Jump to content
IslamicTeachings.org

তোমরা চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখো না


MUSLIM WOMAN

Recommended Posts

assalam.gif

 

 

 

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে রোজা শুরু করতে হবে , এমন কোন হুকুম পবিত্র কুরআন বা হাদীসে নেই । তবুও প্রতি বছর এ দেশের কিছ মানুষ বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা না গেলেও সৌদি আরব বা অন্য দেশের দেখাদেখি রোজা রাখতে শুরু করেন

 

 

 

আল্লাহর রাসূল صلى الله عليه وسلم

 

বলেন , চন্দ্র মাস ২৯ অথবা ৩০ দিনে , তোমরা চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখো না । যদি আকাশে মেঘ থাকে ও চাঁদ দেখা না যায় তবে তোমরা ৩০ দিনে মাস পূর্ণ করো ( বর্ণনায় ইমাম বুখারী , ইমাম মুসলিম) ।

 

 

 

 

 

অনেকে বলেন সাধারণ মানুষেরা চাঁদ দেখার নিয়ম –কানুন জানে না ও তাদের উপর বিশ্বাস রাখা ঠিক হবে না , বরং আধুনিক যন্ত্রপাতি যেমন দূরবীন , টেলিস্কোপ , গাণিতিক হিসাব - এসব মানুষের থেকে বেশী বিশ্বাসযোগ্য ।

 

 

 

এদের ধারণা , হিসাব নিকাশ করে চাঁদের অবস্থান সম্পর্কে জানা আধুনিক যুগের বিষয় , আগেকার মানুষরা এ নিয়ে কিছুই জানতো না , এটা সত্যি না ।

 

 

অনেক আগে থেকেই জ্যোতির্বিদ্যা চালু আছে ও রাসুল

صلى الله عليه وسلم

 

 

এর সময় এর চর্চা ছিল । কিন্ত্ত আল্লাহর

রাসূল صلى الله عليه وسلم

এমন আদেশ কাউকে কখনো দেন নি , যাও জ্যোতির্বিদদের কাছ থেকে জেনে আসো নতুন চাঁদ আজ আকাশে উঠেছিল কি না ।

 

 

 

 

 

তিনি মুসলমানদের এটাই শিখিয়েছেন : ২৯ শাবানের সূর্যাস্তের পর যদি চাঁদ দেখা যায় , তবে পরদিন হবে রামাদানের প্রথম দিন। যদি চাঁদ দেখা না যায় , তবে পরদিন হবে শাবানের ত্রিশতম ( ৩০) দিন ও তার পরদিন থেকে রামাদান মাস শুরু হবে।

 

 

রাসূল صلى الله عليه وسلم এর সময় এমন ঘটনা একাধিকবার ঘটেছিল যে তিনি নিজে চাঁদ দেখতে পান নি কিন্ত্ত অন্য মুসলমানরা চাঁদ দেখেছে বলে সাক্ষ্য দেয়ায় তিনি নতুন মাসের ঘোষণা দেন । একবার একজন মুসলমানকে তিনি ধর্মবিশ্বাস নিয়ে কিছু প্রশ্ন করে তার ঈমান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে বেলাল رضي الله عنهم কে আদেশ দেন রামাদান মাস শুরুর ঘোষণা দিতে ।

 

 

 

প্রতি বছর চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্কে মুসলমানদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি হচ্ছে । একই এলাকায় কিছু মুসলমান ঈদ করছেন , বেশীরভাগ মানুষ রোজা রাখছেন - এমনটি হওয়া উচিত নয় ।

 

 

 

 

 

 

 

রাসূল তোমাদের যা দেয়, তা তোমরা নাও এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করে তা থেকে তোমরা বিরত থাকো এবং আল্লাহকে ভয় করো ; আল্লাহ তো শাস্তি দানে কঠোর (সুরা হাশর ; ৫৯ : ৭ ) ।

 

 

 

 

 

এ দেশে সরকারীভাবে সিদ্ধান্ত হচ্ছে , দেশের সীমানায় চাঁদ দেখা গেলে রামাদান শুরু হবে ।

 

 

 

যারা মনে করেন , দুনিয়ার যে কোন জায়গা থেকেই চাঁদ দেখা গেলে রামাদান মাস শুরু করা বৈধ , তারা ভুল বলছেন এমন ফতোয়া আমি দিচ্ছি না বা সে যোগ্যতাও আমার নেই । আমার অনুরোধ , মুসলমানদের একতার স্বার্থে কুরআন ও হাদীসের আলোকে যে মতকে গ্রহণ করা যেতে পারে , তা মেনে নেয়া কি অসম্ভব ?

 

 

 

 

 

মুসলিম বিশ্বের পবিত্রতম স্থান মক্কা , মদীনার সাথে মিল রেখে রামাদান শুরু করতেই হবে বলে যাদের বিশ্বাস , তারা কি একই সময়ে সেই দেশের মানুষদের সাথে সেহেরী ও ইফতারী করতে পারবেন ?

 

 

সেটা তো সম্ভব নয় , কেননা বাংলাদেশ সময় সৌদি আরব থেকে তিন ঘন্টা এগিয়ে । তাহলে এখানে সূর্য ডুবে যাওয়ার পরেও বাংলাদেশী রোজাদারদের আরো তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতেহবে সৌদি ভাই – বোনদের সাথেএকসাথে ইফতারী করার জন্য । ব্যপারটি অবাস্তব ও পাগলামি ছাড়া আর কিছুই নয় ।

 

 

 

 

 

আসুন , বাংলাদেশী মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সরকারী সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে দেশের সীমানায় চাঁদ দেখার অপেক্ষা করি । আল্লাহ আমাদের একতা বৃদ্ধি করে দিন , আমীন ।

 

 

 

সহায়ক সূত্র: ইন্টারনেট

 

 

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...