Jump to content
IslamicTeachings.org

MUSLIM WOMAN

Members
  • Posts

    1,173
  • Joined

  • Last visited

  • Days Won

    41

Everything posted by MUSLIM WOMAN

  1. The Ghamama (Cloud) Mosque in Madinah
  2. :s: The main entrance to the Masjid al-Qiblatain.
  3. মদিনার মসজিদ কাজী শফিকুল আযম  বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর চল্লিশ হাজারের বেশী লোক পবিত্র হজ্ব পালন করে থাকেন। হজ্ব পালনের আগে বা পরে এদের প্রত্যেকেই নূন্যতম আট দিনের জন্য মদিনা শরিফ গমন করে থাকেন। উদ্দেশ্য নবীজীর র��"জা শরীফ জিয়ারত করা এবং মসজিদে নববীতে একাদিক্রমে ৪০ ��"য়াক্ত নামাজ আদায় করা। হাদিস শরিফে আছে, হজরত মোহাম্মদ(সঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদে ৪০ ��ওয়াক্ত একাদিক্রমে নামাজ পড়বে, তার জন্য আখেরাতে দোজখের আজাব এবং দুনিয়ার মোনাফেকী রোগ থেকে মুক্তি লিখে দেয়া হবে। হাদিস শরিফে আরো উল্লেখ আছে যে,মসজিদে নববীতে এক রাকাত নামাজ আদায় করলে ৫০ হাজার রাকাত নামাজের স��"য়াব পা��"য়া যায়।নবীজীর র��"জা শরীফ জিয়ারত প্রসঙ্গে হাদিসে উল্লেখ আছে যে, যে ব্যক্তি হজ্ব পালন করে হজরত রসূলে করীম (সঃ) এর পবিত্র র��"জা জিয়ারত করেনি, সে রসূলে করীমের উপর জুলুম করেছে। আল্লাহর অসীম রহমতে আমি এবার স্ত্রী ��" বোন সহ পবিত্র হজ্ব পালন করেছি।এজন্য আল্লাহ পাকের দরবারে লাখো শুকরিয়া জানাই। হজ্ব পালন কালে নভেম্বর ৬ থেকে নভেম্বর ১৫ পর্য়ন্তু মদিনা শরীফ অবস্থান করি। মদিনা শরীফ অবস্থান কালে মদিনার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক মসজিদ পরিদর্শনের সুযোগ হয়েছে। এ সকল মসজিদ সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরাই এ লেখার উদ্দেশ্য। হ্‌জ্ব পালন কালে মক্কা শরীফ অবস্থান কালীন সময়ে হাজীদের কে অত্যন্ত ব্যাস্ত সময় কাটাতে হয়। সে তুলনায় মদিনা শরীফ অবস্থান কালে এই ব্যস্ততা কিছুটা কম থাকে। তাই, এই সময় কালে মদিনা শরীফের বিভিন্ন দর্শনীয় ঐতিহাসিক স্থান সমুহ পরিদর্শন করার সুয়োগ পা��"য়া যায়। প্রাক ইসলাম যুগে মদিনার নাম ছিল ইয়াসরব। রাসুলে করীম (সঃ) হিজরতের পর এই শহরের নাম হয় মদিনাতুন্নবী বা নবীর শহর, সংক্ষেপে এখন বলা হয় মদিনা। মদিনা শরীফ রাসুলুল্লাহ (সঃ) এ আশ্রয়ভুমি।। মসজিদে নববীর স্থান আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার পক্ষ থেকে পূর্বনির্ধারিত ��" মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ) উষ্ট্রী কতৃক চিহ্নিত।এই মসজিদকে কেন্দ্রে করে এক সময় ইসলামী রাষ্ট্র,ইসলামী সভ্যতা,সংস্কৃতি এবং বিশ্বের দিকদিয়ে সত্যের প্রচার ��" প্রসার ঘটেছে।এখানে ধর্ম ,সমাজ��" রাজনীতি এক সাথে আলোচিত হত।তখন মসজিদে নববী আন্তর্জাতিক ইসলামী রাজধানী হিসাবে ভুমিকা পালন করেছে। এই সময় মসজিদটি একই সাথে কমিউনিটি সেন্টার, বিচারালয় ��" ধমীয় স্কুল হিসাবে কাজ করত। মদিনার এই মসজিদ ইসলামের প্রথমিক যুগে ইসলামের পা��"য়ার হাউজ ছিল।গুরুত্বের দিকদিয়ে মক্কার মজজিদুল হারাম শরীফের পরই মসজিদে নববী। মদিনায় অবস্থান কালে প্রথম এবং প্রধান কাজ হচেছ মজজিদে নববীতে দৈনিক পাঁচ ��ওয়াক্ত নামাজ একাদিক্রমে ৪০ ��ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা) এবং নবীজীর পবিত্র র��"জা শরীফ জিয়ারত করা। মসজিদে নববীঃ মসজিদে নববী বা নবীজীর মসজিদের বর্তমান আয়তন ১৬৫০০০ বর্গমিটার। এই মসজিদে এক সাথে ১০ লাখ মসল্লী নামাজ আদায় করতে পারে।এই মসজিদের ১০টি অতি উচু মিনারের মধ্যে ৬টির উচ্চতা ৯৯ মিটার।এই মসজিদের ভুগর্ভস্থ দোতলা কারপার্কে প্রায় ৪৪০০ গাড়ী পার্কসহ ��"জুর সুব্যাবস্থা আছে।বর্তমান মসজিদে নববীর সবুজ গম্বুজ ,সুদৃশ্য মিনার,চলন্ত ছাদ, সুন্দর কারুকাজ, বিশাল আয়তন ইত্যাদি একদিনে হয়নি। বর্তমান এই অবস্থায় আসতে একাধিক সংস্কার কর্মসূচি গৃহিত হয় যা এখন��" চলমান আছে। তাই, প্রথমে এ মসজিদের ইতিহাস জেনে নেয়া যাক। মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় যে স্থানে হজরত মোহাম্মদ (সঃ) অবস্থান করেছিলেন তার পাশেই তিনি মসজিদে নববী প্রতিষ্�� া করেন ৬২২ খৃষ্টাব্দে।প্রথমে মূল মসজিদটি ছিল উন্মুক্ত স্থানে উচু ভিত্তি ভূমির উপর প্রতিষ্�� িত। মসজিদ ঘরটি ৩০X৩৫ মিটার আয়তাকার আকারে তাল গাছের খুটি ��" মাটির দেয়া‌ল ঘেরা ছিল। এই মসজিদ ঘরের ৩টি দরজা ছিল। দক্ষিনদিকের দরজার নাম ছিল বাব রহমাহ, পশ্চিম দিকের দরজার নাম বাব জিবরিল এবং পূর্বদিকের দরজার নাম বাব আল নিসা। মসজিদ প্রতিষ্�� ার প্রথমদিকে মসজিদের কিবলা দক্ষিন মুখী জেরুজালেমের দিকে নির্ধারিত ছিল।মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর হজরত মুহাম্মদ (সঃ) ১৬/১৭ মাস জেরুজালেমের বায়তুল মুকাদ্দিসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। অতপরঃ সুরা বাকারার ১৪৪ নং আয়াতের মাধ্যমে তাঁকে কাবা শরীফের দিকে মুখ বা কিবলা করে নামাজ আদায়ের নির্দেশ প্রদান করা হয়।কিবলা পরিবর্তনের এই নির্দেশ পা��"য়ার পর মসজিদে নববীর কিবলা পরিবর্তন করে কাবা মুখী করা হয়। মুসল্লীর সংখ্যা বৃদ্ধি পা��"য়ায় প্রতিষ্�� ার সাত বছর পর ৬২৯ সালে মসজিদটির আয়তন দ্বিগুণ করা হয়। পরবর্তী মুসলিম শাসকগণ এই মসজিদের সম্প্রসারন ��" উন্নয়ন কাজ অব্যহত রাখেন। উমাইয়া খলিফা আল ��"য়ালিদ ইবনে আবদ আল মালিক ( ৭০৫-৭১৫) মসজিদের পুরানো কা�� ামো ভেঙ্গে হজরত মুহাম্মদ (দঃ) এর সমাধি অন্তভূক্ত করে বৃহত্তর পরিসরে মসজিদ পুনঃনির্মান করেন । পাথরের ভিত্তি ��" খুঁটির উপর সেগুন কা�� ের তৈরী ছাদ বিশিষ্ট এই মসজিদটির আয়তন ছিল ৮৪ X ১০০ মিটার। গ্রীক ��" মিসরীয় কারুশিল্পীদের দিয়ে দেয়াল মোজাইক করা হয়। এ সময়, মসজিদ অঙ্গনের চারপাশে চারটি মিনারসহ গ্যালারী এবং কিবলার দিকের দেয়ালে একটি মেহরাব তৈরী করা হয়। তখন থেকে মসজিদে মিনার প্রথা শুরু হয়।৭৭৮ থেকে ৭৮১ সালের মধ্যে আব্বাসীয় খলিফা আল মাহদি আল ��"য়ালিদ মসজিদটির দক্ষিণ দিক ভেঙ্গে সম্প্রসারন করে পূর্ব ��" পশ্চিম দিকের দেয়ালে আটটি করে এবং উত্তর দিকের দেয়ালে চারটি করে মোট বিশটি দরজা যোগ করেন। মামলুক সুলতান কালোয়ান এর শাসন আমলে নবীজীর (দঃ)বাড়ি ��" সমাধির উপর একটি গম্বুজ ��" বাব আস সালাম দরজার বাইরে ��"জুর জন্য পানির ফোয়ারা তৈরী করেন। ১৪৮১ সালে বজ্রপাতে মসজিদটির একটি বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সুলতান কাইটবে পূর্ব , পশ্চিম ��" কিবলার দিকের দেয়ালসমূহ পুনঃনির্মান করেন। অটোমান সুলতানগণ ১৫১৭ সাল থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সময় পর্যন্ত মদিনা শাসন করেন। এ সময়কালের শাসকগন��" মসজিদটির পুনঃনির্মান ��" উন্নয়নে তাদের অবদান রাখেন। সুলতান সূলাইমান দি ম্যাগনিফিসেন্ট ( ১৫২০-১৫৬৬) মসজিদের পূর্ব ��" পশ্চিম দেয়াল পুনঃনির্মান করেন ��" মসজিদের উত্তর পূর্ব কোণে একটি মিনার বানান যা আল সুলাইমানিয়া নামে পরিচিত। তিনি এই সময় হজরত মোহাম্মদ (দঃ) এর মিহরাবের পাশে আর একটি মিহরাব যোগ করেন । এছাড়া , নবীজীর বাড়ি ��" সমাধির উপর নতুন একটি গম্বুজ স্থাপন করে তা পাতলা সীসার পাত দিয়ে আচ্ছাদিত করে তাতে সবুজ রং লাগান। আমরা এখন নবীজীর (দঃ) সমাধির উপর সবুজ রংয়ের গম্বুজই দেখতে পাই। অটোমান সুলতান আবদুল মেসিড এর শাসন আমলে ( ১৮৩৯-১৮৬১ ) হজরত মোহাম্মদ (দঃ) এর সমাধি, মিহরাব , মিম্বার ��" সুলাইমানের মিনার ছাড়া পুরো মসজিদটি পুনর্গ�� ন করা হয়। এই সময় মসজিদের সীমানা উত্তরে আরো বৃদ্ধি করা হয় ��" দক্ষিণের ইবাদতের জায়গা দ্বিগুণ করে মিহরাব , বাব আল সালাম ��" মোহাম্মদ (দঃ) এর সমাধির উপরের গম্বুজ ছাড়া অন্যান্য এলাকার ছোট ছোট গম্বুজগুলি কুরআনের আয়াত ��" ১৩ শতকের বিখ্যাত আরবী কবি বশিরির কবিতার লাইন দিয়ে সাজানো হয়। কিবলার দিকের দেয়াল কুরআনের আয়াত হাতে লিখে ( এরাবিক ক্যালিগ্রাফি) উজ্জ্বল টাইলস দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। মসজিদের নামাজের জায়গা ��" বারান্দার মেঝে মার্বেল ��" লাল পাথর দিয়ে মোজাইক করাসহ পশ্চিম দিকে ৫ম মিনার (আল মজিদিয়া ) বানানো হয়। ১৯৩২ সালে সৌদি রাজবংশ প্রতিষ্�� ার পর হজরত মোহাম্মদ (দঃ) এর মসজিদে একাধিক বড় ধরণের সংস্কার কাজ করা হয় । ১৯৫১ সালে বাদশাহ ইবনে সৌদ মসজিদের স্থাপনাগুলি উচ্ছেদ করার আদেশ দেন যাতে করে পূর্ব ��" পশ্চিমের নামাজের ঘরের সাথে সরু কংক্রিটের স্তম্ভ বা থাম দিয়ে নতুন উইং যু্‌ক্ত করা যায় । পুরানো থামগুলি কংক্রিট দিয়ে শক্তিশালী করাসহ তামার পাত দিয়ে থামের সামনের দিক মোড়ানো হয়। সুলেমানিয়া ��" মজিদিয়া মিনার দু’টি প্রতিস্থাপন করা হয়। তাছাড়া , মসজিদের উত্তর পূর্বে ��" উত্তর পশ্চিমে দুটি নতুন মিনার স্থাপন করা হয় । পশ্চিম দেয়াল বরাবর একটি লাইবেÝির নির্মান করা হয় এই সময়েই। মুসল্লি সংখ্যা বেড়ে যা��"য়ায় ১৯৭৩ সালে বাদশাহ ফয়সল বিন আবদুল আজিজ মসজিদের পশ্চিম পাশ সম্প্রসারন করে নামাজের এলাকা পাঁচগুণ বৃদ্ধি করেন। সর্বশেষ বাদশাহ ফাহাদের আমলে সংস্কার কর্মসূচির আ��"তায় মসজিদের আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে একত্রে ১০ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন । একই সাথে মসজিদে সর্বাধুনিক সব ধরণের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে এই মসজিদটি এক অনুপম সৌন্দর্যের আধার। মদিনা মুনা��"রায় মসজিদে নববী ছাড়া��" শহরের মধ্যে ��" আশেপাশে অনেক মসজিদ রয়েছে । তারমধ্যে যে সব মসজিদে নবী করিম (দঃ) অথবা তাঁর সাহাবীরা নামাজ পড়েছেন সেগুলি যিয়ারত করা মুস্তাহাব । এসব মসজিদের বেশ কিছু এখন��" আবাদ রয়েছে এবং অনেকগুলি অনাবাদী ��" বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। নবী করিম ( দঃ) এর আমলের নির্মাণ রীতির উপর কোন মসজিদ বর্তমানে নেই। এসব মসজিদ অনেকবার পুনঃনির্মিত ��" সংস্কার হয়েছে। কিন্তু যেহেতু জায়গা একই ---এজন্য বরকত ��" রহমতের নিদর্শন এখন��" বিদ্যমান। তাই পা��ঠকদের পরিদর্শনের সুবিধার্থে নিচে এসব ঐতিহাসিক মসজিদগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো। মসজিদে কুবাঃ এটি ইসলামী জগতের সর্বপ্রথম মসজিদ। এটি হজরত মুহাম্মদ (দঃ) এর নিজ হাতে বানানো। মসজিদ উল হারাম , মসজিদে নববী ��" মসজিদ উল আকসার পরেই মসজিদে কুবার সম্মান। এখানে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করলে একটি ��"মরাহ পালনের স��"য়াব পা��"য়া যায় ( আহমেদ , নয়ীম ) মসজিদে নববীর দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থিত এই মসজিদের দূরত্ব মসজিদে নববী থেকে ৩·২৫ কিঃ মিঃ । নবী করীম (সঃ) মক্কা মুকাররমা থেকে হিজরত করে মদিনা মুনা��"রায় আগমন করে বনি আমর বিন আউফ গোত্রে তিন দিন অবস্থান করেন। এই সময় তিনি সাহাবীদের সাথে নিয়ে নিজের হাতে মসজিদে কুবা তৈরী করেন। হজরত মুহাম্মদ (দঃ) প্রায়ই মসজিদে নববী থেকে মসজিদে কুবায় গিয়ে নামাজ আদায় করতেন। বর্তমান এই মসজিদে মহিলাদের নামাজের জন্য আলাদাস্থান সংরক্ষিত আছে। মসজিদে কুবা বর্তমানে এক অনন্য স্থাপত্য কর্ম হিসাবে গন্য। মসজিদে কিবলাতাইনঃ এ মসজিদ মদিনার উত্তর পশ্চিমে আকীফ উপত্যকার কাছে একটি টিলার উপর অবস্থিত। মসজিদে নববী থেকে এ মসজিদের দূরত্ব ৩.৫০ কিঃ মিঃ। কেবলা বদলের ঘটনাটি এই মসজিদে ঘটায় একে মসজিদে কিবলাতাইন বা দুই কেবলার মসজিদ বলা হয়। এই মসজিদের মিহরাব প্রথমে বায়তুল মুকাদ্দাসমুখী ছিল। এই মসজিদ থেকে তখনকার কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস এর দিকে যোহরের নামাজ পড়ার সময় রাসূল (দঃ) এর কাছে ��"হী আসে যে , তুমি এখনই এই অবস্থায় কাবার দিকে মুখ করে বাকী নামাজ আদায় করো। এ সময় তিনি চার রাকাত ফরয এর দুইরাকাত নামাজ শেষ করেছিলেন । আল্লাহ’র আদেশ পা��"য়া মাত্র তিনি কাবা শরীফের দিকে মুখ ফিরিয়ে বাকী দু’ রাকাত নামাজ শেষ করেন। সুরা বাকারার ১৪২-২৪৫ নং আয়াতগুলিতে এই ঘটনার বর্ননা আছে। মসজিদে জুম্মাঃ কুবার নতুন রাস্তার পূর্ব দিকে যানূন্‌া উপত্যকায় মসজিদে নববীর দক্ষিণদিকে এই মসজিদটি অবস্থিত। এখানে বনি সূলাইম গোত্রের লোকেরা বসবাস করতো। হজরত মুহাম্মদ (দঃ) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় এই স্থানে জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি করেন ( যেখানে বর্তমানে মসজিদে জুম্মা অবস্থিত )। এখানেই তিনি সর্বপ্রথম জুম্মার নামাজ আদায় করেন । পরবর্তীতে এই স্থানে মসজিদে জুম্মা নির্মান করা হয়।বর্তমানে এই মসজিদ একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান। মসজিদে গামামাঃ বর্তমানে মসজিদে নববীর সবচেয়ে কাছের মসজিদগুলির মধ্যে মসজিদে গামামা অন্যতম। মসজিদে নববীর দক্ষিণ পশ্চিম সীমানায় এই মসজিদটি অবস্থিত। নবীজীর (দঃ) আমলে এই মসজিদটির স্থান খোলা প্রান্তর ছিল। নবী (দঃ) সাধারণত এখানে দুই ঈদের নামাজ আদায় করতেন। বৃষ্টির অভাবে মানুষ জন একবার খুবই কষ্ট পাচ্ছিলো। রাসুল (দঃ) তখন এই মসজিদের স্থানে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়েন। এই নামাজের পর প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। আরবী শব্দ গামামার অর্থ মেঘমালা । এই কারনে এই মসজিদের নাম করণ করা হয় মসজিদে গামামা। এই মসজিদটি আরো একটি কারণে বিখ্যাত । তাহলো আবিসিনিয়ার ন��" মুসলিম বাদশাহ নাজ্জাশীর মৃত্যুর পর নবীজী (দঃ ) তাঁর গায়েবানা জানাজার নামাজ এই স্থানে পড়ান। নাজ্জাশী চি�� ির মাধ্যমে রাসূল (দঃ) এর দ্বীনের দা��"য়াত পেয়ে খ্রীস্ট ধর্ম ছেড়ে ইসলাম কবুল করেছিলেন। এই মসজিদের অন্য নাম মসজিদে মুসাল্লা। সৌদি সরকার বর্তমানে এই মসজিদের চারপাশে গোলাপী রঙের সুন্দর দেয়াল নির্মানকরে তাতে ঐতিহ্যবাহী সৌদিখেজুর গাছের গুড়ি ��" হারিকেনের আলোক বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। মসজিদে আবু বকর , মসজিদে ��"মর ��" মসজিদে আলীঃ মসজিদে গামামার খুব কাছে মাত্র ৪০ গজের মধ্যে আরো তিনটি ছোট মসজিদ আছে। যেমন মসজিদে আবু বকর , মসজিদে ��"মর ��" মসজিদে আলী । ইসলামের তিনজন খলিফার নামে এই তিনটি মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে। খেলাফতকালে এই তিন মহান খলিফা এই সব মসজিদের স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করতেন। মসজিদে সিজদাঃ মসজিদে নববীর উত্তর দিকে বর্তমান বাসস্ট্যান্ডের পাশে মসজিদটির অবস্থান। এই মসজিদে নামাজ পড়ার সময় একবার নবীজী (দঃ) দীর্ঘ সময় ধরে সিজদায় ছিলেন বলে এই মসজিদের এই নামকরণ হয়েছে। এই মসজিদের অন্য নাম মসজিদুল বাহীর। এই মসজিদে এখনো পাঁচ ��"য়াক্ত নামাজ আদায় হয়। মদীনায় অবস্থানকালে মসজিদে নববীর কাছে হ��"য়ায় সহজেই নফল নামাজ আদায় করে নে��"য়া যায়। মসজিদে ইমাম বুখারীঃ মসজিদে নববীর কাছের মসজিদগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। মসজিদে নববীর উত্তর দিকে এর অবস্থান। মানুষের লেখা বইয়ের মধ্যে যার লেখা সবচেয়ে নির্ভুূল বলে মনে করা হয় সেই বিখ্যাত ইমাম বুখারী (রাঃ ) এই মসজিদে বসে অনেক হাদীস সংকলন করেন বলে জানা যায়। খন্দক প্রান্তরের মসজিদঃ খন্দক প্রান্তরের পাশে অতি অল্প পরিসরে পাশাপাশি ছয়টি মসজিদ আছে। এগুলো হচ্ছেঃ ১· মসজিদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) ২· মসজিদে ��"মর (রাঃ) ৩· মসজিদে হজরত আলী (রাঃ) ৪· মসজিদে ফাত্তাহ ৫· মসজিদে সালমান ফারসী (রাঃ) ��" ৬· মসজিদে সৈয়দাতুন নিসা ফাতেমা (রাঃ)। এ সব মসজিদ পরিদর্শন করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম । আল্লাহ সকলকে মদিনা শরীফ জিয়ারত করার তৌফিক প্রদান করুন, আমীন [email protected] http://www.sonarbang...aziShafiqulAzam বইয়ের নাম : চলার পথে দেখা না দেখা লেখক : কাজী শফিকুল আযম প্রাপ্তিস্থান : খোশরোজ কিতাব মহল , ১৫ বাংলাবাজার , পুরানো ঢাকা ও এস এস মার্ট , ল্যাব এইডের বিপরীতে , ধানমন্ডি , ঢাকা মূল্য : ১২০ টাকা মাত্র
  4. - যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদ বাড়ছে : মুসলিমরা আসছে মূলধারায় যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদ বাড়ছে : মুসলিমরা আসছে মূলধারায় Posted: 02 Mar 2012 11:25 PM PST যুক্তরাষ্ট্রে দিন দিন মসজিদের সংখ্যা বাড়ছে। এর পাশাপাশি দেশটির মুসলমান সম্প্রদায়ও অনেক বেশি মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করেছে। নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটিতে বর্তমানে মসজিদ রয়েছে দু’হাজার একশ’ ছয়টি। এ সংখ্যা ২০০০ সালের চেয়ে শতকরা ৭৪ ভাগ বেশি। এর মধ্যে নিউইয়র্ক শহরে রয়েছে ১৯২টি মসজিদ, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়াতে ১২০টি, ফ্লোরিডায় ১১৮টি এবং টেক্সাসে রয়েছে ১৬৬টি মসজিদ। এমনকি মন্টানা যেখানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাইরের জনসংখ্যা হচ্ছে—শতকরা এক ভাগেরও কম, সেখানেও দু’টি মসজিদ রয়েছে। ২০০২ সালে মসজিদের সংখ্যা ছিল এক হাজার ২০৯টি। আর ২০০২ সালে যেখানে ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছিলেন ২০ লাখ মুসুল্লি সেখানে ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ। যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদ ও মুসলমানদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে কথিত সন্ত্রাসী হামলার পরও মসজিদ এবং মুসলমানের সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে কোনো ছেদ পড়েনি। অবশ্য, ওই হামলার পর মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। এর আগে, ২০০০ সালের এক জরিপে ৫৪ ভাগ মুসলমান বলেছিলেন, ‘মার্কিন সমাজ ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে।’ এদিকে, দেশটিতে বসবাসরত মুসলমানদের মধ্যে বিরাটসংখ্যক তরুণ নিয়মিত মসজিদে যায়। এসব তরুণ সম্পর্কে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, তারা মৌলবাদ ও চরমপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। কিন্তু, দেশটির শতকরা ৮৭ ভাগ মুসলিম নেতা ও ইমাম তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেছেন, ‘মুসলিম তরুণদের মধ্যে চরমপন্থা বাড়ছে না।’ এছাড়া, এবারের জরিপে অংশ নেয়া মুসলিম নেতাদের মধ্যে শতকরা ৯৮ ভাগ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলমানদের উচিত মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে জড়িত হওয়া।’ নিউইয়র্কের পুলিশ বিভাগ ২০০৭ সালে প্রতিবেশী নিউআর্ক শহরে বসবাসরত মুসলমানদের ওপর বিশেষ গোয়েন্দাবৃত্তি ও নজরদারি চালিয়েছে বলে খবর বের হওয়ার এক সপ্তাহ পর এ জরিপ প্রকাশ হলো। উৎসঃ আমার দেশ/রয়টার্স
  5. "Fatwa is not permissible except for a man well-versed in the Book and the Sunnah." Imam Ahmad.
  6. Asalamu'alaikum One of the worst sins is when a man says to his brother, “Fear Allâh", and he replies, “Worry about yourself.” :| - ‘Abdullâh ibn Mas’ûd (radi Allahu 'anhu)
  7. This world (the dunyā) is [only taken as] a home by those who will have no real home [in Jannah], and it is the wealth of those who will have no real wealth, and it is gathered and collected for by those who have no real intelligence. (Ibn Mas'ud; reported by Ibn Abi Dunya in Dhamm al Dunya')
  8. “ রাজকীয় মক্কা টাওয়ারে ” পৃথিবীর বৃহত্তম ঘড়ি কাজী শফিকুল আযম পবিত্র কাবা ঘরের পাশে ৫০ মিটার দূরত্বে গগনচুম্বি ইমারত- “রাজকীয় মক্কা টাওয়ারে”-পৃথিবীর বৃহত্তম চর্তুমূখী ঘড়ি ৩৮০ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। শত বছরের বেশী সময় ধরে দক্ষিন পূর্ব লন্ডনের পার্কে অবস্থিত মানমন্দিরকে বিশ্বের ঘড়ির সময় নির্ধারণের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু গ্রিনিচ মান সময়কে চ্যালেন্জ জানাবে মক্কার এই বিশাল ঘড়ি –যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিশ্বের ১.৫ বিলিয়ন মুসলমান তাদের ঘড়ির সময় নির্ধারন করতে পারবে বলে আশা করে।অনেকেই মনে করে যে, এই ঘড়ি শুধু দেখার জন্যই একটি ঘড়ি হবে না –ভবিষ্যতে এটিই হবে পৃথিবীর কেন্দ্রীয় টাইম জোন। ঘড়ির প্রত্যেক দিকে আরবীতে “ আল্লাহ শ্রেষ্ঠ ” লেখাটি ২১০০০ রঙিন লাইটের কারনে ১৭ কি: মি: দূর থেকেও দেখা যাবে ।পাঁচবার নামাজের সময় ঘড়ির ফ্লাস লাইট জ্বলার মাধ্যমে মক্কার অধিবাসিদের নামাজের সময় সম্পর্কে সংকেত প্রদান করবে। চর্তুমুখী এই ঘড়ির ব্যাস ১৫১ ফিট। এই ঘড়ি আরবী ষ্ট্যান্ডার্ড সময় অনযায়ী অর্থাৎ মক্কার স্থানীয় সময় নির্ধারণ করা হবে যা জিএমটি থেকে ৩ ঘন্টা এগিয়ে থাকবে। বাদশাহ আব্দুল্লাহর নির্দেশে সৌদি সরকারের পৃষ্টপোষকতায় এই ঘড়ি বানানো হচ্ছে। বাদশাহ আব্দুল আজিজ এন্ডোমেন্ট প্রকল্পের আওতায় পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম এই টাওয়ার নির্মান করা হচ্ছে যার উচ্চতা হবে ৬০১ মিটার (পৃথিবীর সর্বোচ্চ টাওয়ার দুবাই এর বুর্জ আল খলিফার উচ্চতা ৮২৮ মিটার)। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম এই টাওয়ারে বৃহত্তম এই ঘড়িসহ চন্দ্র পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ও ইসলামিক মিউজিয়াম স্থাপন করা হবে। তাছাড়া, এই টাওয়ারেই ৭৬ তলা বিলাসবহুল হোটেলও থাকবে। অনলাইনে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত নভেম্বর ২০১০ সালে এই ঘড়ির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে । প্রতিদিন টিভিতে পবিত্র কাবাঘরের নামাজ দেখানোর সময় এই ঘড়ির অবস্থান আমরা সকলে দেখতে পাই যার ছবি উপরে ছাপা হল। তবে পবিত্র কাবা ঘরের একদম কাছে এরকম বিলাসবহুল হোটেল বানানো ও সেখানে ঘড়ি বসানো নিয়ে বিতর্ক চলছে । অনেকের মতে এতে কাবা ঘরের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে । বিখ্যাত ঘড়ি বিগবেন এর সাথে রাজকীয় মক্কা টাওয়ারের ঘড়ির তুলনামূলক চিত্র নিম্নে দেয়া হল: রাজকীয় মক্কা টাওয়ারের ঘড়ি- বিগবেন ঘড়ির তুলনায় প্রায় ছয়গুন বড় হবে। বিগবেন মক্কা টাওয়ার রাজকীয় মক্কা টাওয়ারের অবস্থান: পবিত্র মক্কা নগরী, টাইম জোন: + ০৩০০ জিএমটি, ঘড়ির ব্যাস- ১৫১ ফিট, উচ্চতা -১৯৭২ ফিট, ঘড়ির প্রস্তুত কারক: দার আল হান্দাস, প্রিমিয়ার কম্পোজিট টেকনোলজি। অন্যদিকে, বিগবেন- বিখ্যাত ঘড়ি টাওয়ার এর অবস্থান দক্ষিন পূর্ব লন্ডনে, টাইম জোন: + ০০০০ জিএমটি, ঘড়ির ব্যাস- ২৩ ফিট, উচ্চতা -৩১৫.৯ ফিট, ঘড়ির প্রস্তুত কারক: অগাষ্ট পিউজিন, নির্মান : ১৮৫৯ সাল। অনেকে মনে করেন যে, রাজকীয় মক্কা ঘড়ি নির্মানের ফলে গ্রিনিচ মান সময় থেকে আলাদা ভাবে ঘড়ির সময় নির্ধারণে এক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। মক্কা সময়কে জিএমটি সময়ের বিকল্প হিসাবে তারা ভাবতে শুরু করেছে এবং তাদের এই ভাবনার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হল পৃথিবীর কেন্দ্রে পবিত্র মক্কার অবস্থান। দাবী করা হয় যে, পবিত্র নগরী মক্কা হল শুন্য চুম্বকত্ব জোনে অবস্থিত –ফলে এখানে কোন চুম্বক শক্তির প্রভাব নেই যার কারণে এখানে যারা বাস করে বা ভ্রমন করে তাদের স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং তারা দীর্ঘজীবী হয়। বইয়ের নাম : চলার পথে দেখা না দেখা লেখক : কাজী শফিকুল আযম প্রাপ্তিস্থান : একুশে বই মেলা , খোশরোজ কিতাব মহল , স্টল নং ২৩৩ ও এস এস মার্ট , ধানমন্ডি , ( ল্যাব এইডের বিপরীতে ) মূল্য : ১২০ টাকা মাত্র -কাজী শফিকুল আযম [email protected] মোবাইল : ০১৭৪৫১৩০১০০
  9. Asalamu'alaikum Cry frequently for the wrongs you have committed in the past, and perhaps you will then be saved from them. ► Never tire or become bored of good deeds..." [imam Sufyaan ath-Thawri (rahimahullah)]
  10. Asalamu'alaikum Imam Sufyaan ath-Thawri advised:►“Be patient at all times and in all places, for patience leads to righteousness, and righteousness leads to paradise. Do not become angry and furious, for those two emotions lead to wickedness, and wickedness leads to the Hellfire.”
  11. Asalamu'alaikum "The manner you deal with people in is the same way Allah will deal with you, both in this world and in the hereafter." ~Imam Ibn Qayyim al-Jawziyya rahimahullah
  12. Asalamu'alaikum "None feels safe from hypocrisy except a hypocrite, and none fears it except a believer." - Hasan Al Basri
  13. উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য জুম’আর দিনের ফযীলত সমূহ ১) সূর্য উদিত হয় এমন দিনগুলোর মধ্যে জুম’আর দিন হল সর্বোত্তম দিন। এ দিনে যা কিছু ঘটেছিল তা হলঃ (ক) এই দিনে আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, (খ) এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল, (গ) একই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল [মুসলিমঃ৮৫৪], (ঘ) একই দিনে তাঁকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল, (ঙ) এই দিনেই তাঁর তওবা কবুল করা হয়েছিল, (চ) এই দিনেই তাঁর রূহ কবজ করা হয়েছিল [আবু দাউদঃ১০৪৬], (ছ) এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে, (জ) এই দিনেই কিয়ামত হবে, (ঝ) এই দিনেই সকলেই বেহুঁশ হয়ে যাবে [আবু দাউদঃ১০৪৭], (ঞ) প্রত্যেক নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা, আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত ও সমুদ্র এই দিনটিকে ভয় করে। [ইবনে মাজাহঃ১০৮৪, ১০৮৫; মুয়াত্তাঃ৩৬৪]। ২) উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এটি একটি মহান দিন। এ জুম'আর দিনটিকে সম্মান করার জন্য ইহুদী-নাসারাদের উপর ফরজ করা হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ করে এই দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অতঃপর ইহুদীরা শনিবারকে আর খ্রিষ্টানরা রবিবারকে তাদের ইবাদতের দিন বানিয়েছিল। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের জন্য শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফযীলতের দিন হিসেবে দান করেছেন। আর উম্মতে মুহাম্মদী তা গ্রহন করে নিল। [বুখারী ৮৭৬, ইফা ৮৩২, আধুনিক ৮২৫; মুসলিমঃ ৮৫৫] ৩) জুম’আর দিন হল সাপ্তাহিক ঈদের দিন। [ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮] ৪) জুম’আর দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদা সম্পন্ন। (মুসনাদে আহমদঃ৩/৪৩০; ইবনে মাজাহঃ১০৮৪) ৫) জুম’আর দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তা-ই তাকে দেওয়া হয়। আর এ সময়টি হল জুম’আর দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত। [বুখারীঃ৯৩৫, ইফা ৮৮৮, আধুনিক ৮৮২; মুসলিমঃ৮৫২] ৬) জুম’আর রাতে বা দিনে যে ব্যক্তি মারা যায় আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন। [তিরমিযীঃ১০৭৮] ৭) জান্নাতে প্রতি জুম’আর দিনে জান্নাতীদের হাট বসবে। জান্নাতী লোকেরা সেখানে প্রতি সপ্তাহে একত্রিত হবেন। তখন সেখানে এমন মনমুগ্ধকর হাওয়া বইবে, যে হাওয়ায় জান্নাতীদের সৌন্দর্য অনেক গুণে বেড়ে যাবে এবং তাদের স্ত্রীরা তা দেখে অভিভূত হবে। অনুরূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি স্ত্রীদের বেলায়ও হবে। [মুসলিমঃ২৮৩৩, ৭১/৭৫৩] ৮) যে ব্যক্তি জুম’আর দিনে সুরা কাহফ পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য দুই জুম’আর মধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দেবেন। [জামেউস সাগীরঃ৬৪৭০] ৯) যে ব্যক্তি জুম’আর দিনে সুরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে। [মুসলিম] ১০) প্রত্যেক সপ্তাহে জুম’আর দিন আল্লাহ তায়ালা বেহেশতী বান্দাদের দর্শন দেবেন। [সহীহুত তারগীব] ১১) এই দিনে দান খয়রাত করার সওয়াব অন্য দিনের চেয়ে বেশী হয়। ইবনুল কায়্যিম বলেছেন, অন্য মাসের তুলনায় রমজান মাসের দানের সওয়াব যেমন বেশী তেমনি শুক্রবারের দান খয়রাত অন্য দিনের তুলনায় বেশী। [যাদুল মা’আদ] ১২) ইবনুল কায়্যিম আরও বলেছেন যে, অন্য মাসের তুলনায় রমজান মাসের মর্যাদা যেমন, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় জুম’আ বারের মর্যাদা ঠিক তেমন। তাছাড়া রমজানের কদরের রাতে যেমন ভাবে দোয়া কবুল হয়, ঠিক তেমনি শুক্রবারের সূর্যাস্তের পূর্বক্ষণেও দোয়া কবুল হয়। [যাদুল মা’আদঃ১/৩৯৮] সূত্রঃ বই-প্রশ্নোত্তরে জুমু’আ ও খুৎবা (লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম; পরিমার্জনেঃ ডঃ মোহাম্মদ মনজুরে ইলাহী, ডঃ আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া মজুমদার, ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।) http://www.quraneralo.com/virtues-of-jumuah/
  14. Asalamu'alaikum “Whoever gains the pleasure of Allah by the anger of the people, Allah suffices him of the people’s troubles. And whoever gains the pleasure of the people by the anger of Allah, then Allah leaves him to the people” [Narrated By: Aisha (RA); At-Tirmidhi]
  15. The successful marriage is not when you can live in peace with your wife, but when you can’t live in peace without her. —Yasir Qadhi
  16. Asalamu'alaikum রাসূল صلى الله عليه وسلم এর দাঁড়ি মোবারক প্রদর্শনী : বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে তামাশা গত শনিবার রাতে অনলাইনে দৈনিক সমকালে পড়লাম বায়তুল মুকাররাম মসজিদে জুমার সালাতের পর রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের দাঁড়ি প্রদর্শন করা হয়েছে । খবরটি পড়ে হতবাক হলাম । কবে বাংলাদেশে এই পবিত্র দাঁড়ি আসলো , কখনই বা তার প্রদর্শন হয়ে গেল , ঢাকায় থেকে তার কিছুই জানলাম না , এ কিভাবে সম্ভব ? পুরো খবরটি পড়ে জানলাম , যে সব মুসল্লী সেদিন জুমার সালাত পরেছেন , তাদের অনেকেও এই প্রদর্শনীর খবর জানতে পারেন নি । পরে বাসায় এসে ফোনে খবর পেয়ে আবারো মসজিদে গিয়ে দেখেন প্রদর্শনী শেষ । এই হচ্ছে আমাদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মতৎপরতার নমুনা । তুরস্ক দূতাবাসের সৌজন্যে এ ধরণের আয়োজন বাংলাদেশে প্রথম - এতে অবশ্যই ইসলামিক ফাউন্ডেশন ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য । কিন্ত্ত তারা এই প্রদর্শনীর ব্যবস্থাপনায় চরম অদক্ষতা ও অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন - এক কথায় বলা যায় মুসলমানদের সাথে তামাশা করেছেন । গতকাল ২০ শে ফেব্রয়ারি দৈনিক যুগান্তর পড়ে জানলাম আজ মসজিদে দাঁড়ি মোবারক আবারো দেখানো হবে । খুবই আগ্রহ নিয়ে তা দেখতে গেলাম । যদিও গণমাধ্যমে এই খবরটি তেমনভাবে আসে নি , মুখে মুখে তা ছড়িয়ে পড়াতে ধর্মপ্রাণ নারী – পুরুষের প্রচন্ড ভীড় লক্ষ্য করলাম । এক ঘন্টার বেশী লাইনে অপেক্ষা করে যখন স্টেজের সামনে আসলাম , তখন কয়েক সেকেন্ডের বেশী থাকতে পারলাম না । ছোট্ট একটি কাচের পাত্র বেশ কিছুটা দূরে রেখে বলা হলো এর ভিতরে আছে সেই পবিত্র দাঁড়ি । সামনে একটি ম্যাগনিফাই গ্লাস রাখা ছিল কিন্ত্ত তার সাহায্যে দাঁড়ি দেখার মত কোন অবস্থা ছিল না । স্টেজে যারা ছিলেন , তাদের কেউ কেউ বিকট চিৎকার দিচ্ছিলেন - চলে যান , এখান থেকে চলে যান , অন্যকে দেখার সুযোগ দিন । তাই বাধ্য হয়েই সরে আসতে হলো বুক ভরা হতাশা নিয়ে । এত কাছে এসেও রাসূল صلى الله عليه وسلم এর দাঁড়ি দেখতে পারলাম না । আজকাল আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে সব জায়গায় । যে কোন বিয়ে বাড়িতে গেলে বর – বউকে দেখতে স্টেজ পর্যন্ত যেতে হয় না । বিয়ে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় স্ত্রিন লাগানো থাকে , সেখানে অতিথিরা দূর থেকে দেখেন নব-দম্পতিকে । অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মাঠে না গিয়েও বিভিন্ন খেলা বাসায় বসে দর্শকরা দেখেন । তাই মনে প্রশ্ন জাগলো , এত বড় একটা প্রদর্শনীতে কেন আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেয়া হলো না ? বড় বড় স্ক্রীন বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে রাসূল صلى الله عليه وسلم এর দাঁড়ি ভালভাবে দেখার সুযোগ কি মানুষকে দেয়া যেত না ? তাছাড়া , এরকম দূর্লভ প্রদর্শনী শুধু মসজিদভিত্তিক না হয়ে জাদুঘরেও আয়োজন করা উচিত । তাহলে অনেক অমুসলিমও এই প্রদর্শনী দেখতে আসতে পারতেন । কে বলতে পারে , এই প্রদর্শনীতে আসার উসীলায় তারা হয়তো হেদায়েতপ্রাপ্ত হতেন । আশা করি , এখনো সময় আছে । তুরস্ক দূতাবাসকে অনুরোধ করে জাতীয় জাদুঘরে পরিকল্পিতভাবে এই প্রদর্শনী আরো সুন্দরভাবে আয়োজন করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানাচ্ছি । প্রদর্শনীর আগে খবরটি ভালভাবে প্রচার করা দরকার ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তা সরাসরি দেখানো হোক।
  17. Asalamu'alaikum Ibn al-Qayyim rahimahullah said: “When a person spends his entire day with no other concern but Allaah alone, Allaah, may He be glorified, will take care of all his needs and take care of all that is worrying him; He will empty his heart so that it will be filled only with love for Him, free his tongue so that it will speak only in remembrance of Him (dhikr) and cause all his faculties to work only in obedience to Him...." [Al-Fawaa’id, p. 159]
  18. ধনি ও দরিদ্র অনুবাদ: মহিউদ্দীন ফারুকী মূল: মোস্তফা লুৎফী আল মানফালুতী গত কাল রাতে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। পথি মধ্যে এক হতদরিদ্র লোক দেখতে পেলাম, পেটে হাত দিয়ে বসে আছে। ভাবে বুঝা গেল কিছুটা ব্যথা অনুভব করছে। এগিয়ে গেলাম। জিজ্ঞাস করলাম: কি হয়েছে আপনার? সে বললো: ক্ষুদার তাড়নায় ব্যথা অনুভব করছি। একথা শুনে তার পেটের ব্যথা দূর করার জন্য আমি যথাসাধ্য তাকে কিছু সহযোগীতা করলাম। এরপর চললাম আমার গন্তব্যে। আর গন্তব্য? আমার প্রিয় ধনাঢ্য বন্ধুর বাসা। বাসায় পৌঁছেতো আমি অবাক! বন্ধু (তার)পেটে হাত দিয়ে বসে আছে। আর রাস্তার সেই হতদরিদ্র লোকের মত পীড়া অনুভব করছে। আমি তাকে কারণ জিজ্ঞেস করলাম। সে বললো: অতি মাত্রায় ভোজনে আমার বদ হয়েছে। আর সে কারণেই পেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করছি। আমি মনে মনে বললাম কি আশ্চর্য! যদি এই ধনি অতিমাত্রায় না খেয়ে তার উচ্ছিষ্ট খাবার গুলো ঐ দরিদ্র ব্যক্তিকে দান করতো তাহলে দু'জনেই থাকত আরামে। আর কোন ব্যথা ও অসুস্থতায় আক্রান্ত হতে হত না তাদের। আর এটাই তো হওয়ার কথা ছিল যে, ব্যক্তি তার ক্ষুধা নিবারণের জন্য যতটুকু খাবার প্রয়োজন, ততটুকুই সে গ্রহণ করবে। বাকিটুকু দান করে দিবে হত দরিদ্রদের; যারা এক মুঠো খাবারের আশায় চেয়ে থাকে অন্যের দিকে। কিন্তু তা না করে সে খাবারের প্রতি ভালবাসা দেখিয়েছে। তাকে লোভে পেয়েছে। তাই খাবারের দস্তরখানে সাজিয়েছে কয়েক রকমের খাবার। আর দরিদ্রের অধিকার খর্ব করে "গলধঃকরণ" করেছে সবটুকু। তাই আল্লাহ তা'আলা এই অপরাধে তাকে "বদহজমীর" মাধ্যমে শাস্তি দিচ্ছেন। আর এভাবেই বুঝে আসে আরবীয় প্রবাদের সত্যতা: "ধনীর বদহজমী দরীদ্রের ক্ষুধা।" http://www.nirmanmagazine.com/index.php/2011-06-18-11-30-34/94-2011-06-16-16-00-13
  19. Asalamu'alaikum Luqman ra said to his son:_ “O my son! I have never regretted because of keeping silent. If words are silver, Silence is Golden.”
  20. Asalamu'alaikum একটি সোনালী বাক্সের গল্প Posted: 17 Feb 2012 01:11 AM PST অনুবাদঃ শাহরিনা ইয়েসমিন কিছু দিন আগে আমার এক বন্ধু তার তিন বছর বয়সী মেয়ে কে শাস্তি দিয়েছিল কিছু সোনালী রঙের উপহার মোড়ানোর কাগজ নষ্ট করার জন্য। বন্ধুটি বেশ অর্থ সংকটে ছিল, তাই যখন দেখল বাচ্চাটি সোনালী কাগজগুলো দিয়ে একটি বাক্স সাজানোর চেষ্টা করছে, সে রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে গেল। সে যাই হোক, পরদিন সকালে যখন ছোট্ট মেয়েটি তার বাবাকে বাক্সটি উপহার দিল এবং বলল- ‘বাবা এটা তোমার জন্য’, তখন সে তার পূর্বের আচরণের জন্য খুব অপ্রস্তুত হয়ে গেল। কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার রাগ আবার বেড়ে গেল যখন সে দেখল বাক্সটির ভেতরে সম্পূর্ণ খালি। বন্ধুটি রাগতস্বরে মেয়েকে বলল, তুমি কি জান না যখন কাউকে কিছু উপহার দাও, তখন তার মধ্যে কিছু থাকতে হয়? ছলছল চোখে ছোট্ট মেয়েটি তার বাবার দিকে তাকাল এবং বলল- ‘ওহ বাবা এটা তো খালি না, বাক্সটিকে আমি অনেক অনেক চুমু দিয়ে ভরে দিয়েছি, সব তোমার জন্য বাবা।’ বাবা কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো এবং মেয়েকে কোলে তুলে নিল ও ক্ষমা চাইল। বন্ধুটি আমাকে বলেছিল, সে সোনালী বাক্সটি বহু বছর তার বিছানার পাশে রেখেছিল, যখনই সে কোন কিছুতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলত, ঐ বাক্স থেকে একটি কল্পনিক চুমু সে নিয়ে নিত এবং অনুভব করত তার ছোট্ট মেয়ের ভালবাসা। প্রকৃতপক্ষে আমরা প্রত্যেক বাবা-মা ই সন্তানদের কাছ থেকে ঐরূপ নিঃশর্ত ভালবাসা ও চুমুয় পূর্ণ সোনালী বাক্স পেয়ে থাকি যার চেয়ে মূল্যবান আর কিছু আমরা পেতে পারিনা। http://www.quraneralo.com/story-of-a-golden-box/?utm_source=feedburner&utm_medium=email&utm_campaign=Feed%3A+quraneralo+%28QuranerAlo.com+-+%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0%27%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%29
  21. this is the bangla translation of Shahee Muslim Hadith. I think , English translation is available in English section. As this is Bangla thread , I only posted in Bangla.
  22. Asalamu'alaikum সহীহ মুসলিম ১ মুকাদ্দামা ২ কিতাবুল ঈমান হাদীস নং: ১-৪২৬ ৩ কিতাবুত তাহারাত(পবিত্রতা) হাদীস নং: ৪২৫-৫৬৯ ৪ কিতাবুল হায়েজ (ঋতুবতী) হাদীস নং: ৫৭০-৭২০ ৫ কিতাবুস সালাত (১ম) হাদীস নং: ৭২১- ১০৮২ ৬ কিতাবুস সালাত (২য়) হাদীস নং: ১০৮৩-১৪৩৯ http://ohilibrary.blogspot.com/p/hadith-bangla.html
×
×
  • Create New...