Jump to content
IslamicTeachings.org

MUSLIM WOMAN

Members
  • Posts

    1,173
  • Joined

  • Last visited

  • Days Won

    41

Everything posted by MUSLIM WOMAN

  1. Asalamu'alaikum Latest post on QuranerAlo.com Website - including - পহেলা এপ্রিল : উম্মাহর শোকের দিন <img alt="" border="0" style="border-top-width: 0px; border-right-width: 0px; border-bottom-width: 0px; border-left-width: 0px; border-style: initial; border-color: initial; border-image: initial; padding-top: 6px; " /> <img alt="Link to QuranerAlo.com - কুরআনের আলো ইসলামিক ওয়েবসাইট" style="border-top-width: 0px; border-right-width: 0px; border-bottom-width: 0px; border-left-width: 0px; border-style: initial; border-color: initial; border-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 3px; border-style: initial; border-color: initial; " /> Posted: 31 Mar 2012 05:25 AM PDT ইউরোপে মুসলমানরা প্রবেশ করেছিলেন স্পেনের দরজা দিয়ে। ঐতিহাসিক রর্বাট ব্রফিল্ট দি মেকিং অব হিউম্যানিটি গ্রন্থে মুসলমানদের এ প্রবেশকে অন্ধকার কক্ষের দরজা দিয়ে র্সূযের আলোর প্রবেশ বলে অভিহিত করছেনে। কেন এই তুলনা? রর্বাট ব্রফিল্টের জবাব হলো—‘যেহেতু স্পেনে মুসলমানদের আগমনের ফলে শুধু স্পেনে নয়, বরং গোটা ইউরোপ মুক্তির পথ পেয়েছিল ‘এজ অব র্ডাকনেস’ তথা হাজার বছরের অন্ধকার থেকে। ‘এজ অব র্ডাকনেস’ সর্ম্পকে রর্বাট ব্রফিল্টের মন্তব্য হলো—‘সেই সময় জীবন্ত অবস্থায় মানুষ অমানুষিকতার অধীন ছিল, মৃত্যুর পর অনন্ত নরকবাসের জন্য নির্ধারিত ছিল।’ স্পেন জয়ের ঘটনাটি ঘটে ৭১১ খ্রিস্টাব্দে। মুসলিম সেনাপতি তারেক বিন জিয়াদ ভূমধ্যসাগরের উত্তাল তরঙ্গমালা পাড়ি দিয়ে ১২ হাজার সৈন্য নিয়ে রাজা রড্রিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। রাজা রডরিকের শাসনামল ছিল স্পেনের জন্যে এক দুঃস্বপ্নের কাল। জনগণ ছিল রডরিক ও গথ সম্প্রদায়ের উত্পীড়নের অসহায় শিকার। মরণের আগে স্বাধীনতা ভোগের কোনো আশা তাদের ছিল না। তারেকের অভিযানের ফলে মুক্তির পথ বেরুবে, এই ছিল সাধারণ মানুষের ভাবনা। তারা তারেক বিন জিয়াদকে আর্শীবাদ হিসেবে গ্রহণ করল ৩০ এপ্রিল, ৭১১ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার। রডরিক পলায়নের সময় নিমজ্জিত হয়ে মারা যায় গুয়াডেল কুইভারের পানিতে। এরপর জনগণের সহযোগিতায় মুসলমানরা একে একে অধিকার করলেন মালাগা, গ্রানাডা, র্কডোভা। অল্পদিনেই অধিকৃত হলো থিয়োডমির শাসিত সমগ্র আলজিরিয়াস। এদিকে আরেক সেনাপতি মুসা বিন নুসাইর র্পূবদিকের সমুদ্র পথ ধরে ৭১২ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে আবিষ্কার করেন সেভিল ও মেরিজ। তিনিও স্পেনের বিভিন্ন শহর অধিকার করে টলেডোতে গিয়ে মিলিত হলেন তারিকের সঙ্গে। তারপর তারা এগিয়ে যান আরাগনের দিকে। জয় করেন সারাগোসা, টারাগোনা, র্বাসেলোনা এবং পিরিনেজ র্পবতমালা র্পযন্ত গোটা স্পেন। তারপর মুসা বিন নুসাইর পিরিনেজ র্পবতে দাঁড়িয়ে সমগ্র ইউরোপ জয়ের স্বপ্ন আঁকছিলেন আর স্পেন থেকে বিতাড়িত গথ সম্প্রদায়ের নেতারা পিরিনেজের ওপারে স্পেন পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা আঁটছিলেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন ইউরোপের খ্রিস্টান নেতারা। মুসলমানরা পিরিনেজ অতিক্রম করে ফ্রান্সের অনেক এলাকা জয় করেন। কিন্তু অ্যাকুইটেনের রাজধানী টুলুর যুদ্ধে ভয়াবহতার সম্মুখীন হয়ে তারা বুঝতে পারলেন যে, অসির পরির্বতে মসির যুদ্ধের মাধ্যমেই ইউরোপ জয় করা সহজতর। এরপর মুসলমানদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হলো জ্ঞান-বিজ্ঞানের র্চচা ও বিস্তারে। তারা সেই যুদ্ধে সফল হন এবং প্রণিধানযোগ্য ইতিহাস তাদের বিজয়কে স্বীকৃতি দিয়েছে। অপরদিকে খ্রিস্টীয় শক্তি পুরনো পথ ধরেই হাঁটতে থাকে। ৭৫৬ খ্রিস্টাব্দেরে ১৩ মে মাসারার যুদ্ধের পর থেকে স্পেনের ওপর তাদের নানামুখী আগ্রাসন ও সন্ত্রাস চলতে থাকে। ফলে স্পেনের নিরাপত্তা হয়ে পড়ে হুমকির সম্মুখীন। কিন্তু স্পেনের ভেতরে পচন ধরার প্রাথমিক সূত্রগুলো তৈরি হচ্ছিল ধীরে ধীরে। সমাজের নেতৃস্থানীয় র্পযায়ে রাজনৈতিক বোধ ও সচতেনতা ধীরে ধীরে হারাতে শুরু করছিল। রাজনৈতিক নেতৃর্বগ রাষ্ট্রের শত্রু-মিত্র বিভাজনের কাণ্ডজ্ঞান থেকে সরে আসছিল দূরে। এদিকে ইউরোপের আকাশে ক্রুসেডের র্গজন শোনা যাচ্ছে। স্পেনের বিরুদ্ধে যে আক্রোশ কাজ করছিল সেটাই তিনশ’ বছরে পরিপুষ্ট হয়ে ১০৯৭ সালে গোটা ইসলামী দুনিয়ার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে ভয়াবহ তুফানের মতো। ১০৯৮-এর জুনে এন্টয়িক দখলের সাফল্যজনক কিন্তু নৃশংস ঘটনার মধ্য দিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠা এ তুফান ১২৫০ সালে অষ্টম ক্রুসেডের পরিসমাপ্তির পর স্পেনের দিকে মোড় ঘোরায়। স্পেনে তখন সামাজিক সংহতি ভঙ্গুর। খিস্টান গোয়েন্দারা ইসলাম র্ধম শিখে আলেম লেবাসে বিভিন্ন মসজিদে ইমামতিও করছে। তাদের কাজ ছিলো স্পেনের সমাজ জীবনকে অস্থিতিশীল ও শতচ্ছিন্ন করে তোলা। <img alt="" height="274" style="border-top-width: 0px; border-right-width: 0px; border-bottom-width: 0px; border-left-width: 0px; border-style: initial; border-color: initial; border-image: initial; " title="dormo_first-april" width="360" /> ১৪৬৯ সালে র্ফাডিনান্ড ও ইসাবেলা স্পেনে মুসলিম সভ্যতার অস্তিত্বকে গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য পরস্পর বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৪৮৩ সালে র্ফাডিনান্ড ও ইসাবেলা একটি শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী পাঠান মালাগা প্রদেশে। যাদের প্রতি হুকুম ছিল শস্যক্ষেত্র জ্বালিয়ে দেয়া, জলপাই ও দ্রাক্ষা গাছ কেটে ফেলা, সমৃদ্ধিশালী গ্রাম ধ্বংস করা, গবাদিপশু তুলে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। সেই সময় মৃত্যু ঘটে স্পেনের শাসক আবুল হাসান আলীর। শাসক হন আজজাগাল। এক র্পযায়ে প্রাণরক্ষা ও নিরাপত্তার অঙ্গীকারের ওপর নগরীর লোকেরা আত্মসর্মপণ করলেও নগরী জয় করেই র্ফাডিনান্ড চালান গণহত্যা। দাস বানিয়ে ফেলেন জীবিত অধিবাসীদের। এরপর র্ফাডিনান্ড নতুন কোনো এলাকা বিজিত হলে বোয়াবদিলকে এর শাসক বানাবে বলে অঙ্গীকার করে। ৪ ডিসেম্বর ১৪৮৯। আক্রান্ত হয় বেজার নগরী। আজজাগাল দৃঢ়ভাবে শত্রুদের প্রতিহত করলেন। কিন্তু র্ফাডিনান্ডের কৌশলে খাদ্যাভাব ঘটে শহরে। ফলে শহরের অধিবাসী নিরাপত্তা ও প্রাণরক্ষার র্শতে আত্মসর্মপণ করে। কিন্তু তাদের ওপর চলে নৃশংস নির্মমতা। আজজাগাল রুখে দাঁড়ালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং পরে করা হয় আফ্রিকায় নির্বাসিত। ডিসেম্বর ১৪৯১-এ গ্রানাডার আত্মসর্মপণের র্শত নির্ধারিত হলো। বলা হলো : ‘ছোট-বড় সব মুসলমানের জীবনের সর্ম্পূণ নিরাপত্তা দেয়া হবে। তাদরে মুক্তভাবে র্ধম-র্কম করতে দেয়া হবে। তাদের মসজিদ, র্ধমীয় প্রতিষ্ঠান অক্ষত থাকবে। তাদের আদবকায়দা, আচার-ব্যবহার, রাজনীতি, ভাষা ও পোশাক-পরিচ্ছদ অব্যাহত থাকবে। তাদের নিজেদের আইনকানুন অনুযায়ী তাদরে প্রশাসকরা তাদের শাসন করবেন...।’ আত্মসর্মপণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন মুসা বিন আকিল। তিনি বললেন, গ্রানাডাবাসী! এটা একটা প্রতারণা। আমাদের অঙ্গারে পরিণত করার জ্বালানি কাঠ হচ্ছে এ অঙ্গীকার। সুতরাং প্রতিরোধ! প্রতিরোধ!! কিন্তু গ্রানাডার দিন শেষ হয়ে আসছিল। ১৪৯২ সালে গ্রানাডাবাসী আত্মসর্মপণ করল। রানী ইসাবেলা ও র্ফাডিনান্ডের মধ্যে শুরু হলো চুক্তি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা। চারদিকে চলছিল ভয়াবহ নির্যাতন। পাইকারি হারে হত্যা র্ববরতার নির্মম শিকার হতে থাকলেন অসংখ্য মুসলমান। স্পেনের গ্রাম ও উপত্যকাগুলো পরিণত হয় মানুষের কসাইখানায়। যেসব মানুষ র্পবতগুহায় আশ্রয় নিয়েছিল, তাদেরও মেরে ফেলা হলো আগুনের ধোঁয়া দিয়ে। পহেলা এপ্রিল, ১৪৯২। র্ফাডিনান্ড ঘোষণা করলেন, যেসব মুসলমান গ্রানাডার মসজিদগুলোতে আশ্রয় নেবে, তারা নিরাপদ। লাখ লাখ মুসলমান আশ্রয় নিলেন মসজিদগুলোতে। র্ফাডিনান্ডের লোকেরা সবগুলো মসজিদে আগুন লাগিয়ে দিল। তিনদিন র্পযন্ত চললো হত্যার উত্সব। র্ফাডিনান্ড লাশপোড়া গন্ধে অভিভূত হয়ে হাসলেন। বললেন, হায় মুসলমান! তোমরা হলে এপ্রিলের বোকা (এপ্রিল ফুল)। এই গণহত্যার পরও যেসব মুসলমান আন্দালুসিয়ায় রয়ে গিয়েছিলেন, তাদের র্ফাডিনান্ডের ছেলে তৃতীয় ফিলিপ সহায়-সম্বলহীন অবস্থায় সমুদ্রপথে নির্বাসিত করেন। তাদরে সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখেরও বেশি। ইতিহাস বলে, তাদের মধ্যে খুব অল্পসংখ্যক লোকই জীবিত ছিলেন। বিপুলসংখ্যক মানুষ সমুদ্রের গহীন অতলে হারিয়ে যান চিরদিনের জন্য। এভাবেই মুসলিম আন্দালুসিয়া আধুনিক স্পেনের জন্ম দিয়ে ইতিহাসের দুঃখ হয়ে বেঁচে আছে। সেই বেঁচে থাকা বোয়াবদিলদের বিরুদ্ধে ধিক্কাররূপে র্ফাডিনান্ডের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদরূপে। দুনিয়ার ইতিহাস কী আর কোনো আন্দালুসিয়ার নির্মম ট্রাজেডির সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল? সম্ভবত হয়নি এবং হতে চায় না কখনও। স্পেন হয়ে আছে মুসলিম উম্মাহর শোকের স্মারক। পহেলা এপ্রিল আসে সেই শোকের মাতম বুকে নিয়ে। শোকের এই হৃদয়ভাঙা প্রেক্ষাপটে মুসলিম জাহানের জনপদে জনপদে আন্দালুসিয়ার নির্মমতার কালো মেঘ আবারও ছায়া ফেলছে। এশিয়া-আফ্রিকাসহ র্সবত্রই দেখা যাচ্ছে মুসলিম নামধারী একশ্রেণীর বিশ্বাসঘাতক বোয়াবদিল এবং ক্রুসেডীয় উন্মত্ততার প্রতিভূ র্ফাডিনান্ডদের যোগসাজশ। আন্দালুসিয়ার মুসলমানদের করুণ পরিণতি যেন ধেয়ে আসতে চায় এই মানচিত্রের আকাশেও। এ জন্য র্পূব প্রস্তুতি হিসেবে সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বির্পযয়ের প্রলয়বাদ্য চলছে। [তথ্যসূত্র : সৈয়দ আমীর আলী : দ্য স্পিরিট অব ইসলাম অ্যান্ড সারাসিল, সম্পাদনাঃ মাসউদ হাসয়ান, স্পেনে মুসলিম র্কীতি— এমদাদ আলী, ইউরোপে ইসলাম— তালিবুল হাশেমী, অনুবাদ— আমীনুর রশীদ] লেখক : প্রাবন্ধিক, কবি
  2. "By avoiding that which Allah has forbidden, Allah will accept du’aa and tasbeeh." ~Umar Ibn al-Khattaab (RadhiAllahu Anhu
  3. কুরআনের ভালোবাসায় রুশ নারীর ইসলাম গ্রহণ এবং রুশ ভাষায় কুরআনের ভাষান্তর Posted by QuranerAlo.com Editor লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব | সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া বিশ বছরের অধিককাল আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তাঁর করা কুরআনের অর্থানুবাদকে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা অন্যতম সেরা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুবাদ হিসেবে গণ্য করছেন। তিনিই এগিয়ে এসেছেন রাশিয়ায় কুরআনুল কারীমের ক্ষেত্রে অনেক গবেষণাকারী ও বিজ্ঞজনদের মৃত্যুজনিত অভাব পূরণে। তিনি হলেন রাশিয়ান নারী ভেলেরিয়া বোরোচভা (Valeria Borochva)। নিজের কুরআন অনুবাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত আমাকে তার প্রেমিক বানিয়েছে আর এ ভালোবাসাই আমাকে তা রুশ ভাষায় অনুবাদে অনুপ্রাণিত করেছে।’ ভেলেরিয়া বোরোচভা কিন্তু কোনো আলেমা বা ইসলামবিশেষজ্ঞ নন। ইসলামের আইনশাস্ত্র বা ফিকহ বিষয়েও তিনি কোনো ডিগ্রিধারী নন। হ্যা, তাঁর বিশেষত্ব হলো তিনি রাশিয়ান ভাষায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ সমাপ্ত করেছেন। সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার ৬০ মিলিয়ন মুসলিমের জন্য যা এক গুরুত্বপূর্ণ কীর্তি হিসেবে বরিত ও প্রশংসিত হচ্ছে। আল-আরাবিয়া ডট নেটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর রুশ ভাষায় মহাগ্রন্থ আল-কুরআন অনুবাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী সিরিয়ার দামেস্ক শহরে বসবাসকারী এক আরব। তাঁর সঙ্গে আমি ১০ বছর কাটাই দামেস্কে। ইতোপূর্বে আমি আরবী জানতাম না। সেখানেই আরবী শিখি। আরবী শেখার পর সেখানে আমি একটি আরবী-রুশ অভিধান রচনা করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার শ্বশুর একজন ধার্মিক পুরুষ ছিলেন। তাঁর একটি বড় লাইব্রেরি ছিল। সেখানে নিয়মিত অধ্যয়নের পাশাপাশি আমি পূর্ণ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কুরআন তরজমায় মনোনিবেশ করি। দামেস্ক থেকে ফি বছর মিশরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন একটি গবেষণা একাডেমির উদ্দেশ্যে সফর করতাম। একাডেমিতে ছিল একটি অনুবাদ দপ্তর। দশ পারা অনুবাদ সম্পন্ন করার পর একাডেমির আলেমগণ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেন। আরবী ও রুশ ভাষা জানা তিন বিজ্ঞ আরব ও দুই রাশান আলেম সদস্যের এ কমিটি খুব ভালোভাবে আমার তরজমা পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন।’ বোরোচভা উল্লেখ করেন, প্রথমে এ বোর্ড তাঁর তরজমা সম্পর্কে অনেক টীকা যোগ করেন। পাশাপাশি তাঁরা অনুবাদের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। তাঁরা বলেন, অনুবাদ হয়েছে প্রথম শ্রেণীর। এ কারণেই আমরা এর অধ্যয়ন ও মূল্যায়ন চালিয়ে যেতে পারছি। এর মধ্যে যদি অনেক ভুল-ভ্রান্তি পেতাম তবে পর্যবেক্ষণে আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারতাম না। প্রতিবারই তাঁরা অনুবাদ সম্পর্কে বৈঠক বসতেন এবং এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতেন।’ তিনি জানান, তাঁকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে সিরিয়ায় বসবাসের সুবাদে তা সহজেই ডিঙ্গানো সম্ভব হয়েছে। সিরিয়ার সাবেক মুফতী শায়খ আহমদ কিফতারো এবং তার পুত্র শায়খ মাহমুদ কিফতারো সবসময় তাকে সাহায্য করেছেন। প্রেরণা এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত অনেক বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞেস করেছি। প্রয়োজনীয় সব কিছুই তাঁদের কাছ থেকে জেনে নিয়েছি। তেমনি ড. যুহাইলিরও সাহায্য নিয়েছি, যার কাছে কুরআনুল কারীমের তাফসীর সংক্রান্ত অনেক কিতাব ছিল।’ তিনি যোগ করেন, ‘বহু আলেম আমাকে সাহায্য করেছেন। ‘আমি ভেলেরিয়া যদি একা একা বসে থাকতাম তাহলে কুরআনের তরজমায় অনেক ভুল হত।’ নিজের ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আসমানী গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের ভালোবাসাই আমাকে ইসলামে দীক্ষিত হতে প্রেরণা ও চেতনা জুগিয়েছে। আমার বিশ্বাস, খোলা মন নিয়ে যিনিই এ কুরআন শেষ পর্যন্ত পড়বেন, শেষাবধি তাকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বলতেই হবে।’ অনুবাদের মুদ্রণ ব্যয় সংগ্রহ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শেখ যায়েদ ইবন সুলতান (আল্লাহ তার ওপর রহমত করুন) আল-আজহার একাডেমির কাছে একটি চিঠি পাঠান, তরজমা যথার্থ কি-না তিনি তা জানতে চান। নিশ্চিত হবার পর ২৫ হাজার কপি অনুবাদ ছাপার খরচ বহনে আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ যায়েদ। এ পর্যন্ত অর্ধ মিলিয়ন কপি অনুবাদ ছাপা হয়েছে। সৌদি আরবের শায়খ খালেদ কাসেমীও অনেক কপি ছাপিয়েছেন। লিবিয়া ও কাতারে থেকেও এ অনুবাদ ছাপা হয়েছে।’ সূত্র : ইন্টারনেট
  4. `Umar bin `Abd al-`Azeez said: "He who acts without knowledge causes more corruption than good, and he who does not consider his speech to be part of his actions sins repeatedly. Satisfaction is scarce, and the true believer should rely on patience. Allaah never bestowed a blessing upon one of His servants and then took it away from him, giving him patience in return for that which was taken away, except that the replacement was better than what was taken away from him." Then he recited the following verse: "Surely the patient will be paid their wages in full without reckoning." [39:10]
  5. I complained to Waki' about the weakness of my memorisation, So he instructed me to abandon disobedience; He informed me that knowledge is a light, And the light of Allah is not given to a sinner. (Imam Ash-Shafi' (Rahimullah))
  6. Dhikr is a tree with fruits of awareness. The more frequent the dhikr is made, the stronger the roots of a tree and the more fruits on it." [ibn Al-Qayyim Al-Jawziyah]
  7. Asalamu'alaikum নবজাত শিশুকে মেরে ফেলার অধিকার মা – বাবার থাকা উচিত নবজাত শিশুকে মেরে ফেলার অধিকার মা – বাবার থাকা উচিত , এমন দাবী করা হয়েছে ব্রিটিশ এক চিকিৎসা সাময়িকীতে। এর পক্ষে যুক্তি হলো , জন্ম দেয়ার পর শিশুকে মেরে ফেলা গর্ভপাত থেকে আলাদা কিছু না । গর্ভপাত করার আইনগত অধিকার যদি একজন নারীর থাকে , তবে নবজাত শিশুকে কেন মা - বাবা মেরে ফেলতে পারবেন না ? এই অধিকার তাদের দিতে হবে । এই দুই ক্ষেত্রেই মা- বাবার মতামত বেশী গূরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত । “ জন্মের পর গর্ভপাত : শিশু কেন বেঁচে থাকবে ? ” - এই লেখাটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এক চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে । এটি লিখেছেন আলবার্টো জিওবিলিনী ও ফ্রান্সসিসকা মিনার্ভা । এই দুই লেখকের আরো আবদার , একে খুনও বলা যাবে না , এটা হলো জন্ম পরবর্তী গর্ভপাত । যদি এটা অন্যায় বা অবৈধ হয় , তবে গর্ভপাতও নিষিদ্ধ করতে হবে । সাময়িকীর সম্পাদক অধ্যাপক জুলিয়ান সাভুলেস্কো জানান , এটি ছাপা হবার পর লেখকরা মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছেন। তিনি এর নিন্দা জানান । তার মতে , যারা এই হুমকি দিচ্ছে , তারা উগ্রপন্থী ও উদার মূল্যবোধের বিরোধী । যদিও দুই লেখকের মতামত বিতর্কের সৃস্টি করেছে , এই মতের অনেক সমর্থকও জুটে গিয়েছে । শিশু হত্যার পক্ষে যুক্তি : দুই লেখক ও যারা এই মত সমর্থন করছেন, তারা বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরছেন : ১. নবজাত শিশু সম্ভাব্য মানুষ , পূর্ণাঙ্গ মানুষ না । তাই বেঁচে থাকার নৈতিক বা আইনগত অধিকার যা স্বাভাবিক মানুষদের আছে , সেটা তার নেই । ২. নবজাত শিশুকে মেরে ফেলা ভ্রুণ হত্যা বা গর্ভপাত থেকে আলাদা কিছু না । গর্ভপাত করার অধিকার যদি একজন নারীর থাকে , তবে শিশুকে জন্ম দেয়ার পর তাকে মেরে ফেলার অধিকারও মায়ের থাকা উচিত । ৩. ভ্রুণ হত্যা যেমন আইনত স্বীকৃত , তেমনি জন্মের পরপর শিশুকে মেরে ফেলা খুন নয় , সেটা জন্ম পরবর্তী গর্ভপাত হিসাবে গণ্য হবে । ৪. জোর করে শিশু পালনের দায়িত্ব মা – বাবার উপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না ; বিশেষ করে শিশু যদি শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী হয় । ৫. জন্মগতভাবে অসুস্থ শিশুকে বড় করার দায়িত্ব পালনে কোন মা – বাবাকে বাধ্য করা যাবে না । এই দায়িত্ব পালনের মত শারীরিক সুস্থতা , মানসিক ধৈর্য্য ও আর্থিক সামর্থ্য তাদের নাও থাকতে পারে । ৬ . যারা শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী , তারা পরিবারের জন্য বোঝা । শুধু তাই নয় , তারা সমাজ ও দেশের জন্যও বোঝা । কারণ , এদের পিছনে রাষ্ট্রের প্রচুর টাকা খরচ করতে হয় । ৭. শিশু পালনের খরচ যদি মা – বাবা বহন করতে না পারেন বা কোন সমস্যার জন্য তারা বাচ্চা পালতে না চান , তবে নবজাত শিশু অসুস্থ না হলেও তাকে মা - বাবা মেরে ফেলতে পারবেন । শিশু হত্যা : ইসলাম কী বলে ? বেশীরভাগ ইসলামিক চিন্তাবিদদের মতে , যদি মায়ের জীবন ঝুঁকির মুখে বলে কোন ধার্মিক মুসলমান চিকিৎসক মত দেন , তখনই শুধু মায়ের জীবন বাঁচাতে গর্ভপাত করা যেতে পারে । তারা তাদের মতের পক্ষে কুরআনের নীচের আয়াতগুলির উদ্ধৃতি দেন - তোমরা অভাবের ভয়ে সন্তান হত্যা করো না , ওদের এবং তোমাদেরকে আমিই রিযিক দিয়ে থাকি । নিশ্চয়ই ওদের হত্যা করা মহাপাপ ( পবিত্র কুরআন , সুরা বনী ইসরাঈল , আয়াত ৩‌১ ) । ....তারা আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাসী হলে তাদের গর্ভাশয়ে যা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন , তা গোপন রাখা হালাল নয় ( সুরা বাকারা , আয়াত ২২৮ ) । নরহত্যা অথবা দুনিয়াতে ধ্বংসাত্মক কাজ করার জন্য ছাড়া কোন নিরপরাধ মানুষকে খুন করা মানে যেন পুরো মানবজাতিকে মেরে ফেলা ( সুরা মায়িদা ; ৫ :৩২) । সন্তান শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী , সন্তান পালনের খরচ মা – বাবা বহন করতে পারবেন না বা পারিবারিক ঝামেলায় সন্তানকে মানুষ করা মায়ের পক্ষে সম্ভব না – এসব অজুহাতে কোন অবস্থাতেই সন্তানকে খুন করা যাবে না । তা করলে আল্লাহর আদেশ অমান্য করা হবে । মনে রাখতে হবে , নিরপরাধ মানুষ হত্যা ইসলামে অন্যতম বড় পাপ । সন্তান যদি চরম অসুস্থ হয় , তাহলে মা – বাবার জন্য সেই অসুস্থ বাচ্চার দেখাশোনা কষ্টকর হলেও নিশ্চয়ই এর মধ্যেই রয়েছে তাদের কল্যাণ । মনে হতে পারে , অসুস্থ সন্তানকে মেরে ফেললে অনেক ঝামেলা ও অর্থ বাঁচবে , কিন্ত্ত তাতে রয়েছে পরকালের অকল্যাণ । সম্ভবত তোমরা যা পছন্দ করো না , তা তোমাদের কল্যাণকর আর যে বিষয়ে তোমরা পছন্দ করো , তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর আল্লাহ জানেন , তোমরা জান না । ( সুরা বাকারা ; ২: ২১৬ ) আরো মনে রাখতে হবে , এই অসুস্থ বাচ্চাও আল্লাহরই সৃষ্টি ও আল্লাহর দাস । আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন । আল্লাহ সবাইকে এই পাপ থেকে দূরে রাখুন । দেহে যখন আত্মা আবার সংযোজিত হবে , যখন জীবন্ত সমাধিস্থ কন্যাকে প্রশ্ন করা হবে , কী দোষে ওকে হত্যা করা হয়েছিল ? ( সুরা তাকবীর ; ৮১ : ৭-৯ ) http://www.ummah.com...xperts-quot-say http://www.telegraph...xperts-say.html
  8. নিয়তের অর্থঃ নিয়ত আরবী শব্দ। এর বাংলা অর্থঃ ইচ্ছা করা, মনস্ত করা, এরাদা করা, সংকল্প করা। (মুনজিদ, ৮৪৯/ ফতহুল বারী, ১/১৭) শব্দটি আমরা বাংলাভাষী লোকেরাও ব্যবহার করে থাকি। যেমন আমরা বলি: আমি এ বছর হজ্জ করার নিয়ত করেছি। অর্থাৎ ইচ্ছা করেছি মনস্থ করেছি। নিয়তের গুরুত্বঃ শরীয়তে নিয়তের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তির আমল আল্লাহর নিকট গ্রহণীয় হয়না যতক্ষণে বান্দা তার নিয়ত সঠিক না করে নেয়। অর্থাৎ , আল্লাহর জন্যে তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে না করে নেয়। আল্লাহ বলেনঃ (তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ট ভাবে আল্লাহর এবাদত করবে…)। (সূরা বাইয়্যিনাহ/৫) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “আমল সমূহ নিয়তের (ইচ্ছার) উপর নির্ভরশীল, আর প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যা সে নিয়ত করবে। সুতরাং যে ব্যক্তি পার্থিব জীবনে সুখ-শান্তি লাভের উদ্দেশ্যে হিজরত করবে সে তাই পাবে। কিংবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে হিজরত করবে সে তাই পাবে“। (বুখারী, প্রথম হাদীস) হাদীসটিতে নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বক্তব্য স্পষ্ট যে, মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পায়। দৃষ্টান্ত স্বরূপ হিজরত। হিজরত অর্থ: ইসলামের বিধি-বিধান পূর্ণ রূপে পালন করতে পারা যায়না এমন দেশ ছেড়ে সে দেশে যাওয়া যেখানে বিনা অসুবিধায় পালন করা যায়। অন্য কথায়, কুফরের দেশ ত্যাগ করে ঈমানের দেশে প্রত্যাবর্তন করা। [ফাতহুল বারী, ১/২১] তাই কোন ব্যক্তি যদি এ কারণে দেশ ত্যাগ করে যে, সে যে দেশে যাচ্ছে সেখানে যাওয়ার তার উদ্দেশ্যে হল কোন রমণীকে বিবাহ করা বা দুনিয়াবী কোন সুবিধা অর্জন করা, তাহলে সে তাই পাবে। হিজরতের ফলে কোন নেকী পাবেনা। যদি সে ঈমান বাঁচানোর উদ্দেশ্যে হিজরত করতো, তাহলে নেকী পেত। কাজ একই কিন্তু নিয়তের পরিবর্তনের কারণে নেকী পাওয়া এবং না পওয়া নির্ভর করছে। প্রকৃত নিয়ত হচ্ছে: ইবনুল কাইয়ুম (রাহেঃ) বলেনঃ “নিয়ত হচ্ছে, কোন কিছু করার ইচ্ছা করা এবং সংকল্প করা। উহার স্থান হচ্ছে অন্তর যবানের সাথে আসলে তার কোন সম্পর্ক নেই। এ কারণে না তো নবীজী হতে আর না কোন সাহাবী হতে নিয়তের শব্দ বর্ণিত হয়েছে”। (ইগাসাতুল্ লাহ্ফান, ১/২১৪) সত্য প্রিয় ভাই! হ্যাঁ, প্রকৃতপক্ষে নিয়তের স্থান হচ্ছে অন্তর মুখে বলা বা পড়ার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। উদাহরণ স্বরূপ, ধরুন আপনার গ্রামে মসজিদ উন্নতি কল্পে জালসা হচ্ছে। আপনি জালসায় আগত আলেমদের আলোচনা শোনার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলেন। সাথে এক শত টাকাও নিলেন। সভা শেষে ১০০ টাকা দান করে বাড়ি ফিরলেন। বলুন তো, আপনি যে এ নেকীর কাজটি করলেন এর জন্য কি আপনাকে মুখে আরবী বা বাংলায় এরূপ বলতে হল কি যে, হে আল্লাহ! আমাদের গ্রামে মসজিদের উন্নতি কল্পে আয়োজিত জালসায়, আগত উলামাদের আলোচনা শোনার উদ্দেশ্যে এবং এক শত টাকা দান করার উদ্দেশ্যে জালসা শুনতে উপস্থিত হলাম বা হতে যাচ্ছি ? যদি কেউ এরূপ বলে তাহলে অনেকে তাকে মাথা খারাপ বলে মন্তব্য করবে। নামাযের লাইনে দাঁড়িয়ে আমরা কিন্তু অজান্তে আল্লাহকে আরবীতে তাই বলে যাচ্ছি। বলছিঃ হে আল্লাহ ! অমুকের পিছনে অমুক নামায পড়তে, কিবলামুখী হয়ে উপস্থিত হয়েছি। নামাযী যখন নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদে প্রবেশ করে সেটাই নামাযের নিয়ত হয়। অতঃপর যখন সে যহর, আসর বা মাগরিবের নামায সম্পাদনের জন্য দাঁড়ায় তখন সেটাই তার উক্ত নামাযের নিয়ত হয়। অনুরূপ সুন্নত, নফল, ১, ২, ৩, বা চার রাকাআত পড়ার তার অন্তরে যে ইচ্ছা জাগে সেটাই নিয়ত। মুখে শব্দ দ্বারা কোন কিছু বলার প্রয়োজন নেই। আরবী বা বাংলায় বিশেষ শব্দ দ্বারা নিয়ত পড়া: পূর্বের আলোচনা হতে সুস্পষ্ট যে নিয়তের জন্য আরবী বা বাংলায় কিছু বলতে হয় না। তবুও অনেকে আরবীতে এরূপ নিয়ত পড়ে থাকে যেমন ফজর নামাযের নিয়ত কালে বলেঃ ‘নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকাআতাই সালাতিল ফাজরে ফারযুল্লাহে তাআলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতে- আল্লাহু আকবার’। নিয়তের বিষয়টির সঠিকতাবিশ্লেষণার্থে সহীহ দলীল ভিত্তিক আরো কিছু আলোচনা করার প্রয়াস করাহলঃ প্রিয় পাঠক! নামায তথা অযু, রোযা, যাকাত, দান-খয়রাত কোন ক্ষেত্রেই প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরকম শব্দ পড়ে নিয়ত করেন নি। কোন সাহাবী বা তাবেয়ী আর না চার ইমামদের কেউ এরকম নিয়ত পড়তেন। তাই যে আমল নবীজী কিংবা সালাফে সালেহীন দ্বারা প্রমাণিত নয় সে আমল অবশ্যই একটি শরীয়তে আবিষ্কৃত নতুন আমল যা, বিদআত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “যে ব্যক্তি শরীয়তে নতুন কিছু আবিষ্কার করল যা, শরীয়তের অংশ নয় তা বর্জনীয়’’। (মুসলিম) নামাযের শুরু "তকবীরে তাহরীমা" এর পূর্বে নিয়ত পড়া হয়। এখন বিষয়টির সত্যতা যাঁচাই করার জন্য প্রত্যেক নামাযী ভাইকে এতটুকুই অনুরোধ করব যে, নবীজীর নামাযের বর্ণনা প্রত্যেক হাদীসের বইতে বিস্তারিত এসেছে। যদি এধরনের নিয়ত হাদীসে থাকে তো যে কোন হাদীসের বই পড়ে দেখতে পারেন। অবশ্যই কোথাও পাবেন না। নিম্নে নামায শুরু করার সম্পর্কে কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করা হচ্ছে যা দ্বারা বুঝা যেতে পারে যে, আল্লাহু আকবার বলার পূর্বে মুখে নিয়ত পড়ার প্রমাণ আছে না নেই। # ইবনে উমার (রা :) বলেনঃ নবীজী যখন নামাযে দাঁড়াতেন; তখন তিনি তাঁর হাত দুটি বাহু বরাবর উঠাতেন। অতঃপর তকবীর ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন। (মুসলিম, অধ্যায়ঃ নামায, অনুচ্ছেদ নং ৯ হাদীস নং ৮৬০-৮৬১) হাদীসটি স্পষ্ট যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তকবীরের মাধ্যমে নামায শুরু করতেন। নিয়ত পড়ে তকবীর দিতেন না। # নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামায ভুলকারী জনৈক সাহাবীকে নামায শিক্ষা দেওয়ার সময় বলেনঃ ‘‘যখন নামাযে দাঁড়াবে তখন তকবীর দিবে’’। (বুখারী, নং৭৯৩) এখানেও হাদীস স্পষ্ট যে, নামাযে দাঁড়ালে তকবীর দিয়ে নামায শুরু করতে হয়। কেউ যদি নিয়ত পড়ে শুরু করে তাহলে হাদীসের বরখেলাফ তো অবশ্যই হয়। # নবীজী আরো বলেনঃ ‘‘নামাযের চাবি পবিত্রতা অর্জন, (পার্থিব কাজ-কর্ম, কথা-বার্তা ইত্যাদি) তকবীর বলার মাধ্যমে হারাম হয়, (আর সে সকল হালাল হয়) সালামের মাধ্যমে’’। (তিরমিযী, অধ্যায় পবিত্রতা অর্জন, প্রথম হাদীস) এ হাদীসে নামাযের শুরু এবং শেষ বর্ণিত হয়েছে। শুরু হচ্ছে তকবীরে তাহরীমা তথা আল্লাহু আকবার বলা। নিয়ত পড়া নয়। উল্লেখ্য যে, কায়েদা বগদাদীতে নিয়ত লেখা আছে বলে কিছু অজ্ঞ লোক তাই দলীল মনে করে এবং আমল করে। এটি চরম ভুল।কায়েদা বগদাদী শরীয়তের কোন দলীলের বই নয়, উহা কেবল একটি আরবী বর্ণ পরিচয়ের বই। যেমন বাংলা বর্ণ পরিচয়ের জন্য শিশু শিক্ষা, বাল্য পাঠ বা অন্য কোন বই। শরীয়তের দলীল হচ্ছে কুরআন এবং হাদীস। মুখে উচ্চারণকৃত নিয়তের ক্ষতিকারক দিক সমূহঃ অনেক ভাইকে নামাযের কথা বললে, বলেঃ নিয়তই জানিনা নামায কিরূপে পড়ব? অর্থাৎ সে মনে করে আরবীতে তৈরি করা এসব নিয়ত মুখস্ত না করলে নামায হয় না। কি আশ্চার্য ! আবিষ্কৃত বিদআতী কিছু শব্দ মানুষকে নামায থেকে দুরে সরায় ! মকতব মাদরাসায় অনেক ছাত্রকে ডজনেরও অধিক আরবী নিয়ত মুখস্ত করানো হয়, অথচ দেখা যায় সে ছাত্রটি এখনও দু চারটি সূরা মুখস্ত করে নি। বলুন তো, এ ক্ষেত্রে নিয়ত মুখস্ত করানো জরূরী না সূরা মুখস্ত করানো জরূরী? যেহেতু নিয়তের প্রচলিত বাক্যগুলি আরবী ভাষায় আর আমরা আরবী বুঝি না। অন্যদিকে নামাযের রাকাআত সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন, অনুরূপ নামাযও বিভিন্ন। যেমন ফরয, সুন্নত এবং নফল। আর নিয়তে বর্ণিত থাকে এই সব ব্যাপার। তাই নিয়তের শব্দ সমূহে সামান্য পার্থক্য থাকে। এবার মুখস্ত করার সময় এবং নামাযের পূর্বে পড়ার সময় অনেকের গোলমাল বেঁধে যায়, ফলে এই সমস্যায় পড়ে কেউ মাদরাসার পড়া ছাড়ে আর অনেকে রাকাআত ছড়ে। অর্থাৎঃ নামাযী মসজিদে ঢুকে দেখে যে, ইমাম সাহেব সূরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য ছোট সূরা পড়তে শুরু করেছে, তখন সে তাড়াতাড়ি নিয়ত পড়তে গিয়ে গোলমালে পড়ে। দেখা যায় ইমাম সাহেব রুকূতে চলে গেছেন আর সে হাত খাড়া করে নিয়তের গোলমাল ঠিক করতে ব্যস্ত। আর অনেক সময় নিয়ত পড়তে গিয়ে সূরা ফাতেহা না পড়ে রুকূতে শামিল হয়। সূরা ফাতেহা যা পড়ার শক্ত নির্দেশ এসেছে সে তা পড়তে অনিচ্ছুক কিন্তু তৈরিকৃত নিয়ত পড়তে এ অবুঝ খুবই সচেতন!খুবই আগ্রহী!! দাওয়াহ সেন্টার, আল্ খাফজী, সৌদী আরব। http://www.quraneral...m/making-niyat/
  9. ইনশাআল্লাহ আগামী ২৩ মার্চ, ২০১২ইং শুক্রবার, বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় (সউদী আরব সময় সকাল ৮টায়) জুবাইল দাওয়াহ সেন্টারের ইসলামী মহাসম্মেলনের অনুষ্ঠানমালা কুরআনের আলো অনলাইন রেডিও লাইভ ব্রডকাস্ট করবে। ইসলামী মহাসম্মেলনের অনুষ্ঠানমালা শুনতে লগইন করুন এই ঠিকানায়: http://www.quraneralo.com/radio
  10. Imam Ibn Al-Jawzee was once asked by a man: “Is it better for me to make Tasbeeh (praise Allah) or to make Istighfaar (seek forgiveness)?” He replied: •►“The dirty robe is more in need of soap (Istighfar) than perfume (tasbeeh)!! ”
  11. Asalamu'alaikum "No one knows your concerns and needs better than Allah. None is more compassionate to you than Allah. Even when all have given up hope on you, Allah will always be there for you." (Abdulbary Yahya)
  12. জুম’আর বিবিধ মাসআলা লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম প্রশ্নঃ জুম’আর ফরজের আগে ও পরে কত রাকআত সালাত আদায় করব? উত্তর- আমরা সকলেই জানি যে, জুম’আর ফরজ হল ২ রাকআত। আর সুন্নাত হল- ফরজের আগে দুই রাকআত (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) এবং পরে চার রাকআত বা দুই রাকআত। আর বাইরে ফরজের আগে অতিরিক্ত নির্দিষ্ট সংখ্যক কোন সালাত নেই। তএ দুই দুই রাকআত করে যে যত রাকআত ইচ্ছা নফল হিসেবে আদায় করতে পারে। উল্লেখ্য যে, প্রচলিত কাবলাল জুম’আ শিরোনামে চার রাকআত বিশিষ্ট কোন সালাত সহীহ হাদিসে পাওয়া যায় না। খুৎবার আগে এক সালামে চার রাকআত আদায়ের পক্ষে দলীল হিসাবে আনীত হাদিসটির সনদ খুবই দুর্বল যা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে কমপক্ষে দুই রাকআত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত পড়তেই হবে। এমনকি ইমাম সাহেবের খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলেও। তবে যারা আগে থেকেই দুই রাকআত তাহিয়্যাতুল মাসজিদ সালাত আদায় করে বসে আছেন, তারা খুৎবার সময় কোন নামাজ পড়বে না। অতঃপর জুম’আর ফরজের পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) চার রাকআত সালাত আদায় করতে বলেছেন (মুসলিমঃ ১৯১৩ ইফা)। তবে আব্দুল্লাহ(রাঃ) বর্ণিত এক হাদিসে পাওয়া যায় যে, নবী (সাঃ) জুম’আর নামাজ পড়ে ফিরে এসে নিজ বাড়িতে দুই রাকআত নামাজ পড়তেন (মুসলিমঃ ১৯১৬ ইফা)। আরেকটি হাদীসে সুহাইল (রাঃ) বলেন, তোমরা তাড়াহুড়া থাকলে মসজিদে দুই রাকআত এবং (বাড়িতে) ফিরে গিয়ে দুই রাকআত পড়ো (মুসলিমঃ ১৯১৪ ইফা)। এ থেকে ইজতিহাদ করে ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা (রাঃ) বলেছেন যে, ফরজের পর মসজিদে হলে চার রাকআত আর বাড়িতে হলে দুই রাকআত সুন্নাত নামাজ পড়বে। প্রশ্নঃ জুম’আর সালাত পড়া অবস্থায় যদি কোন মুক্তাদির ওযু ছুটে যায় তখন কি করবে? উত্তর- মসজিদ থেকে বের হয়ে যাবে (এমন ভঙ্গীতে যেন নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে)। নতুন ভাবে ওযু করে ফিরে এসে যদি দ্বিতীয় রাকআতের রুকু পাওয়া যায় তাহলে এক রাকআত পাওয়া গেল বলে গন্য হবে। অতঃপর ইমামের সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে আরেক রাকআত নিজে নিজে পড়ে নেবে। আর যদি দ্বিতীয় রাকাআতের রুকু না পায়, সিজদা বা তাশাহুদের বৈঠকে শরীক হয় তাহলে জুম’আ পেল না। সেক্ষেত্রে সে যোহরের নিয়ত করে ("নিয়ত পড়ে না") চার রাকআত আদায় করবে। প্রশ্নঃ নামাজরত অবস্থায় যদি ইমামের ওযু ছুটে যায় তাহলে তিনি কি করবেন? উত্তর- পেছন থেকে একজনকে টেনে এনে ইমামের জায়গায় দাঁড় করিয়ে ওযু করতে চলে যাবেন। ওযু শেষে পূর্বের নিয়মে বাকি নামাজ আদায় করবেন। প্রশ্নঃ ইমাম যদি বিনা অযুতে সালাত আদায়ের পর মনে হয় যে, তার ওযু ছিল না া ওজু ছুটে গিয়েছিল তখন কি হবে? উত্তর- মুক্তাদীদের সালাত আদায় হয়ে যাবে। তবে ইমাম সাহেব যোহরের ফরজের নিয়তে একা চার রাকআত পড়ে নেবেন। প্রশ্নঃ ঈদ ও জুম’আ একই দিনে হলে জুম’আ পড়ার হুকুম কি? উত্তর- এমন হলে যার ইচ্ছা সেদিন জুম’আ পড়বে। আর না পড়লে গুনাহ হবে না। তবে জুম’আ না পড়লে যোহরের সালাত আদায় করতে হবে। উল্লেখ্য যে, জুম’আর দিন ঈদ হলে ইমামের জন্য জুম’আর সালাত আদায় করা বাধ্যতামূলক। প্রশ্নঃ মহিলাদের জুম’আয় শরীক হওয়া কি যায়েজ আছে? উত্তর- জুম’আয় অংশ গ্রহন মেয়েদের জন্য ফরজ নয়। তবে কোন নিষেধ ও নেই। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জামানায় মুহাজির মহিলাগণ নবীজি (সাঃ) এর পেছনে জুম’আর সালাত আদায় করতেন। জুম’আয় শরীক হওয়ার মধ্যে মেয়েদের জন্য কল্যানের ভাগই বেশী। কারণ দ্বীন শিক্ষার সুযোগ সুবিধা মেয়েদের জন্য ততটুকু নেই যতটুকু পুরুষদের আছে। কলেজ ইউনিভার্সিটি শিক্ষায় তারা অগ্রসর হলেও কুরআন ও হাদীসের শিক্ষায় তারা অনেক পেছনে। কমপক্ষে সাপ্তাহিক একটি খুৎবায় তারা ধর্মীও নিরক্ষরতা অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পারে। দ্বীনী ইলমের আলো তারা পেলে পারিবারিক জীবন আরও সুন্দর এবং ছেলে মেয়েদেরকে দ্বীনী পথে মানুষ করার কাজ সহজ হবে। সে লক্ষ্যে নারীদের মসজিদে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া ও মসজিদে তাদের আলাদা জায়গা রাখা কর্তৃপক্ষের জন্য একটি মহৎ কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এ হিসাবে তারা সওয়াবও পাদেন, ইনশাআল্লাহ। শুধু একটা শর্ত যে, মহিলারা পূর্ণ পর্দার সাথে ও সর্বাঙ্গীণ শালীনতা বজায় রেখে মসজিদে গমনাগমন করবেন। সূত্রঃ বই-প্রশ্নোত্তরে জুমু’আ ও খুৎবা পরিমার্জনেঃ ডঃ মোহাম্মদ মনজুরে ইলাহী, ডঃ আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া মজুমদার, ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। Related Post: জুম’আর নামাজের ফযীলত জুম’আর আদব জুম’আর হুকুম ও ইতিকথা জুম’আর দিনের ফযীলত http://www.quraneralo.com/
  13. Asalamu'alaikum “Verily, I constantly renew my Islam until this very day, as up to now, I do not consider myself to have ever been a good Muslim.” Sheikh Al-Islam Ibn Taymiyyah (Narrated by Ibn-al Qayyim in ‘Madarij as-Salikin” 1/218)
  14. Do Not Love the ones who do not love ALLAH. If they can leave Allah, they can leave you! ~Imam Ash Shafi'ee rahimahullah
  15. বিক্রয়ের জন্য নহে! লেখিকাঃ রেহনুমা বিনত আনিস আমার ক্যানাডিয়ান নওমুসলিমা ছাত্রী আয়শা- বয়স ১৯, পরীর মত সুন্দরী, সৌন্দর্য নিয়ে পড়াশোনা করছে। আমার কাছে আরবী পড়া শেখার পাশাপাশি ইসলাম সম্পর্কে কিছু কিছু তথ্য জেনে নেয়। ওর সাথে পরিচয় এই রামাদানে। সেদিন ইফতার পার্টি ছিল, রাতে কিয়ামুল লাইল। ইফতারের পর আমরা পাশাপাশি নামাজে দাড়ালাম। সামনে, পেছনে, পাশে এত মহিলা এবং বাচ্চারা গিজ গিজ করছে যে নামাজে মনোযোগ ধরে রাখা যুদ্ধসম কঠিন ব্যাপার। লক্ষ্য করলাম এর মাঝেই সে একমনে স্রষ্টার সাথে বাক্যালাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এই ময়দানের মধ্যে সে যেন একাই দাঁড়িয়ে! জানতে পারলাম পাঁচ ওয়াক্তের পাশাপাশি সে এমন অনেক এক্সট্রা নামাজ পড়ে যার নামও অনেক জন্মগত মুসলিমের অজানা। ইসলামের প্রতি ওর আগ্রহ আমাকে চমৎকৃত করল। সে ইসলাম গ্রহণ করেছে দু’বছর। কিন্তু সে ইসলামকে গ্রহণ করেছে আন্তরিকভাবে, ফলে সে এর সবটুকুই পালন করার জন্য আগ্রহী এবং যত্নশীল। দেখলাম সে এর মাঝেই ভারী সুন্দর বোরকা এবং স্কার্ফের কালেকশন করে নিয়েছে। ওর পোশাক আশাক থেকে সবকিছুতে রুচিশীলতার বহিঃপ্রকাশ। তবে এর সবটুকুই ইসলামের দৃষ্টিতে যতটুকু গ্রহণযোগ্য সে বিবেচনা মাথায় রেখে। যেমন যেখানে ক্যানাডায় নেইল পলিশ ছাড়া কোন স্টাইলিশ মেয়ের দেখা পাওয়া অস্বাভাবিক, ওর হাতে পায়ে কোথাও নেইল পলিশ নেই। স্কার্ফ বা ওড়না যখন যাই পরে কোনটিতেই একটি চুলও কোনদিন বেরিয়ে থাকতে দেখিনি। রাতে কুর’আনের আলোচনার সময় বাংলায় আলোচনা হওয়ায় বেচারী বুঝতে পারছিলোনা। আমি তখন ওর আগ্রহ দেখে কিছু অংশ মুখে এবং কিছু অংশ লিখে বুঝিয়ে দিতে লাগলাম। সে কৃতজ্ঞচিত্তে সব শুষে নিতে লাগল এবং মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে সঠিকভাবে বুঝে নিল। যখন আলোচনা শেষে নামাজ শুরু হবে সে এসে আমাকে বলল, "আমি কি আপনার পাশে দাঁড়াতে পারি? তাহলে আমি আপনাকে দেখে আমার posture গুলো ঠিক হচ্ছে কি’না ঠিক করে নিতে পারব"। আমি তো হতবাক! অনেক সময় অনেক আত্মীয় বন্ধুবান্ধবকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিশেষ করে রুকু এবং সিজদায় posture এর ভুলের ব্যাপারে বলতে গিয়ে তাদের বিরাগভাজন হয়েছি। আর সে কি’না বলে নামাজ সঠিকভাবে পড়ার জন্য posture ঝালাই করে নেবে! ওর আগ্রহ আবারও আমাকে চমৎকৃত করল। এর পর থেকে কুর’আনের লিঙ্ক নেয়া থেকে শুরু করে ভ্রূ তোলার মাসয়ালা পর্যন্ত নানান বিষয়ে ওর সাথে আলাপ হয়েছে। ভাল লেগেছে যে সে কোন বিষয়ে জানার সাথে সাথে তাকে গ্রহণ করেছে, কুতর্কের আশ্রয় নেয়নি। অথচ এতটা স্বতঃস্ফুর্তভাবে ইসলামের সকল হুকুম আহকামকে আঁকড়ে ধরার আগ্রহ আমি অনেক ইসলাম জানা মানুষের মাঝেও দেখিনি! ক’দিন আগে নতুন করে ওর ইসলামের বোধ এবং অনুভূতির পরিচয় পেয়ে আবারও মুগ্ধ হলাম। ক্যানাডার একটি বৃহৎ ফ্যাশন হাউজ একটি ফ্যাশন শোর আয়োজন করছে। একপর্বে সমাপ্য শোটিতে মডেলিং করার জন্য ওকে ৪০,০০০ ক্যানাডিয়ান ডলার অফার করা হয়। সে স্রেফ না করে দেয় এই বলে, "আমার ধর্ম আমাকে নিজেকে পুঁজি করার অনুমতি দেয়না"। শুনে এত ভাল লাগল! মনে হল এই মেয়েটি খানিকটা দেরীতে ইসলামকে খুঁজে পেয়েছে, কিন্তু সেই তো পেয়েছে এর আসল আস্বাদ! দোকানে, লাইব্রেরীতে, মসজিদে ওর মত এমন আরো অনেক নওমুসলিমা বোনকে দেখে পুলকিত হই, আশা জাগে আগামী দিনে ইসলামের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত নিয়ে। আবার ভয় হয় আমরা যারা জন্মগতভাবে একে পেয়েও হেলায় হারিয়েছি তারা বুঝি আবার অপ্রয়োজনীয় এবং অপাংক্তেয় হয়ে পড়ি! QuranerAlo.com - কুরআনের আলো ইসলামিক ওয়েবসাইট http://www.sonarbangladesh.com/blog/rehnuma/76583
  16. চীনের একটি প্রাচীন মসজিদ চীন দেশে জুমার নামাজ ---কাজী শফিকুল আযম ষ্টাডি ট্যুরে চীনের রাজধানী বেজিং এ যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম সম্প্রতি । স্থানীয় আয়োজক সংস্থা রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৈনিক কার্যতালিকায় দেখলাম যে শুক্রবারের কর্মসূচীতে দুপুরে প্রার্থনার জন্য মসজিদে যাওয়া অর্ন্তভুক্ত আছে। চীনে যেয়ে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে পারবো জানতে পেরে মন অনেকটা ভাল হয়ে যায়। প্রথম অর্ধের ক্লাস শেষে দুপুর ১২.৩০ টার দিকে আমরা ১৫ জন বাংলাদেশী বাসে করে নামাজের জন্য রওনা হলাম । স্থানীয় গাইড এন্ডির কাছে জানতে পারলাম যে, বেজিং শহরের ডংজিমেন জেলার ডংজিমেন ওয়াই স্টীটে একটি মসজিদ আছে । অন্য কোন মসজিদের ঠিকানা তার জানা নেই। ডংজিমেন মেট্রো ষ্টেশনের কাছে চায়না টোবাকো বিল্ডিং এর পিছনে একটি গলিতে এই মসজিদটির অবস্থান। মসজিদ কমপাউন্ডটি পুরোনা ধাচের একতলা কাঠের ঘর দিয়ে ঘেরা।মাঝখানে উঠোন আছে। সামনের দিকে মূল মসজিদ বা নামাজের ঘর, অন্য তিনদিকে থাকার ঘর ও ওজু গোসল, টয়লেটের সাধারণ ব্যবস্থা ।পাশে একটি ছোট অফিস ঘর।বাইরে থেকে ঠিক মসজিদ হিসেবে বুঝা যায় না কারণ প্রচলিত মসজিদের ধাচে এর গড়ন নয়। পুরোনো ধাচের কাঠের ঢেউ খেলানো একতলা মসজিদের মূল কক্ষ ও পাশের একটি ঘরে নামাজ পড়ানো হয়ে থাকে। মসজিদের মূল ঘরে ৬ লাইনে ৯০ জন এবং পাশের কক্ষে ৬০ জনের মত মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারে ।জুমার নামাজে দেখলাম যে ,নামাজের দুটো কক্ষই মুসল্লিতে ভরা। আমরা মসজিদের গেটে উপস্থিত হলে মসজিদের একজন খাদেম আমাদেরকে স্বাগত জানিয়ে ওজুর যায়গা দেখিয়ে দিল। ওজু ও টয়লেটের খুই সাধারণ ব্যবস্থা। মেয়েদের নামাজের আলাদা কোন ব্যবস্থা দেখলাম না। প্রায় ২/৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় মসজিদ ঘরে হিটিং এর কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঘরের ভিতর বেশ ঠান্ডা। বুঝা যায় যে মসজিদটির আর্থিক অবস্থা খুব ভাল না। ইমাম প্রথমে চীনা ভাষায় এবং পরে আরবী ভাষায় খুতবা পাঠ করলেন। জুমার দুই রাকাত নামাজে প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহাসহ সুরা তাকাছুর এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহাসহ সুরা এখলাস পাঠ করেন। নামাজে সব বয়সী মুসল্লী উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেল।নামাজ শেষে মসজিদের গেটে বিভিন্ন হালাল খাদ্য সামগ্রি বিক্রি হয়ে থাকে। সুযোগমত মসজিদের কিছু ছবি তুলতে ভুল করিনি যার কপি এখানে ছাপা হলো। চীনা ভাষা না জানার কারণে মসজিদের কোন ইতিহাস জানাতে পারি নি। হোটেল রুমে এসে তাই এই মসজিদ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে মসজিদের ঠিকানা পেলাম কিন্তু বিস্তারিত কোন তথ্য বা ছবি নেই- লেখা হয়েছে যে, কোন তথ্য পেলে যেন আমরা জানাই। ইতিহাস ঘেটে জানলাম যে, বেজিং এ ইসলাম প্রচার শুরু হয়েছিল ১০ম শতকের শুরুর দিকে। এখানে নিউজাই মসজিদ প্রথম প্রতিষ্টিত হয় ৯৯৬ সালে যা বর্তমানে বেজিং এর সবচেয়ে বড় মসজিদ হিসাবে গণ্য যার বর্তমান আয়তন ৬০০০ বর্গ মিটার এবং এখানে এক সাথে প্রায় ১০০০ মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারে। ইউয়ান ডাইনেষ্টিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ডংশি মসজিদ ও আর্লিঝুয়াং মসজিদ। ডংশি মসজিদ বেজিং এর দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ এবং এই মসজিদেই বেজিং ইসলামিক এসোসিয়েশনের সদর দপ্তর অবস্থিত। পরবর্তি মিং ডাইনেষ্টিতে হুয়াসি মসজিদসহ আরো ৪টি মসজিদ তৈরী হয় । কুইং ডাইনেষ্টিকে ইসলামের সম্প্রসারণ কাল বলা হয়ে থাকে। এই সময়ে বেজিং এলাকায় নানডুয়া মসজিদসহ প্রায় ৩০ টি মসজিদ নির্মিত হয়। বর্তমানে বেজিং এর শহর ও উপশহর এলাকায় ৭২টির মত মসজিদ আছে- যার মধ্যে আলোচ্য মসজিদ একটি। বেজিং যেয়ে জুমার নামাজ পড়তে পারা ভ্যাগ্যের ব্যাপার। [ দৈনিক যুগান্তরে ৬ মে ২০১১ তারিখে প্রকাশিত ] http://jugantor.us/e...06/news0744.htm বইয়ের নাম : চলার পথে দেখা না দেখা লেখক : কাজী শফিকুল আযম [email protected] প্রাপ্তিস্থান : খোশরোজ কিতাব মহল , ১৫ বাংলাবাজার , পুরানো ঢাকা ও এস এস মার্ট , ধানমন্ডি , ( ল্যাব এইডের বিপরীতে ) মূল্য : ১২০ টাকা মাত্র
  17. Asalamu'alaikum আগুন জ্বালিয়ে কোন উৎসব শুরু করলে বা মৃত ব্যক্তির স্মরণে আগুন জ্বেলে রাখলে তাতে জীবিতরা কোন সওয়াব পায় না বা মৃতের আত্মার কোন শান্তি হয় না । এসব রীতি – বিশ্বাস ইসলাম বিরোধী , এটা কুফরী মতবাদ । অথচ বাংলাদেশের মত মুসলিমপ্রধান দেশে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মরণে শিখা অনির্বাণ জ্বালিয়ে রেখে লক্ষ – কোটি টাকার অপচয় করছি । সরকারী - বেসরকারী যে কোন অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালাচ্ছি । এছাড়াও কোন বর্ষপূর্তি বা কোন ঘটনায় নিহতদের স্মরণে হাজার হাজার মোমবাতি জ্বালিয়ে গরীব দেশের সম্পদ খামোকা নষ্ট করি । আগুন জ্বালালে কোন দেব – দেবীর আশির্বাদে মৃত মানুষের উপকার হবে বা তা জীবিতদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে , এটা বিশ্বাস করলে সেটা হবে শিরক - সবচেয়ে বড় পাপ । নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে মাফ করেন না ( সুরা নিসা : ৪ : ১১৬ ) বিকল্প কাজ : বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে আমরা হাজারো গরীব যুদ্ধাহত পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে পারি ; তাদের সন্তানদের ব্যবসা – চাকরীর ব্যবস্থা করতে পারি ; শহীদদের নামে গরীব , মেধাবী ছাত্র – ছাত্রীদের আর্থিক পুরষ্কার দিতে পারি ; তাদের নামে জেলায় জেলায় হাসপাতাল , স্কুল বানাতে পারি ; ফলের গাছ লাগিয়ে সদকায়ে যারিয়ার সওয়াব পেতে পারি । কিন্ত্ত আগুন জ্বালিয়ে না মৃত ব্যক্তির , না জীবিত কোন মানুষ – কারোরই তো কোন উপকার হচ্ছে না । এর চেয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক হিসাবে অন্য কোন কিছু আগুনের বদলে স্থাপন করা যেতে পারে যাতে অর্থ ও মূল্যবান গ্যাসের অপচয় না ঘটে । পাশাপাশি শিরকের পাপ থেকেও মুক্ত থাকতে পারবো। যেহেতু বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ , তাই কুরআন তেলাওয়াত দিয়েই যে কোন অনুষ্ঠান শুরু করা উচিত । পাশাপাশি দেশের অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ যেমন গীতা , বাইবেল , ত্রিপিটক থেকে কিছু বাণী পাঠ করা যেতে পারে । মোমবাতি জ্বালিয়ে কাউকে স্মরণ না করে গরীব রোগী - শিক্ষার্থীদের বা মসজিদে সেসব দান করলে মোমবাতির সর্বোত্তম ব্যবহার হবে । আমরা কি শিরকের পাপ ও অপচয় থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করবো না ? আল্লাহ তওফীক দিন ।
  18. Masjid Ali (رضی اللہ تعالٰی عنہ)
  19. Asalamu'alaikum Everyone who is taken by death asks for more time, while everyone who still has time makes excuses for procrastination. (Ali ibn Abu Talib)
  20. Asalamu'alaikum "The manner you deal with people in is the same way Allah will deal with you - both in this world and in the hereafter." ~Imam Ibn Al Qayyim al-Jawziyya -rahimahullah-
  21. Ibn Qayyim Rahimahullah quoted a saying of Ibn Abbas radiyAllaahu 'anhu that He said, “Good deeds produce radiance on the face and light in the heart, increase provision, physical strength, and the love of others. Bad deeds produce ‘blackness’ on the face, darkness in the heart, physical weakness, inadequate provision and the hatred of others.” [Madarij As Salikeen 1/424 and Al Istiqamah 1/351 also Mausuat Khateeb Mimbar 1/2700 ba Ahkaam Albani.]
  22. وَقَالُواْ اتَّخَذَ اللّهُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ بَل لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ كُلٌّ لَّهُ قَانِتُونَ 116 তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি তো এসব কিছু থেকে পবিত্র, বরং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তার আজ্ঞাধীন। بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَإِذَا قَضَى أَمْراً فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُن فَيَكُونُ 117 তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন, তখন সেটিকে একথাই বলেন, ‘হয়ে যাও’ তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়। وَقَالَ الَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ لَوْلاَ يُكَلِّمُنَا اللّهُ أَوْ تَأْتِينَا آيَةٌ كَذَلِكَ قَالَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِم مِّثْلَ قَوْلِهِمْ تَشَابَهَتْ قُلُوبُهُمْ قَدْ بَيَّنَّا الآيَاتِ لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ 118 যারা কিছু জানে না, তারা বলে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে কেন কথা বলেন না? অথবা আমাদের কাছে কোন নিদর্শন কেন আসে না? এমনি ভাবে তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও তাদেরই অনুরূপ কথা বলেছে। তাদের অন্তর একই রকম। নিশ্চয় আমি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেছি তাদের জন্যে যারা প্রত্যয়শীল। إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلاَ تُسْأَلُ عَنْ أَصْحَابِ الْجَحِيمِ 119 নিশ্চয় আমি আপনাকে সত্যধর্মসহ সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে পাঠিয়েছি। আপনি দোযখবাসীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন না। وَلَن تَرْضَى عَنكَ الْيَهُودُ وَلاَ النَّصَارَى حَتَّى تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ قُلْ إِنَّ هُدَى اللّهِ هُوَ الْهُدَى وَلَئِنِ اتَّبَعْتَ أَهْوَاءهُم بَعْدَ الَّذِي جَاءكَ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَكَ مِنَ اللّهِ مِن وَلِيٍّ وَلاَ نَصِيرٍ 120 ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন। বলে দিন, যে পথ আল্লাহ প্রদর্শন করেন, তাই হল সরল পথ। যদি আপনি তাদের আকাঙ্খাসমূহের অনুসরণ করেন, ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে কেউ আল্লাহর কবল থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী নেই।
  23. Asalamu'alaikum Abu Bakr Al Siddiqi Mosque in Madinah
×
×
  • Create New...