Jump to content
IslamicTeachings.org

MUSLIM WOMAN

Members
  • Posts

    1,173
  • Joined

  • Last visited

  • Days Won

    41

Everything posted by MUSLIM WOMAN

  1. ওয়েবসাইটে রমজানের তথ্য এখন চলছে রমজান মাস। এই মাসে রমজানের ফজিলত সংক্ষেপে জানতে নিচের দুটি বাংলা ওয়েবসাইট দেখতে পারেন— http://www.islamhouse.com/p/53920 এবং http://articles.ourislam.org/articles/445/1/aaaa-aaaa-aaaaaaaaaa-aaaa-aaaaa/Page1.html ডাউনলোড করুন জাকাত ক্যালকুলেটর রমজান মাসে ফরজ জাকাত দেয়ার ফজিলত অনেক বেশি। কিন্তু কতটুকু জাকাত দেবেন তা জানেন কি? তাই সহজে জাকাতের হিসাব করতে নিচের লিঙ্ক থেকে জাকাত ক্যালকুলেটর ডাউনলোড করুন। http://www.ramadan.com.au/component/docman/cat_view/37-downloads/125-calculators নেটেই আরবি বর্ণমালা শেখা ইন্টারনেটে রয়েছে ছোট্ট সোনামণিদের আরবি বর্ণমালা শেখার একটি ফ্লাশ ফাইল। এই ফাইলটির সাইজ মাত্র ৫১৭ কেবি। এর বর্ণমালাতে ক্লিক করলে উচ্চারণ বলে দেয়। সাইটটির ডাউনলোড লিঙ্ক হলো— http://www.mediafire.com/file/9z55rs015qxad7v/learning%20Arabic%20letters.zip ভিডিওতে দেখুন নামাজ পড়ার নিয়ম আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত নামাজ পড়ার সময় আমরা অনেক ছোট ছোট ভুল করে ফেলি। মসজিদে মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে সিজদার সময় পা দুটো মাটি থেকে পৃথক করে ফেলে, বসাটি শুদ্ধ হয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব ছোট ছোট ভুলের কারণে কিন্তু আমাদের নামাজ হয় না। এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ও নামাজ পড়ার নিয়ম ভিডিওতে দেখতে পারবেন এই সাইটে : http://chillyoislamyo.com/how-to-pray-salat-hanafi-madhab/ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার ভিডিও দেখতে পারেন ইউটিউবের এই লিঙ্কে। আবার নারীরা দেখতে পারেন কোরআন ওসুন্নাহর আলোকে নামাজ পড়ার নিয়ম এই লিঙ্কে : বাংলা ইসলামী গান ডাউনলোড কয়েকটি বাংলা ও আরবি ইসলামী সঙ্গীত এই রোজার মাসে আপনার মনকে প্রফুল্ল করে দিতে পারে। তেমনি কয়েকটি ইসলামী এমপিথ্রি গান আশা করি ভালো লাগবে। যেমন— ১. দিন দুনিয়ার মালিক তুমি : http://www.mediafire.com/?a5n735sbhh91wwj ২. হে রাসুল (সা.) : http://www.mediafire.com/?93ckphkqp1ncgdz ৩. ফেইথ বাই হাসান আল বন্যা : http://www.mediafire.com/?a8l3zahwep87237 ৪. হামদ এ ইলাহি : http://www.mediafire.com/?2mo6juij6fd62r0 ৫. আল্লাহ তুমি অপরূপ: http://www.mediafire.com/?42j9q25nkj224kp ৬. আমার মনের সকাল (এমপিথ্রি) : http://www.mediafire.com/?n400em6c9tlp64e ইসলাম বিষয়ক আরও কিছু বাংলা সাইট এত সব ছাড়াও ইন্টারনেটে রয়েছে অসংখ্য ইসলামভিত্তিক ওয়েবসাইট। তবে ইন্টারনেটে ইসলামী বাংলা ওয়েবসাইটও রয়েছে সেখানেও সময় কাটাতে পারেন। এরকম কিছু সাইটের ঠিকানা হলো— www.banglakitab.com www.islamdharma.com www.banglaislam.com http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/07/31/156909
  2. "A person's tongue can give a taste of his heart." - Ibn Al Qayyim
  3. Be to Allah as He wishes, and He will be to you more than you can wish for - Ibn Al Qayyim
  4. সাধারণ ভুল যেগুলো রমজানের সময় আমরা করে থাকি ১. রামাদানকে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠান মনে করাঃ আমাদের অনেকের কাছে রামাদান তাঁর আধ্যাত্মিকতা হারিয়ে ইবাদাতের বদলে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠানের রূপ লাভ করেছে। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘zombie’র মত উপোস থাকি শুধুমাত্র আমাদের আশেপাশের সবাই রোজা রাখে বলে। আমরা ভুলে যাই যে এই সময়টা আমাদের অন্তর ও আত্মাকে সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য.... আমরা দু’আ করতে ভুলে যাই, ভুলে যাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদেরকে মুক্তি দান করতে। নিশ্চিতভাবে আমরা পানাহার থেকে বিরত থাকি কিন্তু সেটা কেবল লৌকিকভাবেই! যদিও আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “জিবরাঈল (আঃ) আমাকে বলেছেন, আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তির নাক মাটিতে ঘষুন যার নিকট রামাদান আসল এবং তার গুনাহসমূহ মাফ হল না, এবং আমি বললাম, আমিন। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহ ঐ ব্যক্তির নাকও মাটিতে ঘষুন যে জীবদ্দশায় তার পিতামাতার একজনকে অথবা উভয়কে বৃদ্ধ হতে দেখল এবং সে জান্নাতে প্রবেশ করার অধিকার রাখল না তাদের সেবা করার মাধ্যমে আর আমি বললাম, আমিন। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তির নাক মাটিতে ঘষুন যার উপস্থিতিতে যখন আপনার নাম উচ্চারণ করা হয় তখন সে আপনার প্রতি সালাম বর্ষণ করে না আর আমি বললাম, আমিন।”(তিরমিযী, আহমাদ, এবং অন্যান্য_আলবানী কর্তৃক সহীহকৃত) ২. পানাহারের ব্যাপারে অতিমাত্রায় চাপে থাকাঃ আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে, রামাদান মাসের পুরোটাই খাবার ঘিরে আবর্তিত হয়। সালাত, কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদাতের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া বদলে আমরা পুরোটা দিন কেবল পরিকল্পনা প্রণয়ন, রান্নাবান্না, কেনাকাটা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ে চিন্তা করে কাটাই। আমাদের চিন্তা ভাবনার পুরোটা জুড়েই থাকে ‘খাওয়া-দাওয়া’। যার দরূন আমরা উপোস থাকার মাসকে ভোজের মাসে পরিণত করেছি। ইফতারের সময়ে আমাদের টেবিলের অবস্থা দেখার মত! পুঞ্জীভূত নানাপদী খাবার, মিষ্টান্ন এবং পানীয়ে পরিপূর্ণ। পক্ষান্তরে, আমরা রামাদানের মুখ্য উদ্দেশ্য ভুলে যাচ্ছি, আর এভাবে আমাদের লোভ আর প্রবৃত্তির অনুসরণ বাড়তে থাকে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষালাভ করার বদলে। এটাও একধরনের অপচয় এবং সীমালঙ্ঘন। “.....তোমরা খাও এবং পান করো, এবং কোনো অবস্থাতেই অপচয় করো না, আল্লাহ্ তাআলা কখনোই অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না ।”(সূরা আ’রাফঃ৩১) ৩. সারা দিন রান্না করে কাটানোঃ কতিপয় বোন(হয় স্বেচ্ছায় নতুবা স্বামীর চাপে) সারা দিন ও সারা রাত ধরে রান্নাবান্না করতে থাকেন, তার ফলে দিনের শেষে তারা এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েন যে এশার সালাত পড়তে পারেন না, তাহাজ্জুদ কিংবা কুরআন তিলাওয়াত তো দূরে থাক! এই মাস হল মাগফিরাত এবং মুক্তিপ্রাপ্তির মাস। সুতরাং, চলুন আমরা চুলা বন্ধ করে নিজেদের ঈমানের প্রতি মনযোগী হই। ৪. মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়াঃ আমাদের কিছুসংখ্যক সেহরীর সময়ে নিজেদেরকে বিস্ফোরিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ভরাক্রান্ত করে তুলি, কারণ আমরা মনে করি সারা দিন ক্ষুধার্ত অনুভব না করার এটাই একমাত্র পথ, আর কিছুসংখ্যক রয়েছেন যারা ইফতারের সময় এমনভাবে খান যাতে মনে হয় আগামীকাল বলে কিছুই নেই, সারাদিন না খাওয়ার অভাব একবারেই মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। যাহোক, এটা সম্পূর্ণরূপে সুন্নাহ্ বিরোধী কাজ। পরিমিতিবোধ সব কিছুর চাবিকাঠি। রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “আদম সন্তান তার উদর ব্যতীত আর কোনো পাত্রই এত খারাপভাবে পূর্ণ করে না, আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ সোজা রাখার জন্য এক মুঠো খাবারই যথেষ্ট। যদি তোমাদেরকে উদর পূর্ণ করতেই হয়, এক তৃতীয়াংশ খাবার দ্বারা, এক তৃতীয়াংশ পানি দ্বারা আর অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশ বায়ু দ্বারা পূর্ণ করো।”(তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্, আলবানী কর্তৃক সহীহ্কৃত) অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ একজন মানুষকে আবশ্যকীয় অনেক আমল এবং ইবাদাত হতে দূরে সরিয়ে নেয়, তাকে অলস করে তোলে এবং অন্তরকে বধির করে ফেলে। ইমাম আহমদকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিলঃ “উদরপূর্ণ অবস্থায় একজন মানুষ কি তার হৃদয়ে কোমলতা ও বিনয় অনুভব করে?” তিনি উত্তরে বলেছিলেনঃ “আমার মনে হয় না।” ৫. সারা দিন ঘুমিয়ে কাটানোঃ রামাদান মাস হচ্ছে অত্যন্ত মূল্যবান সময়, এতটাই মূল্যবান যে মহান আল্লাহ্ পাক একে ‘আইয়্যামুম মাদুদাত’(একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক দিবস) হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আমাদের অনুধাবন করার পূর্বেই এই মাগফিরাত ও মুক্তির মাস শেষ হয়ে যাবে। আমাদেরকে চেষ্টা করা উচিত এই পবিত্র মাসের প্রতিটি মূহুর্ত আল্লাহর ইবাদাতে কাটানোর, যাতে করে আমরা এই মাসের সর্বোচ্চ সওয়াব হাসিল করতে পারি। যাহোক, আমাদের কিছুসংখ্যক রামাদানের দিনগুলি ভিডিও গেমস্ খেলে অতিবাহিত করে, অথবা জঘন্যতম হল টিভি দেখা, ছবি দেখা এমনকি গান শোনা পর্যন্ত। সুবহানাল্লাহ্!!! আল্লাহকে মান্য করার চেষ্টা করা হয় তাঁকে অমান্য করার মাধ্যমে! ৬. রোজা রাখা অথচ খারাপ কাজ বর্জন না করাঃ আমাদের কিছু সংখ্যক রোজা রাখে কিন্তু তারা মিথ্যাচার, অভিশাপপ্রদান, মারামারি, গীবত ইত্যাদি বর্জন করে না এবং কিছুসংখ্যক রোজা রাখার উদ্দেশ্য কেবলমাত্র পানাহার থেকে বিরত নয় বরং আল্লাহর প্রতি তাকওয়া(পরহেজগারী) অর্জন অনুধাবন না করে রোজা রাখে কিন্তু তারা প্রতারণা, চুরি, হারাম চুক্তি সম্পাদন, লটারির টিকেট ক্রয়, মদ বিক্রি, যিনা ইত্যাদিসহ যাবতীয় অননুমোদিত কর্মকান্ড বর্জন করে না। “হে মানুষ, তোমরা যারা ঈমান এনেছো! তোমাদের ওপর সাওম ফরজ করা হয়েছে যেমনটি করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্বপুরূষদের ওপর যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।”(সূরা বাকারাঃ১৮৩) রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও এর ওপর আমল করা বর্জন করে না ও মূর্খতা পরিহার করে না, তার পানাহার হতে বিরত থেকে উপবাস করা আল্লাহর নিকট প্রয়োজন নেই।”(বুখারী) ৭. ধূমপানঃ ধূমপান ইসলামে বর্জনীয় সেটা রামাদান মাসেই হোক বা এর বাইরে হোক, কারণ এটা “আল-খাবিছ্’(খারাপ কাজ) এর একটি। এবং এটা যাবতীয় ধূমপানের সামগ্রী অন্তভূর্ক্ত করে যেমনঃ সিগার, সিগারেট, পাইপ, শিশা, হুক্কা ইত্যাদি। “..........তাদের জন্য যাবতীয় পাক জিনিসকে হালাল ও নাপাক জিনিসসমূহকে তাদের ওপর হারাম ঘোষণা করে...........”(সূরাআ’রাফঃ১৫৭) এটা শুধু যে ধূমপায়ী তার জন্য ক্ষতিকর- তা নয়, বরং তার আশেপাশে যারা রয়েছে তাদের জন্যও ক্ষতিকর। এটা কারো অর্থ অপচয়ের জন্য একটি মাধ্যমও বটে। রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “কোনো ধরনের ক্ষতিসাধন করা যাবে না কিংবা ক্ষতিসাধন বিনিময়ও করা যাবে না।” এই হাদীস বিশেষত রামাদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং এটা সাওমকে বাতিল করে দেয়।(ফতওয়া-ইবনে উছাইমিন) বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি দেখুন ৮. ইচ্ছাকৃতভাবে সেহরী বাদ দেওয়াঃ রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “সেহরী খাও, কারণ এটার মধ্যে বরকত রয়েছে।”(বুখারী, মুসলিম) এবং তিনি (সাঃ) বলেছেনঃ “আমাদের সাওম আর আহলে কিতাবদের সাওম পালনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে সেহরী গ্রহণ।”(মুসলিম) ৯. ইমসাক এর সময় সেহরী খাওয়া বন্ধ করে দেওয়াঃ কিছু লোক রয়েছে যারা ফজরের ওয়াক্তের ১০-১৫ মিনিট পূর্বে ইমসাক পালনের জন্য সেহরী খাওয়া বন্ধ করে দেয়। শেখ ইবনে উছাইমিন বলেছেনঃ “এটা বিদ’আত ছাড়া আর কিছু নয় যার কোন ভিত্তি সুন্নাহে নেই। বরং সুন্নাহ হল তার উল্টোটা করা। আল্লাহ প্রত্যুষের আগ পর্যন্ত আমাদেরকে খেতে অনুমতি প্রদান করেছেনঃ “আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কালো রেখা থেকে স্পষ্ট হয়।”(সূরা বাকারাঃ১৮৭) রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “তোমরা আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ইবনে উম্মে মাকতুম এর আযানের ধ্বনি শুনতে পাও, কারণ সে প্রত্যূষ না আসা পর্যন্ত আযান দেয় না।” এই ইমসাক হচ্ছে কিছু সংখ্যক লোকের দ্বারা পালনকৃত আল্লাহর আদেশের অতিরিক্ত কাজ, তাই এটা ভুয়া। এটা ধর্মের নামে এক ধরনের উগ্রপন্থী আচরণ। আর রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “যারা উগ্রপন্থা অবলম্বন করে তারা ধ্বংস হয়েছে, যারা উগ্রপন্থা অবলম্বন করে তারা ধ্বংস হয়েছে, যারা উগ্রপন্থা অবলম্বন করে তারা ধ্বংস হয়েছে।”(মুসলিম) ১০. সেহরী না খাওয়ায় সাওম পালন না করাঃ আমাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক রয়েছে যারা সাওম পালন করে না এই ভয়ে যে সেহরী খাওয়া হয় নি।যাহোক, এটা এক ধরনের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ভালোবাসা ও কাপুরূষতা। এ আর এমন কি ব্যাপার যে সামান্য কয়েক মুঠো খাবার খাওয়া বাদ হয়ে যায়? এমন না যে এর কারণে আমরা মারা যাব। আমাদের মনে রাখতে হবে যে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য সবকিছুকেই ছাপিয়ে যায়। ১১. ইফতার এবং সেহরির নিয়ত করা ইফতার এবং সেহরির সময় নিয়ত এর উদ্দ্যেশ্যে মুখ দিয়েদুআউচ্চারণ করা শরীয়ত সম্মত নয়। ইফতার এবং সেহরির যে সকল দুআ আমাদের দেশে প্রতি বছর ইসলামিক ক্যালেন্ডারগুলিতে প্রকাশিত হয় সেগুলো বিদআত। ইফতার অথবা সেহরির জন্য নির্দিষ্ট কোন দুআ সহিহ হাদিস এ নেই। এক্ষেত্রে শুধু মনে মনে নিয়ত করলেই ইনশাআল্লাহ হবে। ১২. রোযা ভাঙতে দেরি করাঃ আমাদের অনেকেই ইফতারের সময় মাগরিবের আযান শেষ হওয়া পর্যন্ত বসে থাকেন, আযান শেষ হলে রোযা ভাঙেন। সূর্য অস্ত যাবার পর আযান দেওয়ার সাথে সাথে রোযা ভাঙা সুন্নাহ সম্মত। আনাস(রাঃ) বলেন,“রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটাই করতেন।(মুসলিম) ১৩. ইফতার বেশি খেতে গিয়ে মাগরিবের নামায জামাআত ধরতে না পারাঃ আমরা অনেকেই ইফতারিতে এত বেশি খাবার নিয়ে বসি যে সেগুলো শেষ করতে গিয়ে মাগরিবের জামাআত ধরতে পারিনা। এটা একেবারেই অনুচিত। রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েক টুকরা খেজুর মুখে দিয়ে ইফতার ভেঙে অতঃপর মাগরিবের নামাজ এর জন্য চলে যেতেন। নামাজ শেষ করে এসে আমরা ফিরে এসে ইচ্ছা করলে আরও কিছু খেতে পারি। ১৪. আমাদের দুআ কবুল হওয়ার সুযোগ ছেড়ে দেওয়াঃ সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির দুআ রোযা ভাঙার সময় আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে থাকে। রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেন,“তিন ধরনের ব্যক্তির দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয়না- ১)একজন পিতার দুয়া, ২)রোযাদার ব্যক্তির দুয়া, ৩)মুসাফিরের নামাজ”।(বায়হাকি) আমরা এই সময়ে দুআ না করে বরং খাবার পরিবেশন,কথাবার্তা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমাদের চিন্তা করা উচিৎ কোনটা আমাদের দরকার- খাবার নাকি দুআ কবুল হওয়া ? ১৫. রোযা রাখা অথচ নামাজ না পরাঃ সিয়াম পালনকারী কোন ব্যক্তি নামাজ না পরলে তার সিয়াম কবুল হয়না। রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেন,“সালাত(নামাজ) হচ্ছে ঈমান এবং কুফর এর পার্থক্যকারী”।(মুসলিম) আসলে শুধু সিয়াম নয়,সালাত(নামাজ) না পরলে কোন ইবাদতই কবুল হয়না। রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেন,“যে আসরের সালাত পরেনা, তার ভাল কাজসমূহ বাতিল হয়ে যায়।”(বুখারি) ১৬. রোযা রাখা অথচ হিজাব না পরা মুসলিম নারীদের জন্য হিজাব না পরা কবীরা গুনাহ। “ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।”(আন-নুরঃ ৩১) “হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।”(আল-আহযাবঃ ৫৯) সুতরাং রোযা রাখা অথচ হিজাব না পরা অবশ্যই সিয়াম পালনের পুরস্কার হতে দূরে সরিয়ে দেয় যদিও এটি সিয়াম ভঙ্গ করেনা। ১৭. পরীক্ষা কিংবা কর্মব্যস্ততার জন্য রোযা না রাখা পরীক্ষা কিংবা কর্মব্যস্ততার কারণে রোযা না রাখা শরীয়ত সম্মত নয়। সকালে পড়ালেখা করতে কষ্ট হলে রাতে করার সময় থাকে। আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার চেয়ে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।পড়ালেখা করার মধ্যে দিয়েও যদি আমরা সঠিকভাবে যদি আমরা রোযা রাখার মত ফরয কাজগুলো করার চেষ্টা করি, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের জন্য তা সহজ করে দিবেন এবং আমাদের সাহায্য করবেন। “......আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন।এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।”(আত-তালাকঃ ২-৩) ১৮. স্বাস্থ্য কমানোর উদ্দ্যেশ্যে রোযা রাখা স্বাস্থ্য কমানোর জন্য রোযা রাখা উচিত নয়। এটি অন্যতম একটি বড় ভুল যা আমরা করে থাকি। সিয়াম পালন করার একমাত্র উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। যদি স্বাস্থ্য কমানোর উদ্দ্যেশ্যে কেউ রোযা রাখে তাহলে তা শিরকের(ছোট শিরক বা শিরকুল আসগার) আকার ধারন করতে পারে। ১৯. তারাবীর নামাযের রাকাআত সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধঃ তারাবীর নামাযের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যক রাকাআত নেই। আট এবং বিশ রাকাআত-এ দুটোই শরীয়ত সম্মত। শেখ ইবনে উথাইমিন বলেন,“এগারো কিংবা তেইশ রাকাআতের কোনটিকে নির্দিষ্ট করে অপরটি বাতিল করা অনুচিত।কারন বিষয়টি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ,সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।” ২০. নির্দিষ্টভাবে শুধু ২৭ রমযানের রাতকে লাইলাতুল ক্বাদর মনে করে ইবাদত করাঃ আমরা অনেকেই কেবল ২৭ রমযান রাতে লাইলাতুল ক্বাদর পাওয়ার জন্য ইবাদত করে থাকি,কিন্তু অন্যান্য বিজোড় রাতগুলিকে প্রাধান্য দেইনা। অথচ রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেন,“রমযানের শেষ দশ রাত্রির বিজোড় রাতগুলিতে লাইলাতুল ক্বাদর তালাশ কর।”(বুখারি ও মুসলিম) ২১. ঈদের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে রমযানের শেষাংশ অবহেলায় পালন করা আমরা অনেকেই ঈদের প্রস্তুতি(নতুন কাপড় কেনা,খাবারের আয়োজন করা,মার্কেটে ঘোরাঘুরি করা)নিতে গিয়ে রমযানের শেষ দশ দিন অবহেলায় পালন করি(ঠিকমত ঈবাদত না করা এবং লাইলাতুল ক্বাদরের তালাশ না করা)। রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)রমযানের শেষ দশ দিন আল্লাহর ইবাদতে খুব বেশি সময় নিমগ্ন থাকতেন,কেনাকাটি করায় ব্যস্ত থাকতেন না। রমযান শুরু হবার আগেই আমাদের কেনাকাটি শেষ করা উচিৎ। আয়শা (রাঃ)হতে বর্ণিত,“যখন রমযানের শেষ দশক শুরু হত রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)লুঙ্গি শক্ত করে বাঁধতেন(অর্থাৎ ইবাদতে ব্যস্ত থাকতেন,স্ত্রীদের সাথে অন্তরঙ্গ হওয়া থেকে বিরত থাকতেন),রাত্রি জাগরণ করতেন এবং তাঁর পরিবারকে জাগিয়ে তুলতেন।”(বুখারী,মুসলিম) ২২. ইফতার পার্টির আয়োজন করা যদিও অপরকে ইফতারি করানোতে সওয়াব আছে এবং এ কাজে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে, তথাপি আমাদের অনেকেই মুখরোচক ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকেন,যেখানে হিজাববিহীন নারীদের আগমন থেকে শুরু করে অশ্লীল নাচ-গান, নারীপুরুষের অবাধ মেলামেশা,তারাবিহ এর নামাজ ছেঁড়ে দেওয়া- এ সবই হয়ে থাকে যেগুলো সম্পূর্ণভাবে ইসলামে নিষিদ্ধ। QuranerAlo.com - কুরআনের আলো ইসলামিক ওয়েবসাইট
  5. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ মাহে রমজানে সিয়াম সাধনায় পার্থিব জীবনযাপনের নিত্যতা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এক অমোঘ মূল্যবোধ জাগ্রত হয়। ধন-সম্পদের প্রাচুর্যে ভরা আরাম-আয়েশ-উল্লাস ঐশ্বর্যময় জীবনযাপনে চিরন্তন শান্তি নেই। ভোগে নয়, ত্যাগেই মুক্তি। এই উপলব্ধিরও বিকল্প নেই যে, কৃচ্ছ সাধনের মধ্যে রয়েছে স্থায়ী পরিতৃপ্তি ও কল্যাণের নিশ্চয়তা। কোরআনুল কারীমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন- 'তোমাদের কাছে যা আছে তা নিঃশেষ হবে এবং আল্লাহর কাছে যা আছে তা স্থায়ী। যারা ধৈর্যধারণ করে আমি নিশ্চয়ই তাদেরকে, তারা যা করে তা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব। মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকর্ম সম্পাদন করবে, তাকে আমি নিশ্চয়ই আনন্দময় জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব' (সূরা আন নাহল। আয়াত ৯৬-৯৭) 'তোমাদের কাছে যা আছে' তাফসিরকারকদের মতে, এর মধ্যে পার্থিব ধনসম্পদ অন্তর্ভুক্ত তো আছেই, এ ছাড়া দুনিয়াতে মানুষ আনন্দ-বিষাদ, সুখ-দুঃখ, সুস্থতা-অসুস্থতা, লাভ-লোকসান, বন্ধুত্ব-শত্রুতা ইত্যাদি যেসব অবস্থার সম্মুখীন হয়, সবই এর মধ্যে পড়ে। বাস্তবিক বিচারে এগুলো সবই ক্ষণস্থায়ী কিন্তু এসব অবস্থা ও ব্যাপারের প্রতিক্রিয়া, যার কারণে শেষ বিচারের দিনে সওয়াব কিংবা শাস্তি সাব্যস্ত হবে তা হিসাবে সংরক্ষিত থাকবে। সুতরাং পার্থিব ধনসম্পদ এবং এসব ধ্বংসশীল ও অস্থায়ী অবস্থা ও কাজ-কারবারে মগ্ন থাকা এবং জীবন ও জীবনের কর্মক্ষমতা এ ব্যাপারে নিয়োজিত করা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। যে সম্পদ ও বিষয়াবলী ক্ষণস্থায়ী এবং যার স্থায়িত্বের ও ভূমিকার ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ নেই বা থাকবে না তা অর্জনে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের দ্বারা পাপাচারে লিপ্ত হওয়া এবং ফলশ্রুতিতে ইহ ও পরকালে শাস্তি ভোগের সম্মুখীন হওয়ার মধ্যে যুক্তি নেই। জাগতিক সুনাম কিংবা সন্তান-সন্ততির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে অনেকে অন্ধভাবে সম্পদ অর্জনে আত্মহারা হয়ে যায়। ক্ষণস্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা বিধানে নিজের সক্ষমতায় সীমাবদ্ধতা থাকায় এবং নিজের অবর্তমানে সন্তান-সন্ততি কিভাবে এই সহায় সম্পত্তি ভোগ করবে সে ব্যাপারেও নিজের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অন্ধভাবে সম্পদ অর্জনে নিজের আত্মাকে কলুষিত করার বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বনের তাগিদ রয়েছে এ আয়াতে। পরবর্তী আয়াতে আনন্দময় জীবন বা 'হায়াতে তাইয়্যেবা' বলতে দুনিয়ার পবিত্র ও আনন্দময় জীবন বোঝানো হয়েছে। এই পবিত্র ও আনন্দময় জীবনের অর্থ আবার এই নয় যে, সে জীবনে মুমিন ব্যক্তি কখনো অনাহার, উপবাস ও অসুখ-বিসুখের বিপদাপদের সম্মুখীন হবে না। ব্যাখ্যা এই যে, মুমিন ব্যক্তি কোনো সময় আর্থিক অভাব-অনটন কিংবা কষ্টের সম্মুখীন হলেও দুটি বিষয় তাকে উদ্বিগ্ন হতে দেয় না ১. অল্পতুষ্টি এবং অনাড়ম্বর জীবনযাপনের অভ্যাস, যা দারিদ্র্যের মধ্যেও কেটে যায়, ২. এটি এ বিশ্বাসে যে, এ অভাব-অনটন ও অসুস্থতা, দুর্বিপাক ও দুর্ঘটনার বিষয়গুলো ক্ষণস্থায়ী এবং এর বিনিময়ে পরকালে সুমহান ও চিরস্থায়ী নিয়ামত পাওয়া যাবে। দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন কাফের ও পাপাচারির অবস্থা এর বিপরীত। সে অভাব-অনটন, অসুস্থতা ও বিপদাপদের সম্মুখীন হলে তার জন্য সান্ত্বনার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে সে অতিশয় উদ্বিগ্ন হয়ে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রায়শ আত্মহত্যা করে। পক্ষান্তরে সে যদি সচ্ছল জীবনের অধিকারী হয় তবে লোভের আতিশয্য তাকে শান্তিতে থাকতে দেয় না। সে লাখোপতি হয়ে গেলে কোটিপতি হওয়ার চিন্তায় জীবনকে বিড়ম্বনাময় করে তোলে। http://www.bd-pratidin.com/?view=details&type=single&pub_no=808&cat_id=1&menu_id=1&news_type_id=1&index=10
  6. “The Heart, in its journey to Allah (swt) is like that of a bird: Love is its head, and fear and hope are its two wings. When the head and two wings are sound the bird flies gracefully; if the head is severed, the bird dies; if the bird loses one of its wings, it then becomes a target for every hunter or predator.”* - Ibn Al-Quayyim
  7. "If you intend to speak a vain word, replace it with a tasbeeh." - Abdullah Ibn Mubarak (May Allah have mercy on him)
  8. খোশ আমদেদ মাহে রমাদ্বান Welcome THE MONTH OF RAMADAAN মূলঃ খুররম মুরাদ অনুবাদঃ শেখ জেবুল আমিন দুলাল বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আরেকবার আমাদের উপর রহমতের ছায়া বিস্তার করার জন্য রমাদ্বানের মোবারক মাস এগিয়ে আসছে। আল্লাহ্ তা‘আলার বরকত ও করুণাধারায় আমাদের জীবনগুলোকে সিক্ত করতে পবিত্র মাহে রমাদ্বান ফিরে আসছে পুনরায়। যেখানে স্বয়ং নবী করীম (সাঃ) এ মাসটিকে ‘শাহরুন আজীম’ এবং ‘শাহরুম মোবারাকাহ্’ নামে আখ্যায়িত করেছেন, সেই পবিত্র মাসের মহত্ব এবং বরকত সম্পর্কে আমাদের আর কি ই বা বলার থাকতেপারে? অর্থাৎ এ মাসটি হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মহান মাস, বরকতের মাস। আমাদের বিবরণ এ মাসের মহত্বকে ছুঁতেও পারবেনা, আমাদের ভাষা এর বরকত বর্ণনা করে শেষও করতে পারবেনা। এই মাসটি কেন এতো মহান? মাসেরই আঁচলে এমন একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও মহামুল্যবান রাত্রি লুকায়িত আছে, হাজার মাসে যাকিছু দেয়া হয় সেই একটি রাতে তার চেয়েও বেশী বরকত ও কল্যাণের ভান্ডার লুটিয়ে দেয়া হয়ে থাকে। সেই মোবারক মাসেই আমাদের মহান প্রতিপালক আমাদের জন্য তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত আমাদের উপর নাযিল করেছেন। এরশাদ হচ্ছেঃ إِنَّاأَنزَلْنَاهُفِيلَيْلَةٍمُّبَارَكَةٍإِنَّاكُنَّامُنذِرِينَ অর্থাৎ ‘আমরা সুস্পষ্ট ঐ কিতাবকে বরকতের রাতে নাযিল করেছি’ (সূরা দোখানঃ৪৪:৩)। এই কিতাবটা হচ্ছে رَحْمَةًمِّنرَّبِّكَ‘তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে রহমত’ (সূরা দোখানঃ৪৪:৬)। প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে এমাসের প্রতিটি দিবস পবিত্র, প্রতিটি রাত বরকতপূর্ণ। এর প্রতিটি দিনে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে অগণিত বান্দাহ্ প্রভূর আনুগত্য ও সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা এবং বৈধ আকাঙ্খা পরিত্যাগ করে স্বাক্ষ্য দেয় যে, শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলাই তাদের প্রভূ এবং একমাত্র তিনিই তাদের চাওয়া-পাওয়ার মূল লক্ষ্যবস্তু। জীবনের প্রকৃত ক্ষুধা ও পিপাসা হচ্ছে তাঁর আনুগত্য এবং ইবাদাত করা, একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টির মধ্যে নিহিত রয়েছে অন্তরের প্রশান্তি আর শিরা-উপশিরার প্রবাহ। আর যখন রাতের অন্ধকার নেমে আসে, তখন অসংখ্য বান্দাহ্ আল্লাহ্ তা‘আলার সামনে ক্কিয়াম, তাঁর সাথে কথা বলা এবং তাঁর যিকিরের স্বাদ ও বরকত সংগ্রহ করে করে ধন্য হতে থাকে, আর এভাবে তাদের অন্তরগুলো উজ্জল প্রদীপের ন্যায় রাতের আকাশে তারার মতো চমকাতে থাকে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ তা‘আলা কথাটা এভাবে বলছেনঃ اللَّهُنُورُالسَّمَاوَاتِوَالْأَرْضِمَثَلُنُورِهِكَمِشْكَاةٍفِيهَامِصْبَاحٌالْمِصْبَاحُفِيزُجَاجَةٍالزُّجَاجَةُكَأَنَّهَاكَوْكَبٌدُرِّيٌّيُوقَدُمِنشَجَرَةٍمُّبَارَكَةٍزَيْتُونِةٍلَّاشَرْقِيَّةٍوَلَاغَرْبِيَّةٍيَكَادُزَيْتُهَايُضِيءُوَلَوْلَمْتَمْسَسْهُنَارٌنُّورٌعَلَىنُورٍيَهْدِياللَّهُلِنُورِهِمَنيَشَاءوَيَضْرِبُاللَّهُالْأَمْثَالَلِلنَّاسِوَاللَّهُبِكُلِّشَيْءٍعَلِيمٌ۝فِيبُيُوتٍأَذِنَاللَّهُأَنتُرْفَعَوَيُذْكَرَفِيهَااسْمُهُيُسَبِّحُلَهُفِيهَابِالْغُدُوِّوَالْآصَالِ۝رِجَالٌلَّاتُلْهِيهِمْتِجَارَةٌوَلَابَيْعٌعَنذِكْرِاللَّهِوَإِقَامِالصَّلَاةِوَإِيتَاءالزَّكَاةِيَخَافُونَيَوْمًاتَتَقَلَّبُفِيهِالْقُلُوبُوَالْأَبْصَارُ۝ অর্থাৎ ‘আল্লাহ্ আকাশমন্ডল ও যমীনের নুর, তাঁর নুর-এর দৃষ্টন্ত হচ্ছে এরূপ, যেমন একটি তাকের উপর প্রদীপ রাখা হয়েছে, প্রদীপ রয়েছে একটি ফানুসের মধ্যে। ফানুসের অবস্থা হচ্ছে মোতির মতো ঝকমক করা তারকা। আর সেই প্রদীপ যাইতুনের এমন এক বরকতপূর্ণ গাছের তেল দ্বারা উজ্জল করা হয়, তা পূর্বের ও নয়, পশ্চিমের ও নয়। যে তেল আপনা আপনিই উথলে পড়ে, আগুন যদি না ও লাগে। (এইভাবে) আলোর উপর আলো (বৃদ্ধি পাওয়ার সব উপাদান একত্রিত)। আল্লাহ্ তাঁর নুরের দিকে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। তিনি লোকদেরকে উদাহরণ দিয়ে কথা বুঝিয়ে থাকেন। তিনি সর্ব বিষয়ে ভালোভাবে ওয়াকিফহাল। (তাঁর নুরের দিকে হেদায়েতপ্রাপ্ত লোক) সে সব ঘরে পাওয়া যায় যেগুলোকে উচ্চ-উন্নত করার এবং যার মধ্যে আল্লাহকে স্মরণ করার তিনি অনুমতি দিয়েছেন। তাতে এ সব লোক সকাল-সন্ধ্যা তাঁর তসবীহ্ করে, যাদের ব্যবসা ও কেনা-বেচা আল্লাহর স্মরণ, সালাত কায়েম ও যাকাত আদায় করা থেকে গাফিল করে দেয়না, তারা সেই দিনকে ভয় করতে থাকে যেদিন দিল উল্টে যাওয়ার এবং চক্ষুদ্বয় পাথর হয়ে যাওয়ার অবস্থা দেখা দিবে। (সূরা আন্ নুরঃ ২৪৩৫-৩৭)।’ এই মাসের প্রতিটি মুহূর্তের মধ্যে এতো বেশী বরকত লুকায়িত আছে যে, এ মাসে করা নফল কাজগুলো ফরজ কাজের মর্যাদা পায়, আর ফরজ কাজগুলো সত্তর গুণ অধিক মর্যাদা পায় (বায়হাকীঃ সালমান ফারসী রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহু)। ‘রমাদ্বানের মোবারক মাস এলে আকাশের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়, সৎ পথে চলা সকলের জন্য সহজ এবং উম্মুক্ত হয়ে যায়, শয়তানকে শিকলে আবদ্ধ করা হয়। অন্যায় ও অসৎ তৎপরতা বিস্তারের সুযোগ অপেক্ষাকৃত কমতে থাকে’ (বুখারী, মুসলিমঃ আবু হোরায়রা রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহু)। ‘অতঃএব যে ব্যক্তি রমাদ্বানের সম্পূর্ণ রোযা রাখবে, তার সকল গুনাহ্ মাফ করে দেয়া হবে। ‘লাইলাতুল ক্কদর’-এ যে ব্যক্তিগণ ক্কিয়াম করে রাত কাটিয়ে দিবে, তাদেরকেও ক্ষমা করে দেয়া হবে শুধুমাত্র এই শর্তে যে, আল্লাহ্ তা‘আলার সকল বাণী আর ওয়াদাকে তারা সত্য মনে করবে, বান্দাহ্ হিসেবে নিজের সকল দায়িত্ব বিশ্বস্ততার সাথে পালন করবে এবং সর্বদা সতর্কতার সাথে আত্মসমালোচনার কথাও মনে রাখবে’ (মুসলিম: আবু হোরায়রা রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহু)। আপনার অংশ এ মাস নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আত্মমর্যাদা ও বরকতের মাস। গতানুগতিকতার স্বাভাবিক প্রবাহে যারা এ মাসটিকে পেয়েছে, এর মর্যাদা ও বরকত তাদের জন্য নয়। বৃষ্টি নামলে বিভিন্ন নদী, পুকুর, ডোবা, নিজ নিজ প্রশস্ততা ও গভীরতা অনুযায়ী বৃষ্টির পানি ধারণ করে। ভূখন্ডের বিভিন্ন অংশ নিজের ঊর্বরতা অনুসারে ফসল উৎপাদন করে, অথচ বৃষ্টির পানি ভূখন্ডের সকল অংশে সমানভাবে বর্ষিত হয়। একটি বড় প্রশস্ত পুকুর যে পরিমান পানি ধারণ করতে পারবে, একটি ছোট কলসীতে সে পরিমান পানি ধারণ করানো সম্ভব নয়। এমনিভাবে যদি বিস্তীর্ণ মরুভূমি বা অনুর্বর জমিতে বৃষ্টির পানি পড়ে, তা তো শুধু প্রবাহিত হয়েই চলে যায়, ভূমি তা থেকে উপকৃত হতে পারেনা। কিন্তু ঊর্বর জমিতে বৃষ্টির পানি পড়লেই ফসল জীবন্ত হয়ে উঠে। ঠিক একই অবস্থা মানুষেরও। রমাদ্বানুল মোবারকের ঐ অফুরন্ত সম্পদ থেকে আপনি কি কিছু পেতে চান? ঊর্বর ভূমির মতো আপনার মনটাকে নরম করুন, নিজের অন্তরে ঈমানের বীজ বপন করুন, নিজের যোগ্যতা ও ধারণ ক্ষমতা থাকলে বীজ অঙ্কুরিত হবে, সম্পূর্ণ বৃক্ষ হবে, আর বৃক্ষ সৎ কাজের পত্ররাজী, ফুল ও ফলে সুশোভিত হয়ে উঠবে। অতঃপর আপনারা সাফল্যের ফসল কেটে ঘরে উঠাবেন। কৃষকের মত আপনি শ্রম দেবেন, কাজ করবেন, প্রতিদানে জান্নাতের পুরষ্কারসমূহের ফসল আপনার জন্য প্রস্তুত হতে থাকবে। যত বেশী শ্রম দেবেন, তত বেশী ফসল পাবেন। পক্ষান্তরে যদি আপনাদের মন পাথরের মতো শক্ত হয় এবং আপনারা অসতর্ক কৃষকের মতো শুয়ে-বসে দিন কাটান, তাহলে রোযা, তারাওয়ী, ক্কিয়াম ও তিলাওয়াতের বিনিময়ে পাওয়া রহমত ও বরকতের সমস্ত পানি বয়ে চলে যাবে অথচ আপনার তহবিলে কিছুই আসবেনা। প্রকৃত অর্থে আল্লাহর দেয়া সুযোগ ছাড়া সত্যিই কিছু পাওয়া যায়না, আর যারা চেষ্টা-সাধনা এবং পরিশ্রম করে, এই ‘আল্লাহর দেয়া সুযোগ’ শুধু তাদেরই হস্তগত হয়। দেখুন, এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেন? ‘আপনি তাঁর দিকে এক হাত অগ্রসর হলে আল্লাহ্ আপনার দিকে দু’হাত অগ্রসর হবেন। আপনি তাঁর দিকে হেঁটে অগ্রসর হলে আল্লাহ্ আপনার দিকে দৌড়ে অগ্রসর হবেন’ (মুসলিম: আবু জর্দ রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহু)। কিন্তু পিছন দিকে ফিরে, অসচেতন বা বেপরওয়াভাবে আপনি যদি দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে বলুন, কিভাবে আপনাকে আল্লাহ্ সুযোগ সৃষ্টি করে দিবেন? পুরো রমাদ্বান মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাবে, আর আপনার তহবিল শূন্যই থেকে যাবে, এমন দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি কেউ সৃষ্টি করবেননা। কিছু করার জন্য ও নিজের ভাগের রহমত লুটে নেয়ার জন্য কোমর কষে নিন এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই সতর্কবাণীটিকে ভালোভাবে স্মরণ রাখুন; ‘অনেক রোযাদার এমন আছে, যারা নিজেদের রোযা থেকে ক্ষুৎ-পিপাসার কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পায়না, অনেকে রাতের নামাজ আদায় করে থাকে, কিন্তু তাদের এ নামাজ রাত্রি জাগরণ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনা’ (দারামীঃ আবু হোরায়রা রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহু)। নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাদ্বানের আগমনের পূর্বে নিজের সাথীদেরকে উদ্দেশ্য করে এই মাসের মহত্ব ও বরকত সম্পর্কে আলোচনা করতেন এবং এই মাসের বরকতের ভান্ডার থেকে নিজেদের হিসসা (অংশ) পুরোপুরি সংগ্রহ করার জন্য ব্যাপক পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার তাগিদ করতেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজকে আমিও একই বিষয়বস্তুর উপর আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। অর্থাৎ, রমাদ্বান মাসের মহত্ব ও বরকতের গূঢ় রহস্য কি? এ মাস থেকে পরিপূর্ণ কল্যাণ লাভের জন্য কি পরিমাণ সতর্কতা ও প্রস্তুতি প্রয়োজন, কোন্ কাজগুলোর প্রতি অগ্রাধিকার দিতে হবে, লক্ষ্যপানে পৌঁছানোর জন্য কোন্ পথে চলতে হবে এবং ভ্রান্ত পথ কোনটা তা চিহ্নিত করতে হবে। visit link to read the full article http://www.nirmanmag...ition (নির্মাণ)
  9. রবিবার, ২২ জুলাই ২০১২ মানবজমিন ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনায় রয়েছে অনেক আশ্চর্য রকমের উপকারিতা। যথাযথ নিয়মে রোজা পালন করলে শারীরিক ও মানসিকভাবে মেলে নানা উপকার। রোজায় তিনটি খেজুর : ইফতারের শুরুতে তিনটি খেজুর খাওয়া সুন্নত। ধর্মীয় কারণে খাওয়া হলেও খেজুর পুষ্টি উপাদানে বেশ সমৃদ্ধ। রমজানে শরীরের হারানো শক্তি ফিরে পেতে খেজুর আদর্শ ফল। আদর্শ খাদ্য তালিকায় একজনের জন্য নির্ধারিত খেজুরে পাওয়া যায় ৩১ গ্রাম শর্করা। একই সঙ্গে খেজুরে রয়েছে আঁশ-জাতীয় পুষ্টি উপাদান। ফলে পুরো রমজান মাসজুড়ে আপনার হজম-প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে ও আরও সবল হবে। এখানেই শেষ নয়। খেজুরে রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি। বদভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন: যে কোন বদভ্যাস ত্যাগের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় রমজান মাস। যেহেতু দিনের বেলা রোজা রাখা হয়, তাই ধূমপান বা এ জাতীয় কোন বদভ্যাস ত্যাগ করা তুলনামূলকভাবে বেশ সহজ। অনেকেরই মিষ্টির প্রতি রয়েছে অতিমাত্রায় আসক্তি। তাদের বেলাতেও এ কথা প্রযোজ্য। বৃটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের বক্তব্য অনুযায়ী, ধূমপান ত্যাগের সবচেয়ে আদর্শ মাস হচ্ছে রমজান। কারণ দীর্ঘ সময় ধূমপান না করার ফলে শরীর ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হতে শুরু করে। ভাল অভ্যাসগুলো রপ্ত করে নেয়। ধূমপানের প্রতি তীব্র নেশাও ধীরে ধীরে কমে আসে। আর যদি বন্ধু-বান্ধবরা দলবেঁধে কাজটি করতে পারেন, তা আরও সহজ হবে। কারণ সেক্ষেত্রে একে অন্যকে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন। বেশিমাত্রায় পুষ্টিকর উপাদান গ্রহণ করুন: সারাদিন অভুক্ত থাকার ফলে আপনার বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আসে। আরও দক্ষভাবে কাজ করতে শুরু করে পাকস্থলি। সবল হয় হজমযন্ত্র। অর্থাৎ সারা দিন পর আপনি যখন ইফতার খেতে বসেন, তখন আপনার শরীর পুষ্টিকর উপাদানগুলোকে খুব সহজেই গ্রহণ করে। রোজা রাখার ফলে শরীরে অ্যাডিপোনেকটিন নামক হরমোন বৃদ্ধি পায়, যা আপনার মাংসপেশীগুলোকে খাবার থেকে আরও বেশি পুষ্টিকর উপাদান শোষণে সক্ষম করে তোলে। http://www.mzamin.com/details.php?nid=MTQ3MzE=&ty=MA==&s=MjE=&c=MQ
  10. প্র: ঔষধ খেয়ে মাসিক বন্ধ করলে রোজা রাখা যাবে কি ? স্বাভাবিকভাবেই হোক বা কৃত্রিম উপায়েই হোক, ঋতুস্রাব বন্ধ থাকলে সংশ্লিষ্ট মহিলাকে রোজা রাখতে হবে। তবে আল্লাহপাক যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেননি, নিজের পক্ষ থেকে তা গ্রহণ করলে অতিরিক্ত ফজিলত লাভ করা যাবে কিনা, তা বলা মুশকিল। স্মরণ রাখতে হবে যে, বরকত এবং ফজিলতপূর্ণ এবাদত সেটুকুই, যা পবিত্র কুরআন বা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নায় উল্লেখিত হয়েছে। http://www.mashikmadina.com.bd/qa.php
  11. Al-Hasan Al-Basree said: “The world is a vehicle for you. If you drive it, it will deliver you to your destination. If it drives you, you will be destroyed”
  12. "Beware of every hour and how it passes, and only spend it in the best possible way, do not neglect yourself, but render it accustomed to the noblest and best of actions, and send to your grave that which will please you when you arrive to it." [imam Ibn Al-Jawzee]
  13. উচুমনা ব্যক্তিঃ ৪২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কেয়ামতের দিন মহান ও পরাক্রমশালী প্রতিপালক বলবেন, “আজ শীঘ্রই হাশরের ময়দানে সমবেতগণ জানতে পারবে কে উচুমনা।†বলা হল, “হে আল্লাহ্‌র রাসূল! কে সে উচুমনা ব্যক্তি?†তিনি বললেন, “মসজিদ সমূহে আল্লাহর যিকিরের মজলিসে অংশগ্রহণকারীগণ।†এ হাদীসটি আহমদ ও আবূ ইয়ালা আবূ সাঈদ (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
  14. বর্তমানের চেয়ে পরবর্তী দিনটি খারাপ হবে عَنْ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ قَالَ أَتَيْنَا أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ مَا نَلْقَى مِنْ الْحَجَّاجِ فَقَالَ اصْبِرُوا فَإِنَّهُ لَا يَأْتِي عَلَيْكُمْ زَمَانٌ إِلَّا الَّذِي بَعْدَهُ شَرٌّ مِنْهُ حَتَّى تَلْقَوْا رَبَّكُمْ سَمِعْتُهُ مِنْ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [رواه البخاري: كبات الفتن, رقم الحديث من الشاملة (6541)] যুবাইর বিন ‘আদী (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমরা আনাস বিন মালেক (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর নিকট এসে হাজীদের থেকে আমরা যে কষ্ট পাই সে ব্যাপারে আমরা অভিযোগ করলাম। তখন তিনি বললেন: ধৈর্য ধর, তোমাদের সামনে এমন এক সময় আসবে যার বর্তমান দিনের চেয়ে পরবর্তী দিনটি খারাপ হবে, আর এ অবস্থায়ই তোমরা আল্লাহর সাথে মিলিত হবে। আমি এ কথাটি তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট থেকে শুনেছি। [বুখারী: কিতাবুল ফিতান, বাব লাইয়াতি যামান ইল্লা আল্লাযী বা'দাহু সারুন মিনহু, মাকতাবাতুস শামেলাহ্ থেকে হাদীস নং- 6541] http://www.ourholyquran.com/index.php?option=com_content&view=article&id=682:2009-08-21-11
  15. । وَقَالُواْ كُونُواْ هُودًا أَوْ نَصَارَى تَهْتَدُواْ قُلْ بَلْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ 135 তারা বলে, তোমরা ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান হয়ে যাও, তবেই সুপথ পাবে। আপনি বলুন, কখনই নয়; বরং আমরা ইব্রাহীমের ধর্মে আছি যাতে বক্রতা নেই। সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ 136 তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী। فَإِنْ آمَنُواْ بِمِثْلِ مَا آمَنتُم بِهِ فَقَدِ اهْتَدَواْ وَّإِن تَوَلَّوْاْ فَإِنَّمَا هُمْ فِي شِقَاقٍ فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ 137 অতএব তারা যদি ঈমান আনে, তোমাদের ঈমান আনার মত, তবে তারা সুপথ পাবে। আর যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তারাই হঠকারিতায় রয়েছে। সুতরাং এখন তাদের জন্যে আপনার পক্ষ থেকে আল্লাহই যথেষ্ট। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। صِبْغَةَ اللّهِ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللّهِ صِبْغَةً وَنَحْنُ لَهُ عَابِدونَ 138 আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে?আমরা তাঁরই এবাদত করি। قُلْ أَتُحَآجُّونَنَا فِي اللّهِ وَهُوَ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ وَلَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُخْلِصُونَ 139 আপনি বলে দিন, তোমরা কি আমাদের সাথে আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করছ? অথচ তিনিই আমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের ও পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। এবং আমরা তাঁরই প্রতি একনিষ্ঠ। أَمْ تَقُولُونَ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَـقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطَ كَانُواْ هُودًا أَوْ نَصَارَى قُلْ أَأَنتُمْ أَعْلَمُ أَمِ اللّهُ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن كَتَمَ شَهَادَةً عِندَهُ مِنَ اللّهِ وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ 140 অথবা তোমরা কি বলছ যে, নিশ্চয়ই ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব (আঃ) ও তাদের সন্তানগন ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান ছিলেন? আপনি বলে দিন, তোমরা বেশী জান, না আল্লাহ বেশী জানেন? تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُم مَّا كَسَبْتُمْ وَلاَ تُسْأَلُونَ عَمَّا كَانُواْ يَعْمَلُونَ 141 তার চাইতে অত্যাচারী কে, যে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে প্রমাণিত সাক্ষ্যকে গোপন করে? আল্লাহ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে বেখবর নন। সে সম্প্রদায় অতীত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদের জন্যে এবং তোমরা যা করছ, তা তোমাদের জন্যে। তাদের কর্ম সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞেস করা হবে না। سَيَقُولُ السُّفَهَاء مِنَ النَّاسِ مَا وَلاَّهُمْ عَن قِبْلَتِهِمُ الَّتِي كَانُواْ عَلَيْهَا قُل لِّلّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ يَهْدِي مَن يَشَاء إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ 142 এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান। وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِّتَكُونُواْ شُهَدَاء عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا وَمَا جَعَلْنَا الْقِبْلَةَ الَّتِي كُنتَ عَلَيْهَا إِلاَّ لِنَعْلَمَ مَن يَتَّبِعُ الرَّسُولَ مِمَّن يَنقَلِبُ عَلَى عَقِبَيْهِ وَإِن كَانَتْ لَكَبِيرَةً إِلاَّ عَلَى الَّذِينَ هَدَى اللّهُ وَمَا كَانَ اللّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ إِنَّ اللّهَ بِالنَّاسِ لَرَؤُوفٌ رَّحِيمٌ 143 এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলীর জন্যে এবং যাতে রসূল সাক্ষ্যদাতা হন তোমাদের জন্য। আপনি যে কেবলার উপর ছিলেন, তাকে আমি এজন্যই কেবলা করেছিলাম, যাতে একথা প্রতীয়মান হয় যে, কে রসূলের অনুসারী থাকে আর কে পিঠটান দেয়। নিশ্চিতই এটা কঠোরতর বিষয়, কিন্তু তাদের জন্যে নয়, যাদেরকে আল্লাহ পথপ্রদর্শন করেছেন। আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান নষ্ট করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ, মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, করুনাময়। قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاء فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّواْ وُجُوِهَكُمْ شَطْرَهُ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوْتُواْ الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ 144 নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। وَلَئِنْ أَتَيْتَ الَّذِينَ أُوْتُواْ الْكِتَابَ بِكُلِّ آيَةٍ مَّا تَبِعُواْ قِبْلَتَكَ وَمَا أَنتَ بِتَابِعٍ قِبْلَتَهُمْ وَمَا بَعْضُهُم بِتَابِعٍ قِبْلَةَ بَعْضٍ وَلَئِنِ اتَّبَعْتَ أَهْوَاءهُم مِّن بَعْدِ مَا جَاءكَ مِنَ الْعِلْمِ إِنَّكَ إِذَاً لَّمِنَ الظَّالِمِينَ 145 যদি আপনি আহলে কিতাবদের কাছে সমুদয় নিদর্শন উপস্থাপন করেন, তবুও তারা আপনার কেবলা মেনে নেবে না এবং আপনিও তাদের কেবলা মানেন না। তারাও একে অন্যের কেবলা মানে না। যদি আপনি তাদের বাসনার অনুসরণ করেন, সে জ্ঞানলাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে নিশ্চয় আপনি অবিচারকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
  16. إِذْ قَالَ لَهُ رَبُّهُ أَسْلِمْ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ 131 স্মরণ কর, যখন তাকে তার পালনকর্তা বললেনঃ অনুগত হও। সে বললঃ আমি বিশ্বপালকের অনুগত হলাম। وَوَصَّى بِهَا إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَا بَنِيَّ إِنَّ اللّهَ اصْطَفَى لَكُمُ الدِّينَ فَلاَ تَمُوتُنَّ إَلاَّ وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ 132 এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না। أَمْ كُنتُمْ شُهَدَاء إِذْ حَضَرَ يَعْقُوبَ الْمَوْتُ إِذْ قَالَ لِبَنِيهِ مَا تَعْبُدُونَ مِن بَعْدِي قَالُواْ نَعْبُدُ إِلَـهَكَ وَإِلَـهَ آبَائِكَ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ إِلَـهًا وَاحِدًا وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ 133 তোমরা কি উপস্থিত ছিলে, যখন ইয়াকুবের মৃত্যু নিকটবর্তী হয়? যখন সে সন্তানদের বললঃ আমার পর তোমরা কার এবাদত করবে? তারা বললো, আমরা তোমার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের এবাদত করব। তিনি একক উপাস্য। تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُم مَّا كَسَبْتُمْ وَلاَ تُسْأَلُونَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ 134 আমরা সবাই তাঁর আজ্ঞাবহ। তারা ছিল এক সম্প্রদায়-যারা গত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদেরই জন্যে। তারা কি করত, সে সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না।
  17. وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَاهِيمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ وَإِسْمَاعِيلُ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ 127 স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল কা’বাগৃহের ভিত্তি স্থাপন করছিল। তারা দোয়া করেছিলঃ পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ। رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَآ إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ 128 পরওয়ারদেগার! আমাদের উভয়কে তোমার আজ্ঞাবহ কর এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত দল সৃষ্টি কর, আমাদের হজ্বের রীতিনীতি বলে দাও এবং আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী। দয়ালু। رَبَّنَا وَابْعَثْ فِيهِمْ رَسُولاً مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيهِمْ إِنَّكَ أَنتَ العَزِيزُ الحَكِيمُ 129 হে পরওয়ারদেগার! তাদের মধ্যে থেকেই তাদের নিকট একজন পয়গম্বর প্রেরণ করুণ যিনি তাদের কাছে তোমার আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করবেন, তাদেরকে কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দিবেন। এবং তাদের পবিত্র করবেন। নিশ্চয় তুমিই পরাক্রমশালী হেকমতওয়ালা। وَمَن يَرْغَبُ عَن مِّلَّةِ إِبْرَاهِيمَ إِلاَّ مَن سَفِهَ نَفْسَهُ وَلَقَدِ اصْطَفَيْنَاهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ 130 ইব্রাহীমের ধর্ম থেকে কে মুখ ফেরায়? কিন্তু সে ব্যক্তি, যে নিজেকে বোকা প্রতিপন্ন করে। নিশ্চয়ই আমি তাকে পৃথিবীতে মনোনীত করেছি এবং সে পরকালে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।
  18. الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَتْلُونَهُ حَقَّ تِلاَوَتِهِ أُوْلَـئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَمن يَكْفُرْ بِهِ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ 121 আমি যাদেরকে গ্রন্থ দান করেছি, তারা তা যথাযথভাবে পাঠ করে। তারাই তৎপ্রতি বিশ্বাস করে। আর যারা তা অবিশ্বাস করে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اذْكُرُواْ نِعْمَتِيَ الَّتِي أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَنِّي فَضَّلْتُكُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ 122 হে বনী-ইসরাঈল! আমার অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যা আমি তোমাদের দিয়েছি। আমি তোমাদেরকে বিশ্বাবাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। وَاتَّقُواْ يَوْماً لاَّ تَجْزِي نَفْسٌ عَن نَّفْسٍ شَيْئاً وَلاَ يُقْبَلُ مِنْهَا عَدْلٌ وَلاَ تَنفَعُهَا شَفَاعَةٌ وَلاَ هُمْ يُنصَرُونَ 123 তোমরা ভয় কর সেদিনকে, যে দিন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি বিন্দুমাত্র উপকৃত হবে না, কারও কাছ থেকে বিনিময় গৃহীত হবে না, কার ও সুপারিশ ফলপ্রদ হবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্ত ও হবে না। وَإِذِ ابْتَلَى إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًا قَالَ وَمِن ذُرِّيَّتِي قَالَ لاَ يَنَالُ عَهْدِي الظَّالِمِينَ 124 যখন ইব্রাহীমকে তাঁর পালনকর্তা কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করে দিলেন, তখন পালনকর্তা বললেন, আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা করব। তিনি বললেন, আমার বংশধর থেকেও! তিনি বললেন আমার অঙ্গীকার অত্যাচারীদের পর্যন্ত পৌঁছাবে না। وَإِذْ جَعَلْنَا الْبَيْتَ مَثَابَةً لِّلنَّاسِ وَأَمْناً وَاتَّخِذُواْ مِن مَّقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى وَعَهِدْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ 125 যখন আমি কা’বা গৃহকে মানুষের জন্যে সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকে নামাযের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ। وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَـَذَا بَلَدًا آمِنًا وَارْزُقْ أَهْلَهُ مِنَ الثَّمَرَاتِ مَنْ آمَنَ مِنْهُم بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ قَالَ وَمَن كَفَرَ فَأُمَتِّعُهُ قَلِيلاً ثُمَّ أَضْطَرُّهُ إِلَى عَذَابِ النَّارِ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ 126 যখন ইব্রাহীম বললেন, পরওয়ারদেগার! এ স্থানকে তুমি শান্তিধান কর এবং এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা অল্লাহ ও কিয়ামতে বিশ্বাস করে, তাদেরকে ফলের দ্বারা রিযিক দান কর। বললেনঃ যারা অবিশ্বাস করে, আমি তাদেরও কিছুদিন ফায়দা ভোগ করার সুযোগ দেব, অতঃপর তাদেরকে বলপ্রয়োগে দোযখের আযাবে ঠেলে দেবো; সেটা নিকৃষ্ট বাসস্থান।
  19. O you who believe! Observing As-Saum (the fasting) is prescribed for you as it was prescribed for those before you, that you may become Al-Muttaqoon (the pious - see V.2:2). ( سورة البقرة , Al-Baqara, Chapter #2, Verse #183)
  20. সিয়াম পালন যাদের উপর ফরজ সংকলন : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন, মুকিম, সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য সিয়াম পালন ফরজ। যে ব্যক্তি এ সকল শর্তাবলির অধিকারী তাকে অবশ্যই রমজান মাসে সিয়াম পালন করতে হবে। আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেন :— ‘সুতরাং তোমাদের মাঝে যারা এ মাস পাবে তারা যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে।’ [সুরা বাকারা : ১৮৫] রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন :— ‘যখন তোমরা রমজানের চাঁদ দেখবে তখন সিয়াম পালন করবে।’ [ বর্ণনায় : বোখারি ও মুসলিম ] । এ বিষয়ে সকল মুসলিমের ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত। দশ প্রকার মানুষের মাঝে সিয়াম পালনের এ সকল শর্তাবলি অনুপস্থিত। তারা হল : প্রথম: কাফের বা অমুসলিম। কারণ তারা ইবাদত করার যোগ্যতা রাখে না। ইবাদত করলেও ইসলামের অবর্তমানে তা সহি হবে না, কবুলও হবে না। যদি কোন কাফের রমজানে ইসলাম গ্রহণ করে তবে পিছনের সিয়ামের কাজা আদায় করতে হবে না। কারণ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেন :— ‘যারা কুফরি করে তাদেরকে বল, ‘যদি তারা বিরত হয় তবে যা অতীতে হয়েছে আল্লাহ্‌ তা ক্ষমা করবেন।’ [সূরা আনফাল : ৩৮] তবে রমজানের দিনে ইসলাম গ্রহণ করলে ঐ দিনের বাকি অংশটা পানাহার থেকে বিরত থাকবে। দ্বিতীয়: অপ্রাপ্ত বয়স্ক। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার সিয়াম পালন ফরজ নয়। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন :— ‘তিন ব্যক্তি থেকে কলমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নিদ্রা মগ্ন ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়। কম বয়সী ব্যক্তি যতক্ষণ না সে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। পাগল ব্যক্তি যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’ [বর্ণনায় : আবু দাউদ] যদিও অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক-বালিকাদের উপর সিয়াম পালন ফরজ নয় তবে অভিভাবকরা অভ্যস্ত করার জন্য তাদের সিয়াম পালন করতে বলবেন। সাহাবায়ে কেরাম তাদের বাচ্চাদের সিয়াম পালনে অভ্যস্ত করেছেন। তাই আমাদের জন্য মোস্তাহাব হল আমরাও আমাদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের সিয়াম পালনে উদ্বুদ্ধ করব, যদি সিয়াম পালন তাদের কোন ক্ষতি না করে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে কখন বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক হয় ? যদি কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক বা বালিকাদের মাঝে তিনটি আলামতের কোন একটি পরিলক্ষিত হয় তখন তাদের প্রাপ্তবয়স্ক বলে ধরা হবে। আলামত তিনটি হল: (১) স্বপ্নদোষ অথবা অন্য কোন কারণে বীর্যপাত হলে। (২) যৌনাঙ্গে কেশ দেখা দিতে শুরু করলে। (৩) বয়স পনেরো বছর পূর্ণ হলে। ছেলেদের মাঝে যখন এ তিনটি আলামতের কোন একটি পরিলক্ষিত হবে তখন তাদের পূর্ণবয়স্ক বলে ধরা হবে। অবশ্য মেয়েদের জন্য চতুর্থ একটি আলামত রয়েছে, তা হল মাসিক দেখা দেয়া। যদি দশ বছর বয়সী কিশোরীদেরও মাসিক দেখা দেয় তাহলে তাদের পূর্ণবয়স্ক বলে ধরতে হবে। এবং শরিয়তের সকল আদেশ-নিষেধ তার জন্য অবশ্য পালনীয় বলে গণ্য হবে। কোন কিশোর বা কিশোরী রমজান মাসের দিনের বেলা যদি বয়স প্রাপ্ত হয় তবে তাকে দিনের অবশিষ্ট অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এ দিনের সওম তার কাজা করতে হবে না। পিতা-মাতার কর্তব্য হল এ বিষয়ে সতর্ক থাকা ও সন্তানকে সচেতন করা। সাথে সাথে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তার উপর যে সকল ধর্মীয় দায়িত্ব-কর্তব্য আছে তা পালনে দিক-নির্দেশনা দেয়া। পাক-পবিত্রতা অর্জনের নিয়ম-নীতিগুলো সে জানে কি না বা মনে রাখতে পেরেছে কিনা তার প্রতি খেয়াল রাখা। তৃতীয়: পাগল। পাগল বলতে বুঝায় যার জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পেয়েছে। যার কারণে ভাল-মন্দের মাঝে পার্থক্য করতে পারে না। এর জন্য সিয়াম পালন ফরজ নয়। যেমন পূর্বের হাদিসে উলে¬খ করা হয়েছে। পাগল যখনই সুস্থ হয়ে যাবে তখনই সে সিয়াম পালন শুরু করে দেবে। যদি এমন হয় যে দিনের কিছু অংশ সে সুস্থ থাকে কিছু অংশ অসুস্থ তাহলে সুস্থ হওয়া মাত্রই সে পানাহার থেকে বিরত থাকবে। সিয়াম পূর্ণ করবে। পাগলামি শুরু হলেই তার সিয়াম ভঙ্গ হবে না, যদি না সে সিয়াম ভঙ্গের কোন কাজ করে। চতুর্থ: অশীতিপর বৃদ্ধ যে ভাল-মন্দের পার্থক্য করতে পারে না । এ ব্যক্তি যার বয়সের কারণে ভাল-মন্দ পার্থক্য করার অনুভূতি চলে গেছে সে শিশুর মতই। শিশু যেমন শরিয়তের নির্দেশমুক্ত তেমনি সেও। তবে অনুভূতি ফিরে আসলে সে পানাহার থেকে বিরত থাকবে। যদি তার অবস্থা এমন হয় যে কখনো অনুভূতি আসে আবার কখনো চলে যায় তবে অনুভূতি থাকাকালীন সময়ে তার উপর সালাত, সিয়াম ফরজ হবে। পঞ্চম: যে ব্যক্তি সিয়াম পালনের সামর্থ্য রাখে না। এমন সামর্থ্যহীন অক্ষম ব্যক্তি যার সিয়াম পালনের সামর্থ্য ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। যেমন অত্যধিক বৃদ্ধ অথবা এমন রোগী যার রোগ মুক্তির সম্ভাবনা নেই—আল্লাহ্‌র কাছে আমরা এ ধরনের রোগ-ব্যাধি থেকে আশ্রয় চাই। এ ধরনের লোকদের সিয়াম পালন জরুরি নয়। কারণ সে এ কাজের সামর্থ্য রাখে না। আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেন :— ‘আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্টদায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।’ [সূরা আল-বাকারা: ২৮৬] কিন্তু এমন ব্যক্তির উপর সিয়ামের ফিদয়া প্রদান ওয়াজিব। সিয়ামের ফিদয়া হল, প্রতিটি দিনের পরিবর্তে একজন মিসকিন (অভাবী) লোককে খাদ্য প্রদান করবে। কিভাবে মিসকিনকে খাদ্য প্রদান করবে ? মিসকিনদের দু ভাবে খাদ্য প্রদান করা যায় : (১) খাদ্য তৈরি করে সিয়ামের সংখ্যা অনুযায়ী সমসংখ্যক মিসকিনকে আপ্যায়ন করাবে। (২) মিসকিনদের প্রত্যেককে এক মুদ পরিমাণ ভাল আটা দেবে। এক মুদ হল ৫১০ গ্রাম। (তবে হানাফি ফিকাহ অনুযায়ী দুই মুদ বা এক কেজি বিশ গ্রাম আটা বা সমপরিমাণ টাকা দেয়া যেতে পারে।) ষষ্ঠ: মুসাফির। মুসাফিরের জন্য সিয়াম পালন না করা জায়েজ আছে। সফরকে যেন সিয়াম পালন না করার কৌশল হিসেবে ব্যবহার না করা হয়।আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন :— ‘যে কেউ অসুস্থ থাকে বা সফরে থাকে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান, যা কষ্টকর তা চান না।’ [সূরা বাকারা : ১৮৫] সুতরাং যে ব্যক্তি সফরে থাকে তার জন্য সিয়াম ভঙ্গের অনুমতি আছে এবং সফর শেষে সে সিয়াম আদায় করবে। এমনিভাবে সে যদি সফরাবস্থায় সিয়াম পালন করে তবে তা আদায় হবে। তবে উত্তম কোনটি, সফরকালীন সময়ে সিয়াম পালন করা, না সিয়াম ত্যাগ করা? যেটা সহজ মুসাফির সেটা করবেন। যদি তিনি দেখেন সফরকালীন সময়ে তার সিয়াম পালন বাড়িতে থাকাকালীন সময়ের মতই মনে হয় তবে সফরে তার সিয়াম পালন করা উত্তম। আর যদি দেখেন সফরে সিয়াম পালন করলে অতিরিক্ত কষ্ট হয় তবে সিয়াম ত্যাগ করা তার জন্য উত্তম। বরং বেশি কষ্ট হলে সিয়াম পালন মাকরূহ হবে। যেমন রাসূলে করিম স.-এর সাথে একদল সাহাবি সফরে থাকাকালীন সময়ে সিয়াম পালন করে খুব কষ্ট সহ্য করেছিলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) তাদের লক্ষ্য করে বললেন :— ‘তারাইতো অবাধ্য ! তারাইতো অবাধ্য !!’ [বর্ণনায় : মুসলিম] সফরে কেউ সিয়াম পালন শুরু করল পরে দেখা গেল সিয়াম অব্যাহত রাখতে তার কষ্ট হচ্ছে তখন সে সিয়াম ভঙ্গ করে ফেলবে। এখন কথা হল এক ব্যক্তি সাড়া জীবনই সফরে থাকেন এবং সফরাবস্থায় সিয়াম পালন তার জন্য কষ্টকর সে কীভাবে সিয়াম পালন করবেন ? তিনি শীতকালে ছোট দিনগুলোতে সিয়াম পালন করতে পারেন। সপ্তম: যে রোগী সুস্থ হওয়ার আশা রাখে। যে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে তার অবস্থা তিনটির যে কোন একটি হয়ে থাকে: এক: এমন রোগী যার পক্ষে সিয়াম পালন কষ্টসাধ্য নয় এবং সিয়াম তার কোন ক্ষতি করে না। এমন ব্যক্তির সিয়াম পালন অপরিহার্য। দুই: এমন রোগী সিয়াম পালন যার জন্য কষ্টকর। এমন ব্যক্তির সিয়াম পালন বিধেয় নয়-মাকরূহ। সিয়াম পালন করলে আদায় হয়ে যাবে তবে মাকরূহ হবে। ইসলামি শরিয়তের উদ্দেশ্য মানুষকে কষ্ট দেয়া নয় বরং শরিয়তের উদ্দেশ্য হল মানুষের সমস্যাকে হালকা করা। তিন: এমন রোগী যে সিয়াম পালন করলে রোগ বেড়ে যাবে। এ অবস্থায় তার সিয়াম ত্যাগ করাই হল ওয়াজিব বা অপরিহার্য। অষ্টম: যে নারীর মাসিক চলছে। ঋতুকালীন সময়ে নারীর জন্য সওম পালন জায়েজ নয় বরং নিষেধ। যদি সওম পালন করা অবস্থায় মাসিক দেখা দেয় তাহলে তার সওম ভেঙে যাবে যদি সূর্যাস্তের এক মুহূর্ত পূর্বেও দেখা যায় এবং এ সওমের কাজা আদায় করতে হবে। মাসিক অবস্থায় রমজানের দিনের বেলা কোন মহিলার মাসিক বন্ধ হয়ে গেল তাহলে তাকে ঐ দিনের বাকি সময়টা খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে পরে এটাও কাজা করতে হবে। যদি সুবহে সাদিকের এক মুহূর্ত পূর্বে মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ঐ দিনের সওম পালন অপরিহার্য। এমন ভাবা ঠিক নয় যে, গোসল করা হয়নি তাই সওম পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। রোজার নিয়ত করে নিবে। গোসল পরে করলে সমস্যা নেই। সিয়াম আদায়ের ক্ষেত্রে সদ্য প্রসূতি নারীর বিধান ঋতুবতী নারীর অনুরূপ। ঋতুবতী ও সদ্য প্রসূতি নারীরা সুস্থ হয়ে সিয়ামের কাজা আদায় করবে। তবে তাদের সালাতের কাজা আদায় করতে হবে না। আয়েশা রা.-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, ঋতুবতী নারী সালাতের কাজা আদায় করবে না, কিন্তু তাদের সিয়ামের কাজা আদায় করতে হবে কেন ? তিনি উত্তরে বললেন, আমাদের এ অবস্থায় শুধু সিয়ামের কাজা আদায় করতে রাসুলুল্লাহ (স.) নির্দেশ দিয়েছেন, সালাতের কাজা আদায়ের নির্দেশ দেননি। [বর্ণনায় : বোখারি ও মুসলিম] এটা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের এক বিরাট অনুগ্রহ যে তিনি মহিলাদের হায়েজ ও নিফাস চলাকালীন সময়ের সালাত মাফ করে দিয়েছেন। নবম: গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারী নারী। যদি গর্ভবতী বা দুগ্ধ দানকারী নারী সিয়ামের কারণে তার নিজের বা সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা করে তবে সে সিয়াম ভঙ্গ করতে পারবে। পরে নিরাপদ সময়ে সে সিয়ামের কাজা আদায় করে নিবে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন :— ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুসাফিরের অর্ধেক সালাত কমিয়ে দিয়েছেন এবং গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকরী নারীর সিয়াম না রেখে পরে আদায় করার অবকাশ দিয়েছেন।’ [বর্ণনায় : তিরমিজি] দশম: যে অন্যকে বাঁচাতে যেয়ে সিয়াম ভেঙে ফেলতে বাধ্য হয়। যেমন কোন বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি ; পানিতে পড়ে যাওয়া মানুষকে অথবা আগুনে নিপতিত ব্যক্তিকে কিংবা বাড়িঘর ধসে তার মাঝে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে যেয়ে সিয়াম ভঙ্গ করল। এতে অসুবিধা নেই। যদি এমন হয় যে সিয়াম ভঙ্গ করা ব্যতীত এ সকল মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না তাহলে সিয়াম ভঙ্গ করে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত হওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়বে। কেননা জীবনের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হয়েছে এমন বিপদগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার করা ফরজ। এমনিভাবে যে ইসলাম ও মুসলিমদের শত্র“দের বিরুদ্ধে আল্লাহ্‌র পথে জিহাদে নিয়োজিত সে সিয়াম ভঙ্গ করে শক্তি অর্জন করতে পারবে। এ দশ প্রকার মানুষ যাদের জন্য সিয়াম ভঙ্গ করার অনুমতি দেয়া হল তারা যেন প্রকাশ্যে পানাহার না করে সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত। কারণ এতে অনেক অজানা লোকজন খারাপ ধারণা পোষণ করবে যা ব্যক্তি ও সমাজের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ওয়েব সম্পাদনাঃ মোঃ মাহমুদ -ই- গাফফার ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়া, রিয়াদ
  21. Asalamu'alaikum Related thread : Shame on Suu Kyi http://www.islamicteachings.org/forum/topic/16882-shame-on-suu-kyi/
  22. Asalamu'alaikum وَمَا لَكُمْ لاَ تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاء وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَـذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا 75 আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও। 4:75 And what is wrong with you that you fight not in the Cause of Allah, and for those weak, illtreated and oppressed among men, women, and children, whose cry is: "Our Lord! Rescue us from this town whose people are oppressors; and raise for us from You one who will protect, and raise for us from You one who will help." ( سورة النساء , An-Nisa, Chapter #4 , Verse #75 )
  23. Allaah didn't order us to fast just to feel hunger and thirst. Rather it is to leave off sin!❞ ~Shaikh Ibn 'Uthaymeen (rahimahullah)
  24. O Son of Adam, sell this world for the hereafter and you will win both; sell the hereafter for this world and you will lose both.- Hasan al-Basri
  25. Total 90 thousands labours will get free Iftar at Dubai this year from dubai tourism and commerce marketing deptt. They are arrranging free Iftar since last ten yrs. This yr they will also arrange free Islamic education for labours to increase Islamic brotherhood. Lectures will be given in multi languages. ৯০ হাজার শ্রমিকের ফ্রি ইফতার দুবাইতে বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই ২০১২ মানবজমিন ডেস্ক: ৯০ হাজার শ্রমিকের জন্য রমজান মাসব্যাপী ফ্রি ইফতারের ব্যবস্থা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দুবাই’র ট্যুরিজম অ্যান্ড কমার্স মার্কেটিং বিভাগ। এক সংবাদ সম্মেলনে ১১তম রমজান ফোরামের প্রশাসক হামাদ বিন মাগরান বলেছেন, প্রতিদিন বিভিন্ন দেশের ২৮শ’ মানুষের জন্য আল মুহাইসানা লেবার ক্যাম্প-২তে ফ্রি ইফতারের আয়োজন করা হবে। মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধির জন্য সরকারি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত ১০ বছরের এমন সফল আয়োজনের পর এই বছর অতিরিক্ত কিছু করতে চাচ্ছে ফোরাম। যাতে থাকবে আগ্রহীদের জন্য ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরা। এজন্য প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদদের আনা হবে বলে জানিয়েছেন হামাদ। গত ১০ সেশনের আয়োজনে ইসলামী লেকচার প্রোগ্রাম জনপ্রিয় হওয়ায় এ বছর আরবি ছাড়া অন্যান্য ভাষায় এর আয়োজন করা হবে। এসব লেকচার আয়োজন করা হবে আল তাওয়ার তাঁবুতে ৩১শে জুলাই, ১, ২ ও ৩রা আগস্টে। এছাড়াও ২৬ ও ২৭শে জুলাই দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ইসলামী লেকচারের আয়োজন করা হবে। এর বাইরে শ্রমিকদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সব শ্রমিকের মধ্যে ইসলামের শিক্ষাকে তুলে ধরার জন্য ধর্মীয় বই-পুস্তক ও সিডি ক্যাসেট বিতরণ করা হবে। শেখ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন রশিদ আল মাকতুমের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘ব্রিজেস অব মার্সি’ স্লোগানের আওতায় আয়োজন করা হবে পুরো অনুষ্ঠান। ২৪শে জুলাই থেকে ৪ঠা আগস্ট পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান। এ সময় ১২ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের আয়োজন করা হবে। যেখানে আবাসিকভাবে আগ্রহীদের জন্য আরব ও মুসলিম দেশসমূহের স্কলার ও দায়ীদের দিয়ে ইসলামী শিক্ষা দেয়া হবে। এছাড়াও রমজান ফোরাম তাদের কার্যক্রমের মধ্যে গাড়িতে করে পুরো আরব আমিরাতে ইসলামী বই, ক্যাসেট ও সিডি বিতরণ করবে। নতুন ছাত্রদের ইসলামের প্রতি উৎসাহী করতে ইসলামী সংগীতের আয়োজন করা হবে। আর এসব হবে ইফতার আয়োজনের পাশাপাশি। সবকিছুর মূলে থাকবে শ্রমিকদের জন্য ফ্রি ইফতারের ব্যবস্থা। http://www.mzamin.com/details.php?nid=MTMwMzY=&ty=MA==&s=MjE=&c=MQ==
×
×
  • Create New...