Jump to content
IslamicTeachings.org

MUSLIM WOMAN

Members
  • Posts

    1,173
  • Joined

  • Last visited

  • Days Won

    41

Everything posted by MUSLIM WOMAN

  1. তোমরা একজন অন্যজনের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না পরনিন্দা আমাদের এতই প্রিয় যে আমরা অন্য মানুষ সম্পর্কে বিশেষ করে অপছন্দের জনের দোষ - ত্রুটি সম্পর্কে মানুষের কাছে আরো জানতে চাই । খুব আগ্রহ নিয়ে তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করি যাতে তার আরো দোষ যদি কিছু থাকে , তা জানতে পারি । জানার পরে মহাখুশীতে তা অন্যের কাছে গল্প করি। অথচ আল্লাহ বলেন , “আর তোমরা একজন অন্যজনের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের অসাক্ষাতে নিন্দা করো না। তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? প্রকৃতপক্ষে তোমরা তো এটাকে ঘৃণাই করো । তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তওবা গ্রহণকারী পরম দয়ালু।” (সুরা হুজুরাত- ৪৯ : ১২) কাউকে গীবত করতে মানা করলে জবাব আসে – আমি যা বলছি তাতো সত্যি , তাই এটা তো গীবত না । মিথ্যা বললে তাহলে দোষ হতো অথবা আমি এসব কথা ওর সামনেও বলতে পারবো অথবা আমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে , তাই এটা গীবত না । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “গীবত কী তা কি তোমরা জান?” লোকেরা উত্তরে বলল, “আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভাল জানেন।” রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “গীবত হলো তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কথা বলা যা সে অপছন্দ করে।” জিজ্ঞাসা করা হলো, “আমি যা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তবে এটাও কি গীবত হবে?” রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “তুমি যা বল তা যদি তার মধ্যে থাকে থাকে তাহলেই সেটা হবে গীবত, আর তুমি যা বল তা যদি তার মধ্যে না থাকে তবে সেটা হবে বুহতান বা অপবাদ।” গীবত ও জুলুমের শিকার ব্যক্তির বিচার চাওয়ার মধ্যে পার্থক্য : যার কাছে কিছু বললে প্রতিকার সম্ভব , তাকে ঘটনা জানালে তা গীবত হবে না । এছাড়া কিছুকিছু ক্ষেত্রে কারো দোষের কথা বলা বৈধ যেমন কাউকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে কারো সম্পর্কে তাকে সাবধান করা ইত্যাদি । কিন্ত্ত জুলুমের শিকার ব্যক্তির ঘটনা প্রকাশের অনুমতি আছে , এই অজুহাতে আমরা রোজকার জীবনে যা করি , তা আর কিছুই না বরং পরনিন্দা , চোখলগুরি । হাটে –মাঠে – ঘাটে , বাজারে , বাসায় বসে , বাচ্চার স্কুলের সামনে অপেক্ষায় থাকার সময় , গাড়িতে – বাসে , শুতে - বসতে আমরা অন্যের নিন্দায় মেতে থাকি । অথচ ইমাম মালিক رضي الله عنهم তার ইহুদী বাড়িওয়ালার সাথে কোনদিন ঝগড়া করেন নি , যদিও সে ইহূদী ইচ্ছা করে ময়লা - আবর্জনা এমনভাবে ফেলতো যাতে দূর্গন্ধে ইমাম মালিকের কষ্ট হয় । অথচ এর চেয়ে অনেক তুচ্ছ কারনে আমরা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করি , একে অন্যের মুখ দেখাদেখি বন্ধ থাকে যে কোন একজনের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত । সতর্ক থাকো আত্মীয়তার বন্ধন সম্পর্কে ...( সুরা নিসা ; ৪: ১ ) রক্ত সম্পর্ক ছিন্নকারী বেহেশতে যাবে না - মুসলিম হাদীস অন্যকে ঘৃণা করলে তা নিজের মনের উপর এক বাড়তি চাপ পড়ে । অপছন্দের মানষকে ঘৃণা করাটা অভ্যাস বা মানসিক বিকারে পরিণত হয় । একসময় পুরো পরিবারে এই ঘৃণার বিষ ছড়িয়ে পড়ে । বাড়ির পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে যায় , ঘৃণার বিষবাষ্পে শ্বাস নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে - পরকালের মহাক্ষতি তো আছেই । ‘ দূর্ভোগ প্রত্যেকের , যে পিছনে ও সামনে লোকের নিন্দা করে (সূরা হুমাজাহ-১০৪ : ১) আসুন , আমরা গীবতের মহাপাপ থেকে দূরে থাকি ও নিজের এবং অন্যের দোষের জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চাই , হেদায়েতের প্রার্থনা করি - হে আল্লাহ , ঘৃণার বিষবাষ্প আমাদের মন থেকে দূর করে দিন । সহায়ক সূত্র : ইন্টারনেট
  2. 99 Company Once upon a time, there lived a King who, despite his luxurious lifestyle, was neither happy nor content. One day, the King came upon a farmer who was singing happily while he worked. This fascinated the King; why was he, the Ruler of the Land, unhappy and gloomy, while a lowly farmer had so much joy. The King asked the farmer, ‘Why are you so happy?’ The farmer replied, ‘Your Majesty, I am not...hing but a farmer, but my family and I don’t need too much – just a roof over our heads and warm food to fill our tummies.’ The king was not satisfied with that reply. Later in the day, he sought the advice of his most trusted advisor. After hearing the King’s woes and the farmer’s story, the advisor said, ‘Your Majesty, I believe that the farmer Has not been made part of The 99 Company.’ ‘The 99 Company? And what exactly is that?’ the King inquired. The advisor replied, ’Your Majesty, to truly know what The 99 Company is, place 99 Gold coins in a bag and leave it at this servant’s doorstep.’ When the servant saw the bag, he took it into his house. When he opened the bag, he let out a great shout of joy… So many gold coins! He began to count them. After several counts, he was at last convinced that there were 99 coins. He wondered, ‘What could’ve happened to that last gold coin? Surely, no one would leave 99 coins!’ He looked everywhere he could, but that final coin was elusive. Finally, exhausted he decided that he was going to have to work harder than ever to earn that gold coin and complete his collection. From that day, the servant’s life was changed. He was overworked, horribly grumpy, and castigated his family for not helping him make that 100th gold coin. He stopped singing while he worked. Witnessing this drastic transformation, the King was puzzled. When he sought his advisor’s help, the advisor said, ‘Your Majesty, the servant has now officially joined The 99 Company.’ He continued, ‘The 99 Company is a name given to those people who have enough to be happy but are never contented, because they’re always yearning and Striving for that extra 1, saying to themselves: ‘Let me get that one final thing and then I will be happy for life.’ We can be happy, even with very little in our lives, but the minute we’re given something bigger and better, we want even more! We lose our sleep, our happiness, we hurt the people around us; all these as a price for our growing needs and desires.
  3. I opened the door to find my five year old daughter , Jamila, sitting in the middle of my makeup- all scattered around her on the floor. "Jamila what are you doing?" I asked angrily. SHe looked up at me a little fearfully and said "Mommy I just wanted to draw you a picture." Seeing the water well up in her wide blue eyes, I softened. "Why did you use Mommy's makeup instead of all the new crayons I... bought you?" I asked. "Because," SHe replied, "these are pretty colors, and Daddy says that they make you beautiful, and I wanted your picture to be pretty, like you." All my anger burnt out, I hugged Jamila close to me. I felt so bad now about getting angry. SHe felt the tears on my face before I did, and simply said "Don't cry Mommy. You'll always be prettier than my picture." Appreciate the small things http://www.facebook....109650875820889
  4. তিনটি প্রশ্ন-উত্তর (সত্য ঘটনা) অনুবাদ: কাজী শফিকুল আযম অনেক আগে এক ব্যক্তি ইসলামের শত্রু হিসেবে পরিচিত ছিল। তার তিনটি প্রশ্নের উত্তর তৎকালীন বাগদাদের মুসলিম পন্ডিতগণ দিতে পারে নি। তাই সে ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের নিয়ে নানা কটুক্তি ও ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে বেড়াতো। এক দিন দশ বছরের এক বালক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পেল যে, সেই লোক চিৎকার করে মুসলিমদের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ করছে এবং তার তিনটি প্রশ্নের জবাব দিতে চ্যালেঞ্জ করছে। বালকটি শান্তভাবে এই দৃশ্য দেখতে লাগলো। সে সিদ্ধান্ত নিল চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার। বালকটি লোকটির কাছে এগিয়ে গিয়ে বললো যে,‍ আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম। লোকটি ব্যঙ্গাত্মক হাসি হেসে বললো, দশ বছরের বালক আমার প্রশ্নের উত্তর দিবে, যেখানে জ্ঞানীরা কেউ আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না? বালক শান্তভাবে তার অবস্থানে অটল থাকলো। আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে সে বিষয়টির একটি শেষ দেখতে চাইলো। অবশেষে লোকটি রাজী হলো। শহরের সকল লোক একটি পাহাড়ের পাদদেশে সমবেত হলো। এখানে সাধারনত: জনসমাবেশ হয়ে থাকে। লোকটি পাহাড়ের উপর উঠে জোরে জোরে তার প্রথম প্রশ্ন করলো: তোমার আল্লাহর আগে কী ছিল? বালক চিন্তা করতে লাগলো। তারপর বললো, উল্টো দিক দিয়ে গণনা শুরু করুন। লোকটি গুনতে শুরু করলো- ১০ ,৯,৮,৭,৬,৫,৪,৩,২,১,০। বালক জানতে চাইলো, ০ এর আগে কী? লোকটি বললো, আমি জানি না, মনে হয় কিছু না। বালক বললো, ঠিক তাই। আল্লাহর আগেও কিছুই ছিল না, তিনি চিরন্তন। সমবেত জনতা আল্লাহু আকবর বলে উল্লাস প্রকাশ করলো। লোকটি লজ্জিত হলেও জোরের সাথে দ্বিতীয় প্রশ্নটি করলো- তোমার আল্লাহ কোনদিকে মুখ করে আছে? বালক কিছুক্ষণ চিন্তা করে একটি মোমবাতি চাইলো। মোমবাতি নিয়ে আসা হলে বালকটি বললো, মোমবাতি জ্বালান। লোকটি মোম জ্বেলে বালককে বললো, এতে কি প্রমাণ হচ্ছে? বালক বললো, মোমবাতির আলো কোনদিকে যাচ্ছে? লোকটি বললো, আলো সবদিকেই যাচ্ছে। বালক বললো, আপনি নিজেই তো আপনার প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিলেন। আল্লাহর নূর সবদিকেই যায়। এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে আল্লাহ যেতে পারেন না বা উপস্থিত থাকেন না, আল্লাহ সব জানেন, সব দেখেন। সমবেত জনতা আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে লাগলো। লোকটি হতাশ হয়ে তৃতীয় ও শেষ প্রশ্নটি করলো: তোমার আল্লাহ এই মুহুর্তে কি করছে? বালকটি কিছু সময় চিন্তা করে বললো যে, আপনি নীচে নেমে আসুন। আমি পাহাড়ের উপরে উঠে জবাব দেব। লোকটি বললো, কি তুমি চাও যে আমি নেমে আসবো? বালকটি বললো যে, হাঁ! আমি উপরে উঠে এই প্রশ্নের উত্তর দেব বুঝেছেন? এই কথায় লোকটি নেমে আসলো ও বালকটি উপরে উঠলো। তারপর দৃপ্ত কন্ঠে সে বললো, হে সর্বশক্তিমান আল্লাহ! এই সব লোকদের সামনে আপনিই আমার সাক্ষী। আপনি এই মুহুর্তে ইচ্ছা করেছেন যে, একজন কাফেরকে তার অবস্থান থেকে নীচে নামিয়ে একজন মুসলমানকে উপরে তুলবেন ও আপনি তাই করেছেন। সমবেত জনতা চিৎকার করে আল্লাহু আকবর বলে উল্লাস প্রকাশ করলো। বালকটির জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতায় মুগ্ধ হয়ে অমুসলিম লোকটি ইসলাম গ্রহণ করলো ও বালকটির শিষ্যত্ব গ্রহণ করলো। এই বালক কে? ইনি হলেন বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ ইমাম আবু হানিফা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)। -(সংগৃহীত) যোগাযোগ: [email protected] http://www.nirmanmagazine.com/index.php/2011-06-18-11-28-08/233-তিনটি-প্রশ্ন-উত্তর-সত্য-ঘটনা
  5. Asalamu'alaikum যে তামাশায় নিভে যায় ঈমান প্রদীপ -------------------------------------------------------------------------------- তামীম রায়হান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম আমাদের সমাজে কত রকম মানুষ, কত রকম মুসলমান। কেউ নামায পড়ে, কেউ পড়েনা, কেউ ভাল কাজ করে, কেউ খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে। এতসব কাজের মধ্যে যে কাজটি আজকাল অহরহ চোখে পড়ে, তা হচ্ছে হাসির ছলে না বুঝে ইসলাম বা মুসলমানদের কোনো বিষয় নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা। বন্ধুদের আড্ডায় আপনিও হয়তো শুনেছেন, ওই দেখ, হুজুরের কি সুন্দর ছাগলা দাড়ি!! সবার সাথে আপনিও হয়তো হেসে ফেললেন হো হো করে। কথা কথায় কারো অক্ষমতা বোঝাতে ‘মোল্লার দৌঁড় মসজিদ পর্যন্ত’ কথাটি আমরা প্রায়ই ব্যবহার করে থাকি। কখনো ভেবে দেখেছেন, এ কথায় কাকে ঠাট্টা করা হল- আল্লাহর ঘর মসজিদ নাকি মোল্লা মৌলভীকে? আমাদের নাটক সিনোমাতেও কখনো কখনো না বুঝে ইমাম বা হুজুর চরিত্র রূপায়ন করা হয় কোনো একটি নেতিবাচক বিষয়ের সাথে সম্পর্ক রেখে, এতে দর্শকদের মনে জন্ম নিতে পারে বিরূপ ধারণা। প্রিয় পাঠক, আল্লাহ পাকের কাছে যে বিষয়গুলো অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং তিনি যেগুলোর কারণে বান্দার সব আমল বাতিল করে দিতে পারেন, এসবের অন্যতম হচ্ছে- দ্বীন ইসলাম বা ইসলাম সর্ম্পকিত কোনো বিষয় নিয়ে হাসি তামাশা করা। শুধু কি আমল বাতিল হয়ে যাওয়া, বরং কোনো কোনো কথা ও ঠাট্টা তো আপনাকে ইসলাম থেকে বের করে দেবে আপনার অজান্তেই। এজন্যই আলেমরা বলেন, নামাজ না পড়া কুফুরী নয়, কিন্তু নামাজ বা নামাজীদের নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য কিংবা তামাশা করা কুফুরী। মুনাফেকদের প্রথম পরিচয় ছিল, তারা মুসলমানদের নিয়ে হাসি তামাশা করতো, তাদের বোকা ভাবতো। আল্লাহ পাক তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘তারাই বোকা অথচ নিজেরা তা জানে না।’ (সূরা বাকারা-১৩) ইমাম ইবনে কুদামাহ লিখেছেন, যে আল্লাহকে স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় গালি দিল, কিংবা যে আল্লাহ বা তার রাসুল কিংবা দ্বীনের কোনো বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করল, সে কাফের হয়ে গেল। (আল মুগনী) ইমাম নববী বলেন, স্বেচ্ছায় কিংবা কেউ যদি স্পষ্টভাবে এমন কোনো কথা বলে যা আল্লাহ ও তার রাসুলের কোনো বিধানকে তুচ্ছ করে, তা অবশ্যই কুফুরী। ইমাম কুরতুবী লিখেছেন, মজা করার জন্য হোক বা সত্যি সত্যি হোক, ইসলামের কোনো সাধারণ বিষয় নিয়ে হাসি তামাশা করাও কুফুরী। এতে কারো দ্বিমত নেই। ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন, দ্বীনের যে কোনো স্পষ্ট বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করা কুফুরী। যে এমন করল তার ঈমান ধ্বংস হয়ে কুফুরীতে পরিণত হল। আর তাই কোনো একজন সাধারণ মানুষ, যে দাড়ি রেখে দ্বীনের ওপর চলতে সচেষ্ট, যে নারী পর্দা রেখে চলতে চায়, তাকে যদি এ কারণে কেউ তুচ্ছ ভাবে কিংবা তামাশার দৃষ্টিতে দেখে, তবে নিশ্চয়ই বিষয়টি গিয়ে দ্বীনের সীমারেখা পর্যন্ত পৌঁছে, যা অত্যন্ত ভয়ানক বিষয়। অনেক নামাযী মানুষ কিংবা দাড়িওয়ালা হয়তো অপকর্মে লিপ্ত, তার কর্মের জন্য সে নিজেই দায়ী। ধর্মের লেবাসধারীর অপকর্মের দায়ভার কোনো মতেই ধর্মের নয়। তাই তার ধর্মকে গালমন্দ করা বৈধ নয়, কারণ এটি তার স্বভাবের দোষ, তার নামায কিংবা আমলের এতে কোনো হাত নেই। অহরহ পথে ঘাটে এসব বিষয় নিয়ে ‘মশকরা’ করায় মানুষ নিজের অজান্তেই তার দ্বীন থেকে বহিষ্কৃত হয়ে যেতে পারে, সামান্য ‘বিদ্রুপে’ শেষ হয়ে যেতে পারে এতদিনের সব নেক আমল। আল্লাহ পাক এমন লোকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, তারা বলবে, আমরা একটু হাসি তামাশা করছিলাম। আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহকে নিয়ে এবং তার আয়াতসমূহ ও তার রাসুলকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছ? তোমরা কারণ দেখিয়ো না, তোমরা তো তোমাদের ঈমানের পরও কুফুরী করে ফেলেছো।’ (সূরা তওবা-৬৫-৬৬) পবিত্র কুরআনে অভিশপ্ত জাতিদের যেসব ঘটনা বিবৃত রয়েছে, তারা তাদের নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করতো, নবীর অনুসারীদের নিয়ে পথে ঘাটে বিদ্রুপ করতো, আল্লাহ পাক তাদের সমুচিত জবাব দিয়েছেন, পরকালেও তাদের এর বদলা দিবেন আল্লাহ। মদীনার মুনাফিকদের অবস্থাও ছিল একই রকম। যা হাদীসের বিভিন্ন কিতাবের বিবরণে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত। খুব সংক্ষেপে কিছুটা হলেও আপনি হয়তো এর ভয়াবহতা অনুমান করতে পেরেছেন। আর তাই আজ থেকে সব বিষয় নিয়ে হাসি তামাশা নয়, ইসলাম এবং এর সাথে সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য নয়, সামান্য একটু হাসির জন্য নিজের সব ঈমান আমল বিকিয়ে দেওয়া কোনো সচেতন বুদ্ধিমানের কাজ নয়। লেখক-শিক্ষার্থী, কাতার ইউনিভার্সিটি, দোহা, কাতার http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=61fcc470f008e53b088345cec9fe10c0&nttl=20120508103346109885
  6. I might read a hundred interpretations of one verse, but would still ask Allaah's guidance in its comprehension saying, 'Oh teacher of Aadam and lbraaheem teach me!' I would also go to the deserted masjids and ask Allah, 'Oh teacher of lbraaheem! Make me comprehend.' Ibn Taymiyyah
  7. Luqman , the wise : Many, many years ago there lived a scholar called Luqman. But he was very wise. He was an African who was caught as a slave and sold in another country.Luqman was so wise and respected that a Surah i...n the Qur’an also is called by his name (Chapter 31). He gave good advice to his children. His advice is equally good for all the children of the world even today. Once Luqman said to his son, “Oh son! Do not tie your heart in seeking the pleasure of people. You are not likely to succeed. Do not pay attention to what people say. Instead tell yourself always to seek the pleasure of God.” Luqman wanted this lesson to be always remembered. Never to be forgotten. He thought of a way. He then told his son to ride a donkey. The son obeyed. The father followed behind on foot. They travelled in this way for some distance. After some distance they came across a group of people. Seeing the son on the donkey, one of them said, “What an impolite and bad boy. The old father is walking on foot. The young son is comfortably riding on the donkey. This is no manner to show respect to one’s father”. Father and son heard this. The son came down from the donkey. Luqman rode on the animal. After sometime they came across another group of people. On seeing the father riding the donkey, the elder of the group said, “Oh you old man! This is not the way to bring up a son. You make him walk in the hot sun, while you sit comfortably on the donkey.” Luqman paid attention to what the people said. He came down from the donkey. Both father and son walked on foot. The donkey walked in front. They went a little further. People seeing them, said, “How foolish you are? You walk behind a donkey. Why don’t you ride it?” Luqman and his son once again accepted what the people said. They both rode the donkey and went further. They came across a river. There was a bridge to be crossed. Some people were sitting there. They saw Luqman and his son riding the donkey. One of them said, “It is very unkind and cruel of you two to ride on the poor donkey. The little animal can hardly take all your burden.” So taking this advice Luqman and his son dismounted from the donkey. They travelled a little distance further. Looking very lovingly Luqman said to his son, “You have heard and seen what the people said. It must have assured you, by now, that whatever you do or whichever way you move, one is not able to please the people of the world.” He pointed at the flowing river and added,“ ♥ Moral ♥ : A person can build a wall across the river. It will stop the flow of the water. But it is not possible to shut the mouth of the people from criticism.” Very clearly, similar is the case in our world today. The tongue has no bone. It can speak even without thought. There are as many opinions as there are people in the world. It is very bad to find fault with the other person. Especially when he is doing something good. A person can feel very hurt when he listens to all the tongues that talk loose. To avoid getting hurt by loose talk, a person can train himself. He can discipline himself to think. By thinking he can know what is wrong and void. When a person is sure that what he is doing will please his Master, the Almighty Allah, then he must never worry what others speak
  8. Life is too short to wake up in the morning with regrets. So love the people who treat you right and forget about the ones who don't
  9. THE BEAUTIFUL HIJAB Once a brother was driving while visiting in a country, along with his wife. A lady pulled up beside him and started yelling obceneties at him, and asking " why are you doing that to her". She was talking about his veiled wife. He told her to pullover on the side, and she did. He said "you asked me a question, I will answer it" "where is your money he said?" ... Reluctantly she answered "in my wallet" "where is your wallet?" he asked. "why? Why do you want to know" she replied. He said "you asked me a question and I will answer it, I am not going to rob you, just answer the question" "in my purse" she said. "where do you keep your purse?" "Why?" she asked. "You asked a question and I will answer it, where do you keep your purse?" "Under the seat in my car" she answered. "why do you do that?" "why go through the trouble of putting your money in your wallet, then in a purse, the putting the purse under the seat?" "To protect it, should someone want to steal it" she said. "that is why my wife is covered, to protect her." May ALLAH make it easy for the sisters to wear the Hijab in the CORRECT manner. May the covering of your shroud not be the first time you will wear the Hijab. Aameen.
  10. Asalamu'alaikum The Journey One day of the many days, there was a man travelling with his Wife and Kids. On the way they met a person standing on the roadside. He asked: "Who are you?" The man said: "I am 'the Money'." So the man asked his wife and kids: "Should we ask him to ride with us?" They all said together: "Yes, of course! Because 'the Money' can help us do anything we want and get anyth...ing we wished." So they took 'the Money' to ride with them. The vehicle continued on its way until they met another person on the road. The Father asked: "Who are you?" He said: "I am 'the high position and power'." So the father asked his wife and kids: "Should we ask him to ride with us?" They all answered in one voice: "Yes, of course! Because with 'the high position and power' we have the ability to do anything we want and own anything we wished." So they took 'the high position and power' with them, and the vehicle continued to finish its trip. In this way, they met with many people who promised pleasures and desires of life, UNTIL... They met one strange person... The Father asked: "Who are you?" He said: "I am 'the Deen' (Islam)." So the father, the wife, and the kids; all of them said in one voice: "No, no, this isn't the time, we desire the pleasures of life and the Dunyah. ‘The Deen' will prevent us and then stop us from all pleasurable things and it will take control of our lives. We will be worn-out from being loyal to it and its teachings. The Halaal and the Haraam, and this thing ‘prayer’ and that thing ‘Hijaab’, and the fasting, and; and; and; and; and; etc, It will be a burden for us!!!" "But certainly, we will return to pick you up after we enjoy life and everything else in it." So sadly, they left him behind and the vehicle continued on its trip. All of a sudden, out of nowhere something appeared in the middle of the road. It was a check-point with the sign saying STOP!!! They found a man gesturing for the father to get out of the vehicle. The man said to the father: "Your trip has ended. Come with me." The father was shocked with fear and did not say a word. The man said to him: "I am searching for ‘the DEEN’. Is he with you?" The father answered: "No, I left him not too far back. If you could allow me to go back, I will get him for you." The man said: "You do not have the ability to go back now. Your trip has ended and there is no returning... going back is impossible." "But I have ‘The Money’; ‘the high position and power’; My Wife; My Kids; and; and; and; and; and; and; so on." The man said to him: "Neither will they benefit you now nor will they protect you when you come in front of Allah. Not even one bit! You have left all of them behind. The only one that will help you now is 'The Deen' you know, the one who YOU left behind on the road." The father asked: "And who are you exactly?" He replied: "I AM 'the DEATH' - The one who you were heedless of - and the one who you did not think of on your trip!!!" The father turned around and looked at his vehicle and found his wife taking control and continuing the trip along with all of the passengers besides him. And none of them had stayed behind with him. He was left all alone. LET US NOT COMPROMISE OUR DEEN FOR THE WORLDLY THINGS. ONLY OUR DEEN WILL ACCOMPANY US BEYOND TH GRAVE. May ALLAH give us the ability to always do the things that will help us on the Day of Reckoning. Aameen
  11. MUSLIM WOMAN

    মা

    Asalamu'alaikum মা আমার মায়ের একটা চোখ ছিলো। আমি তাকে ঘৃণা করতাম আর তাকে নিয়ে আমি বিব্রত ছিলাম। আমার মায়ের ছোট একটা পুরান পোষাকের দোকান ছিলো আর সেই দোকানের উপার্জন দিয়েই আমাদের চলতো। আমার স্কুলের একটা বিশেষ দিন। দিনটি আর দশটা দিন থেকে আলাদা ছিল, কারণ; এই দিনটাতে স্কুলের ছেলেমেয়েরা উৎসবে মেতে উঠতো। সেই দিন আমার মা আমার স্কুলে আসলো আর আমি তার এক চোখের জন্য খুবই বিব্রত বোধ করতে লাগলাম। ‘সে এটা কিভাবে পারলো?’ এই চিন্তা করে আমি তার দিকে ঘৃণামিশ্রিত দৃষ্টিতে তাকালাম আর বের হয়ে আসলাম। পরের দিন স্কুলে সকল ছেলে মেয়েরা বললোঃ ‘তোমার মায়ের মাত্র একটা চোখ?’। আমার মনে হলো তারা আমার দিকে খুবই ঘৃণার আর অবজ্ঞার দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। মাঝে মাঝে মনে হতো, ‘মা টা যদি মরেও যেত!’। আমি একদিন তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘মা, তোমার অন্য চোখটি নেই কেন? তুমি আমাকে আমার বন্ধুদের কাছে হাসি আর অবজ্ঞার পাত্র বানাচ্ছো। তুমি কেন মরে যাওনা?’ কোন জবাব দেইনি মা। আমার একটু খারাপ লাগলেও এই ভেবে শান্তি পেলাম যে, যা এত দিন ধরে বলতে চেয়েছিলাম তা’ তো বলতে পারলাম। এর কারণ হতে পারে যে আমার মা আমাকে কখনোই শাস্তি দেইনি, কিন্তু আমি ঘূর্ণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি যে আমি তাকে আঘাত দিয়েছি। সেই রাতে আমি ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানির জন্য রান্না ঘরে গেলাম আর দেখলাম আমার মা সেখানে কাঁদছে; গুমরিয়ে, পাছে আমি ঘুম থেকে উঠে পড়ি! তার দিকে একবার তাকিয়ে আমি আবার ফিরে এলাম। সেদিন যা বলেছিলাম তার জন্য একটু মন খারাপ করতে লাগলো। কিন্তু তার এক চোখের জন্য তার প্রতি আমার ঘৃণা একটুও কমেনি। তারপর, মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি বড় হয়ে যে কোন উপায়ে সফল হবো, কারণ; আমি আমি আমার একচোখা মা আর আমাদের এই তীব্র দারিদ্রকে প্রচন্ড ঘৃণা করতাম। তারপর আমি সত্যিই সত্যিই অনেক কঠোর পড়াশুনা করতে লাগলাম, সিউল শহরে আসলাম আর নিজের প্রচেষ্টার দ্বারা সিউল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। তার বেশ কিছুদিন পর আমি ভালো উপার্জন করতে শুরু করলাম আর একটা বাড়িও কিনলাম। আমি বিয়ে করলাম আর আমার সন্তান পৃথিবীতে আসলো। স্ত্রী আর সন্তান নিয়ে সিউলে এখন আমার সুখের সংসার। সিউলের এই বাড়িটি খুব পছন্দ করি কারণ, এখানে আমার একচোখা মায়ের কথা একদমই মনে পড়ে না। আমার সুখ বাড়তেই থাকলো। আর, তারপর একদিন সেই অনাকাংখিত ঘটনাটি ঘটলো। আমার মা সিউলে আসলো; তার এক চোখ নিয়ে। আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো; আমার ছোট্ট মেয়েটি ভয়ে দৌড়ে ভিতরে ঢুকে গেলো। আর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম; ‘কে তুমি? কেন তুমি এখানে এসেছো? কত বড় সাহস যে তুমি আমার বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে ভয় দেখাও?’ আমার মা শান্ত ভাবে জবাব দিলো, ‘আমি দুঃখিত, আমি সম্ভবত ভুল ঠিকানায় এসেছি’। আর তারপর সে চলে গেল। ‘থ্যাঙ্ক গড! সে আমাকে চিনতে পারেনি’ ভাবলাম আমি। মনে হলো সত্যিই মুক্তি পেলাম। এর অনেক পর একদিন আমার স্কুল থেকে Re-union সম্পর্কিত একটা চিঠি পেলাম। আমার স্ত্রীর কাছে ব্যাবসার কাজে যাওয়ার নামে মিথ্যা বলে আমি সেই রি-ইউনিয়নে যোগ দিলাম। রি-ইউনিয়ন শেষ হলে এক বিশেষ কৌতুহলবশতঃ আমার সেই জ্বীর্ন-শীর্ণ বাড়িতে গিয়ে দেখলাম, আমার মা তার শীর্ণ ঘরের মধ্যে নিশ্চল পড়ে আছে। এতে আমার একটুও কান্না পেলোনা। তার হাতে এক টুকরো কাগজ দেখতে পেলাম। সেটি ছিলো মুলতঃ আমাকে লেখা তার একটা চিঠি। মা লিখেছে, ‘বাবা, আমার মনে হয় জীবনের দীর্ঘ সময় আমি পার করেছি। এবং আমি আর কখনোই সিউলে যাবোনা। এটা আশা করা কি খুব বেশি হবে যে, তুমি একটি বারের জন্য আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে দেখে যাও? আমি তোমাকে খুব মিস করি বাবা। যখন শুনলাম যে তুমি রি-ইউনিয়নে আসছো, আমি খুবই শান্তি পেলাম যে এবার বোধহয় তোমাকে দেখতে পাবো। কিন্তু তোমার জন্য আমি সেখানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি সত্যিই দুঃখিত যে আমার মাত্র একটা চোখ। যখন তুমি খুব ছোট ছিলে, একটা দূর্ঘটনায় তুমি তোমার একটা চোখ হারাও। মা হয়ে আমি তোমার একটি চোখ হারিয়ে বড় হওয়ার সহ্য করতে পারিনি আর তাই আমার একটা তোমাকে দেই। আমি খুবই গর্ববোধ করতে লাগলাম যে আমার ছেলে আমার চোখ দিয়ে এই পৃথিবীকে নতুন করে দেখতে পাচ্ছে। আমি কখনো তোমার কোন কাজে কষ্ট পাইনি। যখনই তুমি আমার উপর রাগ করেছো, ভেবেছি; আমাকে ভালোবাসো বলেই তা করেছো। আমি সেই সময়গুলো খুব মিস করি যখন তুমি ছোট ছিলে আর ভয় পেলে আমার কাছে ছুটে আসতে। তোমারে খুব মিস করি বাবা। তোমারে অনেক ভালোবাসি। তুমিই আমার পৃথিবী’। আমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম। সারা জীবন আমার এই মাকে আমি ঘৃণা করে এসেছি যে শুধুমাত্র আমার জন্য বেঁচে ছিলো। আমার এই পাপের কোন প্রায়শ্চিত্য নেই....... [ মাগো! তোমরা এত গ্রেট কেন মা?] (অন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত। লেখাটির ইংরেজি ভার্সন আমার এক বন্ধু আমাকে মেইল করে পাঠিয়েছে। আমাকে প্রচন্ড ছুঁয়ে যাবার কারণে বাংলায় অনুবাদ করে ব্লগে শেয়ার করলাম। আগে কেউ অন্য কোথাও দেখে থাকলে দোষাবেন না আশা করি। সোর্স লিঙ্কটি জানা না থাকায় এখানে দেয়া সম্ভব হলোনা।) http://www.somewhereinblog.net/blog/liaquathossain/29185866
  12. An emperor in the Far East was growing old and knew it was time to choose his successor. Instead of choosing one of his assistants or his children, he decided something different. He called young people in the kingdom together one day. He said, "It is time for me to step down and choose the next emperor. I have decided to choose one of you." The kids were shocked! But the emperor continued. "I am going to give each one of you a seed today. One very special seed. I want you t...o plant the seed, water it and come back here after one year from today with what you have grown from this one seed. I will then judge the plants that you bring, and the one I choose will be the next emperor!" One boy named Ling was there that day and he, like the others, received a seed. He went home and excitedly told his mother the story. She helped him get a pot and planting soil, and he planted the seed and watered it carefully. Every day he would water it and watch to see if it had grown. After about three weeks, some of the other youths began to talk about their seeds and the plants that were beginning to grow. Ling kept checking his seed, but nothing ever grew. 3 weeks, 4 weeks, 5 weeks went by. Still nothing. By now, others were talking about their plants but Ling didn't have a plant, and he felt like a failure. Six months went by, still nothing in Ling's pot. He just knew he had killed his seed. Everyone else had trees and tall plants, but he had nothing. Ling didn't say anything to his friends, however. He just kept waiting for his seed to grow. A year finally went by and all the youths of the kingdom brought their plants to the emperor for inspection. Ling told his mother that he wasn't going to take an empty pot. But honest about what happened, Ling felt sick to his stomach, but he knew his mother was right. He took his empty pot to the palace. When Ling arrived, he was amazed at the variety of plants grown by the other youths. They were beautiful in all shapes and sizes. Ling put his empty pot on the floor and many of the other kinds laughed at him. A few felt sorry for him and just said, "Hey nice try." When the emperor arrived, he surveyed the room and greeted the young people. Ling just tried to hide in the back. "What great plants, trees and flowers you have grown," said the emperor. "Today, one of you will be appointed the next emperor!" All of a sudden, the emperor spotted Ling at the back of the room with his empty pot. He ordered his guards to bring him to the front. Ling was terrified. "The emperor knows I'm a failure! Maybe he will have me killed!" When Ling got to the front, the Emperor asked his name. "My name is Ling," he replied. All the kids were laughing and making fun of him. The emperor asked everyone to quiet down. He looked at Ling, and then announced to the crowd, "Behold your new emperor! His name is Ling!" Ling couldn't believe it. Ling couldn't even grow his seed. How could he be the new emperor? Then the emperor said, "One year ago today, I gave everyone here a seed. I told you to take the seed, plant it, water it, and bring it back to me today. But I gave you all boiled seeds, which would not grow. All of you, except Ling, have brought me trees and plants and flowers. When you found that the seed would not grow, you substituted another seed for the one I gave you. Ling was the only one with the courage and honesty to bring me a pot with my seed in it. Therefore, he is the one who will be the new emperor!" If you plant honesty, you will reap trust. If you plant goodness, you will reap friends. If you plant humility, you will reap greatness. If you plant perseverance, you will reap victory. If you plant consideration, you will reap harmony. If you plant hard work, you will reap success. If you plant forgiveness, you will reap reconciliation. If you plant openness, you will reap intimacy. If you plant patience, you will reap improvements. If you plant faith, you will reap miracles. But If you plant dishonesty, you will reap distrust. If you plant selfishness, you will reap loneliness. If you plant pride, you will reap destruction. If you plant envy, you will reap trouble. If you plant laziness, you will reap stagnation. If you plant bitterness, you will reap isolation. If you plant greed, you will reap loss. If you plant gossip, you will reap enemies. If you plant worries, you will reap wrinkles. If you plant sin, you will reap guilt. So be careful what you plant now, It will determine what you will reap tomorrow, The seeds you now scatter, Will make life worse or better, your life or the ones who will come after. Yes, someday, you will enjoy the fruits, or you will pay for the choices you plant today. Honesty in IslamSee More http://www.facebook.com/pages/IsLamic-MoRal-StOrieS/109650875820889
  13. Arabic Proverb: “Allaah sometimes takes us into troubled waters - Not to drown us, but to cleanse us.”
  14. A lady was inquiring about Islam yesterday and was debating with a brother about evolution. A visiting shaykh was passing by and heard her say, "I have a problem with the notion that woman is from the rib of man". The shaykh said "you have a problem coming from the rib of man, but no problem coming from a monkey!" She laughed, and was quiet.
  15. Asalamu'alaikum This is a true story of a Niqabi sister in France After picking groceries in the supermarket, the Niqabi sister stood in the line to pay. After few minutes, her turn came up at the checkout counter. The checkout girl who was non Hijabi Arab Muslim girl started to scan the items of the Niqabi sister one buy one and then she looked at her with arrogance and said :”we have in France many problems, your Niqab is one of them!! We, immigrants, are here for trade and not to show our Deen or history! If you want to practice your Deen and wear Niqab then go back to your Arab country and do whatever you want!!” The Niqabi sister stopped putting her grocery in the bag and took off her Niqab… The checkout girl was in total chock! The Niqabi girl who was blond with blue eyes told her:”I am a French girl, not an Arab immigrant! This is my country and THIS IS MY ISLAM!! You born Muslims sold your Deen and we bought it from you!” end of story This is a fact! Many revert Muslims have stronger faith than born Muslims! SuhanAllah! Indeed,"Islam began a stranger and, then, it will return as it began. Then bliss to the strangers!" http://www.facebook.com/pages/IsLamic-MoRal-StOrieS/109650875820889
  16. Asalamu'alaikum [Hasan Al-Basri ((may Allâh have mercy on him)] said, "The heart becomes corrupt in six ways: ► committing sins in the hope of repenting, ► seeking knowledge and not applying it, ► practice without ikhlas [i.e. sincerity], ► eating the sustenance of Allah without appreciating Him, ► not being pleased with Allah's decree and ► burying the dead without learning from them."
  17. Asalamu'alaikum রাতে দেরীতে ঘুমানো - আধুনিক সময়ের এক অভিশাপ : আল্লাহ রাত কেন সৃষ্টি করেছেন ? তিনিই তোমাদের জন্য রাত্রিকে করেছেন আবরণস্বরূপ , বিশ্রামের জন্য তোমাদের দিয়েছেন নিদ্রা ও কাজের জন্য দিয়েছেন দিন ( সুরাহ ফুরকান ; ২৫ : ৪৭) । আগেকার যুগের বিশ্বাসীরা কিভাবে তাদের রাত কাটাতেন ? বেহেশত লাভের উপায় হিসাবে বিশ্বাসীরা রাতের সময়কে কাজে লাগাতেন । বেঁচে থাকতে যারা বেহেশত লাভের সুখবর পেয়েছিলেন , সেই শেষ নবী ও তার অনেক সাহাবী রাত কাটাতেন ইবাদতে । হজরত মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার সালাতের পর কথা বলতে বা গভীর রাত পর্যন্ত অযথা জেগে থাকতে অপছন্দ করতেন । তবে দ্বীনি শিক্ষা দিতে তিনি কখনো কখনো রাত জাগতেন ও মুসলমানদের জন্য যা কল্যাণকর , সে সম্পর্কে পরামর্শ করার জন্য অনেক সময় রাতে আবু বকর রাযি আল্লাহু আনহুর বাসায় যেতেন । দিনের ব্যস্ততায় নফল সালাত আদায় করা বা কুরআন তেলাওয়াত করা অনেকের পক্ষে কঠিন ছিল । তারা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে কুরআন পড়তেন আর সিজদায় গিয়ে গুনাহ পাপের জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করতেন । হজরত মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর কাছে দিনে – রাতে কমপক্ষে সত্তরবার মাফ চাইতেন , নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায় করতেন । মা আয়শা রাযি আল্লাহু আনহা একদিন বললেন , আল্লাহ তো আপনাকে মাফ করে দিয়েছেন । তাহলে কেন আপনি এত কষ্ট করে এভাবে ইবাদত করেন ? জবাবে রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন , আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না ? আমরা কিভাবে রাতের সময়কে কাজে লাগাই ? আমরা আজকের এই হতভাগা মুসলমানরা রাতকে কাজে লাগাই অনর্থক হাসিতামাশায় কাটানোর জন্য - অনেক সময় তা হয় হারাম ফূর্তির জন্য , আসতাগফিরুল্লাহ । গ্রীস্মের ছুটিতে পশ্চিমা তরুণ সমাজ : রাতে সবাই যখন ঘুমে , তারা তখন বন্ধুদের সাথে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । কখনো তারা দল বেঁধে ডিসকো পার্টিতে যাচ্ছে মদ ও মাদক খেতে আর উন্মাদের মত হাত পা ছুঁড়ে নাচতে । যারা বাইরে যায় নি বা যাওয়ার সুযোগ পায় নি , তারা ঘরে বসে ইন্টানেটে সারা দুনিয়া চষে বেড়াচ্ছে । চ্যাট রুমে অনলাইনে ছেলে ও মেয়ে বন্ধুদের কেউ এশিয়ার , কেউ আমেরিকা বা ইউরোপের - একেক জন একেক দেশের । এদের সাথে একসাথে আড্ডা দেয়া ‘ দারুণ ‘ ব্যপার । এটা করার জন্য রাত হচ্ছে উপযুক্ত সময় , দিনের বেলার আড্ডা মোটেও জমে না । কেউ খাওয়া – ঘুম ফেলে সর্বশেষ গেম খেলায় মগ্ন যেন বন্ধুদের থেকে বেশী স্কোর করতে না পারলে জীবন ব্যর্থ । কেউ বা সাম্প্রতিক সিনেমা ডাউনলোড করে তা দেখছে যেন এখনই দেখতে না পারলে সবাইকে আর মুখ দেখানো যাবে না । হ্যাঁ , এই হচ্ছে পশ্চিমে মুসলমান তরুণ সমাজের ভয়াবহ চিত্র । গ্রীস্মের ছুটিতে পাশ্চাত্যের তরুণরা এভাবে উচ্ছৃঙ্খল সময় কাটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে । তারা মনে করছে এটাই আধুনিকতা । এমনটি না করলে বন্ধুরা তাকে খ্যাত বলবে । পশ্চিমা তরুণ – তরুণীদের জীবনের খারাপ এই দিক অনুকরণে আমাদের তরুণ সমাজের এক অংশ খুবই উৎসাহী । এর ফল হলো সকালে দেরীতে ঘুম থেকে উঠা । মুসলমান সমাজের এক বড় অংশই দিন শুরু করে ফজরের সালাত বাদ দিয়ে , আসতাগফিরুল্লাহ । মুসলমান অভিভাবকরা এখন লাশের ভূমিকায় : লাশের কথা বলার ক্ষমতা নেই , কাউকে সে দিক – নির্দেশনা দিতে পারে না । অভিভাবকদের বেশীরভাগ না হোক , অনেকেরই অবস্থা এখন এই লাশের মতো । তারা সন্তানদের ইসলামী কোন শিক্ষা দেন না । সন্তান পড়ালেখা , নাচ – গান , অভিনয় , খেলাতে ভাল করলেই তারা সন্ত্তষ্ট । সবাইকে গর্ব করে তারা তা বলেন । কিন্ত্ত সন্তান যে সালাত আদায় করে না - এমন কি অনেকে জানেও না কিভাবে সঠিকভাবে সালাত পড়তে হয় বা কুরআন তেলাওয়াত করতে হয় , পরীক্ষা বা শরীর খারাপ হয়ে যাবে - এসব অজুহাতে সাবালক সন্তান রোজা রাখে না – এসব নিয়ে অভিভাবকরা মোটেও চিন্তিত নন । দু:খজনক হলেও সত্য যে উচ্ছৃঙ্খল সন্তানকে শাসন করা তো দূরের কথা , অভিভাবকরা নিজেরাও পশ্চিমা জগতের এই ফ্যাশনে আক্রান্ত । তারা নিজেরা বিভিন্ন পার্টিতে যাচ্ছেন ও গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে থাকছেন , ঘরে থাকলে টিভিতে হিন্দী নাটক বা ইংরেজী সিনেমা দেখে রাত দেড়টা - দুইটা সময় ঘুমাতে যান । মা – বাবা আচরণ যদি নাস্তিকদের মতো হয় , তাহলে কিভাবে আশা করা যায় সন্তান ইসলামিক আচার – আচরণ শিখবে ? মা – বাবা বড়জোর বলেন , এত রাত জেগো না , শরীর খারাপ করবে । কিন্ত্ত রাত জেগো না , ফজরের সালাতের জন্য উঠতে পারবে না – এমন কথা অভিভাবকরা কি বলেন ? রাত জাগা ও হাসি – তামাশায় সময় কাটানো নিয়ে ইসলাম কী বলে ? রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , দুইটি বিষয় থেকে অনেক মানুষ কল্যাণ গ্রহণ করে না । এগুলি হলো স্বাস্থ্য ও অবসর সময় । ইসলামিক চিন্তাবিদরা বলেন , অনেক মানুষই এই দুইটি কল্যাণের গূরুত্ব সম্পর্কে জানে না । কিয়ামতের দিনে উপকারে আসবে এসব কাজ তারা এই দুইটি বরকতের মাধ্যমে করে না ; তারা এ নিয়ে আফসোস করবে যখন আর এসব ফিরে পাওয়া যাবে না । তাই কোন কোন ছুটির দিন , শীত বা গ্রীস্মের বন্ধ শুধু খেলতামাশায় নষ্ট করা ঠিক না । মানুষের অনর্থক গল্পগুজবের মধ্যে থাকে পরনিন্দা , চোখলগুরি বা অনৈতিক কথাবার্তা , এসব ইসলামে নিষিদ্ধ । মোবাইল কোম্পানীগুলি ফ্রি টক টাইম বা নাম মাত্র মূল্যে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলার সুযোগ দিয়ে তরুণ – তরুণীদের উস্কে দিচ্ছে রাত জাগতে ও অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে । এভাবে হারাম কাজে সময় ও টাকা নষ্ট করা এবং স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়াকে ইসলাম সমর্থন করে না । এভাবে সময় নষ্ট করা এমন এক ক্ষতি যা পূরণ করা সম্ভব না ।কিছু সময় দুনিয়াদারীর জন্য রেখে অন্য সময় ইবাদত করতে হবে ও আল্লাহকে খুশী করার জন্য কাজ করতে হবে যেন কিয়ামতের দিনে সব কাজ বিফলে না যায় । রাত জাগা থেকে যা যা ক্ষতি হতে পারে : ১, ফজরের সালাত কাজা হয়ে যাবে । রাতে দেড়টা – দুইটা পর্যন্ত জেগে অনেকেই পরদিন বেলা বারেটার পরে ঘুম থেকে উঠে , আফসোস । রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , বিশ্বাসী ও কাফিরদের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত (মুসলিম ) । ২. যদি ধরে নেই রাত জাগার পরেও ফজরের সময় কেউ উঠতে পারবে , তবু একটা আশংকা থাকে যে ঘুম ঘুম চোখে সালাতে মন দেয়া তার পক্ষে কষ্টকর হবে । এমন কি , সালাতে কী বলছে , সেটা সে হয়তো ঠিকমতো খেয়াল করতে পারবে না । ৩ . নিয়মিতভাবে রাত জেগে টিভি দেখা , অনলাইনে চ্যাট করা বা মোবাইলে গল্পে গল্পে রাত কাটানোর অভ্যাস করে ফেলা শরীরের জন্য ক্ষতিকর । কেননা , ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য সকালে কলেজ বা অফিস যাওয়ার জন্য বা বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘুম পুরো হওয়ার আগেই বিছানা ছাড়তে হয় । ফলে দূর্বল ও ক্লান্ত লাগা , সব কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলা , ঘুমের অভাবে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে । রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা ক্লান্তিকর ও বোঝাস্বরূপ ( দারিমী , তাবারানী ও অন্যান্য ) । ৪ . রাত জাগা অভ্যাসের ফলে শরীর ক্লান্ত ও মেজাজ খারাপ হওয়াতে অনেক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব হয়ে উঠে না । ফলে ব্যক্তি জীবনে ও সংসারে নানা অশান্তি দেখা দেয় । মেজাজ খারাপ থেকে অল্পতেই অন্যের সাথে ঝগড়া লেগে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যা ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে । এছাড়া শারীরিক দূর্বলতার কারণে কাজে ফাঁকি দেয়ার বদঅভ্যাস গড়ে উঠবে । ৫ . ভোর রাতে বা দিনের শুরুতে সবচেয়ে বেশী কল্যাণ থাকে । রাসূল বলেছেন , আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করা হয়েছে । এজন্য রাসূল কোন যুদ্ধ অভিযানে সেনাবাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন । দেরীতে ঘুমানো ও দেরীতে উঠে আমরা সকালের কল্যাণ থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত করছি , কি দূর্ভাগ্য আমাদের । ৬. রাত জেগে যারা দলবেঁধে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় , তারা নানা সামাজিক সমস্যার সৃস্টি করে । এর একটি হলো পার্টি থেকে মদ খেয়ে বাড়ি ফেরার সময় মাতাল ড্রাইভাররা দূর্ঘটনা ঘটিয়ে নিজের ও অন্যের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে । রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার উপকারিতা : আমরা যদি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাই , তাহলে কিয়াম আল লাইল বা তাহাজ্জুদ ও জামাতে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য শেষ রাতে উঠতে পারবো । এই সময়টা দুআ করা ও আল্লাহর কাছে তওবা করার জন্য খুব ভাল সময় , কেননা আল্লাহ বেহেশবাসীদের সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলেন , তারা শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনা করতো (সূরাহ যারিয়াত ; ৫১ :১৮) । রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সুসংবাদ দিয়ে গিয়েছেন যে , শেষ রাতে ইবাদতের জন্য যে স্বামী বা স্ত্রী অন্যজনকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দেয় ও সে ঘুম থেকে উঠতে না চাইলে চোখে – মুখে পানির ছিটা দেয় , আল্লাহ তাকে মাফ করে দেন ( আবু দাউদ ) । হে মুসলমান , দয়া করে ভেবে দেখুন , বিছানায় পড়ে থেকে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এই অমূল্য বরকতময় সময় নষ্ট করা কি উচিত ? ব্যতিক্রম : রাসূল বলেছেন , রাত জাগা তিন ধরণের মানুষের জন্য । মুসাফির , সালাত আদায়কারী ও বিয়ের রাতে নবদম্পতি । শেষ রাতে কিভাবে ঘুম থেকে উঠা সম্ভব ? শেষ রাতে চারপাশের সবাই যখন গভীর ঘুমে , তখন বিছানা থেকে উঠে ইবাদত করা খুবই কষ্টকর । ক্লান্তিতে এই সময় দুই চোখের পাতা বন্ধ হয়ে যায় । এ্যলার্ম দিয়েও ঘুম তাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে । শেষ রাতে ইবাদত করার সৌভাগ্য লাভের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে ও দিনের বেলা কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিতে হবে । বিশেষ করে , দুপুরের সালাতের আগে বা পরে কিছু সময় ঘুমিয়ে নিলে ক্লান্তি দূর হয় ; পরিশ্রম করার শক্তি পাওয়া যায় । ফলে শেষ রাতে বা ফজরের আগে আগে ঘুম থেকে উঠে আল্লাহর সামনে হাজিরা দেয়া সহজ হয় । রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপদেশ দিয়েছেন , তোমরা দুপুরে কিছু সময়ের জন্য ঘুমাও ( বিশ্রাম নাও ) । কেননা এ সময় শয়তান বিশ্রাম নেয় না ( তাবারানী ) । আসুন , আমরা আধুনিকতার অভিশাপ রাতে দেরীতে ঘুমাতে যাওয়ার বদঅভ্যাস থেকে নিজেদের মুক্ত করি , আল্লাহ তওফীক দিন । সহায়ক সূত্র : Staying up Late ... A Disease of Modern Times: by Asma bint Shameem ; http://www.islamweb.net , www.quraneralo.com
  18. Asalamu'alaikum The way to paradise is an uphil climb whereas hell is downhill. Hence, there is a struggle to get to paradise and not to hell. Imam Al Ghazali ========================================
  19. Asalamu'alaikum তুমি কি দেখেছ তাকে যে দীনকে অস্বীকার করে ? সে তো সে-ই যে ইয়াতীমকে রুঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয় এবং সে অভাবগ্রস্থকে খাবার দানে উৎসাহ দেয় না সুরা মাউন : ১০৭ : ১-৩
  20. ইসলামে শ্রমিকের অধিকার : প্রেক্ষিত মে দিবস Posted by QuranerAlo.com Editor • m none"> প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না লেখকঃ শেখ আব্দুছ ছামাদ বছর ঘুরে আবার এসেছে মে মাস। শ্রমিকের অধিকার আদায় আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এ মাসের ১ তারিখ সারা বিশ্বে পালিত হয় ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’ (International Workers Day) হিসাবে। এ দিবসটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক, দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা। মে দিবসের ইতিহাস : ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকার মেহনতী শ্রমিকশ্রেণী দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবীসহ আরো কয়েকটি ন্যায্য দাবী ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জীবন বিসর্জন দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব শ্রমিক আন্দোলনের সূচনা করেছিল। ১লা মে’র ঐ ধর্মঘট দিবসের আগে যুক্তরাষ্ট্র বা বিশ্বের কোথাও শ্রম আইন ছিল না। শ্রমিকদের মানবিক ও অর্থনৈতিক অধিকার বলতেও কিছু ছিল না। তারা ছিল মালিকদের দাস মাত্র। তাদের কাজের কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল না। ছিল না সাপ্তাহিক কোন ছুটি। ছিল না চাকুরীর স্থায়িত্ব ও ন্যায়সঙ্গত মজুরীর নিশ্চয়তা। মালিকরা তাদের ইচ্ছামত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিত। এমনকি দৈনিক ১৮-২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতেও বাধ্য করত শ্রমিকদের। এ অন্যায়, বঞ্চনা ও যুলুমের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকরা পর্যায়ক্রমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। এ আন্দোলনের অংশ হিসাবে ‘আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার’-এর ১৮৮৫ সালের সম্মেলনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবীতে ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকা ও কানাডার প্রায় তিন লক্ষাধিক শ্রমিক শিকাগোর ‘হে মার্কেটে’ ঢালাই শ্রমিক, তরুণ নেতা এইচ সিলভিসের নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে সর্বপ্রথম সর্বাত্মক শ্রমিক ধর্মঘট পালন করে। শ্রমিকদের সমাবেশ চলাকালে মালিকদের স্বার্থ রক্ষাকারী পুলিশ ও কতিপয় ভাড়াটিয়া গুন্ডা সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে অতর্কিতভাবে গুলী চালিয়ে ৬ জন শ্রমিককে নৃশংসভাবে হত্যা ও শতাধিক শ্রমিককে আহত করে। কিন্তু এতেও শ্রমিকরা দমে যায়নি। শ্রমিকদের ইস্পাতকঠিন ঐ সফল ধর্মঘটের কারণে কোন কোন মালিক ৮ ঘণ্টা কর্ম সময়ের দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয়। ফলে শ্রমিকরা আরো উৎসাহী ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠে এবং সর্বস্তরে ৮ ঘণ্টা কর্ম সময়ের দাবী প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২রা মে রবিবারের সাপ্তাহিক বন্ধের দিনের পর ৩ তারিখেও ধর্মঘট অব্যাহত রাখে। ঐ নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত ৪ঠা মে শিকাগো শহরের ‘হে’ মার্কেটের বিশাল শ্রমিক সমাবেশে আবারো মালিকগোষ্ঠীর গুন্ডা ও পুলিশ বাহিনী বেপরোয়াভাবে গুলী বর্ষণ করে। এতে ৪ জন শ্রমিক নিহত ও বিপুল সংখ্যক আহত হয়। রক্তে রঞ্জিত হয় ‘হে’ মার্কেট চত্বর। গ্রেফতার করা হয় শ্রমিক নেতা স্পাইজ ও ফিলডেনকে। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। এই নৃশংস হত্যাকান্ডের পর শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে রীতিমত ‘চিরুনী অভিযান’ চালিয়ে শিকাগো শহর ও এর আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী ফিশার, লুইস, জর্জ এঞ্জেল, মাইকেল স্কোয়ার ও নীবেসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক নেতাকে। পরবর্তীতে শ্রমিকদের এই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের বিরোধিতাকারী মালিকপক্ষের ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ‘জুরি’ গঠন করে ১৮৮৬ সালের ২১ জুন শুরু করা হয় বিচারের নামে প্রহসন। একতরফা বিচারের মাধ্যমে ১৮৮৬ সালের ৯ অক্টোবর ঘোষিত হয় বিচারের রায়। রায়ে বিশ্বজনমতকে উপেক্ষা করে শ্রমিক নেতা পার্সন্স, ফিলডেন, স্পাইজ, লুইস, স্কোয়ার, এঞ্জেল ও ফিশারের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ প্রদান করা হয় এবং ১৮৮৭ সালের ১১ নভেম্বর সে আদেশ কার্যকর করা হয়। শ্রমিক নেতা ও কর্মী হত্যার এ দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে প্রতিবছর ১লা মে ‘শ্রমিক হত্যা দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস’ হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দৈনিক ৮ ঘণ্টা কার্য সময় ও সপ্তাহে এক দিন সাধারণ ছুটি প্রদানের ব্যবস্থা করে প্রথম শ্রম আইন প্রণীত হয়। অন্যদিকে নারকীয় এ হত্যাযজ্ঞ গোটা বিশ্বের শ্রমিকদের অধিকারে এনে দেয় নতুন গতি। শিকাগো শহরে সৃষ্ট এ আন্দোলন ক্রমশ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়। পৃথিবীর সকল শ্রমজীবী মানুষ এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয় ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ শ্লোগানটি। সেই সাথে ১২৫ বছর আগে ঘটে যাওয়া সে ঘটনাটির কথা এখন প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করা হয়ে থাকে ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’ বা ‘মে দিবস’ হিসাবে। ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার : শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ধর্ম ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকারের কথা বিধৃত হয়েছে। শ্রমিকদের প্রতি সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম শ্রমের প্রতি যেমন মানুষকে উৎসাহিত করেছে (জুম‘আহ ১০), তেমনি শ্রমিকের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পূর্ণ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষকে অত্যন্ত সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতেন। কারণ যারা মানুষের সুখের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজেদেরকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়, তারাতো মহান আল্লাহর কাছেও মর্যাদার অধিকারী। শ্রমের মর্যাদা বুঝাতে গিয়ে রাসূলুল্ল­াহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, مَا أَكَلَ أَحَدٌ طَعَامًا قَطُّ خَيْرًا مِنْ أَنْ يَّأْكُلَ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ وَإِنَّ نَبِىَّ اللهِ دَاؤُوْدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ كَانَ يَأْكُلُ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ ‘কারো জন্য স্বহস্তের উপার্জন অপেক্ষা উত্তম আহার্য আর নেই। আর আল্লাহর নবী দাঊদ (আঃ) স্বহস্তে জীবিকা নির্বাহ করতেন’ । [১] শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম বদ্ধপরিকর। আর একজন শ্রমিকের সবচেয়ে বড় অধিকার বা দাবী হ’ল, তার শ্রমের যথোপযুক্ত পারিশ্রমিক লাভ করা। এজন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, أُعْطُوا الْأََجِيْرَ أَجْرَهُ قَبْلَ أَنْ يَّجِفَّ عَرقُهُ ‘তোমরা শ্রমিককে তার শরীরের ঘাম শুকানোর পূর্বেই পারিশ্রমিক দিয়ে দাও’ । [২] ইসলামে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক : ইসলামে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক হবে পিতা-সন্তানের ন্যায়। নিজের পরম আত্মীয়ের মতোই শ্রমিকের সাথে আন্তরিকতাপূর্ণ আচরণ করা, পরিবারের সদস্যদের মতই তাদের আপ্যায়ন করা, শ্রমিকের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার প্রতিটি মুহূর্তের প্রতি মালিকের খেয়াল রাখা এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা করা মালিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। শ্রমিককে তার প্রাপ্য পূর্ণভাবে যথাসময়ে প্রদান করাও মালিকের একটি প্রধান দায়িত্ব। অনেক সময় শ্রমিকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মালিকগণ উপযুক্ত মজুরী না দিয়ে যৎ সামান্য মজুরী দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করে। এ ধরনের মালিকদের সম্পর্কে রাসূলুল্ল­াহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘মহান আল্লাহ বলেন, ক্বিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে। তাদের মধ্যে একজন হ’ল - وَ رَجُلٌ أسْتَأْجَرَ أَجِيْرًا فَاسْتَوْفَى مِنْهُ وَلَمْ يُعْطِهِ أَجْرَهُ ‘যে শ্রমিকের নিকট থেকে পূর্ণ শ্রম গ্রহণ করে অথচ তার পূর্ণ মজুরী প্রদান করে না’ । [৩] অপরদিকে একজন শ্রমিকের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হ’ল- চুক্তি মোতাবেক মালিকের প্রদত্ত কাজ অত্যন্ত নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সাথে সম্পাদন করা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, إِنَّ اللهَ تَعَالَى يُحِبُّ مِنَ الْعَامِلِ إِذَا عَمِلَ أَنْ يُّحْسِن ‘আল্লাহ ঐ শ্রমিককে ভালবাসেন যে সুন্দরভাবে কার্য সমাধা করে’ । [৪] কিন্তু কোন কোন শ্রমিক মালিকের কাজে ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত হাযিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলন করে থাকে, যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এজন্য তাকে ক্বিয়ামতের মাঠে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হ’তে হবে। আর যদি শ্রমিক তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করে, তাহ’লে তার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দ্বিগুণ পুরস্কারের কথা ঘোষণা করে বলেন, ‘তিন শ্রেণীর লোকের দ্বিগুণ ছওয়াব প্রদান করা হবে। তাদের মধ্যে এক শ্রেণী হ’ল - وَالْعَبْدُ الْمَمْلُوْكُ إِذَا أَدَّى حَقَّ اللهِ وَ حَقَّ مَوَالِيْهِ ‘ঐ শ্রমিক যে নিজের মালিকের হক্ব আদায় করে এবং আল্লাহর হক্বও আদায় করে’ । [৫] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেন, لِلْعَبْدِ الْمَمْلُوْكِ الصَّالِحِ أَجْرَانِ ‘সৎ শ্রমিকের জন্য দু’টি প্রতিদান রয়েছে’ । আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, وَالَّذِىْ نَفْسُ أَبِيْ هُرَيْرَةَ بِيَدِهِ لَوْلاَ الْجِهَادُ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ وَالْحَجُّ وَبِرُّ أُمِّىْ لَأَحْبَبْتُ أَنْ أَمُوْتَ وَأَنَا مَمْلُوْكٌ ‘যেই সত্তার হাতে আবূ হুরায়রার প্রাণ তার কসম! যদি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, হজ্জ ও আমার মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহারের ব্যাপারগুলো না থাকত, তাহ’লে আমি শ্রমিক হিসাবে মৃত্যুবরণ করতে পছন্দ করতাম’ । [৬] শ্রমিকদের যে বিষয়টি মনে রাখা জরুরী তা হ’ল- বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। সুতরাং মে দিবসে যেকোন ব্যক্তির যানবাহন চালানোর বা শিল্প প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট খোলা রাখারও অধিকার আছে। তাতে বাধাদানের অধিকার কারো নেই। কিন্তু আমাদের দেশে মে দিবসে যদি কেউ যানবাহন চালায় বা দোকানপাট খোলা রাখে তাহ’লে উচ্ছৃংখল কিছু শ্রমিককে গাড়ি ভাংচুর করতে এবং দোকানপাট জোর করে বন্ধ করে দিতে দেখা যায়। যা আদৌ সমর্থনযোগ্য নয়। অনুরূপভাবে হরতাল-ধর্মঘটও বর্জন করা আবশ্যক। পরিশেষে বলা যায়, এ সুন্দর পৃথিবীর রূপ-লাবণ্যতায় শ্রমিকদের কৃতিত্বই অগ্রগণ্য। কিন্তু শত আক্ষেপ! সভ্যতার কারিগর এ শ্রেণীটি সর্বদাই উপেক্ষিত, অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত। উদয়াস্ত উষ্ণ ঘামের স্যাঁতসেঁতে গন্ধ নিয়ে খেটে যে শ্রমিক তার মালিকের অর্থযন্ত্রটি সচল রাখে, সেই মালিকেরই অবিচারে শ্রমিকদের অচল জীবনটি আরো দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এটাকে সেই মৌমাছির সাথে তুলনা করা যায়, যারা দীর্ঘ পরিশ্রমের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে চাকে সঞ্চয় করে, কিন্তু তার ভাগ্যে একফোঁটা মধুও জোটে না। সুতরাং সমাজতন্ত্র ও পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থায় মালিক-শ্রমিকের বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা ও শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। আর এজন্য সর্বাগ্রে উচিত ইসলাম প্রদর্শিত মালিক-শ্রমিক নীতিমালার পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন! ১. বুখারী, মিশকাত হা/২৭৫৯। ২. ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৯৮৭, ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়। ৩. বুখারী, মিশকাত হা/২৯৮৪। ৪. ছহীহুল জামে‘ হা/১৮৯১, হাদীছ হাসান। ৫. বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/১১, ‘ঈমান’ অধ্যায়। ৬. বুখারী হা/২৫৮৪; মুসলিম হা/৪৪১০। http://www.quraneralo.com/rights-of-laborers-in-islam-may-day/
  21. Asalamu'alaikum তরকারীতে ঝোল ( সুরুয়া ) বাড়ানো রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , যখন তুমি তরকারী রান্না করো , তখন তাতে পানি একটু বেশি দিয়ে ঝোল ( সুরুয়া ) বাড়াও এবং তোমার প্রতিবেশীকেও দাও ( মুসলিম শরীফ ) । আজকাল প্রতিবেশীর বাসায় রান্না করা খাবার পাঠানো তো দূরে থাক , যে কাজের মানুষটি চুলার আগুন সহ্য করে এত কষ্ট করে রান্না করে খাবার টেবিলে তা পরিবেশন করলো , তাকে সামান্য এক টুকরো মাছ বা মাংসের সবচেয়ে ছোট টুকরাও খেতে দেন না অনেকেই । বাড়িতে ঠিকমতো খেতে পেত না বলেই মা – বাবা , ভাই – বোন , কখনো স্বামী – সন্তানকে রেখে আপনার কাজের বুয়া আপনার বাসায় এসেছে । শুধু শাক বা অল্প এক চামচ ডাল বা আলু ভর্তা দিয়ে ভাত খেলে হয়তো তার পেট ভরবে কিন্ত্ত মন ভরবে না । আসুন , আমরা তরকারীতে ঝোল ( সুরুয়া ) একটু বাড়িয়ে দিয়ে বাসার কাজের বুয়ার খাবার প্লেটে অন্তত দুই চামচ ঝোল ( সুরুয়া ) আর ছোট হলেও এক টুকরা মাছ বা মাংসের টুকরা দেই । আল্লাহ আমাদের জীবন – জীবিকায় বরকত বাড়িয়ে দিন , আমীন ।
  22. "When people ask you about your age, what do you reply? Your real age is not the number of years since the day of your birth, but your real age is what you decide yourself to be! Be wise like a 70 years old, energetic like a 20, innocent like 7, but most importantly, count only the years you have been with Allah, because at the end, they are the only years that would count in your scale!" (Sheikh Waleed Abdulhakeem)
  23. সূর্যোদয়ের দেশে ইসলাম জহির উদ্দিন বাবর সূর্যোদয়ের দেশ জাপান বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ। সমুদ্রবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি জাপান পৃথিবীর সর্বপূর্বে অবস্থিত। শিল্পে, সমরে, শক্তিতে সবদিক থেকেই জাপান বেশ উন্নত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুঃসহ স্মৃতি ভুলে জাপানিরা এখন বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। জাপানে এক সময় ইসলাম ও মুসলমানের অস্তিত্ব তেমন খুঁজে না পেলেও বর্তমানে বাড়ছে মুসলমানের সংখ্যা। জাপান সরকারের হিসাব মতে, জাপানে ৬ লাখ মুসলমান রয়েছে। জাপানে ইসলামের ইতিহাস খুব বেশি পুরনো নয়। ইসলামী ইতিহাসের প্রথম ও মধ্যযুগে এখানে কোনো মুসলমানের আগমন কিংবা কোনো দাওয়াতি তৎপরতার কথা জানা যায়নি। সম্ভবত উসমানী খেলাফতের সময় সুলতান আবদুল হামিদ সর্বপ্রথম ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে নৌপথে তার জাহাজ আল-তগরুলে (অষ ঞড়মৎঁষ) এক সৌজন্যমূলক মিশন জাপানে পাঠিয়েছিলেন। ওই প্রতিনিধি দলই সর্বপ্রথম জাপানে ইসলামের আলো ছড়ায়। তবে ট্র্যাজেডি হলো, এ প্রতিনিধি দল যখন তুরস্কে ফিরে যাচ্ছিল, তখন জাপানেরই সমুদ্রে প্রচণ্ড ঝড়ের আঘাতে জাহাজটি ডুবে যায়। ছয়শ' নয়জন যাত্রীর মধ্যে মাত্র ৬৯ জন জীবিত ছিলেন। অবশিষ্ট সবাই শহীদ হন। তাদের এই ত্যাগ আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। জাপানের লোকদের ওপর এ দুর্ঘটনার গভীর প্রভাব পড়ে। চবি্বশ বছর বয়সী উচ্চশিক্ষিত এক যুবক তুরজিরু ইয়ামাডায় (ঞড়ৎধলরৎড় ণধসধফধ) দুর্ঘটনায় এত বেশি প্রভাবিত হন যে, তিনি দুর্ঘটনাকবলিত শহীদদের পরিবারের লোকদের জন্য সারাদেশে চাঁদা সংগ্রহের অভিযান চালান। ৫৪০ জন শহীদের পরিবারের জন্য বিরাট একটি অঙ্ক সংগ্রহ করে তিনি জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে সে অর্থ সহকারে তুরস্কে যান। এ সময় সুলতান আবদুল হামিদ তুরজিরুকে ডেকে নিয়ে দু'বছর তুরস্কে অবস্থান করে এখানের সেনা অফিসারদের জাপানি ভাষা শেখানোর প্রস্তাব দেন। এ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে তিনি তুর্কি অফিসারদের জাপানি ভাষা শেখানোর পাশাপাশি নিজেও তুর্কি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। ইসলাম সম্পর্কেও জ্ঞানার্জন শুরু করেন। কিছুদিন পরে তিনি মুসলমান হয়ে নিজের নামের সঙ্গে 'সিঙ্গিতুস' (ংযরহমঃংঁ) শব্দ যোগ করেন। জাপানি ভাষায় এর অর্থ 'চাঁদ'। এটাও জানা যায় যে, তিনি তার ইসলামী নাম রেখেছিলেন 'আবদুল খলিল'। তার মাধ্যমে জাপানে ইসলামের বেশ প্রচার ঘটে। জাপানে প্রাচীনকাল থেকেই এককভাবে কোনো ধর্মের প্রাধান্য নেই। প্রধান তিনটি ধর্মের ইতিহাস ও বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যায়। এক. সিনতোইজম। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে স্বীকৃত। জাপানে সম্রাট পদ্ধতি চালু হলে রাজপরিবারের সঙ্গে মিশে এটি জাতীয় ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। দুই. ধর্মীয় দিক থেকে দ্বিতীয় বৌদ্ধধর্ম। ভারত থেকে আগত এই ধর্মের প্রতি জাপানিদের মধ্যে এক সময় ব্যাপক আলোড়ন ছিল। বর্তমানে অনুসারী তেমন না থাকলেও তার কিছু নিয়মনীতিকে জাপানিরা এখনও সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়। যেমন_ পশুপাখি হত্যা করা তো দূরের কথা, কেউ যদি কোনো একটি ছোট পাখি ধরারও চেষ্টা করে তাহলে জাপানি আইনে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তিন. খ্রিস্টান ধর্ম। ১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম জাপানে খ্রিস্টান ধর্মের প্রচলন ঘটে। ১৫৪৯ সালে রোমান ক্যাথলিকরা এখানে আসেন। তারা দ্রুত প্রভাব বিস্তার করে জাপানিদের মাঝে এবং এ সময়ে জাপানের মোট জনসংখ্যার ৪% লোক খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে। বর্তমানে এ ধরনের খ্রিস্টানের সংখ্যা হবে ১০-১২ লাখের মতো। তবে জাপানে এখনও ইসলামের আশানুরূপ বিস্তার ঘটেনি। জাপানের স্থানীয়দের মধ্যে ইসলামের কাঙ্ক্ষিত বিকাশ ঘটেনি। বর্তমানে বিয়ে সূত্রে অনেক জাপানি ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে। বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে ইসলাম গ্রহণের প্রবণতা বেশি। বেশ কিছু মসজিদও গড়ে উঠেছে জাপানে। তবে দাওয়াতি কাজ চলছে। এর ফলে হয়তো জাপানেও একদিন ইসলামের বৃক্ষটি সজীব হয়ে উঠবে। [email protected] http://www.samakal.com.bd/details.php?news=72&action=main&option=single&news_id=254800&pub_no=1036
  24. "Man comes from a drop of semen and leaves as a piece of dust. He doesn't know when he came and he doesn't know when he's leaving, yet he walks on the earth thinking he knows everything." -Imam Ali (rA)
  25. “Verily, I constantly renew my Islam until this very day, as up to now, I do not consider myself to have ever been a good Muslim.” Sheikh Al-Islam Ibn Taymiyyah (Narrated by Ibn-al Qayyim in ‘Madarij as-Salikin” 1/218)
×
×
  • Create New...