MUSLIM WOMAN Posted May 20, 2011 Report Share Posted May 20, 2011 Asalamu'alaikum দুই সতীনের ঝগড়ায় পাড়ায় কাক -চিল বসতে পারে না - এমন একটি কথা অনেক আগে শুনেছিলাম । আজকাল অন্তত শহরে কেউ যদি একাধিক বিয়ে করেন , তবে আলাদা বাসায় রাখার জন্য তার স্ত্রীদের মধ্যে আর ‘ কাক - চিল তাড়ানোর মতো ঝগড়া হয় না । তবে তাই বলে ঘরে ঘরে ঝগড়া থেমে নেই । বউ - শাশুড়ির ঝগড়া , ননদ - ভাবীর ঝগড়া , স্বামী - স্ত্রীর ঝগড়া চলছে ও মনে হয় কিয়ামতের আগ পর্যন্ত চলবে । আগে এক হাড়িতে সবার রান্না হওয়ায় অর্থাৎ পরিবারের সব সদস্য এক ছাদের নীচে থাকায় ‘ হাড়িতে হাড়িতে ঠোকাঠুকির মতো একজনের সাথে আরেকজনের সহজেই সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে বড় ঝগড়া শুরু হয়ে যেত । আজকাল বড় বাসা ভেঙ্গে ছোট ছোট ফ্ল্যাট করে যে যার মতো থাকতে শুরু করায় ঝগড়া করার ‘ সুযোগ ’ অনেকটাই কমে গিয়েছে । তারপরেও অবাক লাগে যে ঝগড়া করার সামান্যতম কোন সুযোগ আমরা বাংলাদেশের মানুষরা হাতছাড়া করি না । কেন এই ঝগড়া ? কোন বাড়ির বুয়া সিড়িতে পানি বা ময়লা ফেললো কি না ; কার ড্রাইভার গাড়ি রাখতে গিয়ে অন্য গাড়ির ড্রাইভারের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করলো , কার বাচ্চা মাঠে গিয়ে কার বাচ্চাকে ধাক্কা দিল - ঝগড়া করার জন্য এসব কি যথেষ্ট নয় ? গণমাধ্যমে শুধু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বউদের উপর অত্যাচার করে , এসব খবর প্রচার করে । বউরা যে একে অন্যের সাথে ঝগড়া করে , সেই ঝগড়ায় স্বামী ও বাচ্চাদের জড়িয়ে ফেলে শ্বশুরবাড়িতে কী ভয়ংকর অশান্তির সৃষ্টি করে , সেই খবর কেউ দেয় না । ননদের কাছে শাশুড়ির বদনাম : মেয়েরা শাশুড়ির বদনাম করতে এতটাই পছন্দ করে যে , ননদের কাছে পর্যন্ত গল্প করার ছলে শাশুড়ির নামে বদনাম করতে ছাড়ে না । অবস্থা এখন এমন - মোবাইলে ভাবীর নাম ভেসে উঠলে ননদকে ভয়ে আৎকে উঠতে হয় - হায় আল্লাহ , না জানি এখন কী শুনতে হয় । চাচা - চাচী ভয়ংকর ? যৌথ পরিবারের একটি খারাপ দিক হলো মা - দাদী , মা - চাচী , মা - ফুপু , বাবা - চাচার ঝগড়ায় বাচ্চাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে ; ফলে পরিবারের বড়দের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ কমে যায় । আজকের যৌথ সংসারের কোন বাচ্চা যদি বড় হয়ে আত্মজীবনী লেখে , তবে তা হবে এমন : আমাদের পাশের ফ্ল্যাটেই চাচা - চাচী থাকতেন , তবে আমি কোনদিন সেখানে ঢুকতে পারি নি । মাঝেমাঝে দাদা - দাদীর ফ্ল্যাটে উনাদের সাথে দেখা হলে সামান্য কারনে ধমক খেতাম । আমার চাচাতো ভাই - বোনদের জন্মদিন খুব ধুমধাম করে করা হতো , তবে কোনদিন আমি দাওয়াত পাই নি । একদিন শুনেছিলাম চাচাকে দাদী বলছেন , ভাই - ভাবীকে বাসায় ঢুকতে দাও না , সেটা না হয় চলতে পারে কিন্ত্ত আপন ভাইয়ের একমাত্র ছোট বাচ্চা কী এত দোষ করেছে ? ওকে কেন জন্মদিনে দাওয়াত দিচ্ছো না ? চাচার উত্তরে বুঝতে পেরেছিলাম চাচীর কড়া নিষেধ আছে আমাকে যেন কোনভাবেই বলা না হয় । এই একই বাচ্চা আবার খালা -খালু সম্পর্কে লিখবে তারা তাকে কত আদর করতেন । ইমাম মালিক رضي الله عنهم তার ইয়াহুদী বাড়িওয়ালার সাথে কোনদিন ঝগড়া করেন নি , যদিও সে ইয়াহূদী ইচ্ছা করে ময়লা - আবর্জনা এমনভাবে ফেলতো যাতে দূর্গন্ধে ইমাম মালিকের কষ্ট হয় । অথচ আজ আমরা আপন রক্ত সম্পর্কের সদস্যদের সাথে , একই মায়ের পেটের ভাই - বোনের সাথেও প্রায়ই সামান্য ধৈর্য্যের পরিচয়ও দেই না । এক বাড়ির সীমানায় থেকে আপন ভাইয়ের বাসায় আরেক ভাই তার কলিজার টুকরা একমাত্র সন্তানকে এমন কী ঈদের দিনেও পাঠাতে পারেন না । “ সতর্ক থাকো আত্মীয়তার বন্ধন সম্পর্কে ...( সুরা নিসা ; ৪: ১ ) ; পিতা-মাতা , আত্মীয়স্বজন ...দের সাথে ভাল ব্যবহার করবে ( সুরা নিসা ; ৪:৩৬ ) ; “ রক্ত সম্পর্ক ছিন্নকারী বেহেশতে যাবে না ” - মুসলিম হাদীস । Link to comment Share on other sites More sharing options...
Recommended Posts
Create an account or sign in to comment
You need to be a member in order to leave a comment
Create an account
Sign up for a new account in our community. It's easy!
Register a new accountSign in
Already have an account? Sign in here.
Sign In Now