MUSLIM WOMAN Posted May 31, 2011 Report Share Posted May 31, 2011 Asalamu'alaikum কিয়ামতের দিন তিনজনকে প্রথমে আগুনে ফেলে দেয়া হবে । এরা হলো জ্ঞানী , মুজাহিদ ও দাতা । আল্লাহ জ্ঞানী বা আলেমকে প্রশ্ন করবেন : তুমি দুনিয়ায় কী করেছ ? সে বলবে : আমি আপনার জন্য জ্ঞান অর্জন করেছিলাম ও আপনার সন্ত্তষ্টির জন্য সেই জ্ঞান দান করেছি । “ তখন তাকে বলা হবে , তুমি মিথ্যা বলেছো । তুমি জ্ঞান অর্জন করেছো যেন তোমাকে জ্ঞানী বলা হয় । তুমি যা চেয়েছিলে তা দুনিয়াতে পেয়ে গিয়েছো । তখন আদেশ করা হবে সেই জ্ঞানীকে দোযখে ফেলে দেয়ার জন্য । দানকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ প্রশ্ন করবেন : তুমি দুনিয়ায় কী করেছো ? সে বলবে : আমি আপনার জন্য হালালভাবে সম্পদ অর্জন করেছিলাম ও আপনার পথে তা দান করেছি । “ তখন তাকে বলা হবে , তুমি মিথ্যা বলেছো । তুমি সম্পদ দান করেছো যেন তোমাকে দাতা বলা হয় । তুমি যা চেয়েছিলে তা দুনিয়াতে পেয়ে গিয়েছো । তখন আদেশ করা হবে সেই দাতাকে দোযখে ফেলে দেয়ার জন্য “ মুজাহিদকে প্রশ্ন করা হবে : তুমি দুনিয়ায় কী করেছিলে ? সে বলবে : আমি আপনার জন্য মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করেছিলাম । “ তুমি মিথ্যাবাদী । তুমি এজন্য লড়াই করেছো যেন তোমাকে বীর যোদ্ধা বলা হয় ও তাই হয়েছে । তুমি দুনিয়াতেই তোমার পুরষ্কার পেয়ে গিয়েছো । এরপর তাকে দোযখে ফেলে দেয়ার আদেশ হবে । আল – নওয়ায়ী رضي الله عنهم বলেন : লোক দেখানো কাজ করা মানা ও তা করলে যে কঠিন শাস্তি পেতে হব , রাসূল ﷺ এর এই হাদীস তার একটি প্রমাণ । রাসূল صلى الله عليه وسلم বলেছেন : অবশ্যই কাজের ফলাফল ইচ্ছা বা নিয়তের উপর নির্ভরশীল ; একজন মানুষ তাই যা সে নিয়ত করে । আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিয়ত করতে হবে : আল্লাহ এমন কোন কাজ গ্রহণ করেন না যা তাঁর সন্ত্তষ্টির জন্য করা হয় নি । এক লোক রাসূল صلى الله عليه وسلم এর কাছে জানতে চাইলো : কেউ যদি পুরষ্কার ও সম্মানের আশায় যুদ্ধ করে , তবে সে কী পাবে ? রাসূল صلى الله عليه وسلم উত্তর দিলেন , কিছু না । লোকটি তিনবার প্রশ্ন করলো , রাসূল صلى الله عليه وسلم তিনবার একই উত্তর দিলেন । তারপর বললেন : নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন কাজ গ্রহণ করেন না যদি না সেটা আন্তরিকতার সাথে ও আল্লাআহর সন্ত্তষ্টির জন্য করা হয় । সুরা কাহফে আল্লাহ বলেন : যে তার রবের সাক্ষাত কামনা করে সে যেন ভাল কাজ করে ও তার রবের ইবাদতে কাউকেও শরীক না করে ( ১৮ : ১১০ ) । রাসূল صلى الله عليه وسلم জানান , আল্লাহ বলেছেন : আমি স্বয়ংসম্পূর্ণ - আমার কোন অংশীদারের দরকার নেই । তাই কেউ যদি কোন কাজ করে যাতে সে আমার সাথে অন্য কাউকে অংশীদার করেছে , তবে আমি তার থেকে মুক্ত ও যাকে সে আমার অংশীদার বানিয়েছে , তার জন্য ওকে ছেড়ে দেব ( বর্ণনায় আবু হুরায়রা ) । তাই যে কোন কাজে আল্লাহর জন্য নিয়ত করা জরুরী । ইবনে আল কাইয়াম বলেন : ঠিক যেমনটি আল্লাহ একমাত্র উপাস্য কোন অংশীদার ছাড়া , এটি অপরিহার্য যে উপাসনা হবে শুধু তাঁরই জন্য । তাই যেভাবে উনি উপাস্য হিসাবে একক , ইবাদতের জন্যও সবার থেকে তাঁকে আলাদা করতে হবে । সৎ কাজ হচ্ছে তাই যা রিয়া বা লোকদেখানো না ও সুন্নতপন্থী । সুলায়মান বিন আবদুল্লাহ رضي الله عنهم বলেন : কোন কাজ গ্রহণ হওয়ার জন্য দুইটি স্তম্ভের দরকার - তা সঠিক হতে হবে ও আন্তরিকতার সাথে করতে হবে । সৎ কাজ হচ্ছে তাই যা কুরআন ও সুন্নাহর সাথে মানানসই । আন্তরিক কাজ সেটাই যা গোপন ও প্রকাশ্য শিরক থেকে মুক্ত । সুফিয়ান আস সাওরী বলেন , নিয়ত সংশোধনের মতো কঠিন চেষ্টা অন্য কোন কাজে আমাকে কখনো করতে হয় নি । আল্লাহ আমাদেরকে বেশী বেশী করে ভাল কাজ ও সঠিক নিয়ত করার সৌভাগ্য দান করুন , আমীন । সূত্র :The manners of the knowledge seeker লেখক : শেখ আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ সাঈদ রাসলিন , সৌদি আরব Link to comment Share on other sites More sharing options...
Recommended Posts
Create an account or sign in to comment
You need to be a member in order to leave a comment
Create an account
Sign up for a new account in our community. It's easy!
Register a new accountSign in
Already have an account? Sign in here.
Sign In Now