-
Posts
1,173 -
Joined
-
Last visited
-
Days Won
41
Content Type
Profiles
Forums
Events
Everything posted by MUSLIM WOMAN
-
ঈদের দিনে আল্লাহর রাসূল صلى الله عليه وسلم তার স্ত্রী ও মেয়েদের নিয়ে ঈদগাহে যেতেন । তিনি আদেশ করেছেন অবিবাহিতা , সাবালিকা নারী , এমন কী যাদের মাসিক হচ্ছে তাদেরকেও ঈদের সালাতে নিয়ে যেতে । যাদের মাসিক হচ্ছে তারা সালাতের জায়গা থেকে কিছু দূরে থাকবেন । তবে দুআতে ও অন্য ভাল কাজে সামিল হবেন ( বুখারী ও মুসলিম শরীফ ) । ঢাকার বাইরে মহিলাদের ঈদগাহে যাওয়ার সুযোগ সম্ভবত নেই । ঢাকার মহিলারা এদিক থেকে ভাগ্যবান । জাতীয় ঈদগাহে ও অন্যান্য কিছু মসজিদে মহিলাদের ঈদের সালাত আদায়ের ব্যবস্থা আছে । জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে আটটায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে । পর্দা দিয়ে ঘেরাও করে মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে সূত্র : দৈনিক যুগান্তর ; ৩০ অগাস্ট ২০১১ ) । তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না । ফজরের সালাত আদায় করে আর না ঘুমিয়ে দরকারী সব কাজ শেষ করে রাখুন যাতে ঈদগাহে যেতে অসুবিধা না হয় ।
-
ঈদে মিলনের ভাই তাকে নতুন গাড়ি উপহার দিয়েছে । খুশীর সীমা নেই তাই মিলনের । নতুন গাড়ি কখন বন্ধুদের দেখাবে সেই চিন্তায় রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেই পারে নি সে । ঈদে বন্ধুদেরকে তার নতুন গাড়িতে নিয়ে কোথায় কোথায় বেড়াতে যাবে , সেটা মনে মনে ঠিক করতে সে বের হয়ে আসলো বাসা থেকে । গেটের বাইরে এক গরীব বালক খুব আগ্রহ নিয়ে দেখছিল মিলনের গাড়িটিকে । অন্যদিন হলে হয়তো মিলন এই বাচ্চার দিকে ফিরেও তাকাতো না কিন্ত্ত আজ মেজাজ খুব ভাল থাকায় সে হাসিমুখে জানতে চাইলো , কি , গাড়িটা খুব সুন্দর না ?ছেলেটি বললো , চাচু , গাড়িটা আপনার ? মিলন বললো , হ্যাঁ , আমার ভাই এটা আমাকে উপহার দিয়েছে । তাই ? কি দারুণ । তার মানে এটা পেতে আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হয় নি ? ইস , যদি .......বাচ্চাটা একটু থামলো । মিলন বুঝতে পারলো সে কি বলতে চাচ্ছে । ইস যদি আমারো এমন একজন ভাই থাকতো । কিন্ত্ত মিলনকে হতবাক করে দিয়ে বাচ্চাটা বললো , যদি আমি এমন ভাই হতে পারতাম। ছোট এক গরীব বাচ্চার কাছ থেকে এমন কথা শোনার কথা মিলন কল্পনাও করে নি । হতভম্ব ভাব কাটিয়ে উঠে সে বললো , তুমি কি গাড়িতে চড়তে চাও ? ছেলেটি সানন্দে রাজী হলো । গাড়িতে বসে সে বললো , চাচু , আমাদের বাসা কাছেই । আপনি কি আমাদের বাসার সামনে গাড়িটা নিয়ে যাবেন ? মিলন মনে মনে হাসলো । বাচ্চাটি আশেপাশের সবাইকে দেখাতে চাচ্ছে সে একটা বড় সুন্দর গাড়িতে করে বাসায় ফিরেছে । কিন্ত্ত মিলনের অবাক হওয়া আরো বাকী ছিল । বাসায় এসে বাচ্চাটা গাড়ি থেকে নেমে বললো , চাচু , একটু অপেক্ষা করুন । আমার ছোট ভাইকে আপনার গাড়িটা দেখাবো । একটু পরে মিলন দেখলো খোঁড়া এক বাচ্চাকে পিঠে নিয়ে ছেলেটি বের হয়ে আসলো । দরজার কাছে ভাইকে নামিয়ে ছেলেটি বললো , দেখ । কত সুন্দর গাড়ি । এই চাচুকে তার বড় ভাই ঈদে এটি উপহার দিয়েছে । আমিও বড় হয়ে তোকে এমন গাড়ি কিনে দেব । তখন তুই গাড়িতে করে ইচ্ছামতো বেড়াতে পারবি । আমি যা যা সুন্দর জিনিষ দেখে এসে তোকে গল্প করি , সেসব নিজেই তখন দেখবি । মিলন অনেক কষ্টে চোখের পানি আটকালো । খোঁড়া ছেলেটাকে কোলে করে নিয়ে সে গাড়িতে বসালো । তারপর দুই ভাইকে সাথে নিয়ে বেড়াতে বের হয়ে জীবনের অন্যতম খুশীর এক ঈদের দিন কাটালো সে । এত আনন্দ ও খুব কমই পেয়েছে জীবনে । আল্লাহর রাসূল صلى الله عليه وسلم এর কথাটি আজ সে ভালভাবে বুঝতে পারলো : তুমি নিজের জন্য যা ভালবাসো , তোমার ভাইয়ের জন্যও তাই চাইবে ।
-
হজরত মুহাম্মদ صلى الله عليه وسلم জীবন্ত কোন প্রাণীকে আগুনেপুড়াতে মানা করেছেন । কেননা , কিয়ামতের দিনে আল্লাহ পাপীদের আগুনে ফেলে শাস্তি দেবেন । জীবন্ত কাউকেআগুনে পুড়ানোর অধিকার শুধু আল্লাহর ১। অথচ আমরা দেখি তরল আগুনে বা এসিডে মুখ পুড়ে যাচ্ছে নারী , শিশুসহ অনেকেরই । শুধু ২০০৫ সালে এ দেশে প্রায় তিন শত মানুষের উপর এসিড নিক্ষেপ করা হয় । এরমানে রোজই এ দেশে কমপক্ষে একজন তরল আগুনে পুড়ে যাচ্ছে । সাধারণত কোনঅশালীন প্রস্তাবে বা বিয়েতে রাজী না হলে , জমি নিয়ে ঝগড়া হলে , কোন মামলায় হেরে গেলে প্রতিশোধ নিতে কারো মুখে এসিড মারা হয় । ৮০ % ক্ষেত্রে নারীরা এই এসিড সন্ত্রাসের শিকার ; আবার এই নারীদের বেশীরভাগের বয়স ১৮ এর নীচে । এমন কী , মেয়ে জন্ম দেয়ার ‘ অপরাধে ’ স্ত্রীর গায়ে বা নবজাতককে মেরে ফেলার জন্য তার মুখে ঢেলে দেয়া হয় এসিড , আসতাগফিরুল্লাহ । এত অল্প বয়সে তরল আগুনে চেহারা , শরীর পুড়েযাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এদের পক্ষে আর স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব হয় না । এ পর্যণ্ত খুববেশী অপরাধী শাস্তি পায় নি । যারা পেয়েছে তারা এসিড নিক্ষেপকারী কিন্ত্ত জেনেবুঝে যারা এই তরল আগুন বিক্রি করে মানুষের মুখ , দেহ ঝলসেদেয়ার জন্য , তাদের একজনও কেউ শাস্তি পেয়েছে বলে আমারজানা নেই । একটি পিঁপড়াকে যেখানে আগুনে পোড়ানো মানা , সেখানে কিভাবে আল্লাহর সৃষ্টির সেরা মানুষকে তরল আগুনে পুড়িয়ে বিকৃত করছে একদল বেপরোয়া সন্ত্রাসী ? এদের ঠেকাবে কে ? দোকানদার ভাইদের প্রতিঅনুরোধ , এই পবিত্র রামাদান মাসে শপথ নিন , সামান্য কিছু টাকার জন্য এই তরল আগুন কোন অপরাধীর কাছে আরবিক্রি করবো না । আল্লাহ আপনাদের হালাল ব্যবসা করার তওফীক দিন । %%%%%% · ১ আল্লাহর রাসূল صلى الله عليه وسلم এক অভিযানে আমাদের পাঠানোর সময় বললেন : তোমরা যদি অমুক অমুককে পাও , তাহলে আগুনে পুড়িয়ে মারবে । যখন আমরা অভিযানে বের হবো , তখন তিনি বললেন : আমি আদেশ দিয়েছিলাম ওদেরকে পুড়িয়ে মারতে কিন্ত্ত আর কেউ না বরং আল্লাহ আগুনে পুড়িয়ে শাস্তি দেন । তাই তোমরা ওদেরকে পেলে হত্যা করবে ( বর্ণনায় আবু হুরায়রা , সহীহ বুখারী । )
-
আল্লাহর রাসুল صلى الله عليه وسلم বললেন, মাছির জন্য একজন বেহেশতে ও একজন জাহান্নামে গেল । সাহাবীরা অবাক হয়ে জানতে চাইলেন , এ কিভাবে সম্ভব ? তিনি বললেন , দু’জন লোক এক শহরে গিয়েছিল যেখানে এক বড় মূর্তি ছিল । নিয়ম ছিল এই মূর্তির উদ্দেশ্যে কিছু একটা কুরবানি করতেই হবে । শহরের লোকেরা প্রথম ব্যক্তিকে বললো , আমাদের দেবতার নামে কুরবানি করো । সে বললো , আমার কাছে তো কিছু নেই । তারা বললো , একটা মাছি হলেও দাও। সে তাতে রাজী হলো । তখন শহরের লোকেরা তাকে তার পথে চলে যেতে দিল আর সে এভাবে পৌঁছে গেল জাহান্নামে । দ্বিতীয় লোকটিকেও একই প্রস্তাব দেয়া হলো । কিন্ত্ত সে বললো , আমি আল্লাহ ছাড়া আর কারো উদ্দেশ্যে কিছু কুরবানি দেবো না । ফলে সে ‘ শহীদ ’ হয়ে জান্নাতী হলো ( বর্ণনায় আহমদ ) । প্রথম ব্যক্তি একবারো চিন্তা করে নি যে শিরক সবচেয়ে বড় পাপ । তওবা ছাড়া মারা গেলে এই পাপের একমাত্র শাস্তি অনন্ত দোযখবাস । তাই দেবতার উদ্দেশ্যে মাছির মতো সামান্য কিছু উৎসর্গ করলে ক্ষতি নেই - এই ভাবনা , সেই অনুযায়ী কাজ ও তওবানা করায় সে অনন্ত জীবনের জন্য নিজের জায়গা কিনে নিল আগুনে । ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে মাফ করেন না ’( সুরা নিসা : ৪ : ১১৬ ) । কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত অবশ্যই হারাম করবেন ও তার আবাস জাহান্নাম ( সুরা মায়িদা ; ৫ : ৭২ ) । এই পবিত্র রামাদানে আমরা যেন সবচেয়ে বড় পাপ শিরক সম্পর্কে সচেতন হই ও অন্যদেরকেও সাবধান করি । যারা বিভিন্ন মাজারে মৃত পীরের নামে মুরগি , খাসি উৎসর্গ করেন , তারা এখনই তওবা করে নিন । আসুন , আমরা বলি : আমার সালাত , আমার ইবাদত , আমার জীবন ও মৃত্যু জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য ( সুরা আন’আম: ৬:১৬২ ) সহায়ক সূত্র : http://islamicweb.com/beliefs/creed/abdulwahab/KT1-chap-08.htm
-
তোমার হয়ে ফিরিশতা জবাব দেবে একবার আবু বকর رضي الله عنهم কে এক লোক খুব খারাপ খারাপ কথা শোনাচ্ছিল । আবু বকর رضي الله عنهم কোন জবাব না দিয়ে চুপ করে বসেছিলেন । পাশে রাসূল صلى الله عليه وسلم কৌতুহল ভরে তা দেখছিলেন ও মুচকি হাসছিলেন । অনেকক্ষণ বাজে কথা শোনার পর ধৈর্য রাখতে না পেরে আবু বকর লোকটির কথার উত্তরে কিছু বলে ফেললেন । তখন রাসূল صلى الله عليه وسلم উঠে চলে যেতে শুরু করলেন । আবু বকর رضي الله عنهم তাড়াতাড়ি এসে জানতে চাইলেন , হে আল্লাহর রাসূল صلىالله عليه وسلم ঐ লোক বাজে কথা বলছিল , তখন আপনি বসে থাকলেন ; আর আমি যখন উত্তর দিলাম , তখন আপনি এটা পছন্দ করলেন না আর চলে যাচ্ছেন । এর কারণ কী ? রাসুল صلى الله عليه وسلم বললেন , যখনতুমি চুপ ছিলে , তখন তোমার হয়ে ফিরিশতা তাকে জবাব দিচ্ছিলো । যখন তুমি জবাব দেয়া শুরু করলে তখন ফিরিশতার জায়গায় শয়তান চলে আসলো । রাসূল صلى الله عليه وسلم বললেন , ও আবু বকর । তিনটি সত্য জেনে নাও : ১. কারো প্রতি যখন অন্যায় করা হয় আর সেপ্রতিশোধ না নিয়ে আল্লাহর সন্ত্তষ্টির জন্য ধৈর্য ধরে , তখন আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন ও নিজ সাহায্যে উচ্চতর অবস্থায়রাখেন । ২. কেউ যদি আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় করতে তাদেরকে উপহার দেয় , আল্লাহ তাকে অপরিমিত পুরষ্কার দান করেন । ৩. কেউ যদি নিজের সম্পদ বাড়ানোর জন্য ভিক্ষার হাত বাড়িয়ে দেয় , আল্লাহ তার সম্পদ কমিয়ে দেবেন । http://islamtruth4al...dont-argue.html
-
এক রোজা রেখে একাধিক রোজা রাখার সওয়াব কিভাবে পাবেন ? ছোটদের অনেকেই দিনে তিন / চারটা রোজা রাখে । কিন্ত্ত যারা বড় তারা কিভাবে দিনে একটি রোজা রেখে একাধিক রোজার সওয়াব পাবেন ? খুব সহজ । রাসূল মুহাম্মদ صلى الله عليه وسلم বলেছেন , যে একজন রোজাদারকে ইফতারি করায় সে সেই রোজাদার ব্যক্তির মতো একই সওয়াব পাবে আর সেজন্য রোজাদার ব্যক্তির সওয়াব কমেযাবে না ( মুসলিম হাদীস ) । কোরমা – পোলাও দিয়ে কাউকে ইফতারি খাওয়াতে হবে তাকিন্ত্ত না । আপনি এক গ্লাস পানি , একটি খেজুর বা রুটি , কলা , মুড়ি দিয়ে যদি একজন রোজাদারকে ইফতারি করান , ইনশাআল্লাহ অশেষ সওয়াব পাবেন । আসুন , আমরা রোজ কমপক্ষে একজন গরীব আত্মীয় , গরীব প্রতিবেশী , অফিসের কোন গরীব কর্মচারীকে সাধ্যমতো ইফতারি খাইয়ে আল্লাহর কাছ থেকে কিয়ামতের দিনে অশেষ পুরষ্কার লাভ করি । সহায়ক সূত্র : http://english.islamweb.net
-
পর্ব ৩ যিকির করার পরে দরুদ পড়ুন । সবচেয়ে ছোট দরুদ হলো আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মুহাম্মদ । এক মিনিটে অনেকবার এই দরুদ পড়া সম্ভব । তবে সালাতের মধ্যে যে দরুদে ইবরাহীম পড়া হয় , তা পড়া সবচেয়ে ভাল । আল্লাহুম্মা সাল্লি 'আলা মুহাম্মাদিও ওয়া 'আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা 'আলা ইবরাহীমা ওয়া 'আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক 'আলা মুহাম্মাদিও ওয়া 'আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাক্তা ' আলা ইবরাহীমা ওয়া 'আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন : আল্লাহ নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন ও তাঁর ফিরিশতাগণও নবীর জন্যঅনুগ্রহ প্রার্থনা করে । হে মুমিনগণ , তোমরাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করো ও তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও ( সুরা আহযাব ; ৩৩ : ৫৬ ) ।
-
পর্ব ২ রাস্তায় ভীড়ে গাড়ি , রিকশা আটকে থাকলে বিরক্ত না হয়ে সময়টা কাজে লাগান , কমপক্ষে রোজ এক মিনিট পড়ুন : ১ . সুবহান আল্লাহ ২. আলহামদুলিল্লাহ ৩. আল্লাহু আকবর ৪. লা ইলাহা ইল্লাললাহ ৫. লা হাওলা ওয়ালা কুআতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিউল আযিম ৬. সুবহান আল্লাহি ওয়া বি হামদিহী ৭. লা ইলাহা ইল্লাললাহু ওয়াদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর যখন সে আমাকে ডাকে আমি আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেই , তাই তাদেরও উচিত আমার আহবানে সাড়া দেয়া ও আমার উপর ঈমান আনা যাতে তারা সঠিক পথে চলতে পারে ( সুরা বাকারা ;আয়াত ১৮৬ )
-
এক মিনিটে কী করবেন ? পর্ব ১ এই দুনিয়ায় আমরা খুব অল্প সময়ের জন্য এসেছি । তাই এক মিনিট সময়ও আসলে কোটি কোটি টাকার থেকে বেশী দামী যদি তা পরকালের কল্যাণের জন্য কাজে লাগাতে পারেন । আসুন দেখি এক মিনিট সময়ে আমরা কী কী করে পরকালে দোযখের আগুন থেকে নিজেদের দূরত্ব বাড়াতে পারি । ১ . আল্লাহর কাছে রোজ কমপক্ষে এক মিনিট কয়েকবার আসতাগফিরুল্লাহ বলে ছোট , বড় , জানা , অজানা , ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত গুনাহর জন্য মাফ চান ২ . এক মিনিটে সুরা ফাতিহা পড়ে ফেলুন । কুরআনের একেকটি অক্ষর পড়লে তাতে দশটি নেকী পাওয়া যায় । ৩ . তিনবার সুরা ইখলাস পড়ুন । তাহলে ইনশাআল্লাহ একবার কুরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যাবে । ৪. কুরআনে বাংলা অনুবাদ কয়েক লাইন করে রোজ পড়ে নিন । আল্লাহ আমাদের কি আদেশ দিয়েছেন , তা না জানলে আমরা তা মানবো কি করে ? ৫ . মায়ের সাথে শেষ কবে দেখা করেছেন ? অফিস , বউ , বাচ্চাকে সময় দিতে গিয়ে একই শহরে থেকেও হয়তো মায়ের সাথে দেখা হচ্ছে না সপ্তাহ , দশদিন পার হয়েযাওয়ার পরেও । অন্তত রোজ ফোন করে মায়ের সাথেএক মিনিট কথা বলুন । ৬. এক মিনিটে আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় করুন । আপনার কোন বয়স্কা , অসুস্থ আত্মীয়েরখবর নিন । সুস্থ কোন আত্মীয় যার সাথে অনেকদিন দেখা নেই তাকে ফোন করে ইফতারিতে দাওয়াত দিন । ৭ . ভাল কাজের জন্য কাউকে উৎসাহ দিন , খারাপ কাজ করতে মানা করুন । তোমরাই সেরা জাতি, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে ; তোমরা ভাল কাজের নির্দেশ দাও , খারাপ কাজে নিষেধ করো এবং আল্লাহকে বিশ্বাস করো ( সুরা ইমরান ; আয়াত ১১০ )
-
রামাদান ইবাদতের মাস , এই মাসকে খাওয়ার উৎসবে পরিণত করবেন না রামাদান মাসে বেশীরভাগ মুসলমান অন্তত খাওয়ার বেলায় কোন সংযম দেখান না । শেষ রাতে তারা একটু বেশীই খান এই ভেবে যে সারাদিন তো খাওয়া হবে না ; আবার দিন শেষে সূর্যাস্তের পরে তারা আবারো গলা পর্যন্ত ঠেসে খান এই অজুহাতে যে সারাদিন তো কিছু খাওয়া হয় নি । এরপর রাতের নির্ধারিত খাওয়াও বাদ যায় না । এছাড়া ইফতারীর দাওয়াত থাকলে তো কথাই নেই । টেবিল ভর্তি হরেক রকম খাওয়ার সবই প্লেট ভর্তি করে নেয়া ( পেট ভরে গেলেও ) ; কোনটা খেয়ে , কোনটা চেখে দেখে , ছড়িয়ে ছিটিয়ে খেয়ে রামাদান মাসকে আমরা খাওয়ার উৎসব হিসাবে পালন করি । ইমাম শাফেয়ী رضي الله عنهم বলেছিলেন , গত ষোল বছর ধরে আমি পেট ভরে খাই নি । উকবাহ আর রাশিবী বলেন : আমি আল হাসানের কাছে গেলাম যখন তিনি খাচ্ছিলেন । তিনি আমাকে তার সাথে খেতে বললে আমি জানাই , আমি ততক্ষণ পর্যন্ত খেয়েছি যার পরে আর খাওয়া সম্ভব না । শুনে তিনি বলেন , “ সুবহান আল্লাহ । মুসলমানরা কি এতটা খায় যখন সে আর খেতে না পারে ”? ইসলামে শরীয়াহতে বেশী খাওয়া অপছন্দ করা হয়েছে । পরিমিত খাওয়া হচ্ছে তাই যখন কিছু ক্ষুধা থাকতে একজন হাত গুটিয়ে নেয় অর্থাৎ খাওয়া শেষ করে । এটা দেহকে শক্তিশালী করে ও অসুখকে দূরে রাখে , কেননা এই ব্যক্তি ক্ষুধা না লাগা পর্যন্ত খায় না আর ক্ষুধা থাকতেই খাওয়া শেষ করে । বেশী খাওয়া থেকে দেহ অলস হয়ে যায় , শরীরে বিভিন্ন অসুখ দেখা দেয় । আল্লাহর রাসূল وسلم صلى الله عليه কখনো রামাদান মাসে বা অন্য সময়ে এখনকার যুগের মুসলমানদের মতো নানা পদের খাওয়া পেট ভর্তি করে খান নি । রাসূল وسلم صلى الله عليه রামাদানের শেষ দশ দিন যে কঠোর সাধনা করতেন অন্য সময়ে এতটা করতেন না ( বর্ণনায় হযরত আয়েশা رضي الله عنهم ) । সারা বছর না হোক , অন্তত পবিত্র রামাদানে আমরা যেন পরিমিত খাই ও বেশী বেশী করে ইবাদত করি । সহায়ক সূত্র : The Manners of the knowledge Seekers : Abu Abdillah Muhammad Said Raslan
-
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে রোজা শুরু করতে হবে , এমন কোন হুকুম পবিত্র কুরআন বা হাদীসে নেই । তবুও প্রতি বছর এ দেশের কিছ মানুষ বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা না গেলেও সৌদি আরব বা অন্য দেশের দেখাদেখি রোজা রাখতে শুরু করেন । আল্লাহর রাসূল صلى الله عليه وسلم বলেন , চন্দ্র মাস ২৯ অথবা ৩০ দিনে , তোমরা চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখো না । যদি আকাশে মেঘ থাকে ও চাঁদ দেখা না যায় তবে তোমরা ৩০ দিনে মাস পূর্ণ করো ( বর্ণনায় ইমাম বুখারী , ইমাম মুসলিম) । অনেকে বলেন সাধারণ মানুষেরা চাঁদ দেখার নিয়ম –কানুন জানে না ও তাদের উপর বিশ্বাস রাখা ঠিক হবে না , বরং আধুনিক যন্ত্রপাতি যেমন দূরবীন , টেলিস্কোপ , গাণিতিক হিসাব - এসব মানুষের থেকে বেশী বিশ্বাসযোগ্য । এদের ধারণা , হিসাব নিকাশ করে চাঁদের অবস্থান সম্পর্কে জানা আধুনিক যুগের বিষয় , আগেকার মানুষরা এ নিয়ে কিছুই জানতো না , এটা সত্যি না । অনেক আগে থেকেই জ্যোতির্বিদ্যা চালু আছে ও রাসুল صلى الله عليه وسلم এর সময় এর চর্চা ছিল । কিন্ত্ত আল্লাহর রাসূল صلى الله عليه وسلم এমন আদেশ কাউকে কখনো দেন নি , যাও জ্যোতির্বিদদের কাছ থেকে জেনে আসো নতুন চাঁদ আজ আকাশে উঠেছিল কি না । তিনি মুসলমানদের এটাই শিখিয়েছেন : ২৯ শাবানের সূর্যাস্তের পর যদি চাঁদ দেখা যায় , তবে পরদিন হবে রামাদানের প্রথম দিন। যদি চাঁদ দেখা না যায় , তবে পরদিন হবে শাবানের ত্রিশতম ( ৩০) দিন ও তার পরদিন থেকে রামাদান মাস শুরু হবে। রাসূল صلى الله عليه وسلم এর সময় এমন ঘটনা একাধিকবার ঘটেছিল যে তিনি নিজে চাঁদ দেখতে পান নি কিন্ত্ত অন্য মুসলমানরা চাঁদ দেখেছে বলে সাক্ষ্য দেয়ায় তিনি নতুন মাসের ঘোষণা দেন । একবার একজন মুসলমানকে তিনি ধর্মবিশ্বাস নিয়ে কিছু প্রশ্ন করে তার ঈমান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে বেলাল رضي الله عنهم কে আদেশ দেন রামাদান মাস শুরুর ঘোষণা দিতে । প্রতি বছর চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্কে মুসলমানদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি হচ্ছে । একই এলাকায় কিছু মুসলমান ঈদ করছেন , বেশীরভাগ মানুষ রোজা রাখছেন - এমনটি হওয়া উচিত নয় । রাসূল তোমাদের যা দেয়, তা তোমরা নাও এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করে তা থেকে তোমরা বিরত থাকো এবং আল্লাহকে ভয় করো ; আল্লাহ তো শাস্তি দানে কঠোর (সুরা হাশর ; ৫৯ : ৭ ) । এ দেশে সরকারীভাবে সিদ্ধান্ত হচ্ছে , দেশের সীমানায় চাঁদ দেখা গেলে রামাদান শুরু হবে । যারা মনে করেন , দুনিয়ার যে কোন জায়গা থেকেই চাঁদ দেখা গেলে রামাদান মাস শুরু করা বৈধ , তারা ভুল বলছেন এমন ফতোয়া আমি দিচ্ছি না বা সে যোগ্যতাও আমার নেই । আমার অনুরোধ , মুসলমানদের একতার স্বার্থে কুরআন ও হাদীসের আলোকে যে মতকে গ্রহণ করা যেতে পারে , তা মেনে নেয়া কি অসম্ভব ? মুসলিম বিশ্বের পবিত্রতম স্থান মক্কা , মদীনার সাথে মিল রেখে রামাদান শুরু করতেই হবে বলে যাদের বিশ্বাস , তারা কি একই সময়ে সেই দেশের মানুষদের সাথে সেহেরী ও ইফতারী করতে পারবেন ? সেটা তো সম্ভব নয় , কেননা বাংলাদেশ সময় সৌদি আরব থেকে তিন ঘন্টা এগিয়ে । তাহলে এখানে সূর্য ডুবে যাওয়ার পরেও বাংলাদেশী রোজাদারদের আরো তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতেহবে সৌদি ভাই – বোনদের সাথেএকসাথে ইফতারী করার জন্য । ব্যপারটি অবাস্তব ও পাগলামি ছাড়া আর কিছুই নয় । আসুন , বাংলাদেশী মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সরকারী সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে দেশের সীমানায় চাঁদ দেখার অপেক্ষা করি । আল্লাহ আমাদের একতা বৃদ্ধি করে দিন , আমীন । সহায়ক সূত্র: ইন্টারনেট
-
( হে নবী ) , এরা তোমাকে মদ ও জুয়া নিয়ে প্রশ্ন করে ; তুমি তাদের বলে দাও , এই দুইয়ের মধ্যে আছে মহাপাপ ও মানুষের জন্য উপকারও ; কিন্ত্ত উপকার থেকে পাপ বেশী .... ( সুরা বাকারা ; ২ : ২১৯ ) । শয়তান এই মদ ও জুয়া দিয়ে তোমাদের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায় ও এভাবে সে তোমাদের আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে , তোমরা কি ( এ কাজ থেকে ) বিরত হবে না ? ( সুরা আল মায়িদাহ ; ৫ :৯১ ) । কুরআনের এই আয়াত নাযিল হওয়ার হজরত উমর رضي الله عنهم বলে উঠেছিলেন , আমরা বিরত হলাম । চলুন দেখি আমরা বাংলাদেশের মুসলমানরা কী করছি ? আজকের দৈনিক মানবজমিনে বলা হয়েছে : আমি অসুস্থ। দিনে দু’বেলা মদ খেতে হবে। এ জন্য চাই অনুমতি। এভাবেই মদ খাওয়ার জন্য মাদকদ্রব্যনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আবেদন করেছেন দেশের ২ মন্ত্রী, ৫ এমপি, ১৬ সচিব-যুগ্মসচিব, বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ, ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কয়েকজন সাবেক এবংবর্তমান পুলিশ কর্মকর্তা। এ তালিকায় আরও আছেন সাবেক জোট সরকারের সময়ের ৪ মন্ত্রীও। আবেদনের সঙ্গে তারা জমা দিয়েছেন ডাক্তারের সার্টিফিকেট। কারণ বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিকের মদ খাওয়ার লাইসেন্স পাওয়ার একমাত্র শর্ত ডাক্তারি সার্টিফিকেট। [ হায় আল্লাহ ; সত্যি কি দুনিয়ায় এমন কোন অসুখ আছে যার জন্য কোন মুসলমানকে দিনে দু’বার মদ খেতে হবে ? কি সে অসুখ যার চিকিৎসা ডাক্তাররা করতে না পেরে রোগীকে মদ খেতে সুপারিশ করলেন ? এই রোগী ও ডাক্তারদের পরিচয় জানতে খুব ইচ্ছা করছে । ] গত ৩০শে জুন ছিল মদ খাওয়ার লাইসেন্সের জন্য আবেদন নেয়ার শেষদিন। ১লা জুলাই থেকে শুরু হয়েছে লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়া। সরজমিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে গিয়ে জানা যায় নির্দিষ্ট সময়ে আবেদন জমা পড়েছে ৭সহস্রাধিক। এর মধ্যে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ রয়েছে। রয়েছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও ব্যবসায়ীও। সবচেয়ে আলোচিত হলো ১৬ সচিবের আবেদন। এরমধ্যে রয়েছেন ৮ জন পূর্ণ সচিব, বাকিরা যুগ্ম সচিব ও উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। এছাড়া, শতাধিক পদস্থ সরকারিকর্মকর্তা রয়েছেন আবেদনকারীদের তালিকায়। .......চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরে বিদেশী মদ পানের লাইসেন্সের জন্যএ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার আবেদন পড়েছে।এছাড়া, দেশীয় মদ পানের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার । মাদকনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর আবেদনের সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ- এবারই প্রথম ছবিসহ আবেদন করতে হচ্ছে। লাইসেন্সেও এবার ছবি সংযুক্ত করে দেয়া হবে। তাই পরিচয় প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে অনেকেই এবার আবেদন করেন নি। এছাড়া, এবার যারাআবেদন করেছেন তাদের অনেকেই ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। আবেদনপত্রের পেশার ঘরে অনেকেই প্রকৃত পেশানা লিখে লিখেছেন চাকরি, ব্যবসা ইত্যাদি। পুরো খবর পড়ুন এখানে : http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=14823:2011-07-21-15-46-35&catid=48:2010-08-31-09-43-22&Itemid=82<br clear="all" style="mso-special-character:line-break">
-
এক ধনী আরব খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন । এই অবস্থায় তিনি বলতে লাগলেন , আমি ফকির , আমি ফকির । পরিবারেরসবাই তো অবাক । ছেলেমেয়েরা ভাবলো, বাবার হয়তো শরীর খারাপ হওয়াতে মাথা ঠিকমতো কাজ করছে না । তাই তিনি ভুলে গিয়েছেন তার কত সম্পদ আছে । তারা বাবাকে ধরে কামরার বাইরে এনে প্রাসাদসম বাড়িটি দেখিয়ে বললো , বাবা দেখো , তুমি ফকির না । তুমি কত বাড়িতে থাকো । এরকম বাড়ি তোমার আরো অনেক আছে । ব্যাংকে তোমার কোটি কোটি টাকা আছে । কিন্ত্ত বৃদ্ধ তারপরও বারবার বলতে লাগলেন , আমি ফকির , আমি ফকির । সবাই বিভ্রান্ত হলো , কী হচ্ছে বুঝতে না পেরে তারা এলাকার একজন ধার্মিক ব্যক্তিকে ডাকলেন । বৃদ্ধের সাথে কিছু সময় কাটিয়ে ধার্মিক মুসলমানটি বুঝতে পারলেন বৃদ্ধ আসলে কী বোঝাতে চাইছেন । অর্থ রোজগারে এই আরব এত ব্যস্ত থাকতেন যে পরকালের কথা তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন । তিনি যা চেয়েছিলেন তা পেয়েছেন - অঢেল সম্পদ , গাড়ি , বাড়ি , সংসার , সন্তান কোনকিছুরই অভাব নেই তার - অভাব শুধু পরকালের জীবনের জন্য অতি দরকারী ভাল আমলের । পরকালে কাজে আসবে এমন ভাল কাজ তিনি তেমন কিছুই করে যেতে পারেন নি । দুনিয়ার ব্যস্ততায় তিনি কখনো সময় পান নি আল্লাহর কথা ভাবার । অনন্তকালের জীবনের সুখের চেয়ে তিনি অল্প দিনের দুনিয়ার ভোগ - বিলাসকে বেশী গূরুত্ব দিয়েছেন সবসময়। আজ মৃত্যুর মুখোমুখি দাড়িয়ে তাই তিনি আফসোস করছেন , আমি ফকির , আমি ফকির বলে । মারা যাওয়ার সময়েও এই বৃদ্ধের মুখে ছিল এই আফসোস - আমি ফকির । আমাদের জীবনের একটা বড় সময় নষ্ট হয় কত না অর্থহীন কাজে । আজ থেকে আমাদের আর এক মিনিট সময়ও আল্লাহর কথা না ভেবে অপচয় করা উচিত হবে না। আল্লাহর স্মরণ থেকে যে যত উদাসীন হবে , পরকালে সে হবে ততটাই বিপন্ন । আমরা কি অনন্তকালের জীবনে ধনী হবো না ? হে মুমিনগণ ; সম্পদ ও সন্তান যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে উদাসীন না করে , যারা উদাসীন হবে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্থ ( সুরা মুনাফিকুন ; ৬৩ :৯ ) । প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহে আচ্ছন্ন রাখে , এমনি করেই (ধীরে ধীরে ) তোমরা কবরের কাছে গিয়ে হাযির হবে ( সুরা তাকাসুর ; ১০২ : ১-২ )
-
রাসূলের মধ্যে আছে উত্তম আদর্শ অনেক মুসলমান এটা বলতে ভালবাসে যে আমি কুরআন মানি , কিন্ত্ত হাদীস মানি না । তারা দাবী করে কুরআন পাঠই যথেষ্ট , হাদীস না পড়লে কোন ক্ষতি নেই । সত্যিই কি তাই ? হাদীস কেন পড়বো ? কুরআনে আছে সালাত / নামাজের কথা কিন্ত্ত কিভাবে এই সালাত আদায় করতে হবে , কয়বার তা পড়তে হবে , সেসব জানতে হলে পড়তে হবে হাদীস । আল্লাহ কুরআনে আদেশ দিয়েছেন যাকাত দিতে । এই যাকাত টাকা , জমি , সম্পত্তির উপর কি পরিমাণ দিতে হবে , তার ব্যাখ্যা আছে হাদীসে । কুরআন নির্দেশ দেয় কাজের লোকদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে । রাসূল صلى الله عليه وسلم নিজের জীবনে তা করে দেখিয়েছেন ও অন্যদের উপদেশ দিয়েছেন কিভাবে তা করতে হবে । যেমন , কাজের লোকদের কেউ মারধর করলে তিনি বলতেন , তুমি যদি তোমার দাসের অপরাধ মাফ না করো , তাহলে কিয়ামতের দিন কিভাবে আশা করবে আল্লাহ তোমার অপরাধ মাফ করবেন ? অনেকেই কাজের লোককে সময়মতো খেতে দেয় না বা কাজে ভুল করলে না খাইয়ে শাস্তি দেয় । রাসূল صلى الله عليه وسلم সাবধান করে বলেছেন , দোযখে যাওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে একজন তার অধীনস্থদের সময়মতো খেতে দেয় না । রাসূল صلى الله عليه وسلم বলেছেন : অবশ্যই কাজের ফলাফল ইচ্ছা বা নিয়তের উপর নির্ভরশীল ; একজন মানুষ তাই যা সে নিয়ত করে । দান , জিহাদ , জ্ঞান চর্চা ইত্যাদি সবকিছু করতে হবে আল্লাহকে খুশী করার জন্য । হাদীসকে অস্বীকার করলে আল্লাহ কি খুশী হবেন ? আল্লাহ এই মহাজগতের কোটি কোটি জিন , ফিরিশতা ও মানুষের মধ্য থেকে যাকে তাঁর শেষ রাসূল হিসাবে পছন্দ করেছেন ও যার মধ্য দিয়ে তাঁর দ্বীনকে সম্পূর্ণ করেছেন , সেই রাসূল صلى الله عليه وسلم এর কথা ও কাজকে আমরা কেন প্রত্যাখান করবো ? আমরা কি তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল صلى الله عليه وسلم এর থেকে বেশী বুদ্ধিমান ? আমরা খামোকা যেন হাদীস নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করি , আল্লাহ হেদায়েত করুন । “ তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতকে ভয় করে ও আল্লাহকে বেশী স্মরণ করে , তাদের জন্য রাসূলের মধ্যে আছে উত্তম আদর্শ ( সুরা আহযাব ; ৩৩ : ২১ ) ।
-
আমি মানুষকে তার মাতা - পিতার সাথে ভাল ব্যবহার করতে আদেশ দিয়েছি
MUSLIM WOMAN posted a topic in Bangla
চীন দেশের এক মেয়ে লিলি কিভাবে তার শাশুড়িকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিল ও পরে কী হলো , তা আমাদের সবার জানা দরকার । আশা করি , যে বউ - শাশুড়িরা দিন -রাত ঝগড়া করাকে নিজেদের অধিকার বলে মনে করেন , তারা আল্লাহর দয়ায় হয়তো হেদায়তেপ্রাপ্ত হবেন । লিলি বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এসে একদমই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিল না । স্বামীকে তার ভাল লেগেছিল কিন্ত্ত সমস্যা হলো শাশুড়ি । এমন বদমেজাজী মহিলা দুনিয়ায় আর আছে কি না সন্দেহ । সবসময় লিলির দোষ খুঁজে বেড়ানো , আত্মীয়স্বজন - প্রতিবেশীদের কাছে লিলির আর তার বাপের বাড়ির বদনাম শাশুড়ির প্রিয় কাজ ছিল । লিলিও কম যেত না । শাশুড়ির প্রতিটি কথার প্রতিবাদ সে নিজে তো করতোই , স্বামীকেও পাঠাতো মায়ের সাথে ঝগড়া করার জন্য । স্বামী বেচারা মা না বউ - কাকে বোঝাবে , কার মন রাখবে - এই সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লো । লিলি মন ঠিক করলো - না , এভাবে চলতে পারে না । মা ভক্ত ছেলে বউকে নিয়ে আলাদা হবে না । তাই একটাই উপায় - শাশুড়িকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা । লিলির বাবার বন্ধু ছিলেন চিকিৎসক । তিনি ভেষজ উদ্ভিদ দিয়ে ঔষধ বানিয়ে রোগীদের সুস্থ করে তুলতেন । লিলি তার কাছে গিয়ে আবদার করলো ঔষধ নয় , বরং বিষাক্ত ভেষজ দিয়ে তাকে বিষ বানিয়ে দিতে যা সে শাশুড়িকে খাওয়াবে । প্রথমে বাবার বন্ধু রাজী হলেন না ; কিন্ত্ত লিলির দু:খের কথা শুনে আর তার বারবার অনুরোধে তিনি বাধ্য হয়ে রাজী হলেন । লিলিকে বিষের শিশি দিয়ে বললেন , এটা শাশুড়িকে একবারে খাওয়াবে না , তাহলে উনি সাথেসাথে মারা যাবেন আর পুলিশ তোমাকে ধরে নিয়ে যাবে । তুমি রোজ আলাদাভাবে শাশুড়ির পছন্দমতো কোন খাবার বানিয়ে অল্প অল্প করে বিষ মেশাবে ; তাহলে দিনের পর দিন বিষ শরীরে জমা হয়ে কিছুদিন পর উনি মারা যাবেন । আর এই সময়ের মধ্যে তুমি একদম তার সাথে ঝগড়া করবে না , বরং তার মন রেখে চলবে । তাহলে শাশুড়ি মারা গেলে কেউ তোমাকে কোন সন্দেহ করবে না । সবাই ভাববে বয়স হওয়ায় তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে । বাবার বন্ধুকে অনেক ধন্যবাদ দিয়ে লিলি খুশী মনে বাসায় ফিরলো । অন্যদিন শাশুড়ি যদি জানতে চাইতো , কোথায় গিয়েছিলে - তাহলে লিলি মুখ ঝামটা দিয়ে জবাব দিতো । আজকে আর শাশুড়ির কথায় রাগ করলো না । শান্তভাবে বললো , এই তো মা , একটু দরকারে বের হয়েছিলাম । আপনি বিশ্রাম নিন , আমি রান্না করে দিচ্ছি । শাশুড়ি খুবই অবাক হলেন । বিয়ের পর এই প্রথম লিলি হাসিমুখে তার সাথে কথা বলছে , নিজে থেকে রান্না করতে চাইছে - তার একদমই বিশ্বাস হচ্চিলো না লিলির আচরণ । হয়তো বউমার সুমতি হয়েছে - এটাই ভাবলেন শাশুড়ি । বউ যে তাকে বিষ দিয়ে মারতে চাইছে , এটা তিনি ভাবতেও পারেন নি। লিলি বাবার বন্ধুর উপদেশ মতো রোজ আলাদা করে শাশুড়ির জন্য খাবার রান্না করে তাতে বিষ মেশাতে লাগলো । শাশুড়ি কখনো কিছু বললে আর ও ঝগড়া করতো না বা স্বামীর কাছে নালিশ করতো না । কেউ যেন পরে তাকে শাশুড়ির মৃত্যুর জন্য সন্দেহ না করতে পারে , সেজন্য লিলি নিজেকে একদম বদলে ফেললো । নিজের মায়ের মতো করে শাশুড়িকে সম্মান আর ভালবাসাতে শুরু করলো । স্বামী আর শাশুড়ি ভেবেই পেল না কেমন করে লিলি এত বদলে গেল । তবে সুখের সীমা থাকলো না তাদের । স্বামীর অসুখ সেরে গেল , শাশুড়ি মহাখুশীতে সবাইকে বলতে লাগলো লিলির মতো এমন বউ পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার । নিজের মেয়ে থাকলে তাকে যেমন ভালবাসতেন , ঠিক তেমনি করে লিলিকে তিনি ভালবাসতে শুরু করলেন । সবসময় লিলির দোষ খুঁজে বেড়ানো , লিলির আর তার বাপের বাড়ির বদনাম করা - এসব আর করতেন না । সারা বাসার পরিবেশই একদম বদলে গেল । পুরো পাড়াতে খবর ছড়িয়ে পড়লো লিলির মতো বউ আর হয় না । সবাই লিলির শাশুড়ির সৌভাগ্যে হিংসা করতে লাগলো । অভিনয় করতে করতে কিভাবে লিলি একদিন আসলেই বদলে গেল , তা সে নিজেও বুঝতে পারলো না। যে শাশুড়িকে সে আগে সহ্যই করতে পারতো না , আজকাল আর তাকে খারাপ লাগে না , বরং লিলির প্রশংসা সবার কাছে করার জন্য শাশুড়িকে ভাল লাগতে শুরু করলো । মাথার উপর একজন মুরুব্বী আছেন যিনি যে কোন বিপদ আসলে তাদেরকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবেন , শাশুড়ি যে তার শত্রু না বরং তাদের ভাল চান যেমনটি তার নিজের মা চান , তাদের ভালোর জন্য স্রষ্টার কাছে শাশুড়ি সবসময় দুআ করেন এটা লিলি এখন বুঝতে পারলো । কিন্ত্ত সর্বনাশ যা হওয়ার তাতো হয়েই গিয়েছে , লিলির দেয়া বিষ যে শাশুড়ির দেহে জমা হয়েছে , তার থেকে মুক্তির উপায় কী ? লিলি ছুটে গেল বাবার বন্ধুর কাছে । অনুনয় করে বললো , চাচা , আমার ভুল হয়ে গিয়েছে । আমার শাশুড়ি আর আগের মতো খারাপ নেই , উনি অনেক বদলে গিয়েছেন , আমাকে নিজের মেয়ের মতোই ভালবাসেন । আমি চাই না উনি মারা যাক । আমাকে ভাল কোন ঔষধ দিন যা শাশুড়িকে খাওয়াবো যাতে বিষের ক্ষতি না হয় । বাবার বন্ধু হেসে বললেন , মা , তুমি ভয় পেও না । আমি তোমাকে কখনোই বিষ দেই নি । আমি এক ধরণের ভিটামিন ঔষধ দিয়েছিলাম যা তুমি শাশুড়ির খাবারে মেশাতে , এতে উনার স্বাস্থ্য আরো ভাল হয়েছে। আসল সমস্যা ছিল তোমার মনে , তোমার আচরণে । আমি চেয়েছিলাম তোমার মনের বিষ দূর করতে । তুমি নিজের খারাপ আচরণ বদলে ফেলায় শাশুড়িও তোমাকে ভালবাসতে শুরু করলেন । তুমি শাশুড়িকে শত্রু ভেবে তার সাথে বেয়াদবি করতে । আমার কথায় তুমি ভাল ব্যবহার শুরু করায় দেখলে তো শাশুড়িও তোমাকে কত ভালবাসলেন ? লিলি বাবার বন্ধুকে অনেক ধন্যবাদ দিয়ে বাড়ি ফিরে গেল । আমি মানুষকে তার মাতা - পিতার সাথে ভাল ব্যবহার করতে আদেশ দিয়েছি । তার মা তাকে গর্ভে ধারণ করে কষ্টের সাথে ও প্রসব করে কষ্টের সাথে ; তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়াতে লাগে ত্রিশ মাস ( পবিত্র কুরআন ; সুরা আহকাফ ; ৪৬:১৫ ) -
ছোটবেলায় মোহাম্মদ নাসিউদ্দীনের লেখা হোজ্জার গল্প পড়ে খুব মজা পেয়েছিলাম । হাসির এই বইটি আর চোখে পড়ে না । এই বইয়ের মজার ও শিক্ষামূলক একটি গল্প স্মৃতি থেকে লিখছি । নাসিরউদ্দীন হোজ্জা একদিন তার স্ত্রীকে বললো , কাল যদি রোদ থাকে তাহলে মাঠে যাবো কাজ করতে । আর যদি বৃষ্টি হয় তাহলে নদীতে যাবো মাছ ধরতে । বউ বললো , জুমার খুতবায় না শুনে এসেছো কিছু করতে চাইলে ইনশাআল্লাহ বলতে হয় । তুমি ইনশাআল্লাহ বললে না কেন ? হোজ্জার জবাব , কাল হয় রোদ উঠবে নয়তো বৃষ্টি পড়বে - এছাড়া তো আর কিছু হবে না । তাহলে খামোকা ইনশাআল্লাহ বলবো কেন ? বউ আর কিছু বললো না । পরদিন সকালে সূর্য আকাশে হেসে উঠলো । হোজ্জা নাস্তা খেয়ে রওনা হলো মাঠের দিকে । পথে দেখা হলো ঘোড়ায় চড়া এক সৈনিকের সাথে । সে হোজ্জাকে দেখে জানতে চাইলো , আমি অমুক জায়গায় যাবো , তুমি কি চেন জায়গাটি ? হোজ্জা বললো , হ্যাঁ । সৈনিক তখন বললো , আমার খুব তাড়া আছে । তুমি আমার সাথে ঘোড়া করে চলো , জায়গাটি চিনিয়ে দেবে । হোজ্জা বললো , আমার কাজ আছে , তোমার সাথে এখন আমি যেতে পারবো না । শুনে সৈনিক রেগে গিয়ে চাবুক মারলো হোজ্জাকে । তারপর তাকে রশি দিয়ে ঘোড়ার সাথে বেঁধে টেনে হিচড়ে নিয়ে চললো । মাটির সাথে ঘষা খেতে খেতে গায়ের চামড়া উঠে গেল হোজ্জার , সারা গা ক্ষত – বিক্ষত হয়ে গেল । অনেক চিৎকার , কাকুতি – মিনতি করেও রেহাই পেল না বেচারা । জায়গামতো পৌঁছে সৈনিক অবশেষে মুক্তি দিল হোজ্জাকে । রাগ করে যাওয়ার ভাড়াও দিল না সে । হোজ্জার কাছে গাড়ি ভাড়া তো দূরের কথা , খাবার কিনে খাওয়ার মতো পয়সাও ছিল না । পায়ে হেঁটে ফেরার সময় শুরু হলো তুমুল ঝড় - বৃষ্টি । সাথে ছাতা ছিল না , তাই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আহত , ক্লান্ত . ক্ষুধার্ত হোজ্জা অতি কষ্টে গভীর রাতে বাসায় ফিরলো । দরজায় ধাক্কা দেবার পর বউ জানতে চাইলো , কে ? জবাব আসলো , আমি হোজ্জা ইনশাআল্লাহ , ফিরে এসেছি ইনশাআল্লাহ , দরজা খুলে দাও ইনশাআল্লাহ । কখনোই তুমি কোন বিষয়ে বলবে না “ আমি এটা আগামী কাল করবো , আল্লাহ ইচ্ছা করলে ” এই কথা না বলে ( সুরা কাহফ , ১৮ : ২৩ -২৪ ) ।
-
Bismillah Walhamdulillah Was Salaatu Was Salaam 'ala Rasulillah As-Salaam Alaikum Wa-Rahmatullahi Wa-Barakatuhu Patients - 29th Rajab 1432 (1st July 2011) Narrated Abu Muisa Al-Ash'ari (Radi-Allahu 'anhu): The Prophet (Sallallahu 'Alaihi Wa Sallam) said, "Feed the hungry, visit the sick, and set free the captives." Bukhari Vol. 7 : No. 552
-
Bismillah Walhamdulillah Was Salaatu Was Salaam 'ala Rasulillah As-Salaam Alaikum Wa-Rahmatullahi Wa-Barakatuhu Patients - 28th Rajab 1432 (30th June 2011) Narrated 'Abdullah (Radi-Allahu 'anhu): I visited the Prophet (Sallallahu 'Alaihi Wa Sallam) during his ailments and he was suffering from a high fever. I said, "You have a high fever. Is it because you will have a double reward for it?" He said, "Yes, for no Muslim is afflicted with any harm but that Allah will remove his sins as the leaves of a tree fall down." Bukhari Vol. 7 : No. 550
-
Bismillah Walhamdulillah Was Salaatu Was Salaam 'ala Rasulillah As-Salaam Alaikum Wa-Rahmatullahi Wa-Barakatuhu Patients - 27th Rajab 1432 (29th June 2011) Narrated Abu Huraira (Radi-Allahu 'anhu): Allah's Apostle (Sallallahu 'Alaihi Wa Sallam) said, "If Allah wants to do good to somebody, He afflicts him with trials." Bukhari Vol. 7 : No. 548
-
Bismillah Walhamdulillah Was Salaatu Was Salaam 'ala Rasulillah As-Salaam Alaikum Wa-Rahmatullahi Wa-Barakatuhu Patients - 26th Rajab 1432 (28th June 2011) Narrated Abu Huraira (Radi-Allahu 'anhu): Allah's Apostle (Sallallahu 'Alaihi Wa Sallam) said, "The example of a believer is that of a fresh tender plant; from whatever direction the wind comes, it bends, but when the wind becomes quiet, it becomes straight again. Similarly, a believer is afflicted with calamities (but he remains patient till Allah removes his difficulties). And an impious wicked person is like a pine tree which keeps hard and straight till Allah cuts (breaks) it down when He wishes." Bukhari Vol. 7 : No. 547
-
Daily Hadith to [email protected]:11am Bismillah Walhamdulillah Was Salaatu Was Salaam 'ala Rasulillah As-Salaam Alaikum Wa-Rahmatullahi Wa-Barakatuhu Patients - 25th Rajab 1432 (27th June 2011) Narrated Kab (Radi-Allahu 'anhu): The Prophet (Sallallahu 'Alaihi Wa Sallam) said, "The example of a believer is that of a fresh tender plant, which the wind bends sometimes and makes it straight other times. And the example of a hypocrite is that of a pine tree which keeps straight till once it is uprooted suddenly." Bukhari Vol. 7 : No. 546