Jump to content
IslamicTeachings.org

MUSLIM WOMAN

Members
  • Posts

    1,173
  • Joined

  • Last visited

  • Days Won

    41

Everything posted by MUSLIM WOMAN

  1. If you correct your hidden deeds.... subsequently.... ALLAH will correct your outward deeds." [ibn Taymeeyah - 'al-Fatwa 3/277]
  2. "If those who do not possess knowledge avoid the scholarly discussions, disagreement will end." Imaam Al-Ghazaali Rahimahullaah. There is rest only in the aakhira. Man will rest in the aakhira according to how hard he strives in dunya. -Khaalid Ibn Al Waleed-
  3. Asalamu'alaikum ৫ম সন্তানও মেয়ে হবে বলে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে খুন : আর কতদিন এসব খবর পড়তে হবে ? কন্যা জন্ম দেবার ' অপরাধে ' স্ত্রীকে তালাক দেয়া , নবজাত শিশুকে খুন করা এসব আর কত ঘটবে ? আমরা কি আল্লাহকে ভয় করে চলবো না এতটুকু ? এসব হতভাগা পিতা / স্বামী কবে বুঝবে যে কন্যা সন্তানের জন্মকে পবিত্র কুরআনে সুখবর বলা হয়েছ ? আমাদের দেশের প্রতিটি মসজিদে , প্রতি জুমার খুতবায় নিয়মিতভাবে এসব কথা মানুষকে জানানো জরুরী হয়ে পড়েছে । তাদের কাউকে যখন কন্যা জন্মের সুখবর দেয়া হয় , তাদের মুখ কালো হয়ে যায় ও অসহনীয় মনস্তাপে ক্লিষ্ট হয় । ( সুরা নাহল ; ‌১৬:৫৮ ) । যখন সে কন্যা , সে তার পিতার জন্য বেহেশতের দরজা খুলে দিল ; যখন সে বোন , সে ভাইয়ের পরকালের হিসাব সহজ করার উপায় ; যখন সে স্ত্রী , সে তার স্বামীর দ্বীন অর্ধেক আদায় করে দিল ; যখন সে মা , তার পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত । ইসলামে নারীদের প্রকৃত মর্যাদার কথা যদি সবাই বুঝতো , তবে পুরুষরাও মুসলমান নারী হয়ে জন্মাতে চাইতো । সহায়ক সূত্র : শেখ আকরাম নাদাওয়ীর উদ্ধৃতি আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট দেখে বউকে খুন সুডোল্যাব ব্লগারঃ মেহেদী হাসান [ 44 ] – July 1, 2012 [[নরসিংদীর নারায়ণপুর ইউনিয়নের জংঙ্গয়া গ্রামের জোনাকি বেগমের ৪ মেয়ে। সন্তানসম্ভবা জোনাকি বেগমের ৫ম সন্তানও মেয়ে হবে এ খবরে তার স্বামী তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।]] প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, সংসার জীবনে জোনাকির কোলজুড়ে জন্ম নেয় ৪টি মেয়ে। ছেলে সন্তানের আশায় বুক বাঁধেন জোনাকির স্বামী। এরই মধ্যে জোনাকি আবারও অন্তঃসত্ত্বা হন। শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করতে ২৭ জুন বুধবার জোনাকির আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। এ সময় তার স্বামী আ. রহমান জানতে পারেন যে এবারও তার মেয়ে হবে। এর পর ওই দিন বাড়ি এসে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পাষ- আ. রহমান জোনাকিকে হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন। হত্যার পর এটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য লাশের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন। উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত পর্যন্ত সবাই পুত্রশিশুর আশায় কন্যাশিশুর ভ্রূণ নষ্ট করে ফেলছে। ভারতে আইন করে বিষয়টি নিষেধ করা হয়েছে। আমাদের দেশে এ ব্যাপারে কোনো আইন নেই। এমনকি কে কোথায় কীভাবে এসব কাজ করছে সে ব্যাপারেও কোনো মনিটরিং ও সার্ভে নেই। `যেহেতু আমাদের দেশে গর্ভপাত ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ, সেহেতু এখানে বিষয়টি সেভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না। কিন্তু মেটারনিটি ক্লিনিকগুলোয় হরহামেশাই গর্ভপাতের ঘটনা ঘটছে এবং গর্ভপাতের ফলে অনেক মায়ের মৃত্যুও হচ্ছে। http://seudolab.com/bn/2862
  4. অনুবাদ গল্প তিন ছাঁকনীর পরীক্ষা -কাজী শফিকুল আযম মুসলিম খেলাফতের তৎকালীন রাজধানী বাগদাদে আব্বাসীয় স্বর্ণ যুগে এক ব্যক্তি জ্ঞান গরিমার উচ্চস্তরে পৌঁছেছিলেন। একদিন তাকে এসে একজন বললো, : আমি আপনার বন্ধু সম্পর্কে এইমাত্র কী শুনে এসেছি, তা জানেন? জ্ঞানী ব্যক্তিটি জবাব দিলেন, : এক মিনিট অপেক্ষা কর। : আমার কাছে বন্ধু সম্পর্কে কিছু বলার আগে ছোট একটি পরীক্ষা করে নিতে চাই। এই পরীক্ষার নাম ত্রি-স্তর পরীক্ষা বা তিন ছাঁকনীর পরীক্ষা। লোকটি অবাক হয়ে বললো, : তিন ছাঁকনী? : ঠিক বলেছো। জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, : কারো সম্পর্কে কোন কিছু বলার আগে সময় নিয়ে ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। : প্রথম ছাঁকনী হলো সত্যতা। তুমি কি নিশ্চিত জানো, আমাকে যা বলতে যাচ্ছ তা সঠিক? লোকটি বললো, : না, আমি মাত্র এটা শুনে এসেছি, এটা সত্য কি না আমি জানি না। জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, : এবার দ্বিতীয় ছাঁকনী; যা হলো ভালোত্বের পরীক্ষা। তুমি যা বলতে চাচ্ছো তা কি আমার বন্ধু সম্পর্কে ভালো কোন কথা? লোকটি বললো, : না, বরং এর উল্টো। : এর মানে, তুমি আমার বন্ধু সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে চাও কিন্তু তুমি জানো না তা আসলে সত্য কি না। তুমি হয়ত শেষ পরীক্ষায় পাশ করবে। আর তা হলো বিষয়টি কল্যাণকর কিনা সেই পরীক্ষা। তুমি যা বলতে চাও তা কি আমার জন্য কল্যাণকর? লোকটি বললো, : না, এটা শোনায় আপনার কোন লাভ হবে না। তখন জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, : তুমি যা বলতে চাচ্ছো, তা সত্য নাও হতে পারে, ভালো কথাও না, এমনকি কল্যাণকর কোন বিষয়ও না। তাহলে তুমি কেন তা আমাকে বলতে চাচ্ছো? পাঠক, চলুন- আমরাও আজ থেকে এই তিন ছাঁকনীর পরীক্ষা শুরু করি ও গীবত এবং চোখলগুরির পাপ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করি। পবিত্র কুরআনের সুরা হুজুরাতে বলা আছে, “হে বিশ্বাসীগণ! কোন পুরুষ যেন অপর পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা সে উপহাসকারী থেকে উত্তম হতে পারে। হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান থেকে দূরে থাকো, কারণ অনুমান করা কোন কোন ক্ষেত্রে পাপ ও তোমরা একে অন্যের গোপন খবর অনুসন্ধান করো না, পিছনে নিন্দা করো না। কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে চাইবে?” (৪৯: ১১-১২) সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমাদেরকে সত্য পথ দেখিয়েছেন। http://www.nirmanmagazine.com/index.php/2012-07-01-00-00-00/249-তিন-ছাঁকনীর-পরীক্ষা
  5. Every day the sun rises it calls upon us, O people! I am a new day; I am an observer of your actions. Take advantage of me for I will not return until the Day of Judgment. O son of Adam, you are nothing but a few breaths. Once one breath goes out, part of you goes with it. In the same way that part of you has gone, soon all of you will go." [Hasan Al-Basri (may Allah have mercy on him)]
  6. Asalamu'alaikum হে আমার মেয়ে! পর্ব ২ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম অনুবাদ ও গ্রন্থনা: আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী । ওয়েব সম্পাদনাঃ মোঃ মাহমুদ -ই- গাফফার পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ হে আমার মেয়ে!জেনে রেখো! একবার যদি কোন মেয়ের জীবনে কলঙ্ক নেমে আসে এবং তার সমাজ যদি তা জেনে ফেলে তবে কেউ তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে না। এমন কি যেই পুরুষ তাকে নষ্ট করেছে সেও তাকে বিয়ে করে নিজের সংসার গড়তে রাজী হবে না। অথচ সেবিয়ের মিথ্যা ওয়াদা করে তার সতীত্ব ও সম্ভ্রম নষ্ট করেছে এবং মনের চাহিদা পূরণ করে কেটে পড়েছে। বরং সে যখন বিয়ের মাধ্যমে কোন নারীকে ঘরে উঠাতে চাইবে তখন তাকে বাদ দিয়ে অন্য একটি সম্ভ্রান্ত, সম্মানিত, ভদ্র, সতী ও পবিত্র নারীকেই খুঁজবে। কেননা সে কখনই চাইবে না যে, তার স্ত্রী হোক একজন নষ্ট নারী, ঘরের পরিচালক হোক একজন নিকৃষ্ট মহিলা এবং তার সন্তানদের মাতা হোক একজন ব্যভিচারীনী। নিজে ফাসেক ও পাপী হয়েও সে চাইবে তার স্ত্রীটি হোক ফুলের মত পবিত্র। এমন কি যখন সে নিজের পাপ ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য পাপের বাজারে কোন পাপিষ্ঠা মহিলাকে খুঁজে পাবে না এবং বিয়ে ছাড়া নিজের যৌনচাহিদা পূর্ণ করার কোন রাস্তা খুঁজে পাবে না তখন সে ইসলামের সুন্নাত অনুযায়ী বিয়ের মাধ্যমে কাউকে নিজের স্ত্রী বানানোর সন্ধানে বের হবে। সে কোন পতিতাকে বা নষ্ট মহিলাকে কখনই ঘরের স্ত্রী বানাতে রাজী হবে না। হে আমার মেয়ে!তুমি তোমারবোনদেরকে বলঃ হে বোন! তুমি কি জান পুরুষেরা কেন তোমার কাছে আসতে চায়? কেন তোমাকে নিয়ে ভাবে? কারণ তুমি খুব সুন্দরী এবং যুবতী। সে তোমার সৌন্দর্য্যরে পাগল। তাই সে তোমার চারপাশে ঘুরে এবং তোমাকে নিয়েই ভাবে।এখন আমার প্রশ্ন হল, তোমার এই যৌবন ও সৌন্দর্য্য কি চিরকাল থাকবে? দুনিয়াতে কোন জিনিস কি চিরস্থায়ী হয়েছে? শিশুর শিশুকাল কি শেষ হয় না? সুন্দরীর সৌন্দর্য্য কি আজীবন থাকে? তোমার বোন যদি বিবাহের মাধ্যমে পরিবার গঠনে আত্মনিয়োগ না করে এবং ইসলামের শত্রুদের ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত হয়ে ইসলামী পারিবারিক জীবনের গণ্ডির বাইরে চলে যেতে চায় তাহলে তাকে প্রশ্ন করঃ হে বোন!তুমি যখন বৃদ্ধা হবে, যখন তোমার পিঠ ও কোমর বাঁকা হবে এবং দেহের সৌন্দর্য্য বিলীন হবে তখন কে তোমার দায়িত্ব নিবে? তোমার পরিচর্যাই বা করবে কে? তা কি তোমার জানা আছে? যারা তার সেবা করবে, তারা হচ্ছে তার ছেলে-মেয়ে, নাতী-নাতনী আর সে রাণীর মত সিংহাসনে বসে পরিবারের অন্যদেরকে পরিচালনা করবে। এখন তুমি চিন্ত কর, তুমি কি করবে? বিবাহের মাধ্যমে তুমি কি এক নির্মল শান্তির সংসার রচনা করবে? না ব্যভিচারীনী হয়ে স্বল্প সময় উপভোগ করে তোমার ভবিষ্যৎ জীবনকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিবে? স্থায়ী সুখের বিনিময়ে অস্থায়ী সুখ ক্রয় করা কি কোন বুদ্ধিমানের কাজ হবে? যুবক বয়সের সামান্য বিলাসিতা কি শেষকালের করুণ পরিণতির সমান হবে? কখনই হবে না। ইউরোপ ভ্রমণকারী এক পর্যকট বলেনঃ আমি বেলজিয়ামের কোন এক শহরের রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়েছিলাম। এমন সময় পদচারী পারাপারের জন্য সিগন্যাল খুলে দেয়া হলে দেখলাম একজন বৃদ্ধা রাস্তা পার হতে চাচ্ছে। সে এতই দুর্বল ছিল যে, তার হাত-পা কাঁপছিল। গাড়িগুলো প্রায় তার উপর দিয়ে উঠে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। কেউ তার হাত ধরছিল না। আমার সাথের একজন যুবককে মহিলাটির হাত ধরে সাহায্য করতে বললাম। তখন ৪০ বছর যাবৎ বেলজিয়ামে বসবাসকারী আমার এক বন্ধু বললেনঃ এই মহিলাটি এক সময় এই শহরের অন্যতম সুন্দরী হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত ছিল।পুরুষেরা তার উপর দৃষ্টি ফেলার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হত, তার সংষ্পর্শ পেতে পকেটের অর্থ খরচ করত এবং তার সাথে একবার হলেও করমর্দন করার প্রচেষ্টা করত। এই মহিলাটির যখন যৌবন ও সৌন্দর্য্য চলে গেল, তখন তার হাত ধরে একটু সাহায্য করার জন্য একজন লোকও সে পাচ্ছে না! এ রকম ঘটনা একটি নয়; শত শত পাওয়া যাবে। হে আমার মেয়ে!তোমার পথহারা বোনদেরকে এ সব কথা বলে উপদেশ দাও, তাদেরকে মর্মান্তিক করুণ পরিণতির কথা শুনাও। ইউরোপ-আমেরিকার যুবতীদের পথ ধরা থেকে তোমার ঈমানদার বোনদেরকে সতর্ক কর এবং রোগে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই তাদের মধ্যে প্রতিষেধক রোপন কর। হে আমারমেয়ে!আমি এ কথা বলছি না যে, তোমার প্রচেষ্টায় মুসলিম রমনীগণ এক লাফে প্রথম যামানার মুসলিম নারীদের মত হয়ে যাবে। এটি অসম্ভব। কারণ বর্তমানে মুসলিম নারীগণ যে অবস্থায় এসে পৌঁছেছে, তা এক লাফে এসে পৌঁছে নি। তারা প্রথমে মাথার চুলের একাংশ খুলেছে, তারপর পুরোটাই। অতঃপর কাপড় ছোট করতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে দীর্ঘ দিনের ব্যবধানে তারা জাতির পুরুষদের গাফিলতির সুযোগে বর্তমানের দুঃখজনক পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। তারা হয়ত কল্পনাও করতে পারে নি যে, বিষয়টি এ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছবে। তুমি যদি ছোট একটি ঘড়ির কাটার দিকে তাকাও তাহলে দেখবে, সেটি নড়ছে না; বরং আপন স্থানেই অবস্থান করছে। তুমি যদি দুই ঘন্টা পর পুনরায় ঘড়ির কাছে ফেরত আস, তাহলে দেখবে কাটা এখন আগের স্থানে নেই। দেখবে সেটি অনেক অগ্রসর হয়েছে। এমনিভাবে শিশু জন্মগ্রহণ করে একদিনেই যুবক হয়ে যায় না এবং যুবক হয়ে এক লাফে বৃদ্ধে পরিণত হয় না; বরং দিনের পর রাত, রাতের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর অতিক্রম করার মাধ্যমে সে বিভিন্ন অবস্থা অতিক্রম করে। এমনিভাবেই জাতির অবস্থা পরিবর্তন হয় এবং ভাল থেকে মন্দ ও মন্দ থেকে ভালর দিকে ধাবিত হয়। অশ্লীল পত্রিকা, নিকৃষ্ট ম্যাগাজিন, উলঙ্গ ছিনেমা, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, ইন্টারন্টে, ফাসেক ও পাপিষ্ঠদের প্ররোচনা সর্বোপরি মুসলিমরমনীদেরকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইসলামের শত্রুদের অবিরাম প্রচেষ্টার ফলে বর্তমান মুসলিম নারীদের অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, যা ইসলাম ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করে। টিভি চ্যানেলে দেখা যায় একজন পুরুষ একজন যুবতী মেয়েকে হাত ধরে নাচাচ্ছে, পরস্পর জড়িয়ে ধরছে, গালে গাল ও বুকে বুক লাগাচ্ছে। টিভির পর্দার সামনে কি সেই মহিলার পিতা-মাতা ও যুবক-যবতী ভাই-বোন থাকে না? এ ধরণের পিতা-মাতা কি তাদের এই নায়িকা মেয়েটিকে চিনতে পারে না? তারা কি মুসলিম নয়?কোন মুসলিম কি তার মেয়েকে এই অবস্থায় দেখতে পছন্দ করতে পারে? এই দৃশ্য কি চোখ খুলে দেখতে পারে? তার মেয়েকে নিয়ে অন্য একজন পুরুষ এভাবে খেলা করবে আর সে তা উপভোগ করবে- এটি কোন মুসলিম সমর্থন কর তেপারে কি? ইসলাম তো দূরের কথা, এমনকি খ্রষ্টান ও অগ্নিপূজকদের ধর্মও তা সমর্থন করেনা। তাদের ইতিহাস পাঠ করলেই এ কথার প্রমাণ মিলে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ও বেশ কিছু মুসলিম দেশে মুসলিম নারী-পুরুষের চারিত্রিক অবস্থা এই পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, মানুষ তো দূরের কথা; পশুরাও তা গ্রহণ করতে পারে না। দু’টি মোরগ যখন একটি মুরগীর নিকটবর্তী হয়, তখন মুরগীটিকে নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেওয়ার জন্য মোরগ দু’টি পরস্পর ঝগড়া করে এবং একটি অন্যটিকে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তুমি দেখবে যে, মিশর, লেবানন ও বাংলাদেশের কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতসমূহে এবং ঢাকার পার্কসমূহে মুসলিম নারীদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। তাদের মুখ, মাথা, পেট, পিঠ এমন কি সবই উন্মক্ত। শুধু তাই নয়; অবস্থা এ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দু’জন পুরুষ মিলে একজন মহিলাকে ভাগাভাগি করে উপভোগকরছে। এই অবস্থা কি কোন পশু সমর্থন করে? একটি মোরগ কি চায় যে, তার আয়ত্তের মুরগীটির উপর আরেকটি মোরগ এসে আরোহন করুক? ব্যভিচার শুধু মানব জাতির কাছেই ঘৃণীত নয়, কিছু কিছু বন্য পশুও এই অপরাধকে ঘৃণা করে। সহীহ বুখারীতে এই মর্মে আমর বিনমায়মুন থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেনঃ “ইয়ামানে থাকাবস্থায় আমি একদা একটি উঁচুস্থানে ছাগল চরাচ্ছিলাম। দেখলাম একটি পুরুষ বানর একটি নারী বানরের হাতের উপর মাথা রেখে শুয়ে আছে। পুরুষ বানরটির চেয়ে কম বয়সের আরেকটি বানর এসে স্ত্রী বানরটিকে খোঁচা মারল। এতে স্ত্রী বানরটি পুরুষ বানরের মাথার নীচ থেকে চুপচাপ হাত বের করে আগত বানরটির পিছে চলতে থাকল। কিছু দূর গিয়ে বানরটি স্ত্রী বানরের সাথে কুকর্মেলিপ্ত হল। তারপর স্ত্রী বানরটি ফিরে এসে ধীরে ধীরে তার যুগলের (স্বামীর) গালের নীচে হাত রাখার চেষ্টা করতেই সে পেরেশান হয়ে জেগে উঠল। স্ত্রী বানরটির শরীরের গন্ধ পেয়েই চিৎকার করতে শুরু করল। এতে একদল বানর একত্রিত হল। পুরুষ বানরটি চিৎকার করে হাতে স্ত্রী বানরটির দিকে ইঙ্গিত করে ব্যভিচারের কথাটি অপরাপর বানরকে বুঝাতে লাগল।বানরগুলো ডানে বামে খুঁজা-খুজি করে অপরাধী বানরটি ধরে নিয়ে আসল। আমর বিন মায়মুন বলেনঃ আমি সেই বানরটিকে চিনে রেখেছিলাম। তারা উভয়ের জন্য গর্ত খনন করলো এবং তারা উভয়কেই রজম করলো। আমর বিন মায়মুন বলেনঃ আমি বনী আদম ছাড়াও অন্যান্য সৃষ্টির মধ্যেও রজম দেখেছি। অন্য বর্ণনায় আমর বিন মায়মুন বলেনঃ বানর গুলোর পাথর মারার দৃশ্যদেখে আমি ধৈর্যধারণ করতে না পেরে আমিও তাদের সাথে পাথর মারলাম। মুসলিম দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মুসলিম যুবকরা মুসলিম মুসলিম যুবতী মেয়েদের পাশেই মাথা, মুখ ও বুক খুলে বসছে। মুসলিম পিতা-মাতাগণ স্বেচ্ছায় তাদের কন্যাদের জন্য এটিকেই বেছে নিচ্ছে। হে আমার মেয়ে!মুসলিম মেয়েদের এই অবস্থা একদিনে পরিবর্তন হবে না। এক লাফে তারা পূর্বেই সেই আসল অবস্থায় ফিরে যাবে না; বরং আমরা সেভাবেই তাদেরকে ধীরে ধীরে পূর্বের অবস্থায় ফেরত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব, যেভাবে পর্যায়ক্রমে তারা বর্তমানের করুণ ও দুঃখজনক অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। আমাদের সামনে পথ অনেক দীর্ঘ। পথ যদি অনেক দীর্ঘ হয়, আর তার বিকল্প সংক্ষিপ্ত অন্য কোন পথ না থাকলে যে ব্যক্তি পথ দীর্ঘের অভিযোগ করে যাত্রা শুরু করবে না, সে কখনও তার গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে পারবে না। হে আমার মেয়ে!তুমি প্রথমে মুসলিম নারীদেরকে পুরুষদের সাথে খোলামেলা উঠা-বসা, চলাফেরা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বেপর্দা হয়ে সহ শিক্ষায় প্রবেশ করতে নিষধ কর। সেই সাথে সহ শিক্ষার খারাপ দিক গুলোতুলে ধর। তুমি তাদেরকে মুখ ঢেকে রাখতে বল। যদিও ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে আমি মুখ ঢাকাকে ওয়াজিব মনে করি না। মুখ খুলে রাস্তায় চলার চেয়ে নির্জনে মুখ ঢেকে পুরুষের সাক্ষাৎ করা অধিক বিপদজনক, স্বামীর অনুপস্থিতে স্বামীর ঘরে স্বামীর বন্ধুর সামনে বসে গল্প করা, আপ্যায়ন করা আর পাপের দরজা খুলে দেয়া একই কথা। ভার্সিটিতে সহ পাঠীরসাথে করমর্দন করা অন্যায়, তার সাথে অবিরাম কথা ও টেলিফোন চালিয়ে যাওয়া ক্ষতিকর, একসাথে বিদ্যালয়ে যাওয়া অনুচিত, বান্ধবীর সাথে গৃহ শিক্ষকের রুমে একত্রিত হওয়া অপরাধ। হে আমার মেয়ে!তুমি এ বিষয়টি ভুলে যেয়ো না যে, আল্লাহ্ তোমাকে নারী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। আর তোমার সহপাঠীকে বানিয়েছেন পুরুষ। তোমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই এমন উপাদান যুক্ত করা হয়েছে, যার কারণে তোমাদের একে অপরের দিকে ঝুকে পড়ে।সুতরাং তোমাদের কেউই এমন কি পৃথিবীর সকল মানুষ মিলে চেষ্টা করলেও আল্লাহর সৃষ্টিতে কোন পরিবর্তন আনয়ন করতে সক্ষম নয়। তারা কখনই নারী-পুরুষের ব্যবধান উঠিয়ে দিয়ে উভয়কে সমান করতে পারবে না এবং নারী-পুরুষের পরস্পরের দিকে আকর্ষণকে ঠেকাতে পারবে না। যারা সভ্যতার নামে নারী-পুরুষের মধ্যকার ব্যবধান উঠিয়ে দিতে চায় এবং উভয় শ্রেণীর জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়ে কর্মক্ষেত্রে মিশ্রিত হয়ে যাওয়ার আহবান জানায় তারা মিথ্যুক। কারণ এর মাধ্যমে তারা নিজেদের মনের চাহিদা মেটাতে চায় এবং অন্যের স্ত্রী-কন্যাকে পাশে বসিয়ে নারীদের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে চায়। সেই সাথে আরও কিছু করার সুযোগ পেলে তাও করতে চায়। কিন্তু এ কথাটি এখনও তারা খোলাসা করে বলার সাহস পাচ্ছে না। সুতরাং তারা নারীদের সম অধিকার প্রতিষ্ঠা, সভ্যতা ও উন্নয়নের যেসুর তুলছে তা নিছক সস্তা বক্তব্য ছাড়া আর কিছু নয়। এ সমস্ত কথার পিছনে তাহাজ্জুব-তামাদ্দুন, সভ্যতা, উন্নতি অর্জন আদৌ তাদের উদ্দেশ্য নয়। তারা যে মিথ্যুক তার আরেকটি কারণ হল, যেই ইউরোপ-আমেরিকাকে তারা নিজেদের আদর্শ মনে করে এবং যাদেরকে তারা সভ্যতা, সংস্কৃতি ও উন্নতির পথ প্রদর্শক মনে করে মূলত তারা প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করতে পারে নি। তারা যেটিকে সভ্যতা ও সংস্কৃতি মনে করছে, তা মূলতঃসত্য ও সভ্যতা নয়; বরং সেটি হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আমদানীকৃত সত্য ও সভ্যতা।তাদের ধারণায় নাচ, গান, বেহায়াপনা, উলঙ্গ অর্ধউলঙ্গ হওয়া, স্কুল, কলেজ ওবিশ্ববিদ্যালয়ে সহশিক্ষায় অংশ নেওয়া, নারীদের খেলার মাঠে নামা এবং সমুদ্র সৈকতে গিয়ে বস্ত্রহীন হয়ে গোসল করাই সভ্যতা ও সংস্কৃতির মানদন্ড। আর প্রাচ্যের দেশ তথা মুসলিমদের মসজিদ, মাদরাসা, মদীনা, দামেস্ক এবং আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালসহ সকল ইসলামী প্রতিষ্ঠানে যে উন্নত চরিত্র, সুশিক্ষা, নারী-পুরুষের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীন পবিত্রতার প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তাদের ধারণায় তা মুসলিমদের পশ্চাদমুখী হওয়ার এবংসভ্যতা ও সংস্কৃতির দিক থেকে পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ। ইউরোপ-আমেরিকা থেকে ঘুরে আসা বা সেখানে বসবাসকারী অসংখ্য পরিবার নারী-পুরুষের খোলামেলা চলাফেরাতে সন্তুষ্ট নয় এবং এটি তাদেরকে শান্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আজ তারা বিকল্পের সন্ধান করছে।
  7. আমাদের প্রিয় অতিথিঃ আসুন এই অতিথিকে আন্তরিক স্বাগতম জানাই প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ওয়েব সম্পাদনাঃ মোঃ মাহমুদ -ই- গাফফার আপনি যখন জানবেন আপনার খুবই পরিচিত এবং আপন একজন আপনার বাসায় আসছেন আর কিছুদিন আপনার সাথে থাকবেন আপনি কি করবেন? আপনি তার জন্য কত কিছুরই না ব্যবস্থা করবেন – তার থাকার ঘরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, তার পছন্দের সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা ইত্যাদি। অতিথির জন্য এই ধরনের পূর্বপ্রস্তুতির ব্যপারটি মানুষের একটি আন্তরিক স্বভাব বলা যেতে পারে। তবে আমি এখানে এমন এক অতিথির কথা বলছি যার আসার ফলে আমাদের অনেকের জীবনেই আমূল পরিবর্তন আসে। অথবা বলা যেতে পারে এই অতিথিকে আলিঙ্গনের ফলে তা আমাদের জীবনে এমন এক সুবাস ছড়িয়ে দেয় যা আমাদের সাথে সবসময় রয়ে যায়। তবে এসব সম্ভব তখনই যখন আমরা আমাদের অতিথিকে তার যথাযথ মর্যাদা দিয়ে স্বাগতম জানাব। আপনি কি ভাবছেন? আসলে আমি একটি পবিত্র মাসের ব্যপারে কথা বলব এই প্রবন্ধে। এখন হয়ত আপনি কিছুটা ধারণা করতে পারছেন আমি এতক্ষণ কি নিয়ে কথা বলছি। হ্যাঁ; আমি কথা বলছি আরবী মাসের নবম মাস – রমজান মাস নিয়ে। রমজানের রোযা ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ২৯ অথবা ৩০ দিনের একটি মাস যা আমাদের জীবনে অতিথি হয়ে আসে; আর আমাদের অনেকের এই সাধারণ জীবনের মধ্যে ঘটিয়ে দেয় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন। মূল পরিবর্তনের মধ্যে কিছু বলা যেতে পারে, যেমন: - আমাদের করে তুলে আল্লাহ্‌মুখী, - ইসলামের ব্যপারে আমরা হয়ে উঠি আরও আন্তরিক, - আর আমাদের প্রিয় রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম-এর সুন্নাহ অনুসরণে আমরা হয়ে উঠি আরও বেশী আগ্রহী। রমজান বহু ফজিলতের/উপকারী একটা মাস। এ মাসে প্রতিনিয়ত আল্লাহ সুবহানাতালার রহমত ও বরকত বর্ষিত হয়। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে – “রমজান মাসের প্রথম রজনির যখন আগমন ঘটে তখন শয়তান ও অসৎ জিনগুলোকে বন্দি করা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, এ মাসে আর তা খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, এ মাসে তা আর বন্ধ করা হয় না। প্রত্যেক রাতে একজন ঘোষণাকারী এ বলে ঘোষণা দিতে থাকে যে, হে সৎকর্মের অনুসন্ধানকারী তুমি অগ্রসর হও! হে অসৎ কাজের অনুসন্ধানকারী তুমি থেমে যাও! এ মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে বহু মানুষকে মুক্তি দিয়ে থাকেন”। (তিরমিদি) রমজানের প্রস্তুতিঃ রমজান মাসের প্রস্তুতির ব্যপারে আমি যা বলব তা হচ্ছে আমরা এই মাসে প্রস্তুতি নেই; তবে তা শুধুমাত্র চানাবুট, পেয়াজু, হালিম, জিলাপী ইত্যাদি খাবার-দাবার এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। আমার মতামত হচ্ছে পবিত্র এই মাসে শুধু এভাবে নিজের পেট ভর্তি নিয়ে ভাবতে মানা নেই, তাই বলে ইবাদতকে ভুলে গেলে চলবেনা। কারণ এই মাসে প্রত্যেকটি ভাল কাজের প্রতিদান আল্লাহ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেন। আর তাই ভাল কাজের প্রতিযোগিতা করাটাই হওয়া উচিত আমাদের এই মাসের মূল উদ্দেশ্য। এই অতিথিকে যদি আপনি তার প্রকৃত মর্যাদা দিতে চান তাহলে আপনার উচিত হবে কিছু ভাল কাজের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলা, যেমনঃ ফ্যমিলির সবাই মিলে একটা ডিসকাশন করে ভাল কাজের তালিকা করা যেতে পারে বেশি বেশি নফল ইবাদত-এর অভ্যাস গড়ে তোলা রমজান মাসের জন্য দরকারি বাজার সেরে ফেলা (খেজুর অবশ্যই কিনতে ভুলবেননা) ধীরে ধীরে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা গীবত, কারও ব্যপারে মিথ্যা কথা, কারও পিছে কথা লাগানো এসব থেকে নিজেকে দূরে রাখা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশেষ করে চোখ, কান, মুখ এসবের যথাযথ ব্যবহার করা (মানে এগুলো দিয়ে খারাপ কাজ না করা) বাসায় অন্যদের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করার চেষ্টা করা দান-খয়রাত এর হাত প্রসারিত করে দেওয়া রমজানের মাস থেকে কি শিক্ষা নিতে পারি আমরা? আপনার বাসায় কোন নতুন অতিথি আসলে তার থেকে আপনি কিন্তু অনেক ভাল কিছু শেখার চেষ্টা করেন। আমরাদের এই শেখার যে ইচ্ছা তা কিন্তু আমরা রমজান মাসের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে পারি। কারণ এই পবিত্র মাস কিন্তু আমাদের জন্য নিয়ে আসে শিক্ষার এমন এক ঝুড়ি যাতে হাত দিলে সবার জন্যই কিছু না কিছু শিক্ষা নেওয়ার মত রয়ে যাবে। এখন ব্যপারটা হচ্ছে আমরা কে কতটুকু নিতে পারছি সেই ঝুড়ি থেকে। স্সকলারদের মতে রমজানের কিছু শিক্ষা এখানে উল্লেখ করলাম - আল্লাহকে ভয় করতে শিখায় – আমরা রমজানের সময় হালাল জিনিস থেকে নিজেকে বিরত রাখি যা পরে আমাদের হারাম জিনিস থেকেও বেঁচে থাকতে শিখায় আমাদের ধৈর্য গুন বাড়াতে সাহায্য করে – আমাদের ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে হয় এবং তার উপর অনেকের স্কুলে যাওয়া লাগে, অফিসে কাজ করা লাগে, বাসায় রান্না করা লাগে আমরা এই মাসে ২৪ ঘণ্টা আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকি যেটা ফেরেশতাদের একটা গুন। যা আমাদের এর পরেও ইবাদেতের জন্য উৎসাহ যোগায়। আমরা শয়তান থেকে এবং গুনাহ থেকে কিভাবে দূরে থাকতে পারব তা বুঝতে পারি রমজানের মাসের প্রতিদানঃ রমজান মাস সুন্দরভাবে পালন করার মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের কি পুরস্কার দিবেন তার বিশাল ভাণ্ডার থেকে? সাহল বিন সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “জান্নাতের এক প্রবেশদ্বার রয়েছে যার নাম ‘রাইয়্যান’। কেয়ামতের দিন ঐ দ্বার দিয়ে রোযাদারগণ প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া তাদের সাথে আর কেউই ঐ দ্বার দিয়ে প্রবেশ করবে না। বলা হবে: ‘কোথায় রোযাদারগণ?’ সুতরাং তারা ঐ দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করবে। অতঃপর যখন তাদের সর্বশেষ ব্যক্তি প্রবেশ করবে, তখন সে দ্বার রুদ্ধ করা হবে। ফলে সে দ্বার দিয়ে আর কেউই প্রবেশ করতে পারবে না”। [বুখারী ও মুসলিম] আসুন আমরা এই অতিথিকে সুন্দরভাবে স্বাগত জানাই। আর নিজেদের উদ্দেশ্যকে বিশুদ্ধ করে নেই এবং দুয়া করি, এই এক মাসের ইবাদতের এবং ধৈর্যের অনুশীলনের মাধ্যমে যেন পরের ১১ মাস আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার প্রদত্ত নিয়মকানুন গুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারি।
  8. ‎"Know that if the people are amazed by you, then they are simply amazed at how beautifully Allah has concealed your faults."
  9. হে আমার মেয়ে! পর্ব ১ প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম অনুবাদ ও গ্রন্থনা: আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী । ওয়েব সম্পাদনাঃ মোঃ মাহমুদ -ই- গাফফার পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে নিজ মেয়ের প্রতি এক পিতার গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ যা পড়া দরকার যুবক, যুবতী, বিবাহিত, অবিবাহিত প্রতিটি মানুষের হে আমার মেয়ে!আমি চল্লিশের কোঠা পার হয়ে পঞ্চাশের পথে পা রেখেছি। যৌবনকে বিদায় দিতে যাচ্ছি। সেও আমার কাছ থেকে বিদায় নিতে চায়। নতুন কোন স্বপ্ন এবং উচ্চ আকাঙ্খা আর নেই। আমি অনেকদেশ ও শহর ভ্রমণ করেছি, বহু জাতির সাহচর্য লাভ করেছি এবং জীবন ও জগৎ সম্পর্কে অনেক ধারণা অর্জন করেছি। আজ আমার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শুন! কথা গুলো সঠিক ও সুস্পষ্ট। এগুলো আমার বয়স ও অভিজ্ঞতার আলোকেই তোমাকে বলছি। আমি ছাড়া আর কেউ তোমাকে এগুলো বলবে না। আমি অনেক লিখেছি, মিম্বারে ও সমাবেশে দাঁড়িয়ে অনেক ভাষণ দিয়েছি, অনেক নসীহত পেশ করেছি। উত্তম চরিত্র অর্জনের আহবান জানিয়েছি,অশ্লীলতা বর্জন ও সকল প্রকার অন্যায় কাজ বর্জনের ডাক দিয়েছি। নারীদেরকে ঘরে ফিরতে ও কুরআনের সুপ্রসিদ্ধ বিধান পর্দার আবরণে আবৃত হওয়ার আহবান জানিয়েছি, তাদের সৌন্দর্য্যরে স্থানগুলো ঢেকে রাখতে বলেছি। লিখতে লিখতে কলম এখন দুর্বল হতে চলছে কথা বলার সময় মুখে তা আটকে যাচ্ছে। এত কিছু করার পরও আমি মনে করি না যে, আমরা কোন অশ্লীল কাজ সমাজ থেকে দূরকরতে পেরেছি। বেহায়াপনা দিন দিন বেড়েই চলছে, পাপাচারিত দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে এবংঅশ্লীলতা দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ছে। আমার মনে হয় কোন ইসলামী দেশই এর আক্রমণ থেকে মুক্ত নয়। মিশর, সিরিয়া তথা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের সীমা পার হয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ সমগ্র এশিয়ায় এর আক্রমণ বেড়েই চলছে। মহিলারা বের হচ্ছে পর্দাহীন হয়ে, সৌন্দর্যের স্থানগুলো প্রকাশ করে, মুখমন্ডল, বক্ষদেশ এবং কেশ উন্মুক্ত করে। আমার ধারণা, নসীহত করে আমরা সফল হই নি। হে আমার কন্যা! তুমি কি জান কেন আমরা সফল হই নি? সম্ভবতঃ আমরা এখনও গ্রহণযোগ্য পন্থায় নসীহত করতে পারি নি এবং সংশোধনের দরজায় পৌঁছতে পারি নি। হে আমার মেয়ে! আমরা তোমার দ্বীনী বোনদেরকে আল্লাহর ভয় দেখিয়েছি, কিন্তু কাজ হয় নি। অতঃপর অবৈধ্য সম্পর্ক ও ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার কারণে ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছি, কিন্তু কোন ফল হই নি। এবিষয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে, বহু বক্তৃতা দেয়া হয়েছে, তাও ব্যর্থ হয়েছে। এখন আমি ক্লান্ত শরীরে পরাজিত সৈনিকের ন্যায় ময়দান ছেড়ে বিদায় নিতে চাচ্ছি। আমরা বিদায় নিয়ে তোমার দ্বীনি বোনদের ইজ্জত-সম্ভ্রম ও সতীত্ব রক্ষার দায়িত্ব তোমার হাতেই ছেড়ে দিচ্ছি, তোমার বিপদগামী বোনদেরকে উদ্ধার ও সংশোধনের বিষয়টি তোমার উপরই রেখে দিয়ে তোমার সফলতার দিকে চেয়ে আছি। হে আমার মেয়ে! তুমি জেনে রেখো যে, তোমার হেফাজত তোমার হাতেই। এ কথা সঠিক যে, পাপের পথে অগ্রসর হওয়াতে পুরুষকেই প্রথম দায়ী করা যায়। নারীগণ কখনই প্রথমে এ পথে অগ্রসর হয় না। তবে তাদের সম্মতি ব্যতীত কখনই তারা অগ্রসর হতে পারে না, নারীগণ নরম না হলে পুরুষেরা শক্ত হয় না। মহিলাগণ দরজা খুলে দেয় আর পুরুষেরা তাতে প্রবেশ করে। হে আমার মেয়ে!তুমি যদি চোরের জন্য ঘরের দরজা খুলে দাও আর চোর চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তুমি যদি চিৎকার করে বলঃ হে লোক সকল! আমাকে সাহায্য কর? আমাকে সাহায্য কর, তাহলে তোমার চেঁচামেচি করা কি ঠিক হবে? তোমার কান্নাকাটিতে কি লাভ হবে? তোমার সাহায্যের জন্য কেউ কি এগিয়ে আসবে? হে আমার কন্যা! তুমি যদি জানতে পার যে, পুরুষেরা হচ্ছে নেকড়ে, আর তুমি হচ্ছ ভেড়া, তাহলে কিন্তু তুমি নেকড়ের আক্রমণ থেকে ভেড়ার ন্যায় পলায়ন করবে। তুমি যদি জানতে পার যে, সকল পুরুষই চোর তাহলে কৃপণের ন্যায় তুমি তোমার সকল মূল্যবান সম্পদ পুরুষদের থেকে হেফজত করার জন্যে সিন্দুকে লুকিয়ে রাখতে। মনে রেখো! নেকড়ে কিন্তু ভেড়ার গোশত ছাড়া অন্য কিছু চায় না। আর পুরুষ তোমার কাছ থেকে যা ছিনিয়ে নিতে চায় তা কিন্তু ভেড়ার গোশতের চেয়ে অনেক মূল্যবান। তা যদি তোমার কাছ থেকে চলে যায়, তাহলে জেনে রাখবে তা হারিয়ে তোমার বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভাল। সে তোমার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদটি নষ্ট করতে চায়, তোমার সম্মানের বিষয়টি ছিনিয়ে নিতে চায় এবং তোমার অমূল্য রত্নটি অপহরণ করতে চায়। সেটি হচ্ছে তোমার সতীত্ব ও পবিত্রতা, যার মধ্যে নিহিত রয়েছে তোমার সম্মান, যা নিয়ে তুমি গর্ব কর এবং যা নিয়ে তুমি বেঁচে থাকতে চাও।আল্লাহর শপথ! পুরুষ তোমার এটিকেই নিয়ে নিতে চায়। এটি ছাড়া অন্য কথা কেউ বললে তুমি তা বিশ্বাস করো না। হে আমার মেয়ে!পুরুষ যখন কোন যুবতী মহিলার দিকে দৃষ্টিদেয় তখন সে মহিলাটিকে বস্ত্রহীন অবস্থায় কল্পনা করে। আল্লাহর শপথ! এ ছাড়া সে অন্য কিছু চিন্তা করে না। তোমাকে যদি কেউ বলে, সে তোমার উত্তমচরিত্রে মুগ্ধ, তোমার আচার-ব্যবহরে আকৃষ্ট এবং সে কেবল তোমার সাথে সাধারণ একজন বন্ধুর মতই আচরণ করে এবং সে হিসাবেই তোমার সাথে কথা বলতে চায় তাহলে তুমি তা বিশ্বাস করো না। আল্লাহর শপথ! সে মিথ্যুক। হে আমার মেয়ে!যুবকেরা তোমাদের আড়ালে যে সমস্ত কথা বলে তা যদি তোমরা শুনতে, তাহলে এক ভীষণ ভীতিকর বিষয় জানতে পারতে। কোন যুবক তোমার সাথে যে কথাই বলুক, যতই হাসুক, যত নরম কণ্ঠেই বলুক ও যত কোমল শব্দই ব্যবহার করুক, সেটি তার আসল চেহারা নয়; বরং সেটি তার অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ভূমিকা ও ফাঁদ ব্যতীত অন্য কিছু নয়। সুকৌশলে সে যতই তোমার সামনে তা গোপন রাখুক।আল্লাহর শপথ! এ ছাড়া তার উদ্দেশ্য অন্য কিছু নয়। হে আমার মেয়ে!সে যদি তোমাকে তার ষড়যন্ত্রের জালে আটকাতে পারে তাহলে কি হবে? কি হবে তোমার অবস্থা? তোমার কি তা জানা আছে? একটু চিন্তা কর। কোন নারী যদি এমন কোন দুষ্ট পুরুষের কবলে পড়ে যায়, তখন সে হয়ত সেই পুরুষের সাথে মিলে কয়েক মিনিট কল্পিত স্বাদ উপভোগ করবে। তারপর কি হবে? তুমি কি তা জান? পরক্ষণই সে তাকে ভুলে যাবে। সে তাকে দ্বিতীয়বার পাওয়ার আশাপোষণ করবে। হয়ত কয়েকবারের জন্য তাকে পেলে পেতেও পারে; তবে স্বামী হিসাবে তার সাথেচির দিন বসবাস করার জন্যে এবং স্বীয় যৌবন পার করার জন্যে নয়। সে অচিরেই তাকে ভুলে যাবে। এটিই সত্য। কিন্তু সেই মহিলাটি চির দিন সেই স্বল্প সময় উপভোগের জ্বালা ভোগ করতে থাকবে, যা কখনও শেষ হবে না। এও হতে পারে যে, সে তার পেটে এমন কলঙ্ক রেখে যাবে, যা থেকে কখনই সে পরিত্রাণ পাবে না। চির দিন তার কপালে হতাশার ছাপ থাকবে, চেহারায় দুশ্চিন্তার ছায়া পড়বে। সে তাকে ছেড়ে দিয়ে আরেকটি শিকার খুঁজতে থাকবে এবং নতুন নতুন সতীদের সতীত্ব ও সম্ভ্রম হরণ করার অনুসন্ধানে বের হবে। হে আমার মেয়ে!এভাবে একটি যুবক অগণিত নারীকে নষ্ট করলেও আমাদের জালেম সমাজ তাকে একদিন ক্ষমা করে দিবে। সমাজ বলবেঃ একটি যুবক পথ হারা ছিল। সে সুপথে ফিরে এসেছে। এই অজুহাতে সে হয়ত সমাজের কাছে গৃহীত হবে এবং সকলেই তাকে গ্রহণ করে নিবে। আর তুমি অপমানিত, লাঞ্জিত হয়ে চিরদিন পড়ে থাকবে। আজীবন তোমার জীবনে কালিমা লেগে থাকবে, কোন দিন তা বিচ্ছিন্ন হবে না। আমাদের জালেম সমাজ কখনই তোমাকে ক্ষমা করবে না। হে আমার মেয়ে!তোমার সম্মান তোমার হাতেই রেখে দিলাম এবং তোমার ইজ্জত-আভ্রু ও মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব তোমার উপরই ছেড়ে দিলাম। সুতরাং তোমার বোনদেরকে উপদেশ দাও, বিপদগমীদেরকে সংশোধন কর এবং সুপথে ফিরিয়ে আন। হে আমার মেয়ে!তুমি তাদেরকে বলঃ হে আমার বোন! পথ চলার সময় কোন পুরুষ যদি তোমার দিকে তাকিয়ে দেখে তবে তুমি তার থেকে বিমুখ হয়ে যাও এবং তোমার চেহারা অন্য দিকে ঘুরিয়ে ফেল। এর পরও যদি তার কাছ থেকে সন্দেহজনক কোন আচরণ অনুভব কর কিংবা সে তোমার গায়ে হাত দিতে চায় অথবা কথার মাধ্যমে তোমাকে বিরক্ত করতে উদ্যত হয় তাহলে তোমার পা থেকে জুতা খুলে তার মাথায় আঘাত কর। তুমি যদি এ কাজটি করতে পার তাহলে দেখবে পথের সকলেই তোমার পক্ষ নিবে, তোমাকেই সাহায্য করবে। সে আর কখনও তোমার মত অন্য কোন নারীর উপর অসৎ দৃষ্টি দিবে না। সে যদি সত্যিই তোমাকে পছন্দ করে থাকে, তাহলে তোমার এই আচরণে তার হুঁশ ফিরবে, তাওবা করবে এবং তোমার সাথে হালাল সম্পর্ক গড়ার জন্যে বৈধ পন্থা অবলম্বনের দিকে অগ্রসর হবে। হে আমার মেয়ে!শুন! নারীগণ যত উচ্চ মর্যাদাই অর্জন করুক, শিক্ষা ও জ্ঞানে যতই অগ্রগতিলাভ করুক এবং ধন-সম্পদ ও সুখ্যাতি যতই আয়ত্ত করুক, এতে তাদের প্রকৃত প্রত্যাশাপূর্ণ হবে না, তাদের মান-মর্যাদা, প্রসিদ্ধতা, সুখ্যাতি, ধন-সম্পদ তাদের মনকে শান্ত করবে না। বিবাহ ও স্বামীর সান্নিধ্যই কেবল দিতে পারে তাদেরকে অনাবিল শান্তি, এর মাধ্যমেই পূরণ হতে পারে তাদের প্রত্যাশা। নারীগণ তখনই প্রকৃত শান্তি খুঁজে পায়, যখন সে একজন সৎ ও আদর্শ স্ত্রী হতে পারে, সম্মানিত একজন মা হতে পারে এবং একটি বাড়িও পরিবারের পরিচালক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে একজন সাধারণ নারী থেকে শুরু করে রাণী, রাজকন্যা, অভিনেত্রী, বিশ্ব সুন্দরীর মাঝে কোন পার্থক্য নেই। সকলের ক্ষেত্রেই একই কথা। এ ক্ষেত্রে আমি নাম উল্লেখ না করে দু’জন নারীর উদাহরণ দিতে চাই। আমি তাদেরকে চিনি ও জানি। তারা উচ্চ শিক্ষিতা, ধনবতী ও সুসাহিত্যিক। স্বামী হারা হয়ে তাঁরা প্রায় পাগল অবস্থায় বেঁচে আছেন। কয়েক দিন আগেও তাদের জীবন ছিল স্বাভাবিক, মুখে ছিল হাঁসি আর আনন্দে ছিল ভরপুর তাদের জীবন। তাদের সবই আছে। হারিয়েছে শুধু স্বামী। বিবাহ হচ্ছে প্রতিটি নারীর সর্বোচ্চ কামনা। এটিই তাদের মনের বাসনা। এটি দিয়েই তাদের মহান প্রভু তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। সে যদি পার্লামেন্টের সদস্যও হয়ে যায় কিংবা কোন রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টও হয়ে যায় তথাপিও তাদের মনের প্রকৃত বাসনা পূর্ণ হবে না, যতক্ষণ না একজন বউ হয়ে স্বামীর ঘরে প্রবেশ করতে পারবে। চলবেঃ http://www.quraneralo.com/o-my-daughter-1/
  10. Asalamu'alaikum আমি অবৈধ আয় করি কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম আমাদের পুলিশভাই(ও বোনদের)উদ্দেশ্যে একটি লেখালিখবো । খবরের কাগজে প্রায়ই অভিযোগ আসে টাকা নিয়ে পুলিশ অপরাধীর পক্ষ নেয় ও যারা নিরপরাধ তাদের হয়রানি করে । নিরপরাধ মানুষকেহাজতেনির্যাতন করা ও মেরে ফেলা থেকে শুরু করে এমন কোন অন্যায় কাজ নেই যা তারা করছে না । এসব পড়েমনে প্রশ্ন জাগতোযদিটাকার এতই লোভথাকেপুলিশের , তবেযারানিরপরাধ তাদেরথেকেটাকানিয়েপুলিশঅপরাধীদেরশাস্তি দেয়নাকেন ?সবসময়কেনঅপরাধীদেরকাছ থেকেই টাকানিতেহবে ? সন্তানহারাকোনমাতা-পিতাকেযদিপুলিশ বলে আমাদেরকে.....টাকাদিলেআমরাখুনীকেধরেবিচারেরআওতায় আনবো ; কমপক্ষেতারযাবজ্জীবন অবশ্যইহবে ,তাহলেআমার ধারণা যেকোনঅভিভাবক পুলিশকেটাকাদিতেরাজীহবেন। কিন্ত্ত বাস্তবেপুলিশখুনীদের কাছ থেকেটাকানিয়েমামলা দূর্বলকরেদেয় ; ফলে খুনীরাশাস্তিনাপেয়ে প্রকাশ্যেঘুরে বেড়ায় ও আরোঅপরাধকরার সুযোগপায় । গত ৯ই জুন দৈনিক কালেরকন্ঠের অপরাধনামা বিভাগে একপুলিশ কর্মকর্তার স্বীকারোক্তি পড়লাম।পড়ে এত ভাল লাগলো, তাই শেয়ার করছি সবার সাথে। কিভাবে পুলিশ এক মাঝবয়সী ভদ্রলোকের ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করে তাকে ফিরিয়ে দেয় ও সেই ভদ্রলোক খুশীতে আত্মহারা হয়ে কিভাবে সেই পুলিশকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন । আর্থিক দূরবস্থায় তিনি আত্মহত্যার কথা ভাবছিলেন । এই সময় পুরো টাকা ফেরত পেয়ে তিনি স্বেচ্ছায় পুলিশ কর্মকর্তা না চাইতেই তাকে দুই লাখ টাকা দেন । পুলিশ কর্মকর্তা তার থেকে এক লাখ ফিরিয়ে দিয়ে এক লাখ টাকা গ্রহণ করেন , তাও সেই ভদ্রলোকের অনেক অনুরোধের পরে । যদি বাংলাদেশের সব পুলিশ এভাবে' অবৈধ ' আয়করাশুরু করেন,তাহলে আমাদের দেশে অপরাধ রাতারাতি কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস । 1.:: কালের কণ্ঠ :: অপরাধনামা :: 'আমি অবৈধ আয় করি' www.kalerkantho.com/index.php?view...
  11. মরুর প্রাচীর পেরিয়ে…পর্ব ১ Posted by QuranerAlo.com Editor • জুন 20, 2012 • by Nayla Nuzhat প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না সৌদি আরব নিয়ে জনসাধারণের ধারণা একটু অদ্ভুত। কেউ ভাবেন এখানে লোকে হাইওয়েতে চলাচল করে উটের পিঠে চড়ে। কেউ ভাবেন এখানকার লোকগুলো সব বেদুইন। দেশ থেকে হজ্জ বা উমরা করতে এসে এখানকার দোকানপাট দেখে যখন সবার মাথা ঘুরে যায়, খুব অবাক লাগে আমার--- এদেশটাকে মনেহয় লোকে under developed বলে ধরেই এখানে আসে। একবার দাহরান এর King Fahad University তে যুক্তরাষ্ট্র থেকে একজন ভারতীয় হিন্দু প্রফেসর এলেন ট্রেনিং দিতে। ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস এর ঢুকে উনি বিশ্বাস এ করতে পারছিলেন না যে এটা সৌদি আরব--- সম্ভবত তিনি আশা করছিলেন উন্নত বিল্ডিং এ না, তাঁবুতে থাকে সকলে। আবার একদল মানুষ আছেন যারা সৌদি আরব এর সচ্ছলতার কথা বড় বেশী ভালভাবে জানেন। তাঁরা এখানে আসেন সেই উদ্দেশ্য নিয়েই--- দিনের পর দিন এখানকার সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে দেশে ফিরে আবার এদেশেরই বদনাম করেন। খুব কম মানুষই এই মরুভূমির দেশটির অসাধারণ সুন্দর দিকটি দেখতে পান অথবা দেখতে চান। প্রথমবার এদেশে এসে যে শহরে চার বছর ছিলাম, সেখানে আমাদের উপমহাদেশের মানুষই বেশী। শহরের নাম দাহরান। সেখানে থাকা অবস্থায় আমি নিজেও আরব দের জীবনধারা, তাদের ধর্মীও দিকটি কেমন তা জানতাম না। তবে আমার মনে ওদের প্রতি কোন বিদ্বেষ ছিল না। কারন এদেশেই এমন মানুষের জন্ম যারা ইসলামের প্রচারের জন্য নিজের সবকিছু ত্যাগ করে দিতে প্রস্তুত ছিলেন। আরবদের সাথে তেমন পরিচয় না হলেও বিভিন্ন সময় তাদের অযাচিত সাহায্য পেয়েছি। অবাক লাগত। অবাক লাগত যখন আমাদের গাড়ি নষ্ট দেখে কোন আরব নিজের গন্তব্যে না যেয়ে আমাদের জন্য মেকানিক ডেকে এনেছেন। অবাক লাগত যখন হজ্জের সময় রাস্তায় পরিশ্রান্ত হাজীদের ওরা পানি, জুস, খাবার দিয়ে যেত। আমি নিজেও কতবার নিয়েছি সেসব--- যারা হজ্জ করেছেন, তাঁরা জেনে থাকবেন যে একেক সময় রাস্তায় যখন পিপাসা পায় বা খিদা লাগে আর সাথে কিছু থাকে না, কেমন অসহায় লাগে। সবচেয়ে মজার কথা হোল এসব খাবার কে দিচ্ছেন তাঁর নাম কিন্তু কেউ জানতেও পারে না। এখানে মানুষের সাথে কোন সম্পর্কই নেই--- কোন ভোট চাওয়া না, কোন সভা করে খাবার বিলানো না—শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর মেহমানদের উপকার করা। সবার হয়ত অত সামর্থ্য নেই যে লোক খাওয়াবে। তিনি হয়ত তাঁর সন্তান কে রাস্তায়ে দাঁড় করিয়ে দিলেন হাতে এক বাক্স টিস্যু দিয়ে। হেঁটে পার হওয়া ঘর্মাক্ত হাজীদের হাতে ছেলেটি সেই টিস্যু তুলে দিবে। আর হজ্জ কেন। রমজান মাসে দাহরান এ ইফতারের সময় সিগনালে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন অনেকে—কারুর হাতে পানি, কারুর হাতে খেজুর--- যার যতটুকু সামর্থ্য তাই নিয়ে। যখন রেড লাইটে গাড়ি থামে, তাঁরা মিনতি করতে থাকেন তাঁদের এই সামান্য উপহার নিয়ে তাঁদেরকে সম্মানিত করার জন্য। এই সামান্য উপহারের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে কী অসামান্য পুরস্কার পাবেন তাঁরা তা কল্পনা করতেও চোখ ভিজে ওঠে। মদীনার মাসজিদ উন নববীতে কোন বাবা তাঁর ছেলেকে নিয়ে আসেন ইফতারের সময়, খেজুর, পানি, চা , রুটি যা আনতে পারেন সব নিয়ে। কেউ জানেও না তাঁদের পরিচয়, আর না তাঁরা কারুর ধন্যবাদ শোনার জন্য অপেক্ষা করেন। আর তাঁদের সন্তানগুলো বড় হয় মানুষের থেকে কিছু আশা না করে কিভাবে মানুষকে সাহায্য করতে হয় তার বাস্তব শিক্ষা পেয়ে। "We feed you seeking Allah's Countenance only. We wish for no reward, nor thanks from you.” --- সূরা ইনসানের এই আয়াতের জীবন্ত দৃষ্টান্ত এই মানুষগুলো। অনেকে আমাকে বলেছেন যে এসব করতে টাকা লাগে, ওদের আছে তাই ওরা করে। এক প্যাকেট টিস্যু কিনতে বড়লোক হওয়ার প্রয়োজন নেই কিন্তু। প্রয়োজন পরিষ্কার অন্তরের, আর কোন ভালো কাজকেই তুচ্ছ করে না দেখার মত বড় মনের। আর দোকানে রাস্তায় যারা ঝাড়ুদারের হাতে চুপি চুপি রিয়াল গুঁজে দেন, কখনো ১০, কখনো ১০০—এমন ভাবে যে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো মানুষটিও জানবে না এই দানের কথা---- তাঁদের কথা নাই বা বললাম। অনেক সময় ধরে খেয়াল করে দেখলে বুঝা যায় যে ঝাড়ুদারদের পাশ দিয়ে যারা যাচ্ছে ওরা চিপ্সের প্যাকেট বা টিস্যু ফেলতে অদিক দিয়ে যাচ্ছে না, যাচ্ছে ওদের হাতে টাকা তুলে দিতে। এতো গেল এখানকার মানুষের এমন কিছু practice এর কথা যা অন্ধ না হলে যে কেউ দেখতে পাবে। এবার যখন বুরাইদা শহরে এলাম, আমার মনে হোল আমি নতুন কোন জগতে এসে পড়েছি। এখানে অনারব খুব কম। যারা আছেন তাঁরা যথারীতি আরবদের সাথে মেশেন না। আমার এদের সাথে পরিচয় হয়েছে জুম্মা পড়তে যেয়ে। আর আরবি ভাষায় মোটামুটি কথা চালিয়ে নিতে পারি বলে। তাছাড়া আমার মেয়েও পড়ে আরবি মাধ্যমে। বড় ভালো লাগে দেখতে ছোটবেলা থেকে ওরা কিভাবে বাচ্চাদের আকীদার শিক্ষা দেয়। আমার সাড়ে তিন বছরের মেয়ে যখন এসে আমাকে প্রশ্ন করে “মান রব্বুনা?” (আমাদের রব কে?) --- তখন বুঝি কেন এই দেশে প্রকাশ্যে শিরক এবং বিদাত চোখে পড়ে না। সাধারণ মানুষ বড় হয় অন্তরে আল্লাহর পরিচয় নিয়ে। এখানে যখন কেউ ভ্রান্ত পথে চলে, তখন সত্যিই তার অনেক ঝামেলা করে ভুল পথে চলতে হয়। মসজিদে মসজিদে আলিমরা ক্লাস নেন, যে কেউ এসে বসতে পারে, শুনতে পারে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ প্রায়ই আয়োজন করে দারস এর--- খাবারের ব্যবস্থা ওরা করবে, অনেকসময় পুরস্কারের ব্যবস্থাও থাকে--- শুধু সবাই যেন কষ্ট করে এসে শুনে যায়। মহিলারা একেকজন চার পাঁচ সন্তান নিয়ে এসে বসে শুনেন, শিখেন। মা হওয়াটা উন্নতির পথে বাঁধা--- এই চরম ভুল ধারণা এঁরা ভেঙ্গে দেখিয়েছেন। নিজেরা কুরআন মুখস্থ করছেন, সন্তানদের শেখাচ্ছেন। আবার ঘরের যাবতীয় কাজও করছেন। আমার প্রতিবেশিকেই তো দেখি...ঘরের কাজও করেন আমার চেয়ে বেশী, ইসলামের পড়ালেখাও আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশী। ইসলাম এর সাথে সম্পর্কহীন জীবন যেমন এদের না, তেমনি জীবনের সাথে সম্পর্কহীন ইসলাম ও তাঁদের না। একদিন পার্কে দেখলাম এক বুড়ি কুরআন পড়ছেন আর তার মধ্যবয়স্ক ছেলে তা শুধরে দিচ্ছেন। হয়ত অল্প বয়সে সময় পাননি সংসার সামলানটাকেই বেশী প্রাধান্য দিয়েছেন। তাই আজকে হাফিয ছেলের কাছে বসে শিখে নিচ্ছেন। এখানে সাধারণ মানুষগুলোর জীবন ইসলাম কেন্দ্রিক। বাসা ভাড়া নেয়ার সময় contract এ লেখা থাকে যে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের মসজিদে সালাহ আদায় করতে হবে। কারন তাঁরা চান তাঁদের মহল্লার মানুষগুলো যেন ইসলামের ওপর থাকে। এক ঘরে আগুন জ্বলতে দিলে নিজের ঘরেও যে তার আঁচ এসে পড়বে এটা তাঁরা বোঝেন। এখানে এক বাঙ্গালী ভাই থাকেন তাঁর নিজের দোকানের পাশে--- তাঁর প্রতিবেশী সকলেই সৌদি। সকালে প্রায়ই ঘুম ভেঙ্গে দরজা খুলে দেখেন গেটের সামনে বাক্স ভরতি ফল রাখা। কখনো উৎকৃষ্ট খেজুর, কখনো কমলা, ওদের বাগানের। তাঁরা তাঁদের লোকদের নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন যেন প্রতিবেশীকে সবসময় একটা অংশ দেয়া হয়। যখন যেটার উৎপাদন হয়, তখন সেটা এনে ওরা গেটের সামনে রেখে যায়। এই ভাই জানেন ও না কোন প্রতিবেশীর পক্ষ থেকে কোনটা এলো। আমি বাংলাদেশী। কিন্তু যতবার ওদের কেউ এটা শুনেছে, একবারও অন্য চোখে তাকাতে দেখিনি। শিক্ষিত বা ধার্মিক মানুষগুলো কখনো কে কোন দেশের তা বিচার করতে বসেন না। তাঁরা শুধু দেখতে চান তাঁদের দেশে এসে যারা থাকছে, তারা যেন ইসলাম মেনে চলে। বলতে চাইলে এদেশের খারাপ দিকগুলো ও তুলে ধরা যায়। কিন্তু আমার এই লেখার উদ্দেশ্য এখানকার ধর্মীয় মূল্যবোধের সামান্য একটু অংশ তুলে ধরা। মানুষ জানে না যে এদেশটা এখনো কিভাবে ইসলাম ধরে রেখেছে। সরকারের ভূমিকা, বা কিছু মানুষের অন্যায়ের কারনে, অথবা কম ধার্মিক কিছু মানুষের ভুল আচরনের দরুন এদেশের খারাপ দিকটাই সবাই জানেন। আসম্ভব ভালো মানুষগুলোর কথা তাই কারুর মনেই আসে না। যেমন বললাম, অনেকেই বলবেন এদেশের খারাপ দিকগুলোর কথা। পৃথিবীতে এমন কোনও দেশ নেই যেখানে সবাই ভালো। খারাপ মানুষ সব জায়গাতেই থাকে। যা কিছু এখানে খারাপ, তার চেয়েও শতগুণে খারাপ জিনিস যেসব দেশে আছে, সেখানেও দিনের পর দিন আমাদের অনেকেই থাকেন এবং থাকতে গর্ব বোধ করেন। কিন্তু দেশটি সৌদি আরব বলে, মক্কা মদীনার দেশ বলে, ইসলাম এর জন্ম এখানে বলেই হয়ত শয়তান আমাদেরকে এখানকার খারাপ দিকটি এতো বড় করে দেখায়। এতো বেশী আমরা এদেশের বদনাম করি যে এর মাঝে যে প্রচুর ভালো লুকিয়ে নেই, বরং প্রকাশ্যেই আছে—তা আমাদের চোখে ধরা পড়ে না। আমাদের দেখতে না পাওয়াটা কোনকিছুর অনুপস্থিতি প্রমান করে না। বরং দেখতে অস্বীকার করে আমরা যে শুধু এই জায়গাটার প্রতি অবিচার করি তাই না, এখান থেকে benefit নিতেও ব্যর্থ হই। দিনের পর দিন এখানে থেকেও অনেক মানুষেরই ধর্মীও কোন পরিবর্তন আসে না। মনেহয় তাঁরা বুঝি নিজেদের চারিদিকে প্রাচীর তুলে দিয়েছেন---- কিছু দেখবেন না, শুনবেন না, বুঝবেন না। সে যাই হোক, বলছিলাম খারাপ মানুষ আর ভালো মানুষের কথা। খারাপ মানুষ এদেশেও আছে যেমন থাকে আর অন্য সব দেশে। আমার বাবা ছিলেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। আল্লাহ আমাকে পৃথিবীর বহু দেশে যাওয়ার তৌফিক দিয়েছেন। আর বড় হয়েছি বাংলাদেশে। আমি কোন প্রকার দ্বিধা ছাড়া জোর গলায় বলতে পারি---- একসাথে এতো বেশী খাঁটি চরিত্রের মানুষ আমি আর কোথাও দেখিনি। আর সেই সাথে এও বলতে পারি, সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা এবং মূল্যবোধ আমরা যদি আমাদের সন্তানদের দেই একেবারে ছোটবেলা থেকে—একদিন ইনশাআল্লাহ আমাদের দেশেও এমন খাঁটি মানুষ ঘরে ঘরে দেখা যাবে।
  12. Asalamu'alaikum "Wealth should be viewed just like a toilet, in that you have a need for it and resort to it when necessary, but it has no place in your heart." Ibn Taymiyyah
  13. Abu Bakr al-Balkhi said: The month of Rajab is the month for planting, the month of Sha’ban is the month of irrigating crops, and the month of Ramadan is the month of harvesting the crops. He also said: The likeness of the month of Rajab is that of the wind, the likeness of Sha’ban is that of the clouds and the likeness of Ramadan is that of the rain; whoever does not plant and sow in Rajab, and does not irrigate in Sha’ban, how can he reap in Ramadan? Now Rajab has passed, so what will you do in Sha’ban if you are seeking Ramadan? This is how your Prophet and the early generations of the ummah were in this blessed month, so what will you do? http://www.islam21c.com/spirituality/5402-welcoming-shaban?utm_source=Islam21c&utm_campaign=ccf42d44ed-vision3_13_2012&utm_medium=ema
  14. Asalamu'alaikum "There is no piece of flesh more beloved to Allah than a truthful tongue, and there is no piece of flesh more hateful to Allah than a lying tongue." ~Fudhayl ibn al-'Iyadh
  15. Al-Hasan Al-Basri was asked: “Who is going to cry more than the others on the Day of Resurrection?” He answered •►“A man on whom Allah has bestowed His Grace and who uses that for Allah’s disobedience.”
  16. Umar bin Khattab (radiyAllaahu 'anhu) said, "We were a people who lived in humiliation before, and Allah gave us honor through Islam. So if we seek honor through anything else other than what Allah has honored us with, then Allah will humiliate us". [Mustadrak Al Hakim 207, Sahih by Ad Dhahabi in Talkhees and Sahih by Albani in Silsilah Sahiha 51]
  17. Asalamu'alaikum সালাম রোহিঙ্গারা সবাই অপরাধী ? খুব দু:খের সাথে লক্ষ্য করছি কিছু পত্রিকায় , অনলাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে খবর পরিবেশিত হচ্ছে । খবরের মূল বক্তব্য হলো - রোহিঙ্গারা অপরাধপ্রবণ , তারা চুরি , ছিনতাই , মাদকের নেশা ও মাদক পাচারসহ সব ধরণের অন্যায় কাজের সাথে জড়িত । পাসপোর্ট জালিয়াতি করে সৌদি আরব ও অন্যান্য দেশে গিয়েও তারা সবাই বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে আর দোষ হচ্ছে নিরীহ গোবেচারা বাংলাদেশীদের । এসব খবর পড়লে যে কেউ ভাববে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সব অপকর্মের পিছনে কেবল রোহিঙ্গারা দায়ী , পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ স্বভাবের মানুষ হলো মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানরা । সত্যি ভাবতে অবাক লাগে , রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যারা কলম ধরেছেন তাদের মধ্যে বলতে গেলে প্রায় সবাই মুসলমান , অন্তত নাম দেখে তাই তো মনে হয় । মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর বছরের পর বছর নির্মম নির্যাতন চলছে , তাদেরকে সেদেশের নাগরিক হিসাবে মেনে নেয়া হচ্ছে না , এক বৌদ্ধ তরুণীর লাশ রোহিঙ্গাদের এলাকায় পাওয়ায় সব রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে তাদের উপর বৌদ্ধদের হামলার কোন প্রতিবাদ না করে উল্টো সমালোচনা করা হচ্ছে কেন তারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসছে ? যেখানে কিছু বিদেশী অমুসলিম সাংবাদিক প্রতিবেদন পাঠাচ্ছেন যে মিয়ানমার সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে মুসলমানদের ঘরবাড়িতে বৌদ্ধরা আগুন দিচ্ছে , তাদেরকে মেরে ফেলছে , নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট করছে , সেখানে এসব অন্যায়ের কথা বিশ্বের মানুষদের সামনে তুলে না ধরে আমরা মুসলমানরা কী করছি ? আমরা আমাদের নির্যাতিত মুসলমান ভাই - বোনদের দোষের কথা সবাইকে জানাচ্ছি , তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লেগে গিয়েছি । ‌অপপ্রচার বলছি এজন্য যে নিশ্চয়ই রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেউ কোন না কোন অপরাধে জড়িত । কিন্ত্ত তাই বলে কিছু রোহিঙ্গাদের অপরাধমূলক কাজের জন্য মুসলমান হিসাবে আমাদের উপর তাদের অধিকার নষ্ট হয়ে যায় নি ও আমরা নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারি না । আগুন আর গুলি থেকে বাঁচার জন্য প্রতিবেশী মুসলমানরা আশ্রয়ের জন্য আমাদের কাছে আসছেন আর আমরাও তাদের বন্দুকের ভয় দেখিয়ে আবার সাগরের বুকে ভাসিয়ে দিচ্ছি , হায় , এই হলো আমাদের ঈমান । গণতন্ত্রের মানসকন্যা হিসাবে যার প্রশংসায় বিশ্ববাসী মুখে ফেনা তুলে ফেলে , সেই অং সান সুকি নিজ দেশের মুসলমানদের পাশে না দাড়িয়ে চলে গেলেন ইউরোপে নোবেল শান্তি পুরষ্কার আনতে , হায় রে । যদি কোন মুসলিমপ্রধান দেশে এভাবে বৌদ্ধ নিধন হতো , তাহলে কি তিনি এভাবে মহাখুশীতে ইউরোপ সফর করতেন ? আমি নিশ্চিত , যদি তিনি সফরে বেরও হতেন অবশ্যই তিনি বিশ্বের শক্তিশালী রাস্ট্রপ্রধানসহ জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলিকে আহবান করতেন বৌদ্ধদের উপর নির্যাতন বন্ধে সে দেশের সরকারের উপর চাপ দিতে । গণমাধ্যমে তিনি আবেগময়ী বক্তৃতা দিতেন শান্তিপ্রিয় বৌদ্ধদের উপর অত্যচার বন্ধ করার জন্য । এখন যখন গণমাধ্যমের দৃষ্টি তার উপর , তিনি মিয়ানমারে ‘ অহিংস ’ বৌদ্ধদের হাতে মুসলিম নিধন নিয়ে নিশ্চুপ । বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের সাথে মানবিক আচরণ করছে ? পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমণি এক সংবাদ সম্মেলনে দাবী করলেন , বিজিবি সদস্যরা রোহিঙ্গাদের সাথে মানবিক আচরন করছে । তিনি জানালেন , রোহিঙ্গাদের খাবার , পানি , ঔষধ সরবরাহ করা ছাড়াও তাদের বোটে জ্বালানীও দিয়ে দেয়া হচ্ছে । হয়তো তার দাবী সত্য । তবে এখন পর্যন্ত এমন কোন মানবিক আচরণের প্রমাণ যেমন অনলাইনে কোন স্টিল ছবি বা ভিডিও আমি দেখতে পাই নি । অনলাইনে গেলে এখন বাংলাদেশ বিরোধী মন্তব্য যেসব পাওয়া যায় , তার সারমর্ম হলো : বাংলাদেশীরা ৭১ সালে অমুসলিমদের সহায়তায় একটি মুসলিম দেশকে ভেঙ্গেছিল আর আজ তারা প্রতিবেশী মুসলমানদের আশ্রয় না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে । সাগরে ভাসতে থাকা রোহিঙ্গাদের কান্না , ছোট্ট শিশু আর কিশোরীর অসহায় মুখ , বাচ্চাকে কোলে নিয়ে রোহিঙ্গা মায়ের বিপন্ন চেহারা - এসব ছবি অনলাইনে দেখা যায় । কিন্ত্ত এর বিপরীতে বাংলাদেশ সরকার সত্যি যে রোহিঙ্গাদের কোন সাহায্য করছে , এমন কোন ইতিবাচক প্রচার অনলাইনে নেই । এর কারণ কী ? বাংলাদেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি : মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে উঠছে , এটা নিশ্চয়ই আমাদের জন্য ভাল নয় । মুসলিম উম্মাহ থেকে আমরা যেন বিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়ি , সেজন্য এখনই আমাদের সাবধান হওয়া দরকার । এমপি রনিকে ধন্যবাদ : আজ সকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সরকার দলীয় এমপি জনাব রনির লেখা পড়ে অবাক হলাম । কি সুন্দর গঠণমুলক লেখা লিখেছেন তিনি । যারা এই লেখা পড়েন নি , তারা পড়ে নিন। http://www.bd-pratid...pe_id=1&index=4 সকল মুমিন যেন এক দেহ : মদীনার আনসাররা এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত - জানি , আমাদের দেশ গরীব , আমরা গরীব - কিন্ত্ত আমাদের মনে রাখতে হবে মক্কা থেকে হিজরত করে যে সব মুসলমান মদীনায় গিয়েছিলেন তাদের আশ্রয় দানকারী আনসাররা সবাই বড়লোক ছিলেন না । তারা তাদের যা সম্পদ ছিল , তা হাসিমুখে স্বেচ্ছায় ভাগ করে নিয়েছিলেন সর্বস্ব হারিয়ে অসহায় হয়ে মদীনায় আশ্রয়ের জন্য আসা মুহাজিরদের সাথে । আল্লাহ এই উভয় দলের প্রশংসা করে বলেছেন , আল্লাহ তাদের প্রতি সন্ত্তুষ্ট এ তিনি তাদের জন্য প্রস্ত্তত করেছেন জান্নাত , যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত , যেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে , এটা মহাসাফল্য ( সুরা তওবা ; ৯ : ১০০ ) । রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলে আমরা রিজিকের ভয় করছি অথচ রিজিকের মালিক আল্লাহ । আজ আমরা বাচ্চার জন্মদিনে , গায়ে হলুদে বা বিয়ে বাড়িতে যে অপচয় করি , তার একটি অংশ এই অসহায় রোহিঙ্গাদের দান করলে তাদের আর সাগরে ভেসে বেড়াতে হবে না । তাছাড়া , ইন্টারনেট এখন অনেক শক্তিশালী হাতিয়ার । জাতিসংঘ বা অন্য কোন সংস্থার সাহায্যের বসে না থাকে সরকারিভাবে ও ব্যক্তিগতভাবে আমরা কি পারি না বিশ্বব্যাপী রোহিঙ্গাদের সাহায্যের ব্যপারে জনমত গড়ে তুলতে ? আল্লাহ তওফীক দিন । জাতিগতভাবে মুসলমানদের নির্মূল করে দেয়া হচ্ছে : মিয়ানমারে জাতিগতভাবে মুসলমানদের নির্মূল করে দেয়া হচ্ছে ,সাগরে ভাসতে ভাসতে তারা আসছে এদেশে আশ্রয়ের জন্য আর আমরাও তাদের তাড়িয়ে দিচ্ছি ।অথচ আমরা দাবী করি আমরা মুসলমান । আল্লাহর রাসূল হজরত মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী : প্রীতি ও সহানুভূতিতে সকল মুমিন যেন এক দেহ, যার এক অঙ্গে ব্যথা হলে গোটা দেহ জ্বর ও অনিদ্রায় ভুগতে থাকে। সহীহ মুসলিম (২৫৮৬) সহায়ক সূত্র : ইন্টারনেট
  18. Asalamu'alaikum আরাকানে গণহত্যা বিশ্ববিবেক ফিরে তাকাও মুহাম্মদ আমিনুল হক মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৮ জুন জুমাবার মংডুতে রোহিঙ্গা মুসলমান ও বৌদ্ধ রাখাইনদের মধ্যে এই দাঙ্গার সূত্রপাত। এতে বহু লোক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। একটি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সূত্র ধরে গত কয়েকদিন আগে বাসে আক্রমণ করে রাখাইনরা ১০ মুসলিম রোহিঙ্গাকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রোহিঙ্গারা জুমাবার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বেধে যায়। এখন সেখানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত দাবি করা হলেও রোহিঙ্গা মুসলিমরা বর্তমানে গণহত্যার শিকার। এরই মধ্যে সেখানে প্রায় এক হাজার মুসলিম রোহিঙ্গাকে হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। আকিয়াব প্রদেশের পাশে অবস্থিত প্রাচীন ‘শফি খান জামে মসজিদ’-এর ইমাম মাওলানা জিয়াউল হককেও হত্যা করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের শত শত বাড়ি-ঘর জ্বলছে লেলিহান অগ্নিশিখায়। আল্লাহর ঘর মসজিদ পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না জ্বালাও-পোড়াও থেকে। বাংলাদেশে ঢুকতে না পেরে গুলি খাওয়া, জখম হওয়া শত শত মুসলিম নারী-পুরুষ নাফ নদীতে ভাসছে আর মৃত্যুর প্রহর গুনছে! মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যহত জনগোষ্ঠী। এককালে যাদের ছিল স্বাধীন রাষ্ট্র, ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি, এখন তারাই ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর বলির শিকার। ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে জানা যায়, এই উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সর্বপ্রথম যে ক’টি এলাকায় মুসলিম বসতি গড়ে ওঠে, আরাকান তথা রাখাইন প্রদেশ তার অন্যতম। রোহিঙ্গারা সেই আরাকানি মুসলমানের বংশধর। একসময় আরাকানে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৪৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত মুসলিম শাসন দুইশ’ বছরেরও অধিককাল স্থায়ী হয়। ১৬৩১ সাল থেকে ১৬৩৫ সাল পর্যন্ত আরাকানে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ হয়। এরপর মুসলিম শাসনের অবসান ঘটে। ১৬৬০ সালে আরাকান রাজা থান্দথুধম্মা নিজ রাজ্যে আশ্রিত মোগল শাহজাদা সুজাকে সপরিবারে হত্যা করে। এরপর শুরু হয় মুসলমানের ওপর তার নিষ্ঠুর অমানবিক অত্যাচার-নিপীড়ন। প্রায় সাড়ে তিনশ’ বছর ধরে মুসলমানদের কাটাতে হয় এই দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে। ১৭৮০ সালে বর্মি রাজা বোধাপোয়া আরাকান দখল করে নেন। বর্মি রাজা ঢালাওভাবে মুসলিম নিধন করতে থাকেন। ১৮২৮ সালে বার্মা ইংরেজদের শাসনে গেলে মুসলিমদের কিছুটা স্বস্তি আসে। তবে ১৯৩৭ সালে বার্মার স্বায়ত্তশাসন লাভের পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ব্যাপক বিস্তার ঘটে এবং প্রায় ৩০ লাখ মুসলিমকে হত্যা করা হয়। ১৯৪৮ সালে বার্মা স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। স্বাধীন দেশের সরকার তাদের নাগিরকত্ব দূরে থাক, মানবিক অধিকারটুকুও দেয়নি। বছরজুড়ে হামলার শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশসহ বিশ্বের আনাচে-কানাচে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এরা বিশ্বের রাষ্ট্রহীন নাগরিক। ১৯৮২ সালে মিয়ানমারের সরকার যে নাগরিক আইন করেছে, তাতে তিন ধরনের নাগরিকের কথা বলা হয়েছে। এই তিন শ্রেণীর মধ্যে নেই রোহিঙ্গারা। সরকারিভাবে তাদের সেখানে ‘বসবাসকারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের ভোটাধিকার নেই, নেই কোনো সাংবিধানিক ও সামাজিক অধিকার। নিজ দেশে পরবাসী তারা। তারা মিয়ানমারের অন্য প্রদেশে অনুমতি ছাড়া যেতে পারে না। এই ভাগ্যহত মুসলিমদের কি কোনো ঠাঁই হবে না? এরা কি আজীবন নিপীড়িত হতে থাকবে? জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মিয়ানমারের পক্ষে কাজ করছে। তারা মিয়ানমার সরকারকে মুসলিম নিধন বন্ধে চাপ প্রয়োগ ও মুসলিম নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানের কথা না বলে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার আহ্বান করছে। সত্যিই আজব! আমাদের আরও একটি বিষয় আহত করেছে, সেটি হচ্ছে—মুসলিম রোহিঙ্গাদের সমস্যা নিয়ে তথাকথিত সুশীল গণমাধ্যমের কোনো মাথাব্যথা নেই। পাশের একটি দেশে হাজার হাজার মুসলিম রোহিঙ্গার ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হলেও তাদের মানবতাবোধ জাগ্রত হচ্ছে না। শত শত মুসলিম নিধনের চেয়েও বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো কিংবা এদেশে বহু বছর ধরে পড়ে থাকা উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের সিরিজ রিপোর্ট প্রকাশে তারা ব্যস্ত। সীমান্তের ওপারে নাসাকা, রাখাইন কর্তৃক নির্বিচারে রোহিঙ্গা নিধন, কিংবা নাফ নদীতে আহত ও অসহায় নারী-পুরুষের সলিল সমাধির মতো কঠিন দৃশ্যও তাদের তাড়িত করছে না। আসলেই রোহিঙ্গা মুসলিমরা বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যহত জাতি। ওদের পাশে কেউ নেই। গণতন্ত্রের কন্যা অং সাং সু চি’কে মুসলিম রোহিঙ্গারা অকুণ্ঠ সমর্থন জুগিয়েছিল একটু মুক্তির আশায়, অথচ সেই সু চি এখন চোখে তালা মেরে বিদেশ ঘুরতে বের হয়েছেন। জাতিসংঘের ভাষায় ওরা রাষ্ট্রহীন নাগরিক। বর্তমান সভ্যতা সারাবিশ্ব থেকে ইহুদিদের ফিলিস্তিনের ভূমিতে বসতি গেড়ে দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুরকে আলাদা করে খ্রিস্টানদের স্বাধীনতা এনে দিতে পেরেছে। কিন্তু এই সভ্যতা আজও মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশের এককালের শাসকগোষ্ঠী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ স্থায়ী নাগরিকদের নাগরিকতার সনদও জোগাড় করে দিতে পারেনি। শুধু ওরা কেন, আমরাই বা ওদের জন্য কী করতে পেরেছি? এক মুসলিমের বিপদে অন্য মুসলিম কি পাশে দাঁড়াতে পেরেছি? আমরা কি আমাদের ইমানি দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি? পার্শ্ববর্তী মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবশ্যই দায়বদ্ধতা আছে। আশ্রয়প্রার্থীকে আশ্রয় না দেয়া অমানবিক। সরকার, আওয়ামী লীগ কিংবা বিরোধী দলের পক্ষ থেকে গণহত্যা বন্ধের কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি, এটা দুঃখজনক। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আরাকানে গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানাতে হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে জনমত তৈরি করতে হবে। আমাদের দেশে আগে থেকে পড়ে থাকা উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের ব্যাপারেও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। সংসদে আরাকানে গণহত্যার নিন্দা করতে হবে। আমাদের মনে রাখা দরকার, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান যখন এদেশে গণহত্যা শুরু করে, তখন আমরা কিন্তু ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলাম। মিয়ানমারের মজলুম মুসলিম জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সৌদি আরবসহ গোটা মুসলিম জাহান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাকে করজোড়ে অনুরোধ জানাই। লেখক : সহকারী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম [email protected]
  19. Asalamu'alaikum সালাম এক মূমূর্ষ মায়ের জন্য এক্ষুনি ১৬ ব্যাগ O+ রক্ত দরকার । রোগী ( মমতাজ ) ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন । যোগাযোগ : শিশির ( ভাই ) 01715233852 যাদের ফেইসবুক , সামু ব্লগ , প্রথম আলো ব্লগে একাউন্ট আছে , দয়া করা এটি সেসব জায়গায় পোস্ট করে দিন । যাজাকআল্লাহ খায়ের
  20. Asalamu'alaikum "I have sat in the company of the Sahaba & I found them more possessive over their TIME than their wealth." (Hasan al-Basri) #Reflect,Act,Share!
  21. Asalamu'alaikum story of 2 brothers Death may come upon us at any time, and it is our last deed that counts most. Put together, these two realities make it clear that we must continually repent for our sins and that it is utter foolishness to put off repentance for another day. In relation to this point, there is an interesting story related about two brothers. One of them, who lived on the top floor of a house they shared together, was a pious worshipper; the other, who lived on the ground floor, was a prolific doer of evil deeds. The former was confident- in fact, a little too confident and self-complacent for his own good. He actually desired that Shaytaan should try to tempt him, so that he could resist temptation and soar to higher levels of righteousess. One day, Iblees did appear before him, perhaps in the form of a man [it is not mentioned in the narration]. Shaytaan said, "So very sad that you have spent 40 years inhibiting the satisfaction of your desires and tiring your body in worship. You have 40 more years left to live, why don't you enjoy yourself and follow your lusts for a while. Then you can always repent and return to worship later on. After all, Allah is Most-Forgiving, Most-Merciful." The worshipper thought to himself, "I will go down to my brother on the first floor, and I will join him in the pursuit of pleasure for 20 years. Then, in the last 20 years of my life, I will repent to Allah and worship Him." He then began to descend the stairs to the first floor. Meanwhile, his brother was going through a transformation of his own. He thought to himself, "I wasted away my entire life in sin. My brother, the worshipper, will enter Paradise, while I will enter the Hell-fire. By Allah, I will indeed repent, go up to my brother and join him for as long as I live, in the worship of Allah. Perhaps Allah will then forgive me." He ascended the stairs, with the intention of repenting to Allah, while his brother was desceending with the intention of leading a life of sin. The latter slipped on one of the stairs, tumbled down, and knocked down his brother. Both of them died. It is, of course, the last deed that counts most.
  22. ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো রোজা রাখলেন আমেরিকার নও – মুসলিম ইউসুফ ইবনে বাসেল : ২০১১ সালের ২৯ মার্চ ইউসুফ তার শাহাদাত ঘোষণা করেন । এ বছর রোজা রাখতে পেরে তিনি খুবই আনন্দিত । তিনি নিউইয়র্ক শহরে থাকেন , পেশায় শিক্ষক । ইউসুফ বলেন , আমার আধ্যাত্মিক যাত্রা অনেক দিনের ও তা বেশ জটিল । আমি বেশ কিছু , সম্ভবত খুব বেশী ধর্মীয় বই পড়ে ফেলেছি ও অনেক ধর্মমতের ভিতর দিয়ে গিয়েছি । আমার জন্ম এক রোমান ক্যাথলিক পরিবারে । এই ধর্মীয় মতবাদ আমার ভাল লাগে নি । এরপর খ্রিষ্ট ধর্মের অন্যান্য শাখা যেমন প্রটেস্ট্যান্ট , ইস্টার্ণ অর্থডোক্স , মরমন ইত্যাদি কিছু মত পালন করি । এরপর আমি বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করি । একটি যোগ আশ্রমে কিছুদিন থাকি । এরপর নাস্তিক হিসাবেও কিছুদিন জীবন কাটাই । এভাবে বিভিন্ন আধ্যাত্মিক সফর করার সময় কুরআন পড়ে মনে শান্তি ও সান্ত্বনা পেলাম । এর পরের বছরগুলিতে আমি মনে মনে নিশ্চিত জানতাম যে ইসলামই সত্য ধর্ম কিন্ত্ত প্রকাশ্যে আমি তা মেনে নিতে পারি নি । কোন মুসলমানকে আমি চিনতাম না আর জানতাম যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চাইলে পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক বাধা পাবো । আমি ইসলাম নিয়ে আরো পড়াশোনা করতে লাগলাম । এরপর ২৯শে মার্চ ২০১১ তে আমি অনলাইনে একটি ইসলামিক ফোরাম whyislam.org এর সাথে যোগাযোগ করি । এক মুসলমান ভাই কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আমাকে ফোন করেন ও ধর্মের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বললেন । সবকিছুর সাথেই আমি আমার বিশ্বাসের মিল পেলাম । এরপর সেই ভাই জানতে চাইলেন আমি শাহাদাত ঘোষণা করতে তৈরী কি না ? আমি রাজী হলাম । সেদিন বিকালে ঐ ভাইয়ের কাছে আমি শাহাদাত পাঠ করি । আমি খুব তাড়াতাড়ি সবার সামনে শাহাদাত ঘোষণা করবো । এলাকার মসজিদ থেকে আমাকে ধর্মীয় শিক্ষা ও রীতি –নীতি শেখানোর জন্য প্রকৌশলের এক ছাত্রকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে । আমি এখন সালাত কিভাবে আদায় করতে হয় তা শিখছি । ইসলাম কবুলের পর মনের সংগ্রাম , অশুভ চিন্তা ও অনেক দিনের কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়ে খুব শান্তি পাচ্ছি । তবে দীর্ঘ ২৪ বছরের বিবাহিত জীবনের সাথী আমার স্ত্রী আমার এই সিদ্ধান্তে খুব অখুশী । এছাড়া তিন মেয়ে ও পরিবারের অন্য সদস্যদেরও আমি বোঝাতে পারছি না কেন আমি মুসলমান হয়েছি । অনেকেই আমার উপর খুবই রেগে আছে । আমি আশা করি একদিন তারাও ইসলাম কবুল করে নেবে । এই ভাইয়ের সাথে আলাপ করতে চাইলে এই সাইটে আসুন : http://www.islamicteachings.org/forum/topic/12320-my-journey-to-islam/
  23. Asalamu'alaikum সাহাবা ও ইমামগণকে গালি দেয়া নিষিদ্ধ Posted by QuranerAlo.com Editor • প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না লিখেছেনঃ সালেহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান | অনুবাদঃ মুহাম্মাদ মানজুর-এ-ইলাহী ওয়েব সম্পাদনাঃ মোঃ মাহমুদ -ই- গাফফার এক.সাহাবায়ে কিরামকে গালি দেয়া নিষিদ্ধ: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের একটি মূলনীতি হচ্ছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবাদের ব্যাপারে তাদের অন্তর এবং বাক-যন্ত্র পুত:পবিত্র ও সংযত থাকবে যেমনি ভাবে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে অনুরূপ গুণসম্পন্ন বলে বর্ণনা করেছে: وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِلَّذِينَ آَمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ ﴿ ১০ ﴾ سورة الحشر ‘ আর যারা তাদের পরে আগমন করেছে, তারা বলে: হে আমাদের পালন কর্তা! আমাদেরকে এবং আমাদের আগে আমাদের যে সব ভাইয়েরা ঈমান এনেছে তাদেরকে ক্ষমা করুন। আর ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের পালন-কর্তা! আপনি দয়ালু, পরম করুণাময়। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ বাণীর প্রতিও তারা আমল করবে: لَا تَسُبُّوا أصْحَابِيْ فَوَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ لَوْ أنْفَقَ أحَدُكُمْ مِثْلَ جَبَلِ أحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهُ. ‘ আমার সাহাবাদেরকে তোমরা গালি গালাজ কর না, যার হাতে আমার প্রাণ তার কসম করে বলছি যদি তোমাদের কেউ ওহুদ পাহাড়ের সমপরিমাণ স্বর্ণও ব্যয় কর, তবে তাদের ব্যয় করা এক অঞ্জলি বা তার অর্ধেকের সমান পর্যন্ত ও পৌঁছোবে না’ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত, রাফেযী খারেজীদের ভ্রষ্ট তরীকা থেকে মুক্ত যারা সাহাবায়ে কিরাম রা. কে গালি দেয়, তাদের প্রতি বিদ্বেষ রাখে, তাদের ফযিলত ও মর্যাদা অস্বীকার করে এবং তাদের অধিকাংশকে কাফির বলে ঘোষণা দেয়। কিতাব ও সুন্নায় সাহাবায়ে কিরামের যে ফযিলত বর্ণনা করা হয়েছে, আহলে সুন্নাত তা মেনে নেয় এবং বিশ্বাস করে যে, তারাই যুগের সর্বোত্তম প্রজন্ম। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: خَيْرُكُمْ قَرْنِيْ. ‘ আমার যুগের লোকেরাই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম’ একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বর্ণনা করেছিলেন যে, এ উম্মাত ৭৩টি ফিরকায় বিভক্ত হবে এবং তারমধ্যে একটি ছাড়া বাকিগুলো সবই জাহান্নামী হবে। তখন লোকেরা তাকে সে দলটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন: هُمْ مَنْ كَانَ عَلَى مِثْلِ مَا أنَا عَلَيْهِ اليَوْمَ وَأصْحَابِيْ. ‘ তারা হল ঐ সব লোক যারা আমি এবং আমার সাহাবারা আজ যে আদর্শে আছি, তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, ইমাম মুসলিমের সবচেয়ে বড় উস্তাদ ও শায়খ আবু যুরআ বলেন: যখন কোন ব্যক্তিকে সাহাবাদের কারো ত্রুটি বর্ণনা করতে দেখবে, তবে জানবে যে, নিশ্চয়ই সে যিন্দিক। কেনান কুরআন সত্য, রাসূল সত্য এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনীত শরীয়ত সত্য। আর এ সকল কিছু সাহাবায়ে কিরামেই আমাদের কাছে পৌঁছিয়েছেন। অতএব যারা তাদের নিন্দা করে, তারা প্রকৃত পক্ষে কুরআন ও সুন্নাহকেই বাতিল করে দিতে চায়। তাই সাহাবাদের যারা নিন্দা করে, তারাই নিন্দিত হওয়ার উপযুক্ত এবং তাদেরকে যিন্দিক ও ভ্রষ্ট বলে অবহিত করা খুবই সমীচীন। আল্লামা ইবনে হামদান তার নেহায়াতুল মুবতাদিয়ীন গ্রন্থে বলেন: যে ব্যক্তি জায়েয মনে করে সাহাবাদের কাউকে গালি দেয়, সে কাফির হয়ে যাবে। আর জায়েয নয় মনে করে গালি দিলে সে ফাসিক হবে। তার থেকে একথাও বর্ণিত যে, উভয় অবস্থায়ই সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি তাদেরকে ফাসিক বলবে কিংবা তাদের দ্বীনদারির প্রতি আঘাত করবে অথবা তাদেরকে কাফির বলবে, সে নিজেই কাফির হয়ে যাবে। দুই. উম্মতের ওলামাদের অন্তর্গত আয়িম্মায়ে কিরামকে গালি দেয়া নিষিদ্ধ: ফযিলত,মর্যাদা ও সম্মানের দিক দিয়ে সাহাবাদের পরই আয়িম্মায়ে কিরামের স্থান। তন্মধ্যে রয়েছেন সম্মানিত যুগের তাবেয়িন তাবে তাবেয়িন এবং তাদের পরে আগত ঐ সকল ব্যক্তি যারা সাহাবিদের সঠিক অনুসারী ছিলেন। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন: وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُمْ بِإِحْسَانٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ﴿ ১০০ ﴾ سورة التوبة ‘ মুহাজির ও আনসারদের প্রথম অগ্রবর্তী দল এবং যারা নিষ্ঠার সাথে তাদের অনুসরণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট’ তাই তাদের দোষ বর্ণনা করা ও তাদেরকে গালি দেয়া বৈধ নয়। কেননা তারা হিদায়েতের পতাকাবাহী। আল্লাহ তাআলা বলেন: وَمَنْ يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيرًا ﴿ ১১৫ ﴾ سورة النساء ‘ হিদায়াতের পথ সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে ব্যক্তি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে ফিরে যায়, সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে নিক্ষেপ করব। আর তা অতি নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তন স্থল’ ‘আত তাহাবিয়া’ গ্রন্থের ব্যাখ্যাদাতা বলেন: প্রত্যেক মুসলমানের উচিত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সাথে মুহব্বত ও বন্ধত্ব রাখার পর মুমিনদের সাথেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা যেমনিভাবে কুরআন নির্দেশ প্রদান করেছে বিশেষ করে সে সব লোকের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা, যারা নবীদের উত্তরাধিকারী এবং যাদেরকে আল্লাহ তারকারাজির মত বলে বর্ণনা করেছেন। যাদের দ্বারা মানুষ স্থল ও জলের অমানিশায় পথ পেয়ে থাকে। সকল মুসলমান এ ব্যাপারে একমত যে, তারা হেদায়েতের উপর ছিলেন এবং দ্বীনকে সঠিকভাবে বুঝেছেন। তারা প্রকৃতপক্ষে উম্মতের মধ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতিনিধি এবং তার মিটে যাওয়া সুন্নাতকে পুনরুজ্জীবিতকারী। তাদের দ্বারাই আল্লাহর কিতাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তারাও কিতাব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এবং কিতাবুল্লাহর ভাষায়ই কথা বলেছেন। সকল মুসলমান একথার উপর নিশ্চিতভাবে একমত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ করা ওয়াজিব। তবে যদি তাদের কারো কাছ থেকে এমন কোন কথা বর্ণিত হয়ে থাকে, যা সরাসরি সহিহ হাদীসের পরিপন্থী, তাহলে নিম্নের যে কোন ওজরের ভিত্তিতে সে কথাটি পরিত্যাগ করা জরুরি। ওযর সর্বমোট তিন প্রকার: এক. উক্ত ইমামের এ বিশ্বাস না থাকা যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সহিহ হাদীসে এমন বলেছেন। দুই. তার এ বিশ্বাস থাকা যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে বক্তব্যের মাধ্যমে উক্ত মাসআলাই বুঝাতে চেয়েছেন। তিন. তার এ বিশ্বাস যে, সহিহ হাদীসের হুকুমটি মানসূখ। আমাদের উপর তাদের বহু অনুগ্রহ রয়েছে। আমাদের পূর্বেই তারা ইসলামের এ নিয়ামত প্রাপ্ত হয়েছেন এবং আমাদের কাছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি প্রেরিত বাণী পৌঁছিয়ে দিয়েছেন ও তন্মধ্যে যা অস্পষ্ট ছিল তা স্পষ্ট করে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ; তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন এবং তাদেরকে সন্তুষ্ট করুন। وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِلَّذِينَ آَمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ ﴿ ১০ ﴾ سورة الحشر ‘ আর যারা তাদের পরে আগমন করেছে, তারা বলে: হে আমাদের পালন কর্তা! আমাদেরকে এবং আমাদের আগে আমাদের যে সব ভাইরা ঈমান এনেছে তাদেরকে ক্ষমা করুন। আর ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের পালন কর্তা! আপনি দয়ালু, পরম করুণাময়। সাম্প্রতিক সংযোজন পরিবার ও নিজ অধীনস্তদের সঠিক নির্দেশনা প্রদান একজন মুসলিম মেয়ের জন্য উপদেশ যে তার পরিবারের চাপের কারণে ইসলাম পালন করতে পারে না মুসলিম বালকের হাতে খ্রিস্টান প্রশিক্ষকের ইসলাম গ্রহণ কোরআন ও সুন্নায় সালামের গুরুত্ব ও আদব আল্লাহর নিদর্শন জান্নাতের অধিবাসীঃ বারাকাহ আজকের জনপ্রিয় পোস্ট একজন মুসলিম মেয়ের জন্য উপদেশ যে তার পরিবারের চাপের কারণে ইসলাম পালন করতে পারে না DVD – Bangla Islamic Lectures Collection – Sheikh Motiur Rahman Madani Translation of Quran in Bangla Language – Free Download পরিবার ও নিজ অধীনস্তদের সঠিক নির্দেশনা প্রদান মুসলিম বালকের হাতে খ্রিস্টান প্রশিক্ষকের ইসলাম গ্রহণ পরকাল যাত্রা – শেইখ তাউফিক চৌধুরী (ভিডিও লেকচার) সাম্প্রতিক মন্তব্যসমুহ পরিবার ও নিজ অধীনস্তদের সঠিক নির্দেশনা প্রদান নিবন্ধে Antukhan4 ইসলাম সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রত্যাখ্যান করে নিবন্ধে Antukhan4 পরিবার ও নিজ অধীনস্তদের সঠিক নির্দেশনা প্রদান নিবন্ধে Salahuddin Asm একজন মুসলিম মেয়ের জন্য উপদেশ যে তার পরিবারের চাপের কারণে ইসলাম পালন করতে পারে না নিবন্ধে Salahuddin Asm কুরআনের ভালোবাসায় রুশ নারীর ইসলাম গ্রহণ এবং রুশ ভাষায় কুরআনের ভাষান্তর নিবন্ধে Salahuddin Asm একজন মুসলিম মেয়ের জন্য উপদেশ যে তার পরিবারের চাপের কারণে ইসলাম পালন করতে পারে না নিবন্ধে ashikiqbal এরপর এই প্রবন্ধটি পড়ুন http://imgcdn.nrelate.com/image_cache/www.quraneralo.com/0bf210da33bbf28dfc993bfe5358d560_thumb_1452843487_fad186e4e3.jpgকুফরীর
  24. সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য । আমরা তাঁর প্রশংসা করি , তাঁর সাহায্য ও ক্ষমা চাই । আমাদের আত্মার অকল্যাণ ও খারাপ কাজ থেকে আমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই । আল্লাহ যাকে পথ দেখান , তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না । আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন , তাকে কেউ পথ দেখাতে পারে না । আমি সাক্ষ্য দেই নেই কোন রব উপাসনার যোগ্য এক আল্লাহ ছাড়া । আমি সাক্ষ্য দেই মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দাস ও রাসূল । পরিচিতি : আহমদ বিন আবদুল হালিম বিন তাইমিয়াহ ( শেখ উল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ ) জন্ম : ১০ রবিউল আউয়াল ৬৬১ হিজরী স্থান : হারান , জাযিরা , সিরিয়া পিতা : শেখ আবদুল হালিম , হাদিসবিদ দাদা : মাজদুদিন আবুল বরকত । মুনতাকা আল আকবর গ্রন্থের লেখক ইবনে তাইমিয়াহ কেন বিখ্যাত ও সম্মানিত ? মুসলিম উম্মাহর সাথে তার ছিল নিরবিচ্ছিন্ন একাত্মতা ; তিনি ছিলেন তাদের শিক্ষক , পথপ্রদর্শক । তাদের সমস্যায় তিনি এগিয়ে যেতেন ও প্রয়োজনে শাসকদের সামনে গিয়ে মজলুমের হক আদায় করে দিতেন । শত্রুর আক্রমণের মুখে তিনি মুসলমানদের সাহস জোগাতেন । এভাবে তার সময় চলে যেত জ্ঞান চর্চা , জিহাদ , পরোপকারে । সেজন্য দামোস্কের সবাই তাকে সম্মান করতো । তাই তার কোন ক্ষতি শত্রুরা সেখানে করতে পারে নি ; তারা তার ক্ষতি করেছিল মিসরে যেখানে তিনি ততটা পরিচিত ছিলেন না । জ্ঞান চর্চা : দ্বীনি শিক্ষায় শেখ ইবনে তাইমিয়াহর আগ্রহ ছিল অসীম । তিনি লিখেছেন , আমি হয়তো কুরআনের একটি আয়াতের একশত ব্যাখ্যা পড়েছি । তারপরও আমি তার সঠিক মানে বোঝার জন্য দুআ করতাম এভাবে , “ হে আদম ও ইবরাহিমের শিক্ষক , আমাকে শেখান । ” আমি কোন পরিত্যক্ত মসজিদে গিয়ে এভাবে আল্লাহকে ডাকতাম , হে ইবরাহিমের শিক্ষক , আমাকে কুরআনের আয়াতের সঠিক মানে বুঝতে পারার ক্ষমতা দিন । জিহাদ ও রাজনীতি : রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেছিলেন , সভ্যতার শিকড় হলো ন্যায়বিচারে । অত্যাচারের পরিণাম ধ্বংসে । আল্লাহ ন্যায়পরায়ন রাষ্ট্রকে সাহায্য করেন যদিও তা হয় অমুসলিম প্রধান দেশ । আর আল্লাহ অত্যচারী রাষ্ট্রকে সাহায্য করেন না যদিও তা হয় মুসলিম শাসিত । তাতাররা যখন দামাস্কো আক্রমণ করতে এগিয়ে আসছিল , তখন নগরবাসীর মধ্যে ভয় ও আতংক ছড়িয়ে পড়ে । অনেকেই ভয়ে শহর ছেড়ে পালিয়ে যেতে চাইলো । ইবনে তাইমিয়াহ এই ধরণের কাপুরুষতাকে প্রত্যাখ্যান করলেন ও জনগণকে অনুরোধ করলেন না পালাতে বরং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে । তিনি উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের উৎসাহ দিয়ে বললেন , আল্লাহ আমাদের বিজয় দান করবেন । তারা যখন বললো ইনশাআল্লাহ বলতে , তখন তিনি জবাব দেন , আমি এটা দৃঢ় আস্থা নিয়ে বলছি , শুধুমাত্র আশা নিয়ে নয় । তিনি নিজেও তাতারদের বিরুদ্ধে সাকহাবের যুদ্ধে অংশ নেন । ইসলামের অনেক রীতি – নীতিকে অস্বীকার করার জন্য তিনি তাতারদের কাফির হিসাবে ঘোষণা দেন যদিও তারা মুখে শাহাদাত ঘোষণা দিয়েছিল । তার এই ফতোয়া বিখ্যাত । জেল থেকে চিঠি ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মিথ্যা অভিযোগে দুই ভাইসহ মিসরের কারাগারে বন্দী থাকার সময় ইবনে তাইমিয়াহ মাকে চিঠি লিখেছিলেন । এই চিঠিতে মায়ের প্রতি সম্মান ও ভালবাসা প্রকাশের পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর প্রতি তার মমত্ববোধ , কর্তব্যবোধ ও সর্বোপরি এক আল্লাহর প্রতি তার আনুগত্য ও বিশ্বাসের ছবি সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে । আমাদের মতো সাধারণ মুসলমানদের ঈমান দৃঢ় করার জন্য এসব সংগ্রামী মুসলমানদের চিন্তা – চেতনার সাথে পরিচিত হওয়া জরুরী । নাটক – সিনেমা , গানবাজনায় মোহগ্রস্থ , ফ্যাশন ও সৌন্দর্য চর্চার নামে নির্লজ্জতার প্রতিযোগিতায় মত্ত ও দুনিয়াদারি প্রলোভনে হারিয়ে যাওয়া মুসলমানদের মনে এসব চিঠি যেন ইতিবাচক আঘাত হানে - এই কামনায় এই সাহসী যোদ্ধার একটি চিঠি অনুবাদ করলাম । আল্লাহর নামে শুরু করছি যিনি সবচেয়ে ক্ষমাশীল , অসীম করুণাময় । আহমদ বিন তাইমিয়াহ থেকে তার প্রিয় ও সম্মানিত আম্মাকে - আল্লাহ তাকে অফুরন্ত কল্যাণ দান করুন ও তাকে শান্তি দিন এবং তাঁর প্রিয় বান্দাদের মধ্যে অণ্তর্ভূক্ত করে নিন । আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতাহু । আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি , যিনি সর্বোচ্চ প্রশংসার যোগ্য । তিনি ছাড়া উপাসনার যোগ্য কেউ নেই ; তিনি সবার উপর ক্ষমতাবান । বিশ্বাসীদের নেতা ও নবীদের সিলমোহর হজরত মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর রহমত বর্ষন করতে আমরা তাঁকে আবেদন জানাই । অবশ্যই আল্লাহর নেয়ামত সীমাহীন ও তাঁর সাহায্য কখনো শেষ হবার নয় । আমরা এজন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি ও আমাদের জীবনে তাঁর রহমত বাড়িয়ে দিতে প্রার্থনা করি । আম্মা , আপনি এই সত্য নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে মিসরে আমাদের থাকাটা খুবই জরুরী । এই ধরণের দায়িত্ব ত্যাগ করলে তা আমাদের জীবন ও দ্বীনকে নষ্ট করবে । নিজেদের খুশীতে আপনার থেকে আমরা দূরে নেই । যদি পাখি আমাদেরকে ডানায় বয়ে নিতে পারতো , তাহলে আমরা অবশ্যই আপনার কাছে চলে আসতাম । কিন্ত্ত আপনার কাছে যারা নেই তাদের এই অনুপস্থিতির যথেষ্ট কারণ আছে । আপনি যদি মুসলমানদের অবস্থা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেন , তাহলে এখন আমি যেখানে আছি , আপনিও আমার জন্য ঠিক এই জায়গাই বেছে নিতেন । আমি এখানে চিরদিন থাকতে আসি নি । আমি আল্লাহর কাছে দুআ করি তিনি যেন আমাকে , আপনাকে ও মুসলমানদের পথ দেখান , শান্তি ও নিরাপত্তা দেন । আল্লাহ তাঁর রহমত ও হেদায়তের পথ আমার জন্য খুলে দিয়েছেন , আমি এটা আগে কখনো এমনভাবে বুঝি নি । তবুও আমি আপনার কাছে আসার বিষয়টি সবসময়ই বিবেচনায় রাখি , এ নিয়ে আমি ইসতেখারা করছি ( আল্লাহর কাছে কল্যাণের জন্য সালাতের মাধ্যমে দুআ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ) । আম্মা , আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করবেন যেন আমরা সেরা পথ বেছে নিতে পারি । আল্লাহ সব জানেন , আমরা জানি না । রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , আদমের সন্তানের জন্য এটা কল্যাণকর যে সে ইসতেখারা করবে ও আল্লাহ তার জন্য যা নির্ধারণ করেছেন , তাতে সে সন্ত্তষ্ট থাকবে । আম্মা , যদি আমাকে জাগতিক কোন বিষয় বা ধর্মীয়ভাবে কম গূরুত্বপূর্ণ বিষয় ও আপনার কাছে আসার মধ্যে কোনটিকে বেছে নিতে বলা হতো , তবে আপনার থেকে দূরে থাকাটা আমি চিন্তাও করতাম না । কিন্ত্ত এখানে এমন অনেক জরুরী বিষয় আছে যা ব্যক্তিগত ও সর্বসাধারণের বিপদের আশংকায় এড়িয়ে যেতে পারছি না । [ শেখ মুহাম্মদ আবু জাহরাহ তার বইতে লিখেছেন , যে দায়িত্ব ও বিপদের কথা ইবনে তাইমিয়াহ বুঝিয়েছেন তার একটি হলো সাধারণ মানুষের মধ্যে নীতিহীনতা ছড়িয়ে পড়া । অন্যটি হলো ইসলামের জ্ঞানে সমৃদ্ধ ইবনে তাইমিয়াহর কর্তব্যের মধ্যে এটা পড়ে তিনি মানুষের সামনে সৎ আদর্শ তুলে ধরবেন ও তাদেরকে সঠিক পথে নেয়ার চেষ্টা করবেন । এছাড়া তার ধর্মবিশ্বাসের বিরুদ্ধে মিসরে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল , তার জবাব দিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার অধিকার তার ছিল ] । বাসার বড় ও ছোটদের , পাড়াপ্রতিবেশী , আত্মীয়স্বজন , বন্ধুবান্ধব সবাইকে আমার সালাম জানাবেন । সব প্রশংসা আল্লাহর । তাঁর রহমত ও শান্তি রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , তার পরিবার ও সাহবীদের উপর বর্ষিত হোক । আমীন । বিস্তারিত জানতে ইংরেজীতে পড়ুন : http://www.ummah.com...ers-from-Prison
×
×
  • Create New...