MUSLIM WOMAN Posted April 5, 2011 Report Share Posted April 5, 2011 Asalamu'alaikum একজন রাজমিস্ত্রী বাড়ি বানাতে খুবই দক্ষ ছিল । তাকে দিয়ে বাড়ি বানিয়ে সেগুলি চড়া দামে বিক্রি করে তার চাকরিদাতা বাড়ি নির্মাতা ব্যবসায়ী প্রচুর লাভ করতেন । তাই তিনি এই রাজমিস্ত্রীর উপর খুব সন্ত্তষ্ট ছিলেন । একদিন সেই রাজমিস্ত্রী এসে জানালো তার শরীর ভাল যাচ্ছে না , তাই সে ঠিক করেছে কাজ ছেড়ে দেবে । শুনে ব্যবসায়ী দু:খ পেলেন । অনুরোধ করলেন , তুমি কি আমাকে আরেকটি সুন্দর বাসা বানিয়ে দেবে ? প্রথমে রাজমিস্ত্রী রাজী হলো না । কিন্ত্ত অনেকদিন যার অধীনে কাজ করেছে , তার বারবার অনুরোধে বাধ্য হয়ে সে রাজী হলো । তবে অন্যবার সে যেমন যত্ন করে বাড়ি বানায় , এবার তা সে করলো না । খুবই দায়সারা কাজ করে কোনমতে বাড়ি বানানো শেষ করলো সে । আসলে সে চাচ্ছিলো নিজ পরিবারে ফিরে গিয়ে বিশ্রাম নিতে , তাই দায়িত্ব ঠিকমত পালন না করেই সে শেষ করলো বাড়িটা । মালিককে সে জানালো কাজ শেষ , তাই এখন চলে যাবে সে । মালিক তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলে হাতে একটি চাবি ও কাগজ নিয়ে বের হলেন । রাজমিস্ত্রীকে হতভম্ব করে দিয়ে মালিক বললেন , এই বাড়িটি তিনি উপহার হিসাবে তাকে দিচ্ছেন । এই বলে বাড়ির মালিকানা দলিল ও ঘরে ঢোকার চাবি তার হাতে তুলে দিলেন । রাজমিস্ত্রীর আফসোসের সীমা থাকলো না । হায় হায় , কী বোকামীই না সে করেছে । যখন তার সুযোগ ছিল সুন্দর করে একটি বাড়ি বানিয়ে তার মালিক হওয়ার , তখন সে সেই কাজে চরম অবহেলা করেছে । এখন যতই দু:খ আর আফসোস করা হোক না কেন , সুযোগ আর ফিরে আসবে না । সেরা বাড়ি বানানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে , এখন ফাঁকি দিয়ে বানানো জোড়াতালির এই বাসাই তার ভাগ্যে থাকলো । ইস , সে যদি আগে জানতে পারতো যে সে এই বাড়ির মালিক হবে , তাহলে কত যত্ন করেই না সে বানাতো বাড়িটা । আমাদের জীবনটাও এই রাজমিস্ত্রীর মত । আল্লাহ এই দুনিয়ায় আমাদের পাঠিয়েছেন যেন আমরা বেহেশতে আমাদের প্রাসাদ সুন্দর করে বানাতে পারি । আমরা তা না করে দায়িত্বে অবহেলা করছি । সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আগেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা অনন্তকালের জন্য যেখানে থাকবো , তা কোথায় হবে , কেমন হবে ? আমরা কি দুনিয়ায় এরকম একটি বাসা পাওয়ার জন্য পাগল নই ? অথবা এমন একটি প্রাসাদের মালিক হতে যা যা করা সম্ভব তা করতে কি রাজী হবো না ? এরকম প্রাসাদসম একটি বাসার দাম কোটি কোটি টাকা । আমাদের কয়জনের সামর্থ্য আছে এত খরচ করার ? কিন্ত্ত কোটি টাকা খরচ না করেই যদি অতুলনীয় বেহেশতে এসব বাসার থেকেও লক্ষ কোটি গুণ ভাল বাসায় থাকা যায় , তাহলে কেমন হয় ? কেউ যদি এই সুযোগ নষ্ট করে , তাহলে সে কি চরম বোকামী করবে না ? আমরা এই চরম বোকামী করবো না কি সুযোগটা কাজে লাগাবো ? পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন , আমি মানুষ ও জিন্নকে সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদতের জন্য ( সুরা যারিয়াত ; ৫১ : ৫৬ ) । আল্লাহর রাসূল صلى الله عليه وسلم বলেছেন , যে দিনে –রাতে মোট বারো রাকাত নামাজ আদায় করবে , তার জন্য বেহেশতে বাড়ি বানানো হবে । এই বারো রাকাত সালাত হলো ১ . ফজরের দুই রাকাত ফরযের আগের দুই রাকাত সুন্নত , ২. যোহরের চার রাকাত ফরযের আগে চার রাকাত ও ফরযের পরের দুই রাকাত সুন্নত ; ৩ . মাগরিবের তিন রাকাত ফরযের পরে দুই রাকাত সুন্নত , ৪. ইশার চার রাকাত ফরযের পরে দুই রাকাত সুন্নত । রোজ এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে প্রতিবার মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে । দুনিয়ায় অল্পদিনের জন্য একটি বাড়ির মালিক হতে মানুষ কত কষ্টই না করে - ব্যাংক থেকে চড়া সুদে ধার নেয় , বন্ধু – আত্মীয়দের কাছে হাত পাতে , জমি – গয়না বন্ধক রাখে বা বিক্রি করে । এই ধার শোধ করতে বা বন্ধকী জিনিষ ফিরে পেতে দিনের পর দিন কত কষ্টই না সহ্য করতে হয় । দু:চিন্তায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন , দু:খ করেন কেন সুদে ধার নিলাম । অথচ সুদের পাপ থেকে মুক্ত থেকে ও এরচেয়ে অনেক কম কষ্ট করে আমরা দামী দামী রত্ন বসানো মহামূল্যবান এক বা অনেক প্রাসাদের মালিক চিরকালের জন্য হতে পারি । শিরকের মহাপাপ থেকে মুক্ত থেকে এক স্রষ্টার উদ্দেশ্যে রোজ কয়েক মিনিটের ইবাদত আমাদেরকে দোযখের আগুন থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি বেহেশতের এমন সব সম্পদের মালিক বানাবে , যা আমাদের কল্পনাতেও আসবে না । মনে রাখবেন , , বেহেশতের এক বিন্দু পরিমাণ জায়গা এই পুরো দুনিয়ার সব সম্পদ বা মহাবিশ্বের থেকেও অনেক মূল্যবান । ভেবে দেখুন , কী করবেন আপনি ? সহায়ক সূত্র : http://www.islamcan Link to comment Share on other sites More sharing options...
Recommended Posts
Create an account or sign in to comment
You need to be a member in order to leave a comment
Create an account
Sign up for a new account in our community. It's easy!
Register a new accountSign in
Already have an account? Sign in here.
Sign In Now