Asalamu'alaikum
সালাম আলাইকুম ,
আল্লাহ বা তাঁর যে কোন রাসূলকে ( তাঁদের সবার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক ) নিয়ে বাজে কথা বললে , ঠাট্টা - তামাশা করলে একজন আর মুসলমান থাকে না । তাকে সাথে সাথে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে ; নইলে সে যদি তওবা না করে মারা যায় , তাহলে সে অমুসলিম অবস্থায় মারা যাবে । আল্লাহ এই পাপ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন ।
ইসলাম বিদ্বেষী গণমাধ্যমের প্রচারণা ও অমুসলিমদের লেখা পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে অনেকেই মা আয়েশা রাযি আল্লাহু আনহার সাথে রাসূল ﷺﷺসাল্লাললাহু আলাই হি ওয়া সাল্লামের বিয়ে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে যেমন শেষ নবী ﷺﷺসাল্লাললাহু আলাই হি ওয়া সাল্লাম ছিলেন ....... আসতাগফিরুল্লাহ ।
আমাদের মনে রাখতে হবে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাই হি ওয়া সাল্লাম তাঁর পুরো যৌবনকাল কাটিয়েছেন তাঁর চেয়ে বয়স্কা ও দুইবার বিধবা হওয়া এক নারীর সাথে । প্রথম স্ত্রী বেঁচে থাকার সময় তিনি আর বিয়ে করেন নি । আল্লাহ যখন রাসূলের স্ত্রীদেরকে সুযোগ দিয়েছিলেন দুনিয়ার সম্পদ নিয়ে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার জন্য , তখন মা আয়েশা রাযি আল্লাহু আনহা সবার আগে বলেন : আমি রাসূলকে চাই । যিনি কারো কাছে কখনো বিয়ে নিয়ে অভিযোগ করেন নি , ১৪৩০ বছর পরে সেই বিয়ে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার কী কারণ থাকে পারে ? মনে রাখতে হবে , ইসলামী বিয়েতে মেয়েরও মত লাগে । মা আয়েশা রা. ও তাঁর মা - বাবা সবাই বিয়েতে রাজী ছিলেন । এই বিয়েতে কোন জোরজবরদস্তি হয় নি ।
ইসলাম প্রচার বন্ধের জন্য কাফিররা রাসূলকে প্রস্তাব দিয়েছিল ধন- সম্পদ দেয়ার পাশাপাশি আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে সুন্দরী নারীদেরকে দিয়ে দেয়া হবে । আল্লাহর রাসূলের উত্তর ছিল : কাফিররা আমার ডান হাতে সূর্য ও বাম হাতে চাঁদকেও এনে দেয় , তবুও আমি ইসলাম প্রচারে বিরত হবো না ।
তিনি যদি দুশ্চরিত্র বা বিকৃত রুচির মানুষ হতেন , তবে কি এমন লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেন ?
আমরা হয়তো না জেনে , না বুঝে ইসলাম বিরোধী অনেক মন্তব্য করে ফেলি । মনে রাখতে হবে , তামাশা করেও এমন কথা বলা যাবে না , যা আমাদেরকে ইসলাম ধর্মের বাইরে নিয়ে আসে ।
আল্লাহ বলেছেন যার মানে : ( হে মুহাম্মদ ) আমি তোমাকে বিশ্বজগতের জন্য রহমত হিসাবে পাঠিয়েছি ( সুরা আম্বিয়া ; আয়াত ১০৭ ) । এছাড়াও সুরা হুজুরাতে আল্লাহ বলেন : প্রকৃত ঈমানদার তারাই যারা বিশ্বাস আনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলে এবং ধর্মবিশ্বাস নিয়ে সন্দেহ করে না (৪৯:১৫)।
পবিত্র কুরআনে সাবধান করে বলা হয়েছে‘ তোমরা কি আল্লাহ , তাঁর নিদর্শন ও তাঁর রাসূলকে ঠাট্টা করছিলে ? তোমরা অজুহাত দেয়ার চেষ্টা করো না ; তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরী করেছো ...( সুরা তওবা ; ৯ ; ৬৫-৬৬ )
তাই দয়া করে শেষ নবী বা আল্লাহর কোন নবীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করবেন না ।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আসুন আমরা রোজ বলি: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ এক ; আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ﷺ হলেন আল্লাহর রাসূল।