেলে প্রেমিকের সাথে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় , সন্তানকে খুন করতেও যে নারী দ্বিধা করছে না - কেন বৈধভাবে এসব মেয়েদেরকে তাদের পছন্দের মানুষের সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেয়া হয় না ? তালাক অপছন্দনীয় কিন্ত্ত যখন একটি মেয়ে এতটা মরিয়া হয়ে উঠে যে প্রকাশ্যে প্রেমিকের সাথে কোথাও চলে যাওয়ার চেষ্টা করে বা তার বাড়ির সামনে গিয়ে বিয়ের দাবী জানাতে থাকে , তখন মনে প্রশ্ন জাগে - এদের অভিভাবকরা কি এদের কোনরকম ধর্মীয় শিক্ষাই দেন নি বা এখন কী করছেন ? মুসলিম নারীদের বলছি , দয়া করে ইসলাম ধর্মে আপনাকে যেটুকু অধিকার দেয়া হয়েছে , তা বৈধভাবে আদায়ের চেষ্টা করুন । আল্লাহর সীমারেখা পার হবেন না । জীবন একটাই আর খুব অল্প দিনের । দয়া করে এমন কিছু করবেন না যাতে অনন্ত জীবনে গিয়ে আফসোস করতে হয় । ** সন্তান খুনের অভিযোগে আরেক মা গ্রেপ্তার ..খিলগাঁও থানার পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটিকে হত্যার পর তাকে পাঁচতলার জানালা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু লাশটি চারতলার জানালার সানশেডে আটকে যায়। কয়েক দিন পড়ে থেকে উৎকট গন্ধ বের হলে বাড়িটির তত্ত্বাবধায়ক বশির আহমেদ গতকাল বুধবার এর উৎস খুঁজতে গিয়ে লাশটি দেখেন। এরপর পুলিশ এসে তানহার লাশ উদ্ধার করে এবং তার মাকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে শিশুটির বাবা ফারুক গাজী গতকাল বাদী হয়ে স্ত্রী হালিমা ও তার বন্ধু রাজীবের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। গত ২৪ জুলাই মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সামিউল আজিমকে খুনের অভিযোগে তার মা আয়েশা হুমায়রাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আয়েশার সঙ্গে তাঁর এক বন্ধুর সম্পর্কের বাধা মনে করেই সামিউলকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে ধারণা করা হয়। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজধানীতে আরেক মায়ের বিরুদ্ধে সন্তান হত্যার অভিযোগ উঠলো। http://www.prothom-alo.com/detail/news/84150 %% পলাশবাড়ীতে প্রেমিকের বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে অনশন ! ৭২ ঘন্টা অনশনের বিয়ে ২৪অক্টোবর গাইবান্ধা (ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডটকম) গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এক সন্তানের জননী বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন শুরু করলে অবশেষে অনশনের ৭২ ঘন্টা পর ৮০ হাজার ১টাকা দেন মোহরে তাদের বিয়ে হয়। ...........অনেক দেন-দরবার শেষে ৭২ ঘন্টা পর ২৩ অক্টোবর রাতে রোজিনার প্রথম স্বামী বেলালকে ডিভোর্স দিয়ে প্রেমিক রানাকে বিয়ে করে। http://www.sonarbangladesh.com/blog/sadikrubel/71624 [ একই রাতে স্বামীকে ডিভোর্স ও প্রেমিককে বিয়ে , সাবাস নারী , আর কি চাই তোমার ? ] %% দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে ৪দিন ধরে অনশন করছেন বিন্যাকুড়ী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী মৌসুমী আরা। http://bangladeshbarta.com/ প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার মৃত্যু নিজস্ব প্রতিবেদক কথিত প্রেমিকের বাড়িতে অভিমান করে ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন প্রেমিকা অর্পণা আক্তার (১৮)। এরকম ঘটনা আর কতদিন পড়তে হবে ? Link to comment Share on other sites More sharing options...
MUSLIM WOMAN Posted January 10, 2012 Author Report Share Posted January 10, 2012 Asalamu'alaikum রোজিনার ওপর স্বামী নুরুলের ঘৃণা, ‘ও মা নয় কালনাগিনী’ কন্যা হারিয়ে বাকরুদ্ধ নুরুল ইসলাম। ঘৃণা তার স্ত্রী রোজিনার ওপর। বলেন, ও কালনাগিনী, কলঙ্কিনী, প্রতারক। ওর ফাঁসি চাই। বলেন, আমি তো ওকে কোন কিছুরই অভাব দেইনি। যখন যা চেয়েছে তা পেয়েছে। ভালবাসারও কোন কমতি ছিল না আমার মাঝে। দু’বছর ধরে তাদের পরকীয়া চলছে একদিনের জন্যও তা আমি টের পাইনি। কি দুর্ভাগ্য আমার। প্রায় এক যুগের সংসার জীবনে তাকে আমি একটুর জন্যও অবিশ্বাস করিনি। নুরুল বলেন, আমি প্লাস্টিকের দোকানে চাকরি করি। সকালে চলে যাই। বাসায় ফিরি কখনও বিকালে, আবার কখনও রাতে। আমার অনুপস্থিতিতে যে সে অভিসারে যায় তা ভাবতেও পারিনি। কোন মা যে তার সন্তানকে হত্যা করতে পারে- তা আমার ভাবনাতেও ছিল না। নুরুল ইসলাম বলেন, আমার আদরের মেয়েকে হত্যার পর ওই দিনই দুপুরে একটি ছেলে আমার বাসায় এসে রোজিনার খোঁজ নিয়েছে। আমি বাসায় ছিলাম না। আমার মা তাকে জানায়, রোজিনা হাসপাতালে গেছে। আর কিছু না বলে দ্রুত ছেলেটি চলে যায়। এর আগে মা কখনও তাকে দেখেনি। পরে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে মা নিশ্চিত করেন- এই ছেলেটিই সেদিন এসেছিল রোজিনার খোঁজে। সুলতানের নাম আমি এর আগে একবারও শুনিনি। রোজিনা কখনও বলতো না যে, সুলতান নামের কোন ছেলে তাকে ফোন করে। নুরুল ইসলাম জানান, মাসখানেক আগে থেকে রোজিনা মোবাইল ফোনের নতুন সিম ব্যবহার করতে থাকে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম- আগের সিম কোথায়? রোজিনা জানিয়েছিল সেটি হারিয়ে গেছে। ১০০ টাকা দিয়ে নতুন সিম কিনেছি। আমি কিছু মনে করিনি। ৬ই জানুয়ারি সুলতান গ্রেপ্তার হওয়ার পর জানতে পারলাম- ওই সিমটি সুলতানের নামে রেজিস্ট্রেশন করা। নুরুল ইসলাম জানান, মেয়েকে হত্যার ২ দিন পর সুলতান আমাকে ফোন করে তার পরিচয় না দিয়ে বলে, আপনার আপত্তি না থাকলে মেয়ের দাফন-কাফনসহ লোক খাওয়াতে যত খরচ হয় সব আমি বহন করতে চাই। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তার মোবাইল নম্বরটি পুলিশকে দিয়ে দেই। এদিকে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৫ দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনে রোজিনা অকপটে স্বীকার করেছে নিজ সন্তান হত্যার কথা। তিনি জানান, দেড় বছরের পরকীয়ায় বেশ কয়েকবার আমি সুলতানের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়েছি। পরিচয়ের প্রথমদিকে আমরা ছিলাম কেবলই বন্ধু। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা বিয়ে করবো। আমাদের মধ্যে আবেগ বেড়ে গিয়েছিল। আমি আমার আড়াই বছরের মেয়ে রিয়াকে খুব ভালবাসতাম। রিয়াও আমাকে ছাড়া থাকতে পারতো না। কিন্তু রিয়াকে নিয়ে এলে সুলতান আমাকে গ্রহণ করবে না- এ কথা সে আগেই জানিয়ে দেয়। আমি পড়ে যাই উভয় সঙ্কটে। একপর্যায়ে গত রমজান মাসে সুলতানকে বিয়ে করতে ২ মেয়েকে রেখে আমি আমার স্বামী নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেঝো বোনের জিঞ্জিরাস্থ বাসায় চলে আসি। কি কারণে এসেছি- তা কেউ জানতো না। আমার স্বামীর বাড়ির লোকজন জানতো বেড়াতে এসেছি। পরদিন আমার স্বামী নুরুল ইসলাম ছোট মেয়ে রিয়াকে নিয়ে আমার কাছে আসে। তুচ্ছ কারণে তার সঙ্গে ঝগড়া করি। একপর্যায়ে রিয়াকে রেখে সে চলে যায়। ঝগড়ার সূত্র ধরে পরদিন রিয়াকে নূরুলের কাছে দিয়ে আসি। অন্যদিকে, সুলতানকে জানিয়ে দেই- আমি তোমাকে বিয়ে করতে নুরুলের কাছ থেকে চলে এসেছি। তখন সুলতান জানায়, আমি বেকার। বিয়ে করলে সংসার চলবে কি করে? একটা চাকরি পেয়ে নিই। পরে বিয়ে করবো। সুলতানের কাছে টাকা-পয়সা না থাকার কারণে মাস খানেক আগে আমার স্বর্ণের চেইন বন্ধক রেখে টাকা সংগ্রহ করে আমার বোনের বাসার পাশেই তার মেস ঠিক করে দিই। ২-১দিন পরপরই তার মেসে যাই। বিষয়টি মেসের অন্য ছেলেদের কাছে দৃষ্টিকটু মনে হওয়ায় গত কয়েকদিন সেখানে যাইনি। বিষয়টি আমার ছোট বোন এবং মেঝো বোন জানে। তারা আমাকে নিষেধ করলেও নুরুলকে জানায়নি। ২রা জানুয়ারি আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় নুরুলের কাছে টাকা চাই। নুরুল জানায়, আমার কাছে এখন টাকা নেই। পরে দেবো। এরপর সুলতানের কাছে ফোন করে টাকা চাই। সুলতান জানায়, আমাকে মেডিকেলে নিয়ে গেলে টাকা দেবো। এরপর আমি তার মেসের সামনে গিয়ে তাকে নিয়ে রিকশাযোগে মেডিকেলে যাই। সেখানে গিয়েই মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা করি। পরদিন আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট আনতে গিয়ে মেয়েকে হত্যা করা হয়। তিনি জানান, আমি সুলতানকে জান বলে ডাকি। এ কারণে ছোট্ট মেয়ে রিয়াও তাকে জান বলে ডাকতো। রোজিনা জানান, আদরের মেয়েকে মারার পর খুবই খারাপ লাগছে। মেডিকেলে লাশ নিয়ে যে কান্না করেছি তা অভিনয় ছিল না। ঘটনাটি আমি সহ্য করতে পারছি না। ওদিকে ঘাতক সুলতান জানায়, বছর দেড়েক আগে রোজিনা হাজারীবাগের শাহিন নামে একজনকে তার মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে বলে, একটি ভাল ছেলে থাকলে দেখিস। আমি তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করবো। শাহিন আমাকে মামা ডাকতো। সে আমাকে এসে রোজিনার নম্বর দেয়। এরপর থেকেই দু’জনের মধ্যে শুরু হয় কথা বলা। একপর্যায়ে গভীর সম্পর্ক। মাস দেড়েক আগে হাজারীবাগের বাঘলপুর এলাকায় একবার আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছিলাম। স্থানীয় জনি, আবু হোসেনসহ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে ৫০০ টাকা দিয়ে তা ফেরত আনি। সুলতান বলে, আমি রিয়াকে মারতে চাইনি। রোজিনাকে কেবল বলেছি, মেয়েকে নিয়ে এলে আমি তোমাকে বিয়ে করবো না। ছোট্ট মেয়ে রিয়া রোজিনার পিছু না ছাড়ায় রোজিনার পরামর্শেই রিয়াকে হত্যা করেছি। সুলতান জানায়, জেল থেকে ২০ বছর পর ছাড়া পেলেও রোজিনাকে বিয়ে করবো। http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=30966:2012-01-09-16-28-09&catid=48:2010-08-31-09-43-22&Itemid=82 Link to comment Share on other sites More sharing options...
MUSLIM WOMAN Posted January 10, 2012 Author Report Share Posted January 10, 2012 Asalamu'alaikum রোজিনা জানান, আদরের মেয়েকে মারার পর খুবই খারাপ লাগছে। মেডিকেলে লাশ নিয়ে যে কান্না করেছি তা অভিনয় ছিল না। ঘটনাটি আমি সহ্য করতে পারছি না। Link to comment Share on other sites More sharing options...
Recommended Posts
Create an account or sign in to comment
You need to be a member in order to leave a comment
Create an account
Sign up for a new account in our community. It's easy!
Register a new accountSign in
Already have an account? Sign in here.
Sign In Now