-
Posts
1,173 -
Joined
-
Last visited
-
Days Won
41
Content Type
Profiles
Forums
Events
Everything posted by MUSLIM WOMAN
-
:sister2: পুরুষরাও মুসলমান নারী হয়ে জন্মাতে চাইতো যখন সে কন্যা , সে তার পিতার জন্য বেহেশতের দরজা খুলে দিল ; যখন সে বোন , সে ভাইয়ের পরকালের হিসাব সহজ করার উপায় ; যখন সে স্ত্রী , সে তার স্বামীর দ্বীন অর্ধেক আদায় করে দিল ; যখন সে মা , তার পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত । ইসলামে নারীদের প্রকৃত মর্যাদার কথা যদি সবাই বুঝতো , তবে পুরুষরাও মুসলমান নারী হয়ে জন্মাতে চাইতো । সহায়ক সূত্র : শেখ আকরাম নাদাওয়ীর উদ্ধৃতি "When she is a daughter, she opens a door of Jannah for her father. When she is a wife, she completes half of the deen of her husband. When she is a mother, Jannah lies under her feet - If everyone knew the true status of a muslim woman in Islaam, even the men would want to be women" [shiekh Akram Nadawi]
-
Asalamu'alaikum বুখারি শরীফের বাংলা অনুবাদ - (১ থেকে ১০ খণ্ড) Author: Abu Abdullah Muhammad Ibn Ismail al-Bukhari Al-Jufi (Rahmatullah) Publisher: Islamic Foundation Bangladesh Agargao, Sher-E-Bangla Nagar, Dhaka 1207 Phone:+880 29115010 Fax: 880-2-9144235 E-mail: [email protected] You will need Adobe Reader to read the hadith book. You can download this free software from here http://get.adobe.com/reader/ http://www.quraneralo.com/bukhari/
-
Asalamu'alaikum সফর মাস ও আখেরী চাহার শোম্বা বিষয়ক বিদা’আত সফর মাসকে কেন্দ্র করে অনেক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা মুসলিম সমাজে প্রচলিত হয়েছে। এমনকি জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতেও এই মাসের 'ফজিলতের' কথা লেখা হয়। এগুলিকে আমরা তিন ভাগে বিভক্ত করতে পারি। প্রথমত, সফর মাসের ‘অশুভত্ব’ ও ‘বালা মুসীবত’ বিষয়ক, দ্বিতীয়ত সফর মাসের প্রথম তারিখ বা অন্য সময়ে বিশেষ সালাত, তৃতীয়ত, আখেরী চাহার শোম্বা বা সফর মাসের শেষ বুধবার বিষয়ক। সফর মাসের ‘অশুভত্ব’ ও ‘বালা মুসীবত’ কোন স্থান, সময়, বস্তু বা কর্মকে অশুভ, অযাত্রা, বা অমঙ্গলময় বলে মনে করা ইসলামী বিশ্বাসের ঘর পরিপন্থি একটি কুসংস্কার। আরবের মানুষরা জাহেলী যুগ থেকে ‘সফর’ মাসকে অশুভ ও বিপদআপদের মাস বলে বিশ্বাস করত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাদের এই কুসংস্কারের প্রতিবাদ করে বলেন, “...কোন অশুভ অযাত্রা নেই, কোন ভুত প্রেত বা অতৃপ্ত আত্মা নেই এবং সফর মাসের অশুভত্বের কোন অস্তিত্ব নেই।...” (বুখারী ৫/২১৫৯, ২১৬১, ২১৭১, ২১৭৭) অথচ এর পরেও মুসলিম সমাজে অনেকের মধ্যে পূর্ববর্তী যুগের এ সকল কুসংস্কার থেকে যায়। শুধু তাই নয়, এ সকল কুসংস্কারকে উস্কে দেওয়ার জন্য অনেক বানোয়াট কথা হাদিসের নামে বানিয়ে সমাজে প্রচার করেছে জালিয়াতগণ। তারা জালিয়াতি করে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নামে বলেছে, এই মাস বালা মুসিবতের মাস। এই মাসে এত লক্ষ এত হাজার...বালা নাযিল হয়। ...এই মাসেই আদম (আঃ) ফল খেয়েছিলেন। এমাসেই হাবীল নিহত হন। এ মাসেই নূহ (আঃ) এর কাওম ধ্বংস হয়। এ মাসেই ইব্রাহীম (আঃ) কে আগুনে ফেলা হয়। ...এ মাসের আগমনে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ব্যথিত হতেন। এই মাস চলে গেলে খুশী হতেন...। তিনি বলতেন, ‘যে ব্যক্তি আমাকে সফর মাস অতিক্রান্ত হওয়ার সুসংবাদ প্রদান করবে, আমি তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করার সুসংবাদ প্রদান করব।’...ইত্যাদি অনেক কথা তারা বানিয়েছে। আর অনেক সরলপ্রান বুজুর্গও তাদের এ সকল জালিয়াতি বিশ্বাস করে ফেলেছেন। মুহাদ্দিসগণ একমত যে, সফর মাসের অশুভত্ব ও বালা মুসীবত বিষয়ক সকল কথাই ভিত্তিহীন মিথ্যা। সফর মাসের ১ম রাতের সালাত উপরোক্ত মিথ্যা কথাগুলোর ভিত্তিতেই একটি ভিত্তিহীন ‘সালাতের’ উদ্ভাবন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কেউ যদি সফর মাসের ১ম রাত্রিতে মাগরিবের পরে ... বা ঈশার পরে... চার রাকআত সালাত আদায় করে, অমুক অমুক সূরা বা আয়াত এতবার পাঠ করে ... তবে সে বিপদ থেকে রক্ষা পাবে, এত পুরস্কার পাবে... ইত্যাদি। এগুলি সবই ভিত্তিহীন বানোয়াট কথা, যদিও অনেক সরলপ্রাণ আলেম ও বুজুর্গ এগুলি বিশ্বাস করেছেন বা তাদের বইয়ে ও ওয়াজে উল্লেখ করেছেন (যেমন খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়ার, রাহাতুল কুলুব- পৃষ্ঠা ১৩৮-১৩৯; মুফতি হাবীব ছামদানীর, বার চান্দের ফজীলত- পৃষ্ঠা ১৪)। সফর মাসের শেষ বুধবার বিভিন্ন জাল হাদীসে বলা হয়েছে, বুধবার অশুভ এবং যেকোনো মাসের শেষ বুধবার সবচেয়ে অশুভ দিন। আর সফর মাস যেহেতু অশুভ, সেহেতু সফর মাসের শেষ বুধবার বছরের সবচেয়ে অশুভ দিন এবং এই দিনে সবচেয়ে বেশী বালা মুসীবত নাযিল হয়। এই সব ভিত্তিহীন কথাবার্তা অনেক সরলপ্রাণ বুজুর্গ বিশ্বাস করেছেন। একজন লিখেছেন, “সফর মাসে এক লাখ বিশ হাজার ‘বালা’ নাজিল্ হয় এবং সবদিনের চেয়ে বেশী আখেরী চাহার শম্বা(সফর মাসের শেষ বুধবার) তে নাযিল হয় সবচেয়ে বেশী। সুতরাং ঐ দিনে যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত নিয়মে চার রাকআত নামাজ পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ঐ বালা হতে রক্ষা করবেন এবং পরবর্তী বছর পর্যন্ত তাঁকে হেফাজত রাখবেন...। (খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়ার, রাহাতিল কুলুব- পৃষ্ঠা ১৩৯)” এগুলি সবই ভিত্তিহীন কথা। তবা আমাদের দেশে বর্তমানে ‘আখেরী চাহার শোম্বা’-র প্রসিদ্ধি এই কারণে নয়, অন্য কারণে। প্রসিদ্ধ আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সফর মাসের শেষ দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি সফর মাসের শেষ বুধবারে কিছুটা সুস্থ হন এবং গোসল করেন। এরপর তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এই অসুস্থতাতেই তিনি পরের মাসে ইন্তেকাল করেন। এজন্য মুসলমানেরা এই দিনে তাঁর সর্বশেষ সুস্থতা ও গোসলের স্মৃতি উদযাপন করেন। এ বিষয়ে প্রচলিত কাহিনীর সারসংক্ষেপ প্রচলিত একটি পুস্তক থেকে উদ্ধৃত করা হলঃ “হজরত নবী করিম (সাঃ) দুনিয়া হইতে বিদায় নিবার পূর্ববর্তী সফর মাসের শেষ সপ্তাহে ভীষণভাবে রগে আক্রান্ত হইয়াছিলেন। অতঃপর তিনি এই মাসের শেষ বুধবার দিন সুস্থ হইয়া গোসল করতঃ কিছু খানা খাইয়া মসজিদে নববীতে হাজির হইয়া নামাজের ইমামতি করিয়াছিলেন। ইহাতে উপস্থিত সাহাবীগণ অত্যন্ত আনন্দিত হইয়াছিলেন। আর খুশীর কারণে অনেকে অনেক দান খয়রাত করিয়াছিলেন। বর্ণিত আছে হজরত আবু বকর (রাঃ) খুশীতে ৭ সহস্র দিনার এবং হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) ৫ সহস্র দিনার, হজরত ওসমান (রাঃ) ১০ সহস্র দিনার, হজরত আলী (রাঃ) ৩ সহস্র দিনার এবং হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ) ১০০ উট ও ১০০ ঘোড়া আল্লাহর ওয়াস্তে দান করিয়াছিলেন। তৎপর হইতে মুসলমানগণ সাহাবীগনের নীতি অনুসরণ ও অনুকরন করিয়া আসিতেছে। হজরত নবী করিম (সাঃ) এর আই দিনের গোসলই জীবনের শেষ গোসল ছিল। ইহার পর আর তিনি জীবিতকালে গোসল করেন নাই। তাই সকল মুসলমানের জন্য এই দিবসে ওজু গোসল করতঃ ইবাদত বন্দেগী করা উচিত এবং হজরত নবী করিম (সাঃ) এর প্রতি দুরুদ শরীফ পাঠ করতঃ সওয়াব রেছানী করা কর্তব্য... । (বার চান্দের ফজীলত- পৃষ্ঠা ১২)” উপরের এই কাহিনীটিই কমবেশি সমাজে প্রচলিত এ বিভিন্ন গ্রন্থে লেখা রয়েছে। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেও কোন সহীহ বা জয়ীফ হাদিসে এই ঘটনার কোনপ্রকার উল্লেখ পাইনি। হাদিস তো দুরের কথা, কোন ইতিহাস বা জীবনী গ্রন্থেও আমি এ ঘটনার কোন উল্লেখ পাইনি। ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়া অন্য কোন মুসলিম সমাজে ‘সফর মাসে শেষ বুধবার’ পালনের রেওয়াজ বা এই কাহিনী প্রচলিত আছে বলে আমার জানা নেই। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সর্বশেষ অসুস্থতা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সফর বা রবিউল আউয়াল মাসের কত তারিখ থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কত তারিখে ইন্তিকাল করেন সে বিষয়ে হাদীস শরীফে কোনরূপ উল্লেখ বা ইঙ্গিত নেই। অগনিত হাদিসে তাঁর অসুস্থতা, অসুস্থতাকালীন অবস্থা, কর্ম, উপদেশ, তাঁর ইন্তিকাল ইত্যাদির ঘটনা বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু কোথাও কোন ভাবে কোন দিন, তারিখ বা সময় বলা হয়নি। কবে তাঁর অসুস্থতা শুরু হয়, কতদিন অসুস্থ ছিলেন, কত তারিখে ইন্তেকাল করেন সে বিষয়ে কোন হাদীসেই কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ২য় হিজরী শতক থেকে তাবিয়ী ও তাবি-তাবিয়ী আলিমগন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনের ঘটনাবলী ঐতিহাসিক দিন তারিখ সহকারে সাজাতে চেষ্টা করেন। তখন থেকে মুসলিম আলিমগণ এ বিষয়ে বিভিন্ন মোট পেশ করেছেন। তাঁর অসুস্থতা সম্পর্কে অনেক মোট রয়েছে। কেউ বলেছেন সফর মাসের শেষ দিকে তাঁর অসুস্থতার শুরু। কেউ বলেছেন রবিউল আউওয়াল মাসের শুরু থেকে তাঁর অসুস্থতার শুরু। দ্বিতীয় হিজরী শতকের প্রখ্যাত তাবিয়ী ঐতিহাসিক ইবনু ইসহাক (১৫১হি/৭৬৮ খ্রি) বলেনঃ “রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যে অসুস্থতায় ইন্তিকাল করেন, সেই অসুস্থতার শুরু হয়েছিল সফর মাসের শেষ কয়েক রাত থাকতে, অথবা রবিউল আউয়াল মাসের শুরু থেকে। (ইবনু হিশাম, আস-সীরাহ আন- নববিয়্যাহ ৪/২৮৯)” কি বার থেকে তাঁর অসুস্থতার শুরু হয়েছিল, সে বিষয়েও মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন শনিবার, কেউ বলেছেন বুধবার এবং কেউ বলেছেন সোমবার তাঁর অসুস্থতার শুরু হয়। কয়দিনের অসুস্থতার পরে তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন, ১০ দিন, কেউ বলেছেন ১২ দিন, কেউ ১৩ দিন, কেউ বলেছেন ১৪ দিন অসুস্থ থাকার পর রাসুল (সাঃ) ইন্তিকাল করেন। তিনি কোন তারিখে ইন্তকাল করেছেন সে বিষয়েও মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছনে ১লা রবিউল আউয়াল, কেউ ২রা রবিউল আউয়াল, এবং কেউ বলেছেন ১২ই রবিউল আউয়াল তিনি ইন্তেকাল করেন। সর্বাবস্থায় কেউ কোনভাবে বলছেননা যে, অসুস্থতা শুরু হওয়ার পরে মাঝে কোনদিন তিনি সুস্থ হয়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থাতেই, ইন্তিকালের কয়েকদিন আগে তিনি গোসল করেছিলেন বলে সহীহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বুখারী সংকলিত হাদিসে আয়েশা (রাঃ) বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন আমার গৃহে প্রবেশ করলেন এবং তাঁর অসুস্থতা বৃদ্ধি পেল, তখন তিনি বললেন, তোমরা আমার উপরে ৭ মশক পানি ঢাল...; যেন আমি আরাম বোধ করে লোকদের নির্দেশনা দিতে পারি। তখন আমরা এভাবে তাঁর দেহে পানি ঢাললাম...। এরপর তিনি মানুষদের নিকট বেরিয়ে যেয়ে তাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন এবং তাদেরকে খুৎবা প্রদান করলেন বা ওয়াজ করলেন।” (সহীহ বুখারী ১/৮৩, ৪/১৬১৪, ৫/২১৬০) এখানে স্পষ্ট যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর অসুস্থতার মধ্যেই অসুস্থতা ও জ্বরের প্রকোপ কমানর জন্য এভাবে গোসল করেন, যেন কিছুটা আরাম বোধ করেন এবং মসজিদে যেয়ে সবাইকে প্রয়োজনীয় নসীহত করতে পারেন। এই গোসল করার ঘটনাটি কত তারিখে বা কি বারে ঘটেছিল তা হাদীসের কোন বর্ণনায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে আল্লামা ইবনু হাযার আসকালানী সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের অন্যান্য হাদীসের সাথে এই হাদীসের সমন্বয় করে উল্লেখ করেছেন যে, এই গোসলের ঘটনাটি ঘটেছিল ইন্তিকালের আগের বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ইন্তিকালের ৫ দিন আগে (ইবনু হাযার, ফাতহুল বারী ৮/১৪২)। ১২ই রবিউল আউয়াল ইন্তিকাল হলে তা ঘটেছিল ৮ই রবিউল আউয়াল। উপরের আলোচনা থেকে আমাদের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, সফর মাসের শেষ বুধবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুস্থ হওয়া, গোসল করা এবং এ জন্য সাহাবীগনের আনন্দিত হওয়া ও দান-সদকা করার এ সকল কাহিনীর কোনরূপ ভিত্তি নেই। আল্লাহই ভাল জানেন। যেহেতু মূল ঘটনাটিই প্রমানিত নয়, সেহেতু সেই ঘটনা উদযাপন করা বা পালন করার প্রশ্ন উঠে না। এরপরও আমাদের বুঝতে হবে যে, কোন আনন্দের বা দুঃখের ঘটনায় আনন্দিত ও দুঃখিত হওয়া এক কথা, আর প্রতি বছর সেই দিনে আনন্দ বা দুঃখ প্রকাশ করা বা ‘আনন্দ দিবস’ আ ‘শোক দিবস’ উদযাপন করা সম্পূর্ণ অন্য কথা। উভয়ের মধ্যে আসমান যমীনের পার্থক্য। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনে অনেক আনন্দের দিন আ মুহূর্ত এসেছে, যখন তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন, শুকরিয়া জ্ঞাপনের জন্য আল্লাহর দরবারে সাজদাবনত হয়েছেন। কোন কোন ঘটনায় তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবীগণও আনন্দিত হয়েছেন ও বিভিন্নভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু পরের বছর বা পরবর্তী কোন সময়ে সেই দিন বা মুহূর্তকে তারা বাৎসরিক ‘আনন্দ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করেননি। এজন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নির্দেশ বা সাহাবীদের কর্ম ছাড়া এইরূপ কোন দিন বা মুহূর্ত পালন করা বা এইগুলিতে বিশেষ ইবাদতকে বিশেষ সওয়াবের কারণ বলে মনে করার কোন সুযোগ নেই। আখেরী চাহার শোম্বা উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, সফর মাসের শেষ বুধবারের কোন প্রকার বিশেষত্ব হাদীস দ্বারা প্রমানিত নয়। এই দিনে ইবাদত, বন্দেগী, সালাত, সিয়াম, জিকির, দোয়া, দান, সদকা ইত্যাদি পালন করলে অন্য দিনের চেয়ে বেশী বা বিশেষ কোন সওয়াব বা বরকত লাভ করা যাবে বলে ধারনা করা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা। আল্লাহ আমাদের সকলকে সর্ব প্রকার বিদ'আত থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন! বিদাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এই লিংকে 'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'। প্রবন্ধটি পড়া হলে, নিচের লিংক থেকে Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করুন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪] http://www.quraneralo.com/akheri-chahar-shomba/
-
Asalamu'alaikum সীমান্তে ভারতীয় নিপীড়ণ এবং আমাদের আত্মসম্মানের সন্ধানে আরিফ জেবতিক জানুয়ারী ২২, ২০১২ ফেসবুক প্লাবিত করে শত শত মানুষ যখন বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিলেন, তখনও খবরটি আমি ঠিক বিশ্বাস করতে পারিনি। নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিডিনিউজের ওয়েব সাইটে চোখ রেখে এবং আরো কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের ওয়েব সংবাদ পড়ার পরে আমি কিছুটা আশ্বস্থ হতে পারছি যে আমাদের সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র এবং দেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সীমান্তে ‘যা হচ্ছে’ তা নিয়ে রাষ্ট্র ‘খুব বেশি চিন্তিত নয়’। তিনি আরো বলেছেন, ‘“প্রতিনিয়ত ঘটনাগুলো ঘটছে। এসব অতীতে ঘটেছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে।” ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ঘটনার ক্ষেত্রে ‘তিলকে তাল না করার’ পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। খবরটি পড়ে আমার খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করল যে এটি আসলে একটি ভুল খবর, সহকর্মী সাংবাদিকরা ঠিক মতো রিপোর্ট করতে পারেননি। কারণ যেদিন তিনি এই মন্তব্যটি করেছেন সেদিনই আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক হাবিলদার লুৎফরকে ২১ ঘন্টা বন্দি রেখে পিটিয়ে প্রায় আধমরা করে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের দিনেই যশোরের ধান্যখোলা সীমান্তে আরেক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এর ঠিক আগে আগে প্রকাশিত হয়েছে একটি মোবাইল ভিডিও চিত্র যেখানে দেখা গেছে বাংলাদেশী এক নাগরিককে উলঙ্গ করে পিটিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি করে ফেলছে একদল বিএসএফ। আমি বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে ভাবছি, এই সময়ে কীভাবে একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী বলতে পারেন যে, “প্রতিনিয়ত ঘটনাগুলো ঘটছে। এসব অতীতে ঘটেছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে।”দায়িত্বশীল নেতানেত্রীদের স্মরণ রাখা উচিত যে বাংলাদেশের নাগরিকদের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব, আগামীতে বাংলাদেশের আরো নাগরিক মারা যাবেন এমন ভবিষ্যতবাণী করা নয়। আমাদের শীর্ষস্থানীয় কিছু নেতা এবং আমলাদের বক্তব্য ও আচরণ দেখে মনে মনে বলি, বিচিত্র কী এই দেশের মানুষকে আমাদের প্রতিবেশী দেশ মানুষ হিসেবে গণ্য করছে না। যে রাষ্ট্রযন্ত্র তার নিজের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না বরং উদাসীন হয়ে উঠে, সে দেশের মানুষ এভাবে উলঙ্গ হয়ে প্রতিনিয়ত মার খাবে এবং সেই ছবি ইন্টারনেটে এবং টেলিভিশনে ভিড় করে বিশ্ববাসী দেখবে, এতে আর অবাক হওয়ার কী আছে। বিজ্ঞজন তর্ক করে বলতে পারেন যে, বিশেষ করে নির্যাতনের যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলোর বেশিরভাগই ঘটছে ভারতের অভ্যন্তরে, যেখানে বাংলাদেশের চোরাচালানকারীরা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। রোসো, বিষয়টি আরেকটু বুঝে নেই। পৃথিবীর কোন দুই দেশের সীমান্ত দেখানো যাবে যেখানে চোরাচালান হয় না? তেমন দেশ কি কোথাও আছে? মেক্সিকোর হাজার হাজার লোক যে উদ্ভাস্তু হয়ে প্রতি মুহুর্তে অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করতে চাচ্ছে, বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা কি তাদের উলঙ্গ করে পেটাচ্ছে নাকি প্রতিদিন গুলি করে একজন দুইজন মেরে ফেলছে? না, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সীমান্ত ছাড়া আর কোথাও এরকমটা হচ্ছে না। চোরাচালান বিরোধী আইন আছে, সেই আইনে গ্রেপ্তার করে চোরাচালানকারীদের শাস্তি দেয়া হোক, একটি সভ্য দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা প্রতিবাদ করতে যাব না। কিন্তু ভারতীয় বাহিনী সে পথে হাটছে না। তারা চোরাচালানের সব পথ উন্মুক্ত করে রেখেছে। দৈনিক কালের কণ্ঠ তাদের সরেজমিন প্রতিবেদনে দেখিয়েছে যে সীমান্তবর্তী ভারতীয় গ্রামগুলোতে প্রকাশ্যে চলছে ফেন্সিডিল তৈরির শত শত কারখানা। কালের কণ্ঠের সাংবাদিক নিজে সীমান্ত পার হয়ে সহজেই সেখানে গিয়ে অস্ত্র দরদাম করতে পেরেছেন, ছবি তুলে নিয়েও এসেছেন। তাকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে যে দামে দরে পুষলে সেই অস্ত্র তারা নিজেদের লোক দিয়ে বাংলাদেশে সরবরাহ করবেন। এটাই হচ্ছে বাস্তব অবস্থা। ভারত চোরাচালানকে উৎসাহিত করছে, এবং উস্কে দিচ্ছে। আর যখনই তারা চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে ঠিক মতো বখরা বুঝে পাচ্ছে না তখনই তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন করছে। এই নির্যাতন তারা করতে পারে না। আমাদের নেতানেত্রীরা যতই একে তিল মনে করুন না কেন, আমরা একে তাল হিসেবেই দেখি এবং দেখব। ভারতের এই নির্যাতনের সময় চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে আমাদের সরকার। তথাকথিত ‘কড়া প্রতিবাদ’ এর প্রেসবিজ্ঞপ্তি সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো ছাড়া তারা উল্লেখযোগ্য কিছু করেছে এরকমটা কখনোই দেখিনি। এই নিস্পৃহতা যে শুধু এই সরকারের সময় হচ্ছে এমন নয়, আগের সরকারগুলোর সময়ও কমবেশি হয়েছে। কিন্তু এই সরকারের মতো কেউ বিষয়গুলো নিয়ে ‘চিন্তিত নয়’ বলার মতো সৎসাহস দেখাতে পারেননি। আমাদের দেশের কারো কারো বক্তব্য তুলনা করলে দেখা যাবে যে সেগুলো তাদের ভারতীয় কাউন্টার পার্টের তুলনায় বেশি ‘ভারতীয়’। মনে হয় যেন ভারত যে কষ্ট করে এই সীমান্ত নির্যাতন ও খুন করতে বাধ্য হচ্ছে এতে করে আমরাই বেশি লজ্জিত। তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে কথা বলতে লজ্জিত হতে পারেন, কিন্তু দেশের ভেতরেই আমাদের অনেক কিশোর-কিশোরী এমনকি শিশুও যে বিএসএফ এর গুলির মুখে প্রাণ দিয়েছে, সে বিষয়গুলোতেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি। এ তো গেল কূটনৈতিক ব্যর্থতার কথা। এর বাইরেও কোনো সরকারই আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নাগরিকদের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। সীমান্তবর্তী মানুষ কেন চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ছে, সেটা খুজে দেখার কোনো চেষ্টা কখনোই নেই আমাদের। সীমান্তের এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির আয় বর্ধনের জন্য কোনো আলাদা কর্মসূচি নেওয়ার কথা কেউ চিন্তা করে না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় এসব এলাকায় অর্থনৈতিক তৎপরতা কম, সরকারের কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি সীমান্তবর্তী এলাকায় বরাদ্দ পায় কম কিংবা একেবারেই হয়তো যায় না- সব বিবেচনায় এই লোকগুলোকে একটি বড় অর্থনৈতিক কর্মসূচিতে নিয়ে আসার কোনো পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। এ বিষয়ে ভাবা খুব জরুরি। সরকার ‘চিন্তিত না’ বললে তো আমরা শুনব না। ভারতকে প্রশ্ন করা দূরে থাক, এমনকি সাধারণ নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তার কথাও না হয় আপাতত বাদ দিলাম, কিন্তু সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় তাদের নিজেদের লোকদেরই নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রঘুনাথপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিডিআরের দুই সদস্য নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার বিজিবির একজন হাবিলদারকে যখন ভারতীয় অনুপ্রেবশকারীরা ধরে নিয়ে গেল তখন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে এই বিজিবি সদস্য নাকি বাধ্য হয়ে বিএসএফ এর কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখন দাত ভাঙ্গা, মুখ ভাঙ্গা এই হাবিলদার ‘অতিথি’কে যখন ফেরত দিল ‘আশ্রয়দাতা’ বিজিবি, তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রতিক্রিয়া জানতে আগ্রহ হচ্ছে আমার। তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন? ‘চোরাচালানকারী’ পরিচয়ে যখন একজন বাংলাদেশী নাগরিক ভারতের মাটিতে নির্যাতিত কিংবা নিহত হয়, তখন সবার আগে জবাবদিহিতায় নিয়ে আসা উচিত ঐ এলাকার বিজিবি কমান্ডকে। একজন লোক বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে ভারতে যায় কীভাবে? এভাবে যদি অবাধে যাতায়াত করতেই পারে, তাহলে বিজিবি সদস্যদের কাজটা কী? তবে ভারত যে আমাদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেই যাচ্ছে দিনের পর দিন, বেপরোয়া নির্যাতন ও হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে আমাদের সীমান্তে-এর পেছনে বড় কারণ কিন্তু আমাদের নেতা কিংবা আমলারা নন, সীমান্তরক্ষী বাহিনী কিংবা আমাদের দেশের চোরাচালানকারী দরিদ্র মানুষও নন। এই পুরো ব্যাপারটির মূল মদতদাতা হচ্ছি আমরা-বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত মানুষেরা। আমরা দিনকে দিন এমন ভাবে ভারতীয় সেবাদাসে পরিণত হয়েছি বা আমাদেরকে এমন ভাবে পরিণত করা হচ্ছে, সব জেনে বুঝেও আমরা চুপ করে আছি। আমাদের দেশে এখন টেলিভিশন চ্যানেলের অভাব নেই, কিন্তু এমন মধ্যবিত্ত পরিবার খুব কম পাওয়া যাবে যেখানে রাতের বেলা হিন্দি কূটনামি সিরিয়ালগুলো দেখার জন্য আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়ি না। ভারতীয় মাসাককালি কাপড় ছাড়া রোজার ঈদ আর ভারতীয় গরু ছাড়া কোরবানির ঈদ হয় না যে দেশের মানুষের, সে দেশের নাগরিকদের আত্মসম্মানের পরিমাপ করতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এদেশের কিন্টারগার্ডেন গুলোতে ভারতীয় পাঠ্যপুস্তক পড়ানো বন্ধ করা যায় নি, ঘরে ঘরে চব্বিশঘন্টার হিন্দি কার্টুন চ্যানেলের কারণে বাচ্চারা এখন বাংলা থেকে হিন্দিতে কথা বলতেই বেশি সক্ষম হচ্ছে-এ রকম সাংস্কৃতিক পরিবর্তন গুলোকে আমরা সযতনে উপেক্ষা করে যাচ্ছি। এই হীনমন্যতার কারণেই দিনে দিনে আমরা তুচ্ছ থেকে তুচ্ছতর জাতি হিসেবে পরিচিত হচ্ছি বিশ্বব্যাপী। আজ আমাদের উলঙ্গ ভিডিও চিত্র বিশ্বে আমাদেরকে উপহাসের পাত্র করে তুলেছে। আমরা যত না শরীরে উলঙ্গ হচ্ছি, তার চাইতে বেশি উলঙ্গ হয়ে উঠেছি আমাদের মননে। আমাদের সংস্কৃতিতে ভারতীয় এই আগ্রাসন আমাদেরকে নির্জিব করে দিচ্ছে, এজন্যই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে ধরে নিয়ে গিয়ে ২১ ঘন্টা পরে আধমরা করে ফেরত দিলেও আমরা এর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানোকে জরুরি মনে করছি না। আমরা যদি আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের কাছ থেকে আমাদের সম্মানটুকু অর্জন করতে চাই, তাহলে সেটি করার এখনই সময়। আমরা ভারতকে জানিয়ে দিতে চাই যে সমান সম্মানে বন্ধুত্ব সম্ভব, এভাবে প্রতিদিন আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করে নয়। ইতিমধ্যে ব্লগে ব্লগে প্রতিরোধের আহ্বান এসেছে। বাংলা অনলাইন লেখক প্লাটফরম ‘সচলায়তন.কম জনপ্রিয় ব্লগার হিমুর বরাতে আহ্বান জানিয়েছেন, আগামী ১ মার্চ ভারতীয় পণ্যমুক্ত দিন হিসেবে পালন করতে। ঐ দিন যথাসম্ভব ভারতীয় পণ্য বর্জন করা হবে। সেটি বাজারের পণ্যই হোক কিংবা ঘরে থাকা টিভি চ্যানেলটিই হোক। তারপর থেকে যতবারই সীমান্তে হত্যাযজ্ঞ ঘটবে কিংবা আমার দেশের নাগরিক নির্যাতিত হবে, ততবারই ঘটনা প্রকাশের পরের দিন এই পণ্য বর্জন কর্মসূচি চলবে। আমি বাংলা ব্লগের এই প্রতীকি প্রতিরোধে সংহতি জানাচ্ছি। আগামী ১ মার্চের ভারতীয় পণ্য বর্জন কর্মসূচিতে ভারতের টনক নড়ুক কি না নড়ুক, আমরা যদি নিজেরা আত্মসচেতন হয়ে উঠি, সেটাও হবে অনেক বড় একটি পাওয়া। আরিফ জেবতিক: সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক। http://opinion.bdnews24.com/bangla/2012/01/22/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%A3-%E0%A6%8F/
-
Asalamu'alaikum "If you intend to speak a vain [useless] word, replace it with a tasbih [glorification of Allah]." ♥ - Abdullah Ibn Mubarak
-
Asalamu'alaikum Speak the truth even though it be bitter. ibn Hibban
-
পবিত্র কুরআনের বাংলা অনুবাদ
MUSLIM WOMAN replied to MUSLIM WOMAN's topic in বাংলা Quran In Bangla Language
وَلَوْ أَنَّهُمْ آمَنُواْ واتَّقَوْا لَمَثُوبَةٌ مِّنْ عِندِ اللَّه خَيْرٌ لَّوْ كَانُواْ يَعْلَمُونَ 103 যদি তারা ঈমান আনত এবং খোদাভীরু হত, তবে আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পেত। যদি তারা জানত। يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَقُولُواْ رَاعِنَا وَقُولُواْ انظُرْنَا وَاسْمَعُوا ْوَلِلكَافِرِينَ عَذَابٌ أَلِيمٌ 104 হে মুমিন গণ, তোমরা ‘রায়িনা’ বলো না-‘উনযুরনা’ বল এবং শুনতে থাক। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। مَّا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُواْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَلاَ الْمُشْرِكِينَ أَن يُنَزَّلَ عَلَيْكُم مِّنْ خَيْرٍ مِّن رَّبِّكُمْ وَاللّهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِ مَن يَشَاء وَاللّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ 105 আহলে-কিতাব ও মুশরিকদের মধ্যে যারা কাফের, তাদের মনঃপুত নয় যে, তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি কোন কল্যাণ অবতীর্ণ হোক। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিশেষ ভাবে স্বীয় অনুগ্রহ দান করেন। আল্লাহ মহান অনুগ্রহদাতা। مَا نَنسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِّنْهَا أَوْ مِثْلِهَا أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللّهَ عَلَىَ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ 106 আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান? -
Asalamu'alaikum "Do Not Love the ones who do not love ALLAH. If they can leave Allah, they can leave you!" ~Imam Ash Shafi'ee rahimahullah
-
"When you have to depart from this world and have to meet death (eventually) then why wish delay (why feel nervous) about death ..." Hazrat Ali [R.A]
-
Asalamu'alaikum ৩৫. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ বলেছেন, “যাকে আমার যিকির এভাবে মগ্ন রাখে যে, সে আমার কাছে তার কাম্যবস্তু চওয়ারও অবসর পায় না, সে আমার কাছে চাওয়ার আগেই আমি তাকে দিয়ে দেই।†এ হাদীসটি আবূ নুয়াঈ’ম হযরত হুযাইফা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন। ৩৬. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সেই পবিত্র সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার জীবন। নিশ্চয়ই মহান ও প্রতাপশালী আল্লাহ্ বেহেশতের কোন কোন গাছকে প্রত্যাদেশ করবেন, “আমার যে সকল বান্দা আমার যিকিরের জন্য গান-বাজনা শোনা থেকে নিবৃত রয়েছে তাদেরকে তুমি সুমিষ্ট সূর পরিবেশন কর।†তারা তখন তসবীহ ও পবিত্রতা বর্ণনার বিনিময়ে (অর্থাৎ যিকিরের পুরস্কার হিসাবে) এরূপ সুমিষ্ট সূর শুনতে পাবে ইতিপূর্বে যার অনুরূপ সূর কোন সৃষ্টি জীব শুনেনি।†দায়লামী এ হাদীসটি আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
-
Asalamu'alaikum 'Oh son of Adam, sell this World for the hereafter and you win both, sell the hereafter for this World and you lose both." ~Hassan Al-Basree.
-
পবিত্র কুরআনের বাংলা অনুবাদ
MUSLIM WOMAN replied to MUSLIM WOMAN's topic in বাংলা Quran In Bangla Language
أَوَكُلَّمَا عَاهَدُواْ عَهْداً نَّبَذَهُ فَرِيقٌ مِّنْهُم بَلْ أَكْثَرُهُمْ لاَ يُؤْمِنُونَ 100 কি আশ্চর্য, যখন তারা কোন অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়, তখন তাদের একদল তা ছুঁড়ে ফেলে, বরং অধিকাংশই বিশ্বাস করে না। وَلَمَّا جَاءهُمْ رَسُولٌ مِّنْ عِندِ اللّهِ مُصَدِّقٌ لِّمَا مَعَهُمْ نَبَذَ فَرِيقٌ مِّنَ الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ كِتَابَ اللّهِ وَرَاء ظُهُورِهِمْ كَأَنَّهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ 101 যখন তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রসূল আগমন করলেন-যিনি ঐ কিতাবের সত্যায়ন করেন, যা তাদের কাছে রয়েছে, তখন আহলে কেতাবদের একদল আল্লাহর গ্রন্থকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করল-যেন তারা জানেই না। وَاتَّبَعُواْ مَا تَتْلُواْ الشَّيَاطِينُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَـكِنَّ الشَّيْاطِينَ كَفَرُواْ يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُولاَ إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلاَ تَكْفُرْ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ وَمَا هُم بِضَآرِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ بِإِذْنِ اللّهِ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلاَ يَنفَعُهُمْ وَلَقَدْ عَلِمُواْ لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الآخِرَةِ مِنْ خَلاَقٍ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْاْ بِهِ أَنفُسَهُمْ لَوْ كَانُواْ يَعْلَمُونَ 102 তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যদ্দ্বারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা আত্নবিক্রয় করেছে, তা খুবই মন্দ যদি তারা জানত। -
পবিত্র কুরআনের বাংলা অনুবাদ
MUSLIM WOMAN replied to MUSLIM WOMAN's topic in বাংলা Quran In Bangla Language
Asalamu'alaikum قُلْ إِن كَانَتْ لَكُمُ الدَّارُ الآَخِرَةُ عِندَ اللّهِ خَالِصَةً مِّن دُونِ النَّاسِ فَتَمَنَّوُاْ الْمَوْتَ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ 94 বলে দিন, যদি আখেরাতের বাসস্থান আল্লাহর কাছে একমাত্র তোমাদের জন্যই বরাদ্দ হয়ে থাকে-অন্য লোকদের বাদ দিয়ে, তবে মৃত্যু কামনা কর, যদি সত্যবাদী হয়ে থাক। وَلَن يَتَمَنَّوْهُ أَبَدًا بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ وَاللّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمينَ 95 কস্মিনকালেও তারা মৃত্যু কামনা করবে না ঐসব গোনাহর কারণে, যা তাদের হাত পাঠিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ গোনাহগারদের সম্পর্কে সম্যক অবগত রয়েছেন। وَلَتَجِدَنَّهُمْ أَحْرَصَ النَّاسِ عَلَى حَيَاةٍ وَمِنَ الَّذِينَ أَشْرَكُواْ يَوَدُّ أَحَدُهُمْ لَوْ يُعَمَّرُ أَلْفَ سَنَةٍ وَمَا هُوَ بِمُزَحْزِحِهِ مِنَ الْعَذَابِ أَن يُعَمَّرَ وَاللّهُ بَصِيرٌ بِمَا يَعْمَلُونَ 96 আপনি তাদেরকে জীবনের প্রতি সবার চাইতে, এমনকি মুশরিকদের চাইতেও অধিক লোভী দেখবেন। তাদের প্রত্যেকে কামনা করে, যেন হাজার বছর আয়ু পায়। অথচ এরূপ আয়ু প্রাপ্তি তাদেরকে শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারবে না। আল্লাহ দেখেন যা কিছু তারা করে। قُلْ مَن كَانَ عَدُوًّا لِّجِبْرِيلَ فَإِنَّهُ نَزَّلَهُ عَلَى قَلْبِكَ بِإِذْنِ اللّهِ مُصَدِّقاً لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُدًى وَبُشْرَى لِلْمُؤْمِنِينَ 97 আপনি বলে দিন, যে কেউ জিবরাঈলের শত্রু হয়-যেহেতু তিনি আল্লাহর আদেশে এ কালাম আপনার অন্তরে নাযিল করেছেন, যা সত্যায়নকারী তাদের সম্মুখস্থ কালামের এবং মুমিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা। مَن كَانَ عَدُوًّا لِّلّهِ وَمَلآئِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَجِبْرِيلَ وَمِيكَالَ فَإِنَّ اللّهَ عَدُوٌّ لِّلْكَافِرِينَ 98 যে ব্যক্তি আল্লাহ তাঁর ফেরেশতা ও রসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চিতই আল্লাহ সেসব কাফেরের শত্রু। وَلَقَدْ أَنزَلْنَآ إِلَيْكَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ وَمَا يَكْفُرُ بِهَا إِلاَّ الْفَاسِقُونَ 99 আমি আপনার প্রতি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ অবতীর্ণ করেছি। অবাধ্যরা ব্যতীত কেউ এগুলো অস্বীকার করে না। -
Asalamu'alaikum Ibn Abbas (radi Allaahu 'anhu) once said, "I like to beautify myself for my wife as much as I like her to beautify herself for me." ♥ :)
-
Asalamu'alaikum "The sweetness of this life is found in remembering Allah; the sweetness of the next life will be found in seeing Him." - Yasir Qadhi
-
Asalamu'alaikum Imam shafi'ee said : "Whoever claims to have gathered in his heart the love of this dunya and the love of its Creator, has indeed lied".
-
Asalamu'alaikum "Sit with those who love Allah, for that enlightens the mind." - Umar Ibn Al-Khattab
-
Asalamu'alaikum “If the heart is sick, the forbidden becomes attractive and obedience of God becomes something you look at with contempt.” — Ibn al Qayyim
-
Asalamu'alaikum
-
Asalamu'alaikum জুম’আর নামাজের ফযীলত লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম জুম’আর নামাজের ফযীলত ও তা আদায়কারীদের জন্য ঘোষিত পুরষ্কার- ১। কুরবানী করার সমান সওয়াব অর্জিত হয়ঃ দিনে আগে ভাগে মসজিদে গেলে দান-খয়রাত বা পশু কুরবানী করার সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদীসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যাক্তি জু’আর দিন ফরজ গোসলের মত গোসল করে প্রথম দিকে মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কুরবানী করল, দ্বিতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কুরবানী করল, তৃতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কুরবানী করল। অতঃপর চতুর্থ সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। আর পঞ্চম সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। অতঃপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুৎবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যায়।” (বুখারীঃ ৮৮১, ইফা ৮৩৭, আধুনিক ৮৩০) ২। মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে ফেরেশতারা অগ্রগামীদের নাম তালিকাভুক্ত করেনঃ জুম’আর সালাতে কারা অগ্রগামী, ফেরেশতারা এর তালিকা তৈরি করে থাকেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “জুম’আর দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতা এসে হাজির হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা সর্বাগ্রে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকে। প্রথম ভাগে যারা মসজিদে ঢুকেন তাদের জন্য উট, দ্বিতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য গরু, তৃতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য ছাগল, চতুর্থবারে যারা আসেন তাদের জন্য মুরগী, ও সর্বশেষ পঞ্চমবারে যারা আগমন করেন তাদের জন্য ডিম কুরবানী বা দান করার সমান সওাব্ব লিখে থাকেন। আর যখন ইমাম খুৎবা দেওয়ার জন্য মিম্বরে উঠে পড়েন ফেরেশতারা তাদের এ খাতা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যান।” (বুখারী ৯২৯, ইফা ৮৮২, আধুনিক ৮৭৬) ৩। দশ দিনের গুনাহ মাফ হয়ঃ জুম’আর দিনের আদব যারা রক্ষা করে তাদের দশ দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যাক্তি ভালভাবে পবিত্র হল অতঃপর মসজিদে এলো, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শুনতে চুপচাপ বসে রইল, তার জন্য দুই জুম’আর মধ্যবর্তী এ সাত দিনের সাথে আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। পক্ষান্তরে খুৎবার সময় যে ব্যক্তি পাথর, নুড়িকণা বা অন্য কিছু নাড়াচাড়া করল সে যেন অনর্থক কাজ করল।’ (মুসলিমঃ ৮৫৭) ৪। জুম’আর আদব রক্ষাকারীর দশ দিনের গুনাহ মুছে যায়ঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “জুম’আর সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়। (ক) এক ধরনের লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না। (খ) দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুম’আয় হাজির হয় সেখানে দু’আ মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না। (গ) তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুম’আয় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই জুম’আর মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।” (আবু দাউদঃ ১১১৩) ৫। প্রতি পদক্ষেপে এক বছরের নফল রোজা ও এক বছরের সারারাত তাহাজ্জুদ পড়ার সওয়াব অর্জিত হয়ঃ যে ব্যাক্তি আদব রক্ষা করে জুম’আর সালাত আদায় করে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার জন্য পুরো এক বছরের রোজা পালন এবং রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়ার সওয়াব লিখা হয়। আউস বিন আউস আস সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “জুমা’আর দিন যে ব্যাক্তি গোসল করায় (অর্থাৎ সহবাস করে, ফলে স্ত্রী ফরজ গোসল করে এবং) নিজেও ফরজ গোসল করে, পূর্বাহ্ণে মসজিদে আগমন করে এবং নিজেও প্রথম ভাগে মসজিদে গমন করে, পায়ে হেঁটে মসজিদে যায় (অর্থাৎ কোন কিছুতে আরোহণ করে নয়), ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কোন কিছু নিয়ে খেল তামাশা করে না; সে ব্যাক্তির প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য রয়েছে বছরব্যাপী রোজা পালন ও সারা বছর রাত জেগে ইবাদত করার সমতুল্য সওয়াব।” (মুসনাদে আহমাদঃ ৬৯৫৪, ১৬২১৮) ৬। দুই জুম’আর মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারাঃ জুম’আর সালাত জুম’আ আদায়কারীদের জন্য দুই জুম’আর মধ্যবর্তী গুনাহের কাফফারা স্বরূপ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “পাঁচ বেলা সালাত আদায়, এক জুম’আ থেকে পরবর্তী জুম’আ, এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে যাওয়া সকল (সগীরা) গুনাহের কাফফারা স্বরূপ, এই শর্তে যে, বান্দা কবীরা গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে।” (মুসলিমঃ ২৩৩) সূত্রঃ বই-প্রশ্নোত্তরে জুমু’আ ও খুৎবা পরিমার্জনেঃ ডঃ মোহাম্মদ মনজুরে ইলাহী, ডঃ আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া মজুমদার, ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। QuranerAlo.com
-
Asalamu'alaikum l Fudail Ibn 'Iyaad said; Do not feel lonely on _the paths of guidance just because few people travel them_, and do not be deceived by the abundance of destroyed travelers [on the paths of misguidance]. [The Book of Manners by Fu'ad Ibn 'Abdul-'Azeez Ash-Shulhoob, Page 31]
-
Asalamu'alaikum হে আদম সন্তান কি আশ্চর্য কথা: তুমি যখন জম্ম গ্রহণ কর তখন তোমার কানে আযান দেয়া হয়, কিন্তু সালাত হয় না। তুমি যখন মৃত্যু বরণ কর, তখন সালাত (জানাযা) আদায় করা হয় কিন্তু আযান দেয়া হয় না। হে আদম সন্তান কি আশ্চর্য কথা: যখন তুমি মাতৃগর্ভ থেকে বের হও, জাননা কে তোমাকে বের করেছে। যখন তোমার মৃত্যু হয়, তুমি জান না কে তোমাকে কবরে রেখেছে। হে আদম সন্তান কি আশ্চর্য কথা: যখন তুমি জম্ম গ্রহণ কর, তোমাকে গোসল করানো হয় পরিস্কার করানো হয়। যখন তুমি মৃত্যু বরণ কর, তোমাকে গোসল দেয়া হয় পরিচ্ছন্ন করা হয়। হে আদম সন্তান কি আশ্চর্য কথা: তুমি যখন জম্ম গ্রহণ কর, তুমি জান না কে খুশি হয়েছে এবং কে তোমাকে স্বাগত জানিয়েছে। তুমি যখন মৃত্যু বরণ কর, জাননা কে তোমার জন্যে কেঁদেছে এবং তোমার বিদায়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে। হে আদম সন্তান কি আশ্চর্য কথা: যখন তুমি মাতৃগর্ভে ছিলে, সংকীর্ণ ও অন্ধকার স্থানে ছিলে, যখন তোমাকে কবরে রাখা হবে, সংকীর্ণ ও অন্ধকার স্থানেই রাখা হবে। হে আদম সন্তান কি আশ্চর্য কথা: তুমি যখন জম্ম গ্রহণ করেছ, তোমাকে একটি কাপড়ে জড়িয়ে ঢাকা হয়েছে। তুমি যখন মৃত্যু বরণ করবে, তোমাকে একটি কাপড়ে জড়িয়ে ঢেকে রাখা হবে। হে আদম সন্তান কি আশ্চর্য কথা: জন্ম লাভ করে বড় হলে লোকেরা তোমার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রশ্ন করে। তোমাকে যখন কবরে রাখা হবে ফেরেশতা তোমার আমল সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন। অতএব কি প্রস্তুতি নিয়েছ তোমার জীবনের শেষ দিন মৃত্যুর জন্যে? আবদুল্লাহ আল কাফী http://www.quraneralo.com/son-of-adam/
-
Asalamu'alaikum রাসূল (সাঃ) এর কোন সুন্নাহের প্রতি ঠাট্টা বিদ্রুপের বিধান প্রশ্ন: দাঁড়ি, টাখনুর উপর কাপড় পরিধান এবং অন্যান্য সুন্নাহের প্রতি ঠাট্টা বিদ্রুপের বিধান কি? যখন কাউকে উপরোক্ত সুন্নাহের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় তখন যারা বলে ‘আমাদের মন তো পরিষ্কার, এসবের দরকার কি?’ তাদের ক্ষেত্রেও বা কি বিধান ? উত্তরঃ দাঁড়ি, এমন কোন কাপড় পরিধান যার দৈর্ঘ্য রাসূল (সাঃ) এর সুন্নাহ অনুসারে ছোট (যেমনঃ টাখনুর উপর কাপড় পরিধান ) ইত্যাদি নিয়ে হাসি-তামাশাকারী একজন কাফির যদি তিনি এটা জেনে থাকেন যে, এটা আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কর্তৃক সাব্যস্ত সুন্নাহ। কেননা, এর দ্বারা সে পক্ষান্তরে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর কথা এবং কাজকে নিয়ে তামাশা করছে। সে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর বিরোধিতা করছে এবং তাঁর সুন্নাহ নিয়ে ঠাট্টা করছে এবং যে ব্যক্তি রাসূল (সাঃ) এর সুন্নাহের তামাশা করছে এবং জেনে বুঝে বিদ্রুপে লিপ্ত হচ্ছে সে আর মুসলিম থাকে না। আল্লাহ বলেন: "আর যদি তুমি তাদের কাছে জিজ্ঞেস কর, তবে তারা বলবে, আমরা তো কথার কথা বলছিলাম এবং কৌতুক করছিলাম। আপনি বলুন,তোমরা কি আল্লাহর সাথে,তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না,তোমরা যে কাফের হয়ে গেছ ঈমান প্রকাশ করার পর। তোমাদের মধ্যে কোন কোন লোককে যদি আমি ক্ষমা করে দেইও,তবে অবশ্য কিছু লোককে আযাবও দেব। কারণ,তারা ছিল গোনাহগার।" [সূরা আত তাওবাহ: ৬৫-৬৬] যদি কোন ব্যক্তিকে আল্লাহর রাসূলের কোন সুন্নাহ মানার জন্য বলা হয় এবং সে যদি বলে ,’আমার মন তো পরিষ্কার,এসবের দরকার কি?’ এবং সে শরীয়াহ অমান্য করে তবে সে শয়তান মিথ্যাবাদী। কেননা, বিশ্বাস কথা ও কর্ম- এ দুই এর সমষ্টি। এই ধরনের আকীদা পোষণ বিদাআতে লিপ্ত মুর্জিয়া সম্প্রদায়ের অনুরূপ যারা বিশ্বাসকে কেবল অন্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে এবং বাহ্যিক আমলকে অস্বীকার করেছে। অপরদিকে, অন্তর যদি বিশ্বাস দ্বারা পূর্ণ থাকে তবে তার অবশ্যই বাহ্যিক প্রকাশ ঘটবে। রাসূল (সাঃ) বলেন: ‘’নিশ্চয়ই শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে; যখন তা ঠিক থাকে তখন সমস্ত শরীর ঠিক থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায়, তখন গোটা দেহই নষ্ট হয়ে যায়। আর তা হচ্ছে হৃৎপিণ্ড (দিল,হার্ট, হৃদয় বা অন্তঃকরণ)। ‘’ (বুখারী হাদিস নং ৫২ ও মুসলিম হাদিস নং ১৫৯৯) তিনি আরোও বলেন: ‘’মহান আল্লাহ তোমাদের শরীর ও চেহারার প্রতি তাকাবেন না। বরং তোমাদের মনের ও কর্মের প্রতি তাকাবেন।‘’ (মুসলিম হাদিস নং ২৫৬৪) অতএব, সত্যের অনুসরণ এবং ইসলামের আদেশ-নিষেধ মানতে অস্বীকার করা ঈমানহীনতার বহিঃপ্রকাশ যার মাধ্যমে তারা ইসলামের পথে আহবানকারীদের বাধা দেয়। [islam-qa.com ত্থেকে অনুবাদকৃত]http://www.quraneralo.com/fun-about-sunnah/
-
Asalamu'alaikum Son of Adam! You are nothing but a number of days, whenever each day passes then part of you has Gone. {Al-Hasan Al-Basree}
-
আবু গারিব কারাগার থেকে এক ধর্ষিতার চিঠি! পড়লেই থমকে দাঁড়াবেন
MUSLIM WOMAN posted a topic in Bangla
Asalamu'alaikum আবু গারিব কারাগার থেকে এক ধর্ষিতার চিঠি!! পড়লেই থমকে দাঁড়াবেন আমার ভেতর থেকে প্রচন্ড তাগিদ না পেলে আমি লিখতে বসিনা। ওটা আমার কাজও না। ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতেও আমার আপত্তি নেই যতটা আপত্তি এই লিখার ক্ষেত্রে। এই লিখা যখন লিখছি তখন প্রচন্ড রাগে আমার গা জ্বলছে। আমি এত ভূমিকা না করে সরাসরি আসল কথায় আসি। স্পা না করলে কি মেয়েরা মরে যাবে? বাঙ্গালী মেয়ারা যথেষ্ঠ রূপবতী। এই রূপ গত কয়েক বছরে ধুম করে জেগে ওঠেনি। তারা আগেও রূপবতী ছিল এখনো আছে। আমি জানিনা যে স্পা তে এমন কি আছে যে তার রূপে এমন বিশেষ কিছু অ্যাড করবে যা না থাকলে তার জীবন চলবেনা? যার কারনে অন্য একজন মানুষের সামনে আধা নগ্ন হয়ে body message করাতে হবে। লজ্জা শরমের মাথা কি কাঁচাই খেয়ে ফেলছি আমরা? আমাদের মায়েরা ,দাদীরা,নানীরা তো কোনদিন এইসব করেনি। তাতে কি আমাদের বাবারা, নানারা,দাদারা তাদের ছেড়ে চলে গেছে? না তাদের বিয়ে হয়নি? কি ক্ষতি হয়েছে তাদের যারা নিজেদের অন্যের সামনে কাপড় খুলে শরীর মর্দন করান নি? আমি নিজে মেয়ে মানুষ। আমি খুব ভাল করেই জানি মেয়েরা এত সাজ গোজ কেন করে। খুবই সিম্পল উত্তর। মানুষ তাদের দিকে তাকাবে , প্রশংসা করবে। কার না ভাল লাগে প্রশংসা শুনতে! আমারো ভাল লাগে।কিন্তু আপারা দুনিয়ায় খালি আমরা মেয়েরাই নাই। আমাদের ভাইরাও আছে। সৃষ্টিগতভাবে যারা আপনাদের উপর এবং আপনারা তাদের উপর দূর্বল। কিন্তু এইটা ভাইদের ক্ষেত্রে একটু না অনেক বেশি। এই কথাগুলা বলতে আমার খুবই খারাপ লাগে। অনেক বেশি লজ্জা লাগে এই জন্য যে এত ব্যাখ্যা করে আমার বোনদেরকে এসব আমার বলতে হয়। আমি বাংলায় এসব লিখতে পারবনা। Most of the man gets sexually aroused when--- আপনি টাইট ফিটিং কাপড় পরেন। আপনি ওড়না পরেন না/ গলায় ঝুলায় রাখেন/ একপাশে ঝুলায় রাখেন। আপনি যখন অর্ধস্বচ্ছ কাপড় পরেন। আপনার পেট/পা/পীঠ যখন দেখা যায়। আপনি যখন ঠোঁট রাঙ্গান। আপনি যখন চোখে স্মোকি সাজ পরেন। আরও শত শত কারন থাকতে পারে। কি ? মনে হচ্ছে যে ছিঃ ছিঃ ছেলেরা এত খারাপ! তাইনা? The fact is that they are CREATED like this. Do you understand my dear sisters? THEY ARE CREATED BY ALLAAH LIKE THIS. শুধু আল্লাহ্র ভয়/সমাজের ভয়/ ভালত্ব/ সুস্থ বিবেক আছে দেখেই এখনো কোন ভাই এই ধরণের আপাদের রাস্তায় ধরে কষে কষে কয়েকটা চড় বসান নি।[আল’হামদুলিল্লাহ। এই বিপদ আমার উপর আসার আগেই আল্লাহ্ আমাকে রক্ষা করেছেন।একবার কি হল, তখনো আমি ঠিকমত হিজাব করিনা, মাথায় একটু আধটু কাপড় দেই। একদিন প্রচন্ড গরমের মধ্যে ক্লাসে গেছি। মাথায় কাপড় দেইনি। আমাদের সাথে সিনিয়র অফিসাররাও ক্লাস করতেন। এঁদের মধ্যে একজন ভাই পুরো ক্লাসের মধ্যে আমাকে এমন ঝাড়ি দিলেন! টিচার ছিল, সব স্টুডেন্ট ছিল। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, ক্লাস থেকে বের হয়ে গেছি। অনেক কান্নাকাটি করেছি। ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন, "The Jews know our scriptures better than us, but they do not follow.[inspite of knowing about hijab you don't wear it properly,so] Do you think you are better than that Jew?" এই একটা কথা আমার ভেতরটা কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আমি বলেছিলাম হিজাব পরলে আমার কষ্ট হয়, দম বন্ধ হয়ে যায়, এ সি রুমেও ঘামতে থাকি। উনি বললেন, " Did you ask Allaah to help you with this?" আসলেই তো, যার জন্যে হিজাব করছি তাঁর কাছেই তো সাহায্য চাইনি। আমি আর কোন উত্তর দিতে পারিনি ভাইয়াকে। উনি ঠিক কথাই বলেছিলেন আমাকে। হয়ত রুক্ষভাবে বলেছেন,কিন্তু ওই সময় আমার জন্য ওগুলো থাপ্পড়ের কাজ করেছে, আল'হামদুলিল্লাহ এখন তীব্র গরমেও মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখলেও আমার কোন অসুবিধা হয় না। আমি গরম লাগার দোহাই দিই। কিন্তু ওইদিন কি হবে যেদিন সূর্য মাথার এক হাত উপরে থাকবে। আল্লাহ্ মাফ করুন। ] আপারা,আরো কয়েকটা uncensored কথা বলি। এটা জানেন তো যে মানুষ(অধিকাংশ) খুব সহজেই বোর হয়ে যায় আর নতুন কিছু খুঁজতে থাকে যা তাকে আনন্দ দেবে। পশিমাদের মধ্যে হোমসেক্সুলালিটি এত বেশি এর কারন নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন? কেন যেখানে চাইলেই মানুষ আপনার বিছানায় আসতে রাজী সেখানে কেন মেয়ে মেয়ের সাথে ছেলে ছেলের সাথে যেতে চায়? এরা নারী দেহ দেখতে দেখতে ক্লান্ত। এদের রূচি আস্তে আস্তে বিকৃত হয়ে গেছে। এখন তারা নিজেদের মধ্যে থেকেই সংগী খোঁজে। আল্লাহ্ মাফ করুন। হেদায়েত দিন। আপারা, আমার লেখা এলোমেলো হচ্ছে আমি জানি। রেগে আছি তো তাই। একটা কথা বলি শোনেন। আপনি মানুষকে যা দেখাবেন তা দেখেই তারা আপনার মূল্যায়ন করবে। মানুষের শরীরের সৌন্দর্য এক সময় শেষ হয়ে যায়। তাই আজকে যারা আপনাকে বলছে, তোকে তো দারুন লাগছে/ আপনার ফেসবুকের ছবিতে প্রশংসার পর প্রশংসা করে যাচ্ছে...... ।।আর এই সব দেখে আপনি খুশিতে ডগমগ করেন।।আজ থেকে ২০ বছর পরের কথা চিন্তা করেন...এই ছেলেরা তখন ৩৮/৪০ ।তখন আপনার প্রশংসা করবেনা। তারা কিন্তু ঠিকই ১৬-২৫ দেরকেই খুঁজবে। কিন্তু আপারা, একটা কথা জানেন? মনের সৌন্দর্য শেষ হয় না। মন জরাগ্রস্ত হয়না। একটা সুন্দর মন, শালীন দেহ সর্ব কালে সর্ব যুগে প্রশংসিত। আজকের বোরকা পরা মেয়েকে দেখলে যেমন আপনার যারা প্রশংসা করে সেই ছেলেরাও মাথা নামিয়ে নেয়,আমার দাড়ি টুপি ওয়ালা ভাইরাও নামিয়ে নেয়। আজ থেকে ২০ বছর পর দেখলেও তারা দৃষ্টি নামিয়ে নিবে, ইনশা’আল্লাহ। আমার এই বোনেরা আজকেই সম্মানিত। কালকেও থাকবে ইনশাআল্লাহ্। আর আপনাদের কি হবে? আজকে আপনারা যাদের চোখ জুড়াচ্ছেন কাল তারা আপনার দিকে তাকাবেই না। আর সম্মান??? সেটা আজকেও কেউ আপনাদের করেনা, ভবিষ্যতে করবে কি আল্লাহ্ ভাল জানেন। আপারা, চাকরানী চেনেন??? দাসী চেনেন??? আপনার হলেন পুরুষদের চাকরানী নয়তো মেকাপের দাসী। ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নিয়ে এত সাজ গোজ যে করেন...পরে তো সেগুলো তত কষ্ট করেই ঘষে ঘষে তুলে ফেলতে হয়। কি লাভ এই কৃত্তিমতার? এই যে একেকজন ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং , ভার্সিটিতে পড়ছেন অথচ নিরেট মূর্খের মত আচরণ কেন করছেন? আপনার এত এত বিদ্যা আপনাকে কেন রঙ চঙ্গের আশ্রয় নেয়া থেকে বাঁচাতে পারেনা??? কেন অফিসে/অফিসিয়াল কনফারেন্স/কনভোকেশন/নবীন বরণ/ ফেয়ারওয়েলে যাবার আগে আপনার নিজের চেহারায় এত ঘষা মাজা করতে হয়? এসব যায়গার তো আপনি আপনার লেখাপড়ার কল্যানেই যাচ্ছেন তাই না? তাহলে কেন সব কিছু ছাপিয়ে আপনার সাজ গোজ সেখানে প্রাধান্য পাবে??? কি করলেন এত লেখাপড়া করে যা আপনার মানসিকতাকে বদলাতে পারেনি? দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়েও কেন আপনাকে ছোট ছোট কাপড়, কিছু রঙ চঙ্গের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। বলতে পারেন? আপারা বলেন তো দেখি আপনার এক মাসের পার্লারের খরচ দিয়ে কয়জন ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ানো যায়? আচ্ছা ধরলাম চালের কেজি ৫০ টাকা। ২০০০ টাকা হলে এক মণ চাল হয়। একটা ছোট পরিবারের ১৫-২০ দিনের খাবার ব্যবস্থা হয়ে যায়। কোনদিন ৫০০ টাকা খরচ করে ১০ কেজি চাল কিনে কোন দরিদ্র মানুষকে দেয়ার কথা ভেবেছেন কখনো? অথচ আপনার পা ঘষে দিলেই আপনি ৫০০ টাকা পার্লারে দিয়ে আসেন। কি আশচর্য! আপনি যখন পা দলাই মলাই করে নিচ্ছে তখন কোথাও কোন সনাবরু না খেতে পেয়ে গলায় দড়ি দিচ্ছে। আপনি যখন সেজে গুজে বন্ধু বান্ধবের সাথে নবীন বরণ বা ফেয়ারওয়েল এ নাচানাচি করছেন তখন আপনার বোন আফিয়া সিদ্দিকা/ফাতিমেকে প্রতি রাতে ১০ জন মার্কিন সৈন্য ধর্ষন করছে।RAPE. কখনো এদের জন্য আপনার চোখে পানি এসেছে? একবার চিন্তা করুন তো, আপনাকে বানরের মত খঁচায় রাখা হয়েছে যেখানে আপনি সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারেন না, আপনার গায়ে কাপড় পর্যন্ত রাখা হয় নি, আপনার সামনে আপনার দুই সন্তানকে জবাই করা হয়েছে,আপনার একটা একটা করে চুল টেনে টেনে উপড়ে ফেলা হয়েছে, আপনার পেটে গুলি করা হয়েছে, ইলেক্ট্রিক শক দেয়া হয়েছে, তার সাথে সাথে যখন তখন আপনাকে ধর্ষন করা হচ্ছে। কি ...বেশি বলে ফেললাম??? __________________________________________________________ [ফাতিমার চিঠি।][কপি পেষ্ট করলাম] একটি হাতে লেখা দলিল সম্প্রতি ইরাকের আবু গারীব কারাগার থেকে উদ্ধার হয়। ফাতেমা ঐ এলাকার একজন খ্যাতিমান মুজাহিদের বোন। আমেরিকান সৈন্যরা কিছুদিন পূর্বে ঐ মুজাহিদের বাড়িতে হটাত হামলা চালায়। কিন্তু তাকে পায় না। তারা তার বোনকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় যেন ঐ মুজাহিদ নিজ থেকে ধরা দেয়।ফাতেমার মূল চিঠিটি এখানে দেয়া হল যা মাফকারাট আল ইসলামে(আরবী নিউজ এজন্সি) ইংরেজী অনুবাদসহ আরবীতে ছাপা হয়েছিল। ফাতেমার চিঠি “পরম করুনাময় আল্লাহতা’য়ালার নামে (হে মুহাম্মদ) তুমি বলো, তিনিই আল্লাহ তিনি এক একক। তিনি কারোর মুখাপেক্ষী নন, তার থেকে কেউ জন্ম নেয়নি, আর তিনিও কারো থেকে জন্ম গ্রহন করেননি। আর তার সমতুল্য দ্বিতীয় কেউ নেয়।(সূরা আল-এখলাস) আমি আল্লাহর গ্রন্থ আল-কোরআন থেকে হতে এই পবিত্র সূরাটি পছন্দ করেছি কারন এর দারুন প্রভাব পড়েছে আমার উপর এবং আপনাদের সবার উপরে ও বিশ্বাসীদের হদয়ের এক প্রকার ভয় ও শ্রদ্ধা মিশ্রিত বোধের জন্ম দেবে। আমার ভাই মুজাহীদিন আল্লাহর পথে আছে।আপনাদের আমি কি বলবো? আমি আপনাদের বলছি : আমাদের গর্ভ বানর ও শূকুর জাতীয় লম্পটদের সন্তানে ভর্তি হয়ে আছে। যারা আমাদের ধর্ষণ করেছে। অথবা (আমি) আপনাদের বলতে পারি যে, তারা আমাদের দেহকে বিকৃত করেছে। আমাদের মুখমন্ডল জলসে দিয়েছে এবং আমাদের ঘাড়ে ঝোলানো কোরআনের ছোট কপিটি অযথা ছিড়ে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলেছে। আল্লাহু আকবার, আপনারা কি পরিস্থিতি অনুদাবন করতে পারছেন না? এটা সত্য আপনারা জানেন না আমাদের সাথে কি ঘটেছে। আমরা আপনাদের বোন। আল্লাহ হিসাব নিকাসের সময় ভবিষ্যতে এ সম্পর্কে আপনাদের জিজ্ঞাসা করবে। আল্লাহর কসম কারাগারে আসা পর্যন্ত আমাদের এমন কোন রাত কাটেনি যে রাতে বানর ও শুকুর জাতীয় অমানুষরা আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েনি। তারা তাদের পূর্ণ স্বাদ মিটিয়ে নিস্তেজ হওয়া অবধি আমাদের দেহকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করতে থাকে। আমরাই তারা যারা আল্লাহর ভয়ে সব সময় সতীত্বকে কে রক্ষা করে এসেছি। আল্লাহকে ভয় করুন। আমাদের মেরে ফেলুন। আমাদের ধংস করে দিন। তাদের আনন্দ উপকরন হিসাবে আমাদের রেখে যাবেন না। এভাবে সর্বশক্তিমান আল্লাহর মহাকৃতিত্ব মর্যাদা সম্পন্ন করা হবে। আমাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করুন। তাদের কামান ও উড়োজাহাজ গুলো বাইরে রেখে আসুন। আবু গারীব কারাগারে আমাদের কাছে আসুন। আমি আপনাদের ধর্ম বোন। তারা আমায় একদিন নয়বারেরও বেশী ধর্ষন করেছে। আপনারা কি অনুধাবন করতে পারছেন? চিন্তা করুন আপনাদের এজন বোন ধর্ষিত হচ্ছে। আপনারা কেন ভাবতে পারছেন না আমি আপনাদের বোন? আমার সাথে আরো ১৩ জন মেয়ে আছে। সবাই অবিবাহিত। সবাই সবার সামনে প্রকাশ্য ধর্ষিত হচ্ছে। তারা আমাদের নামায পড়তে দেয় না। তারা আমাদের পোশাকগুলো নিয়ে নিয়েছে। আমাদের কাপড় পরতে দেয়না। আমাদের মধ্যে একজন মেয়ে আত্নহত্যার প্রতিজ্ঞা করেছে। তাই আমি এই চিঠিটি লিখছি। সে নৃশংসভাবে ধর্ষিত হয়েছে। একজন সৈনিক তাকে ধর্ষনের পর তার বুক ও উরুতে আঘাত করেছে। সে অবিশ্বাস্য অত্যাচারের দ্বারা তাকে ভোগ করেছে। মেয়েটি তার মাথা জেলের দেয়ালে সাথে আঘাত করতে লাগল যতক্ষন না তার মৃত্যু হয়, মেয়েটি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না। যদিও ইসলামে আত্নহত্যা নিষিদ্ধ। কিন্তু আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আশা করছি আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। কারন তিনি(আল্লাহ) সবার প্রতি অসীম দয়ালু। ভাই আপনাদের আবারও বলছি আল্লাহকে ভয় করুন। আমাদের মেরে ফেলুন। তাহলেই আমরা হয়ত শান্তি পাব। সাহায্য করুন। সাহায্য করুন। সাহায্য করুন। ড. আফিয়া সিদ্দিকা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন স্নায়ু বিজ্ঞানী। অসামান্য ধীসম্পন্ন পি.এইচ.ডি ডিগ্রীধারী এ মহিলার সম্মানসূচক অন্যান্য ডিগ্রী ও সার্টিফিকেট রয়েছে প্রায় ১৪৪টি। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রন্ডেইস বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে Neurology বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। তিনি হাফিযে কুর‘আন ও আলিমা। পবিত্র কুর‘আন ও হাদীসে পারদর্শিনী এ মহিলা ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত দ্বীনদার ও পরহেযগার। ইসলামী আদর্শ, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি রয়েছে তাঁর স্ট্রং কমিটমেন্ট। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফ.বি.আই পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আল কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কথিত অভিযোগে ২০০৩ সালে ড. আফিয়াকে তাঁর তিন সন্তান আহমদ, সুলায়মান, ও মরিয়মসহ করাচীর রাস্তা থেকে অপহরণ করে। পাকিস্তানের কোন কারাগারে না রেখে এবং পাকিস্তানী আদালতে উপস্থাপন না করে পাঁচ বছর ধরে তাঁকে আফগানিস্তানের বাগরাম সামরিক ঘাঁটিতে বন্দী করে রাখা হয়। এরপর চলে তাঁর উপর অমানুষিক শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন। বাগরামে কুখ্যাত মার্কিন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, ‘নির্যাতনের সময় একজন নারী বন্দির আর্তচিৎকার অন্য বন্দিদের সহ্য করাও কষ্টকর ছিল.........। দেখুন আফিয়ার ছবি। অত্যাচারের আগের ও পরের ছবি। জি, আফিয়া ,ফাতিমাদের সাথে এরকমই করা হচ্ছে। যেখানে তারা নিজেদের আব্রু বাঁচাতে পারছেনা সেখানে আপনি নিজের আব্রু বিলিয়ে দিচ্ছেন? বোন...লজ্জা কর, ভয় কর আল্লাহকে। এই নোট পড়ে খারাপ লাগলে নির্দ্বিধায় আমাকে আনফ্রেন্ড করতে পারেন- লেখিকা: শাবনাজ মিথিলা (সম্ভবত) http://www.amarbornomala.com/details9603.html